সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ সংশ্লিষ্ট ঐতিহাসিক ঘটনা
, ২৪শে রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ১৮ তাসি, ১৩৯০ শামসী সন , ১৬ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ খ্রি:, ০২ ফাল্গুন, ১৪২৯ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
তিনি বলেন, তিনি একবার পবিত্র মক্কা শরীফ উনার শাসক সাইয়্যিদ শরীফ আল হুসাইনের শাসনের সময় ফিলিস্তিনের কুব্বাতুস সাকরা মসজিদ সংস্কার কাজে তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব পালন করতে গিয়েছিলেন। সে সময় তিনি ফিলিস্তিনের হেবরন শহরে গিয়েছিলেন। তিনি যখন হেবরনে যান সেইদিন ছিলো পবিত্র ১২ই রবীউল আউয়াল শরীফ অর্থাৎ মহাসম্মানিত সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ। শহরবাসী ব্যাপক জাকজমকের সাথে ঈদে বিলাদতে রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উৎযাপন করছিলেন। তিনিও সেই অনুষ্ঠানে শরীক হলেন। তবে কিছুক্ষন বাদে তিনি লক্ষ্য করলেন যে, ৮০ বছরের এক বৃদ্ধ ব্যক্তি পুরো অনুষ্ঠানের সময় একটানা দাড়িয়ে ছিলেন এবং খুশি প্রকাশ করছিলেন। তখন সাইয়্যিদ মুহম্মদ আব্বাস তিনি সেই ব্যক্তির কাছে গেলেন এবং বললেন, আপনি এতক্ষন এভাবে দাড়িয়ে আছেন কেন? আপনি তো চাইলে বসতে পারেন।
তখন সেই বৃদ্ধ ব্যক্তি বললেন, একটা সময় ছিলো যখন আমি সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালনকারী মুসলমানদের বিদয়াতী ও শয়তান হিসেবে আখ্যায়িত করতাম। তাদের গালমন্দ করতাম। আমি এটা প্রতি বছরই করতাম। একদিন আমি ঘুমের মধ্যে স্বপ্ন দেখি, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১২ই শরীফ উপলক্ষ্যে আয়োজিত একটি মজলিসে তাশরীফ মুবারক নিয়েছেন। মজলিসের সবাই খুব দ্রুত অত্যন্ত আদব সহকারে দাড়িয়ে গেলেন। আমি দাড়াতে যাচ্ছিলাম। কিন্তু তখনই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অসন্তুষ্টি মুবারক প্রকাশ করে বললেন, তুমি বসো। তোমার দাড়ানোর কোনো প্রয়োজন নেই।’ এরপর আমার ঘুম ভেঙে গেলো। আমি বুঝতে পারলাম যে, আমার দুই পা প্যারালাইসড হয়ে গেছে। আমি অনেক ডাক্তারের শরনাপন্ন হলাম। কিন্তু কোনো চিকিৎসাতেই আমার পা ভালো হচ্ছিলো না।
একদিন আমি ফিলিস্তিনের এক বুজুর্গ ব্যক্তি খলীফ আল খালিদী উনার সাথে দেখা করলাম এবং বিস্তারিত সব ঘটনা বললাম। তখন তিনি আমাকে বললেন যে, আপনি বেয়াদবী করেছেন। তাই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আপনার প্রতি অসন্তুষ্ট। আপনি তওবা করুন খালিছভাবে। উনার কথামতো আমি খালিছ তওবা করলাম এবং প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হলাম যে, পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার কোনো মজলিসে গেলেই আমি পুরো মজলিস দাড়িয়ে থাকবো। সম্মান প্রদর্শন করবো। যথাযথভাবে তাযীম তাকরীম করবো। পালন করবো।
তওবা করার পর সেই রাতে আমি ঘুমের মধ্যে স্বপ্ন দেখছি, সেই মজলিসে আবারও নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তাশরীফ মুবারক এনেছেন। সবাই অত্যন্ত আদব সহকারে দাড়িয়ে যাচ্ছে খুবই দ্রুত। তবে আমি বুঝতে পারছিলাম না যে, আমি দাড়াবো কিনা। কারণ গতবার আমাকে দাড়াতে নিষেধ করা হয়েছিলো। তাই আমি বসেই ছিলাম। ভয়ার্ত ছিলাম। তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, তুমি এবার দাড়াতে পারো। কোনো সমস্যা নেই।’ এরপর আমার ঘুম ভেঙে গেলো এবং আমি দেখলাম আমার দুই পা সম্পূর্ণরূপে সুস্থ হয়ে গেছে। মুলত এজন্যই আমি যখনই দেখি কোথাও ১২ই রবীউল আউয়াল শরীফ অর্থাৎ পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উপলক্ষ্যে মাহফিল হচ্ছে আমি সেই মাহফিলে গিয়ে সারা মাহফিল দাড়িয়ে সম্মান প্রদর্শন করি।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মানহানিকারীর একমাত্র শরঈ শাস্তি হচ্ছে ‘মৃত্যুদন্ড’ (৫)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (৪০)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (৩৯)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
এক নযরে সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি আলাল আলামীন, আফযালুন নাস ওয়ান নিসা বা’দা রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত পরিচিতি মুবারক
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত মহাপবিত্র নূরানী হুলিয়া মুবারক (৪র্থ পর্ব)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় নসবনামাহ্ মুবারক
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (৩৮)
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল উনার ইন্তিজামকারী বিনা হিসাবে সম্মানিত জান্নাতে প্রবেশ করবেন
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মানহানিকারীর একমাত্র শরঈ শাস্তি হচ্ছে ‘মৃত্যুদন্ড’ (৪)
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে ব্যবহৃত একখানা শব্দ মুবারক পবিত্র “নূরুল ফাতাহ” মুবারক উনার ব্যাপকতা ও বিশালতা
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারকে মানহানীকারীদের যুগে যুগে ভয়াবহ পরিণতি (৩১)
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (৩৭)
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)












