ছহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
পর্দার গুরুত্ব-তাৎপর্য ও হুকুম-আহ্কাম (১০৯)
, ১৮ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ১৪ রবি’, ১৩৯৩ শামসী সন , ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রি:, ২৭ ভাদ্র, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আরবের যমীনে এমন কোন মা জন্মগ্রহণ করেনি এবং তার এমন কোন সন্তান জন্মগ্রহণ করেনি যার এত সাহস রয়েছে, যে এত বাহাদুর হবে, ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার মাথায় আঘাত করবে। এমন কোন সন্তান আরবের যমীনে জন্মগ্রহণ করেনি। যখন একথা বলা হলো
তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পুনরায় জিজ্ঞাসা করলেন, ‘তাহলে কপাল ফেটে রক্ত বের হচ্ছে কেন? কে আঘাত করেছে? কিসে আঘাত লেগেছে?’
হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম বললেন, ‘ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনার একটা হাদীছ শরীফ আমার মাথায় আঘাত করেছে। যার জন্য কপাল ফেটে রক্ত দরদর করে প্রবাহিত হচ্ছে।’
সেটা শুনে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আশ্চর্য হয়ে বললেন, ‘আমার হাদীছ শরীফ আপনার মাথায় আঘাত করেছে! সেটা কোন হাদীছ শরীফ?’
তিনি বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! যিনি আমার মেয়ে, হযরত উম্মুল মু’মিনীন আর রবিআহ হাফছা আলাইহাস সালাম। উনার সাথে আমি বসে নিরিবিলি কিছু আলোচনা করতেছিলাম। হঠাৎ সেই হাদীছ শরীফখানা আমার স্মরণ হলো। স্মরণ হওয়া মাত্রই আমি ঘর থেকে বের হওয়ার জন্য দৌড় দিয়েছিলাম। কপাল চৌকাঠে লেগে কপাল ফেটে যায়। তার কারণে আমার কপাল থেকে রক্ত প্রবাহিত হচ্ছে।
তখন আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পুনরায় জিজ্ঞাসা করলেন, ‘কোন হাদীছ শরীফ স্মরণ হওয়ার কারণে আপনি দৌঁড় দিয়েছিলেন?’
উনি বললেন, ‘ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি স্বয়ং ইরশাদ মুবারক করেছেন-
لاَ يَخْلُوَنَّ رَجُلٌ بِامْرَأَةٍ إِلاَّ كَانَ ثَالِثَهُمَا الشَّيْطَانُ
“তোমাদের কোন পুরুষ যেন কোন বেগানা মহিলার সাথে নিরিবিলি একাকী মিলিত না হয়। যদি হয় তাহলে তোমাদের তৃতীয় সঙ্গী হবে শয়তান।”
এ হাদীছ শরীফখানা আমার স্মরণ হওয়া মাত্রই আমি দৌড় দিয়েছিলাম, চৌকাঠে আমার কপাল (মুবারক) লেগে ফেঁটে যায়।
কিতাবে উল্লেখ করা হয়েছে, হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম সাধারণ লোক থেকে এক হাত লম্বা ছিলেন। উনি যখন সাধারণ মানুষের সঙ্গে হাঁটতেন মানুষ দূর থেকে মনে করত, তিনি কোন বাহনের উপর বসে রয়েছেন। এত লম্বা যে, কোন ঘর-বাড়ীর দরজা থেকে উনি লম্বা ছিলেন। যার জন্য দৌড় দেয়ার সময় কপাল চৌকাঠে লেগে কপাল ফেটে যায়। এখন ফিকির এবং চিন্তার বিষয় যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি এই ঘটনার মাধ্যম দিয়ে একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করে দিলেন।
যে, হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম, যার শানে আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন-
لَوْ كَانَ بَعْدِي نَبِيٌّ لَكَانَ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ عَلَيْهِ السَّلَامُ
আমার পরে যদি কেউ নবী হতেন তাহলে সে ব্যক্তিত্ব হতেন হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম। আরো ইরশাদ মুুবারক হয়েছে, ইবলিস হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনাকে দেখলে তার মাথা খারাপ হয়ে যায়। সে কোন্ রাস্তা দিয়ে পালাবে পথ খুঁজতে থাকে, সে অস্থির, বেকারার হয়ে যায়, পেরেশান হয়ে যায়। এত ফযীলত, এত বুযূর্গী-সম্মান হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার রয়েছে যা বলার অপেক্ষা রাখেনা।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হযরত আব্বাস ইবনে মিরদাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যাকাত সম্পর্কিত আহকাম, মাসায়িল ও ফাযায়িল (৪)
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
প্রাণীর ছবি তোলা হারাম ও নাফরমানীমূলক কাজ
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
অ্যান্টার্কটিকা নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় বিজ্ঞানীরা
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম (৪)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা অবশ্যই সত্যের মাপকাঠি; অস্বীকারকারীরা কাট্টা কাফির (১)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ উনাদের আলোকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দু‘আ বা মুনাজাত (১১তম অংশ)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম (৩)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দুনিয়ার যমীনে অবস্থানকালীন সময়ে ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ যে রোযা মুবারক রাখতেন সে রোযা মুবারক মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই শরীফ উনার দিনে হওয়াটা ছিলো একটি বিরল ঘটনা (২)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)












