ছহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
ইলিম ও আলিমের ফযীলত (৩৯)
, ০৯ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০৯ ছানী আ’শার, ১৩৯২ শামসী সন , ০৮ মে, ২০২৫ খ্রি:, ২৫ বৈশাখ, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
এজন্য অন্য হাদীছ শরীফে বলা হয়েছে-
إِنَّ أَشَدَّ النَّاسِ عَذَابًا يَوْمَ الْقِيَامَةِ عَالِمٌ لَمْ يَنْفَعْهُ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ بِعِلْمِهِ
নিশ্চয় কঠিন শাস্তি হবে ঐ ব্যক্তির হাশরের ময়দানে, ক্বিয়ামতের দিন, যে ব্যক্তি তার ইলিমের দ্বারা কোন ফায়দা হাছিল করতে পারেনি।
এবং আরেক হাদীছ শরীফে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেছেন যে দেখ-
إِنَّ مِنْ أَشَرِّ النَّاسِ عِنْدَ اللهِ مَنْزِلَةً يَوْمَ الْقِيَامَةِ عَالِمٌ لاَ يَنْتَفِعُ بِعِلْمِهِ.
নিশ্চয় মানুষের মধ্যে সবচাইতে নিকৃষ্ট ঐ ব্যক্তি, যে ইলিম অর্জন করেছে, অথচ তার দ্বারা কোন ফায়দা হাছিল করতে পারেনি, ফায়দা হাছিল করতে পারেনি, সে ব্যক্তি সবচেয়ে নিকৃষ্ট ব্যক্তি হবে, সে ব্যক্তি সবচেয়ে নিকৃষ্ট হবে।
কাজেই প্রত্যেক ব্যক্তিকেই ইলিম অর্জন করতে হবে ফায়দার জন্য। অর্থাৎ কি ফায়দা? মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সন্তুষ্টির জন্য, তাহলে তার জন্য কামিয়াবী, অন্যথায় তার জন্য কোন কামিয়াবী নেই।
মূলতঃ যেহেতু ইবলীস শয়তান সে তো আগেই মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে বলেছে, তার ছয় লক্ষ বৎসর ইবাদতের বিনিময়ে সে চেয়েছে, যখন ইবলীস মুরতাদ হয়ে গেল, মালঊন হয়ে গেল, তখন মহান আল্লাহ পাক বিতাড়িত করে দিলেন, রজীম করে দিলেন, সে সময় ইবলীস বলেছিল, মহান আল্লাহ পাক! আমি তো ছয় লক্ষ বৎসর ইবাদত করেছি। আপনিতো বলেছেন-
فَمَنْ يَعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ خَيْرًا يَرَهُ. وَمَنْ يَعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ شَرًّا يَرَهُ
(পবিত্র সূরা যিলযাল শরীফ:পবিত্র আয়াত শরীফ ৭-৮)
যে এক বিন্দু নেকী করবে, সে তার বদলা পাবে, বদী করলেও শাস্তি ভোগ করবে।
ঠিক আছে আমি বদী করেছি, সেজন্য আমাকে লা’নত দেয়া হয়েছে, বিতাড়িত করে দেয়া হয়েছে। সেটা আমি মেনে নিলাম। কিন্তু আমি যে ছয় লক্ষ বৎসর ইবাদত করেছি, তার বদলা আমার কি?
মহান আল্লাহ পাক তিনি বললেন, “তুমি কি চাও হে ইবলীস”?
সে বললো- আমি চাই ক্বিয়ামত পর্যন্ত হায়াত, অর্থাৎ এক নম্বর সেই শিংগায় ফু দেয়া পর্যন্ত বা ক্বিয়ামত পর্যন্ত আমার হায়াত হবে। দুই নম্বর হচ্ছে- আমি যেন মানুষের রগ-রেশায়, খুনের কাতরায়-কাতরায় প্রবেশ করতে পারি। তিন নম্বর হচ্ছে- আমি যেন চোখের পলকে পৃথিবীর এ মাথা থেকে ও মাথা যেতে পারি। পৃথিবীর এ মাথা থেকে ও মাথা যাবো, আর মানুষের রগ-রেশায় প্রবেশ করে মানুষকে ওয়াসওয়াসা দিব ক্বিয়ামত পর্যন্ত।
এই তিনটা জিনিস ছয় লক্ষ বৎসর ইবাদতের বিনিময়ে সে মহান আল্লাহ পাক উনার কাছ থেকে গ্রহণ করেছে। মূলতঃ এই তিনটা বিষয় ছাড়া আরো অন্যান্য টুকটাক রয়েছে, মূল হলো তিনটা।
তখন সে বলেছিল- মহান আল্লাহ পাক! যারা আপনার খাছ বান্দা, তাদেরকে আমি অবশ্যই ওয়াসওয়াসা দিব এবং গোমরাহ্ করবো।
মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেছিলেন, “যারা আমার খাছ বান্দা, তুমি কখনো তাদেরকে গোমরাহ করতে পারবেনা।
হে ইবলীস, তাদেরকে গোমরাহ করতে পারবেনা, হে ইবলীস, তুমি জেনে রাখ। ” তখন থেকে ইবলীস আদম সন্তান যারা রয়েছে, তাদের পিছনে লেগেছে ওয়াসওয়াসা দেয়ার জন্য।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হযরত আব্বাস ইবনে মিরদাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যাকাত সম্পর্কিত আহকাম, মাসায়িল ও ফাযায়িল (৪)
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
প্রাণীর ছবি তোলা হারাম ও নাফরমানীমূলক কাজ
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
অ্যান্টার্কটিকা নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় বিজ্ঞানীরা
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম (৪)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা অবশ্যই সত্যের মাপকাঠি; অস্বীকারকারীরা কাট্টা কাফির (১)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ উনাদের আলোকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দু‘আ বা মুনাজাত (১১তম অংশ)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম (৩)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দুনিয়ার যমীনে অবস্থানকালীন সময়ে ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ যে রোযা মুবারক রাখতেন সে রোযা মুবারক মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই শরীফ উনার দিনে হওয়াটা ছিলো একটি বিরল ঘটনা (২)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)












