যিনি খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,

وَلَلْاٰخِرَةُ خَيْرٌ لَّكَ مِنَ الْاُوْلـٰى

অর্থ: “(আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) নিশ্চয়ই আপনার পরকাল ইহকাল অপেক্ষা উত্তম। ” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা দ্বুহা শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৪)

এ সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার আরো একখানা বিশেষ অর্থ মুবারক হচ্ছেন, “নিশ্চয়ই আপনার সম্মানিত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক প্রথম যামানা অপেক্ষা আখিরী যামানায় বা শেষ যামানায় আরো উত্তমভাবে প্রকাশ পাবেন। ” সুবহানাল্লাহ!

বর্তমানে এই সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার বাস্তবতা পরিপূর্ণভাবে ফুটে উঠেছে। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার একক অদ্বিতীয় হাক্বীক্বী ক্বায়িম মাক্বাম হচ্ছেন আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বমে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি। সুবহানাল্লাহ! তিনি যেরূপ সর্বোত্তমভাবে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বেমেছাল শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক প্রকাশ করে যাচ্ছেন, পৃথিবীর ইতিহাসে আর কেউ কখনও এরূপ সর্বোত্তমভাবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক প্রকাশ করেননি। সুবহানাল্লাহ! মূলত, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বেমেছাল হাক্বীক্বী সম্মানিত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক প্রকাশে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বমে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি হচ্ছেন সমগ্র সৃষ্টি জগতের জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সর্বোত্তম মহাসম্মানিত এলাহী হাদিয়া মুবারক। সুবহানাল্লাহ!

যিনি খালিক্ব মালিক মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,

وَرَفَعْنَا لَكَ ذِكْرَكَ

অর্থ: “আর (আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আমি আপনার সম্মানিত যিকির মুবারক, সম্মানিত আলোচনা মুবারক, শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক বুলন্দ থেকে বুলন্দতর করেছি। ” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আলাম নাশ্রহ্ শরীফ: সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ: ৪)

সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦তামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি শুধু যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি নন; এছাড়া যত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক রয়েছেন, সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের অধিকারী হচ্ছেন তিনি। সুবহানাল্লাহ!

মহান আল্লাহ পাক তিনি خَالِقٌ ‘খালিক্ব’ (সৃষ্টিকর্তা) হিসেবে আহাদ তথা একক। আর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦তামুন নাবিয়্যীন হিসেবে একক। সুবহানাল্লাহ! মহান আল্লাহ পাক তিনি হচ্ছেন اَحَدٌ ‘আহাদ’ আর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হচ্ছেন اَحْمَدُ ‘আহমদ’। এই সম্মানিত ও পবিত্র اَحْمَدُ ‘আহমদ’ লফ্য বা শব্দ মুবারক উনার মধ্যে ‘মীম’ দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছেন মালিক, মুরাদ, মাহবূব। অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক তিনি নূরে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে উনার মাহবূব, মুরাদ এবং সমস্ত সৃষ্টি জগতের একক মালিক হিসেবে সৃষ্টি মুবারক করেছেন। সুবহানাল্লাহ! তিনি হচ্ছেন মহান আল্লাহ পাক উনার মাহবূব, মুরাদ এবং সমগ্র সৃষ্টি জগতের একক মালিক। সুবহানাল্লাহ! এই সম্মানিত ও পবিত্র اَحْمَدُ ‘আহমদ’ লফ্য বা শব্দ মুবারক উনার মধ্যে ‘মীম’ উনার আরো একখানা হাক্বীক্বত মুবারক হচ্ছেন- ‘মীম’ দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছেন নূরে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ইসম মুবারক ‘মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’। অর্থাৎ اَحْمَدُ ‘আহমদ’- مُحَمَّدٌ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَحَدٌ (মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আহাদ)- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি একক। সুবহানাল্লাহ!

মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন, اَللهُ اَحَدٌ (আল্লাহু আহাদুন) মহান আল্লাহ পাক তিনি একক। (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা ইখলাছ শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ১)

ঠিক তেমনিভাবে নূরে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিও একক। সুবহানাল্লাহ!

এ কারণে যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,

لَا تَـجْعَلُوْا دُعَآءَ الرَّسُوْلِ بَيْنَكُمْ كَدُعَآءِ بَعْضِكُمْ بَعْضًا

অর্থ: “তোমরা পরস্পর পরস্পরকে যেভাবে সম্বোধন করে থাকো, সেভাবে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্বোধন করো না। ” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা নূর শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৬৩)

তাই, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বমে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্মানিত সম্বোধন মুবারক করার বিষয়ে ইতিহাসে নযীরবিহীন এক অনন্য বেমেছাল অভুতপূর্ব চির বিস্ময়কর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ফায়ছালা মুবারক প্রকাশ করেছেন। সুবহানাল্লাহ!

নিম্নে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦তামুন নাবিয়্যীন, নূরে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্মানিত সম্বোধন মুবারক করার বিষয়ে কতিপয় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লফ্য বা পরিভাষা মুবারক উল্লেখ করা হলো-

১. ১ রবী‘উল আউওয়াল শরীফ سَيِّدُ سَيِّدِ الشُّهُوْرِ॥ سَيِّدُ سَيِّدِ الشُّهُوْرِ الْاَعْظَمِ شَرِيْفٌ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূর/ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ

২. ২ ইছনাইনিল ‘আযীম শরীফ سَيِّدُ سَيِّدِ الْاَيَّامِ شَرِيْفٌ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ

৩. ৩ ছানী ‘আশার অর্থাৎ ১২ই শরীফ سَيِّدُ سَيِّدِ الْاَعْدَادِ شَرِيْفٌ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ



-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আমীন।