ছহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
পর্দার গুরুত্ব-তাৎপর্য ও হুকুম-আহ্কাম (৬৬)
, ০২ ছফর শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ২৯ ছানী, ১৩৯৩ শামসী সন , ২৮ জুলাই, ২০২৫ খ্রি:, ১৪ শ্রাবণ, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
হঠাৎ দেখা গেলো, সেই দেশের সাথে তার প্রতিবেশী দেশের যুদ্ধ শুরু হয়েছে। যখন যুদ্ধ শুরু হয়ে গেলো তখন ইবলিস সুযোগ খুঁজতে লাগলো। এর মাধ্যম দিয়ে তাকে কব্জা করা যায় কি-না, কাবু করা যায় কি-না। ইবলিস সেই সুযোগ তালাশ করতে করতে ধোঁকা দেয়ার একটা পথ সে পেয়ে গেলো।
তা হলো, সেই আবেদের প্রতিবেশীদের মধ্যে নিকটবর্তী এলাকায় দুই ভাই ছিলো। যাদের এক বোন ছিলো। তাদের অবস্থা স্বচ্ছল ছিলো। তারাও মোটামুটি পরহেজগার ছিলো। ইবলিস গিয়ে তাদেরকে ওয়াস্ওয়াসা দিলো, “তোমরা এক কাজ করো, জিহাদ শুরু হয়ে গেছে, তোমরা জিহাদে অংশগ্রহণ করো। অনেক ফযীলত রয়েছে এর মধ্যে। এতে মারা গেলে শহীদ হয়ে যাবে। অনেক মর্যাদা-মর্তবা তোমাদের হাছিল হবে। তোমরা জিহাদে চলে যাও। কারণ টাকা-পয়সা, থাকা-খাওয়ার তো কোন অসুবিধা নেই। জিহাদ করে ফিরে এসেও তোমরা তোমাদের বিষয় সম্পত্তি আবার পাবে। আর যদি তোমরা শহীদ হয়েই যাও তাহলে তো অনেক ফযীলত রয়েছে মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে। ”
এটা ওয়াস্ওয়াসা দিয়ে মানুষের ছূরতে গিয়ে ইবলিস তাদের বুঝালো। অনেক দিন বুঝানোর পর তারা শেষ পযর্ন্ত বললো, ‘আমরা যদি জিহাদে চলে যাই, আমাদের তো আর কেউ নেই, দুই ভাই এক বোন, তাহলে আমাদের এই বোনটাকে আমরা কোথায় রেখে যাবো?’
ইবলিস প্রথম দিন কিছুই বললো না। সে বললো, ‘আচ্ছা ঠিক আছে। ’ সে তাদের উপদেশদাতা হিসাবে, খয়ের খাঁ হিসাবে বললো, ‘অসুবিধা নেই, আমি একটু চিন্তা-ভাবনা করে দেখি। এত বড় ফযীলতের কাজ থেকে তোমরা মাহরূম থাকবে? এটার একটা ব্যবস্থা করতেই হবে। ’
এটা বলে আবার দু’একদিন পর এসে বললো, ‘আমি একটা চিন্তা-ভাবনা করেছি, কি চিন্তা ভাবনা করেছো? তোমাদের নিকটবর্তী একজন আবেদ রয়েছে খুব পরহেজগার, সে সবসময় নিরিবিলি থাকে। কোন বেগানা নারীর প্রতি সে দৃষ্টি দেয় না। মহিলাদের সামনে সে যায় না। এমন একজন আবেদ রয়েছে। তোমরা এক কাজ করতে পারো, সেই আবেদের কাছে তোমাদের বোনটাকে রেখে যেতে পারো। ”
তারা বললো, ‘এটা কি করে সম্ভব? আমরা তাকে রেখে যাবো, সেখানে সে কোথায় থাকবে, কি খাবে?’
ইবলিস আবার ওয়াসওয়াসা দিলো, “চিন্তার কোন কারণ নেই। কারণ, তার অনেক জায়গা-সম্পত্তি রয়েছে। আর তোমাদের তো টাকা-পয়সা রয়েছেই। কিছু টাকা পয়সা দিয়ে যাবে, খোরাক দিয়ে যাবে এক বৎসরের, তারা খাবে, থাকবে, অসুবিধা হবে না। ”
তাহলে কিভাবে চলবে?
ইবলিস বললো, “ঠিক আছে আমি আবার আসবো, এসে বলবো। ”
ইবলিস সেই আবেদের কাছে গেলো। গিয়ে তাকে বললো, ওয়াস্ওয়াসা দিলো মানুষের ছূরতে যে, “তুমি এখানে থাকো, খাও, তোমার তো অনেক অসুবিধা হয়। যদি কেউ তোমাকে পাক-শাক করে দিতো তাহলে তোমার ইবাদত-বন্দেগী আরো বেশী করা সম্ভব হতো। এখন পাক করতে তোমার অনেক সময় নষ্ট হয়ে যায়। তোমার পাক-শাক করতে অনেক সময় নষ্ট হয়ে যায়। ”
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হযরত আব্বাস ইবনে মিরদাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যাকাত সম্পর্কিত আহকাম, মাসায়িল ও ফাযায়িল (৪)
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
প্রাণীর ছবি তোলা হারাম ও নাফরমানীমূলক কাজ
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
অ্যান্টার্কটিকা নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় বিজ্ঞানীরা
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম (৪)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা অবশ্যই সত্যের মাপকাঠি; অস্বীকারকারীরা কাট্টা কাফির (১)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ উনাদের আলোকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দু‘আ বা মুনাজাত (১১তম অংশ)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম (৩)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দুনিয়ার যমীনে অবস্থানকালীন সময়ে ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ যে রোযা মুবারক রাখতেন সে রোযা মুবারক মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই শরীফ উনার দিনে হওয়াটা ছিলো একটি বিরল ঘটনা (২)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)












