মন্তব্য কলাম
সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার রোবে, দোয়ার বরকতে- কুদরতীভাবে কমে যাচ্ছে ডলারের আধিপত্য বাংলাদেশের রিজার্ভ ডলারে রাখা উচিৎ নয়- এতে লাভ আমেরিকার মুসলিম বিশ্বে অভিন্ন মুদ্রা ব্যবস্থা বিশেষত মূল্যহীন কাগজী মুদ্রা বাদ দিয়ে সুন্নতী দিনার-দিরহাম মুদ্রা চালু করা আবশ্যক ইনশাআল্লাহ (চতুর্থ পর্ব)
, ০৩ রা শা’বান শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০৬ তাসি’, ১৩৯২ শামসী সন , ০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রি:, ২০ মাঘ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) মন্তব্য কলাম
আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ডলারের যে আধিপত্য তা খর্ব করে ব্রিকস জোট যদি অন্য কোনো মুদ্রাকে সামনে আনতে চায়, তাহলে তাদের রপ্তানিতে ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে বলে ফের হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন ট্রাম্প।
জুমুয়াবার (৩১ জানুয়ারি ২০২৫) ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া পোস্টে সে বলেছে, ব্রিকসভুক্ত দেশগুলো ডলারকে পাশ কাটানোর চেষ্টা করবে আর যুক্তরাষ্ট্র দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখবে, সেই সময় পার হয়ে গেছে।
বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেছে, ‘আমরা এই শত্রুভাবাপন্ন দেশগুলোর কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি চাই, তারা কোনো ব্রিকস মুদ্রা তৈরি করবে না বা অন্য কোনো মুদ্রাকে মার্কিন ডলারের বিকল্প হিসেবে সমর্থন দেবে না। অন্যথায়, তাদের পণ্যের ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। ’
বিভিন্ন সময় আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের লেনদেনে মার্কিন ডলার ব্যবহারের নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে চেয়েছে বিভিন্ন দেশ। তারা বৈদেশিক লেনদেনের জন্য মার্কিন ডলারের পরিবর্তে তাদের নিজস্ব মুদ্রা বা ভিন্ন কোন মুদ্রা ব্যবহার করার দাবি তোলে।
আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে লেনদেনের জন্য মার্কিন ডলারের পরিবর্তে ভিন্ন কোন মুদ্রা ব্যবস্থা গড়ে তোলার এই ধারণাটিই হল ডি-ডলারাইজেশন।
‘ডি-ডলারাইজেশন’ শব্দটি নতুন হতে পারে তবে দেশগুলো কয়েক দশক ধরে মার্কিন ডলারের উপর নির্ভরতা হ্রাস করার আহ্বান জানিয়ে আসছে। ব্রাজিলের রাষ্ট্রপতি লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভার মতো অনেক রাষ্ট্রপ্রধান বিশ্ব বাণিজ্যে মার্কিন আধিপত্যের সমালোচনা করেছে৷
চীন এবং রাশিয়াও সেই দেশগুলির মধ্যে রয়েছে যারা ডি-ডলারাইজেশনকে সমর্থন করেছে। এই বছরের জানুয়ারিতে তারা ঘোষণা করেছিল, ইরান এবং রাশিয়া যৌথভাবে বৈদেশিক বাণিজ্যের অর্থ পরিশোধের পদ্ধতি হিসাবে স্বর্ণভিত্তিক একটি নতুন ক্রিপ্টোকারেন্সি চালু করবে।
এটি রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ একটি রিজার্ভ মুদ্রা তৈরির সর্বশেষ পদক্ষেপ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একটি মুদ্রা যখন ‘আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মুদ্রা’ হয়ে ওঠে, তখন তার পেছনে সবচেয়ে বড় মূল কারণটি হলো সেই দেশের ‘রপ্তানি’, ‘আমদানি’ নয়। কয়েক দশক ধরে বিশ্বব্যপী বার্ষিক রফতানিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শীর্ষ অবস্থান ধরে রাখায় মার্কিন ডলার ‘আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মুদ্রা’ হিসেবে তার অবস্থান ধরে রেখেছে।
তবে সারা বিশ্বে চীনের রপ্তানি দ্রুত বেড়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বৈশ্বিক রপ্তানিতে শীর্ষে উঠে এসেছে চীন। চীনা ফ্যাক্টর ছাড়াও বিশ্বের বৃহৎ বৃহৎ অর্থনীতির কয়েকটি দেশ মার্কিন ডলারের উপর নির্ভরতা কমাতে চেষ্টা করছে।
মার্কিন ডলারের একাধিপত্যের বিপরীতে বিশ্বব্যাপী ‘ডি-ডলারাইজেশন ক্যাম্পেইন’ গতি পাচ্ছে। চীনকে কেন্দ্র করে ‘ডি-ডলারাইজেশন’ বা ডলারের আধিপত্য কমানোর একটি প্রক্রিয়া এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। চীন, ব্রাজিল ও ভারতের মতো বেশ কিছু উদীয়মান অর্থনীতি দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের লেনদেনে ইতিমধ্যে ডলারের বিকল্প মুদ্রার ব্যবহার শুরু করেছে। গত মার্চের শেষে বাণিজ্যের লেনদেন নিষ্পত্তিতে পরস্পরের মুদ্রার ব্যবহারের জন্য চুক্তি করেছে চীন ও ব্রাজিল। গত ১৫ বছরে সম্পদশালী ব্রাজিলের প্রধান ব্যবসায়িক অংশীদার হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের জায়গা দখল করেছে চীন। আর্জেন্টিনা বলেছে, তারা মার্কিন ডলারের পরিবর্তে চীনা মুদ্রা ইউয়ানে চীনা আমদানির অর্থ পরিশোধ করবে।
চীন, রাশিয়া, ব্রাজিল, ভারত, আসিয়ান দেশসমূহ, কেনিয়া এমনকি আরব রাষ্ট্রগুলোও এই প্রচারণার অংশ হয়ে উঠছে। তারাও ইউএস ডলারের বিকল্প খুঁজছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত এক ফ্রান্সের কোম্পানির মাধ্যমে চীনে তাদের গ্যাস ইউয়ানে বিক্রি করছে। আসিয়ান ও দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলো তাদের বাণিজ্যকে স্থানীয় মুদ্রায় লেনদেনের মাধ্যমে ডি-ডলারাইজেশনের প্রচারণাকে ত্বরান্বিত করেছে। কেনিয়া তাদের নিজস্ব মুদ্রায় পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চল থেকে তেল কিনছে।
আমেরিকান ইন্সটিটিউট ফর ইকোনমিক রিসার্চের মতে, সুইফটের মতো আন্তর্জাতিক ডলার-বাণিজ্য ব্যবস্থা থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর ইরান এবং অতি সম্প্রতি রাশিয়ার (ইউক্রেন আক্রমণের জন্য) গভীর অর্থনৈতিক বিপর্যয় ঘটেছে শুধুমাত্র মার্কিন ডলারের উপর নির্ভরতার জন্য। যা ছোট দেশগুলোকে বিকল্প খুঁজতে প্ররোচিত করেছে।
মালয়েশিয়া সম্প্রতি ঘোষণা করেছে, তারা কিছু নির্দিষ্ট বাণিজ্যের লেনদেনের জন্য ডলার বাদ দিয়ে অন্য মুদ্রা ব্যবহার করা শুরু করেছে। একইভাবে সৌদি আরবের অর্থমন্ত্রী বলেছিলো, তারা মার্কিন ডলারের পরিবর্তে অন্য মুদ্রায় বাণিজ্যের বিষয়ে আলোচনার জন্য প্রস্তুত।
সাম্প্রতিক সময়ে রাশিয়ার উপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা মার্কিন প্রভাববলয় থেকে বের হতে চাওয়া রাষ্ট্রগুলোকে মার্কিন ডলারের উপর নির্ভরতা কমাতে সতর্ক করছে।
বিশ্বের মোট অর্থনৈতিক লেনদেনের প্রায় ৯০% মার্কিন ডলারের মাধ্যমে হয়ে থাকে। এক হিসেব অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে বর্তমানে প্রায় ১.৮ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার সমমূল্যের কাগুজে ও ধাতব মুদ্রা ছড়িয়ে আছে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের জন্য মার্কিন ডলার প্রায় অপরিহার্য। কিন্তু মার্কিন ডলার কীভাবে ‘অপরিহার্য’ হয়ে উঠলো? এই প্রশ্নের উত্তরটি স্পষ্টভাবে জানতে হলে একটু পুরনো ইতিহাসে ফিরে যেতে হবে।
গড়হবু বা ‘অর্থ’কে সাধারণত তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়। ‘কমোডিটি মানি’ (ঈড়সসড়ফরঃু গড়হবু), ‘রিপ্রেজেন্টেটিভ মানি’ (জবঢ়ৎবংবহঃধঃরাব গড়হবু) এবং ফিয়াট মানি (ঋরধঃ গড়হবু)। ‘কমোডিটি’ শব্দটির অর্থ হচ্ছে পণ্য। ‘কমোডিটি মানি’ হচ্ছে সেই ধরনের অর্থ যার কোনো অন্তর্নিহিত মূল্য আছে। যেমন: প্রাচীনকাল থেকে স্বর্ণ ও রৌপ্যকে সরাসরি বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হতো। স্বর্ণ বা রৌপ্যের নিজস্ব মূল্য আছে। স্বর্ণমুদ্রা বা রৌপ্যমুদ্রাকে গলিয়ে ফেলা হলেও এর মূল্য হ্রাস পায় না। এজন্য স্বর্ণমুদ্রা বা রৌপ্যমুদ্রা এগুলো হলো কমোডিটি মানি। মানব ইতিহাসের বড় একটি সময় জুড়ে অর্থনৈতিক লেনদেনের জন্য কমোডিটি মানি ব্যবহৃত হতো।
মুঘল সাম্রাজ্যে ব্যবহৃত স্বর্ণমুদ্রা। স্বর্ণমুদ্রা এক ধরনের কমোডিটি মানি; ঝড়ঁৎপব: ঃযবঢ়ৎরাধঃবযধহফ.পড়স
কিন্তু পরবর্তীতে ইউরোপে কাগুজে মুদ্রার প্রচলন ঘটে এবং ক্রমশ তা বিশ্বের অন্যান্য প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে। কাগুজে মুদ্রার কোনো অন্তর্নিহিত মূল্য নেই, কার্যত এগুলো কাগজের টুকরো ছাড়া আর কিছু নয়। কিন্তু এই কাগুজে মুদ্রাগুলো কোনো ধাতুর সঙ্গে (প্রধানত স্বর্ণ) সম্পর্কিত ছিল। অর্থাৎ, এই কাগুজে মুদ্রাগুলোর মান কোনো রাষ্ট্রের স্বর্ণের (ক্ষেত্রবিশেষে রৌপ্যের) মজুদের ওপর নির্ভর করত। ঊনবিংশ শতাব্দীর মধ্যে বিশ্বের অধিকাংশ উন্নত রাষ্ট্র ‘স্বর্ণমান’ (মড়ষফ ংঃধহফধৎফ) গ্রহণ করে। এই ব্যবস্থায় স্বর্ণের মূল্য নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়, এবং এই নির্দিষ্ট মূল্যে যেকোনো সময় যেকোনো পরিমাণ কাগুজে মুদ্রাকে স্বর্ণে রূপান্তরিত করা যেত (অর্থাৎ, যেকোনো সময়ে নির্দিষ্ট পরিমাণ কাগুজে মুদ্রার পরিবর্তে নির্দিষ্ট পরিমাণ স্বর্ণ পাওয়া যেত)। এই ‘অর্থ’কে বলা হয় ‘রিপ্রেজেন্টেটিভ মানি’ বা ‘কমোডিটি-বেজড মানি’, যেহেতু এই কাগুজে মুদ্রাগুলোর সঙ্গে স্বর্ণের সরাসরি সংযোগ ছিল।
ঊনবিংশ শতাব্দীতে ব্রিটেন ছিল বিশ্বের প্রধান অর্থনৈতিক শক্তি এবং সর্ববৃহৎ সাম্রাজ্য। তাদের স্বর্ণের মজুদ ছিল সবচেয়ে বেশি, এবং লন্ডন ছিল বিশ্ব ব্যাংকিংয়ের কেন্দ্র। এজন্য ব্রিটিশ মুদ্রা ‘পাউন্ড স্টার্লিং’ ছিল সেসময়ের সবচেয়ে শক্তিশালী মুদ্রা এবং বিশ্ব বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এটিকে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হতো। কিন্তু ১৮৭০-এর দশকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হয়। এরপর বিংশ শতাব্দীতে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে ইউরোপীয় রাষ্ট্রগুলো পরস্পরের বিরুদ্ধে এক ধ্বংসাত্মক সংগ্রামে লিপ্ত হয়। যুদ্ধের ব্যয় নির্বাহের জন্য রাষ্ট্রগুলো তাদের স্বর্ণ মজুদের ভিত্তিতে যে পরিমাণ মুদ্রা ছাপানো যেত, তার চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণে কাগুজে মুদ্রা ছাপাতে শুরু করে। অন্যদিকে, যুদ্ধের প্রথম তিন বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকে এবং ইউরোপীয় রাষ্ট্রগুলোর নিকট সামরিক সরঞ্জাম ও রসদপত্র রপ্তানি করে নিজেদের অর্থনীতিকে আরো সমৃদ্ধ করে তোলে।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষে ব্রিটেনসহ অধিকাংশ রাষ্ট্র ‘স্বর্ণমান’ পরিত্যাগ করতে বাধ্য হয়। অর্থাৎ, তখন থেকে আর এসব রাষ্ট্রের মুদ্রা স্বর্ণমানের ওপর নির্ভরশীল ছিল না। মুদ্রার মানকে বাজারের হাতে ছেড়ে দেয়া হয়, যেটাকে অর্থনীতির ভাষায় বলা হয় ‘ভৎবব ভষড়ধঃরহম বীপযধহমবং’। এ ধরনের মুদ্রা, যেগুলো কোনো পণ্যের সঙ্গে সরাসরি সংশ্লিষ্ট নয়, সেগুলোকে বলা হয় ‘ফিয়াট মানি’। অর্থাৎ, এখন আর স্বর্ণের মূল্য নির্দিষ্ট রইল না, বরং সেটি চাহিদা ও যোগানের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ল।
বাংলাদেশি টাকার মান কোনো ধাতু বা পণ্যের ওপর নির্ভরশীল নয়, এজন্য এটি ‘ফিয়াট মানি’; Source: theibns.orgকিন্তু মার্কিন ডলার তখনো ফিয়াট মানিতে পরিণত হয়নি। এটি তখনো ছিল স্বর্ণমানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। তদুপরি, মার্কিন অর্থনীতি ছিল বিশ্বের বৃহত্তম এবং মার্কিন ব্যাংকিং ব্যবস্থা ছিল সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য। অন্যদিকে, যেসব রাষ্ট্র ‘ফিয়াট মানি’র প্রচলন ঘটিয়েছিল, তারা তাদের স্বর্ণের মজুদ বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করেনি। মার্কিন ডলার যেহেতু তখনো স্বর্ণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিল, তাই ডলারকে তারা বেশি নির্ভরযোগ্য হিসেবে বিবেচনা করে এবং এটিকে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে অধিক হারে ব্যবহার করতে শুরু করে। ফলে পাউন্ড স্টার্লিং-এর পরিবর্তে মার্কিন ডলার বিশ্ব বাণিজ্যের মাধ্যম তথা ‘রিজার্ভ মুদ্রা’য় পরিণত হয়।
‘রিজার্ভ মুদ্রা’ (ৎবংবৎাব পঁৎৎবহপু) বা ‘বৈশ্বিক মুদ্রা’ (মষড়নধষ পঁৎৎবহপু) হচ্ছে এমন একটি মুদ্রা যেটি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বহুল ব্যবহৃত এবং যে মুদ্রাকে রাষ্ট্রগুলো সঞ্চয় করে রাখে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী সময়ে অধিকাংশ রাষ্ট্রের মুদ্রাই ছিল ‘ফিয়াট মানি’, যেগুলোর কোনো অন্তর্নিহিত মূল্য ছিল না। এজন্য তারা পরস্পরের সঙ্গে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে মার্কিন ডলার ব্যবহার করতে আরম্ভ করে, কারণ ডলার তখনো স্বর্ণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিল। এর ফলে মার্কিন ডলার পরিণত হয় বৈশ্বিক রিজার্ভ মুদ্রায়।
(ইনশাআল্লাহ চলবে)
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
খাদ্যে ব্যবহৃত কেমিক্যালের মান যাচাইয়ের ব্যবস্থা নেই কেনো? মান যাচাইয়ের প্রতিষ্ঠান বিএসটিআইয়ের মান শূন্য কেনো? সরকারের কর্তব্য কী?
১৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সমকামী উপদেষ্টা আর যৌনকর্মী তৈরীর নারী সংস্কার কমিশনের উস্কানিতেই কী? পতিতাদের সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি, সুবিধা ও সমদ্ধি এবং সম্মানের পক্ষে জাতিসংঘ, সি.আই.এ. মোসাদ নিয়ন্ত্রিত ও নিয়োজিত মিডিয়াগুলো পতিতাদের পক্ষে লেখালেখি শুরু করেছে?
১৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহাসম্মানিত পবিত্র কুরআন শরীফ উনার আলোকে- সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ উনাদের বেমেছাল ফযীলত মুবারক বর্ণনা।
১৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
“দেশের লাভজনক খাতগুলো বিদেশীদের হাতে তুলে দেয়ার জন্য অন্তর্বর্তী সরকার মরীয়া”- এ অভিযোগ উত্থাপন করেছেন সিনিয়র সাংবাদিকরা। চট্টগ্রাম বন্দর, পোল্ট্রি, কৃষির পর এখন টেলিকম খাতও বিদেশীদের হাতে দিতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার।
১৫ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
“দেশের লাভজনক খাতগুলো বিদেশীদের হাতে তুলে দেয়ার জন্য অন্তর্বর্তী সরকার মরীয়া”- এ অভিযোগ উত্থাপন করেছেন সিনিয়র সাংবাদিকরা। চট্টগ্রাম বন্দর, পোল্ট্রি, কৃষির পর এখন টেলিকম খাতও বিদেশীদের হাতে দিতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার।
১৫ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
“দেশের লাভজনক খাতগুলো বিদেশীদের হাতে তুলে দেয়ার জন্য অন্তর্বর্তী সরকার মরীয়া”- এ অভিযোগ উত্থাপন করেছেন সিনিয়র সাংবাদিকরা। চট্টগ্রাম বন্দর, পোল্ট্রি, কৃষির পর এখন টেলিকম খাতও বিদেশীদের হাতে দিতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার।
১৩ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
আলুর কেজি ৯ টাকা, লোকসানে কাঁদছে কৃষক ও ব্যবসায়ী ২৫০ মিলি লিটার পানির দামে এক কেজি আলু, আলুচাষির কান্নার আওয়াজ কে শুনবে?
১২ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
শুধু অব্যাহতভাবেই নয় জঘণ্য থেকে জঘণ্যতরভাবে দিন দিন বেড়েই চলছে ভারতীয় গান, টিভি সিরিয়াল, ইন্টারনেট কনটেন্ট তথা সিনেমায় নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও মহাসম্মানিত, মহাপবিত্র হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রতি মহা অপবাদ, ঘৃণা এবং বিদ্বেষ ছড়ানোর নিকৃষ্ট তৎপরতা।
১১ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
কেবল জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের অফিস খোলাই নয়, প্রথমেই এর দূত হিসেবে আত্মস্বীকৃত সমকামীকে ঢাকায় পাঠাচ্ছে জাতিসংঘ। শুধু সেই নয়, সমকামী পার্টনার সহই তারা ঢাকায় আসতে চাইছে।
১০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
কর্মক্ষম জনশক্তি তথা কর্মক্ষমতার স্বর্ণযুগে বাংলাদেশ বর্তমানে বাংলাদেশের জনসংখ্যার ৭৫ জনই কর্মক্ষম। এবং ইন্দোনেশিয়া নয়, বাংলাদেশই বিশ্বের সর্ববৃহৎ মুসলিম রাষ্ট্র। বাংলাদেশের মুসলমানের সংখ্যা ৪৫ কোটিরও উপরে। (সুবহানাল্লাহ)
০৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
গত ৩ই নভেম্বর সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে দেশে অনলাইন জুয়ারীর সংখ্যা ৫০ লাখ বাস্তবে অন্তর্বর্তী সরকারের নির্বিকার প্রশাসনের ব্যর্থতায় অনলাইন জুয়ায় দেশের প্রায় ২ কোটি মানুষ জড়িত মারাত্মক অপরাধে জড়াচ্ছে অনলাইন জুয়ায় আসক্তরা
০৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীরা গবেষণার দিকে আগ্রহী না হয়ে বিসিএস পরীক্ষায় আগ্রহী হয় বিশ্ববিদ্যালয়ে তহবিল বা অর্থায়ন আসার প্রক্রিয়াটি সরকারের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগের মাধ্যমে সম্পন্ন হতে হবে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সম্পর্ক স্থাপন হয়নি
০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)












