সারাবিশ্বে এক দিনে ঈদ পালন সম্ভব কি? একটি দলীলভিত্তিক বিশ্লেষণ.... (১২)
, ১৪ মে, ২০২৫ ১২:০০:০০ এএম ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
খোদ সউদী গণমাধ্যমেই চাঁদ নিয়ে ষড়যন্ত্রের তথ্য উপস্থাপন:
এ যাবৎ চাঁদ নিয়ে সউদী ওহাবী ইহুদী সরকারের ষড়যন্ত্রের অনেক দলীল-প্রমাণ উপস্থাপন করা হলো। তবে সে দলীল-প্রমাণগুলোর অধিকাংশই ছিলো মহাকাশ বিজ্ঞানের আলোকে। এছাড়াও সেখানকার মুফতীদের ফতওয়া উল্লেখ করেও সউদী ওহাবী ইহুদী সরকারের চাঁদ নিয়ে ষড়যন্ত্রের প্রমাণ দেয়া হয়েছে। তারপরেও হয়তো অনেকের বোধোদয় হচ্ছে না। আর তাই সউদী ওহাবী ইহুদী সরকার কর্তৃক চাঁদ নিয়ে বিভ্রান্তির যে তথ্য সেখানকার গণমাধ্যমেই এসেছে, সে তথ্য এখন উপস্থাপন করা হবে ইনশাআল্লাহ।
প্রমাণ এক: ১৪২০ হিজরীর পবিত্র ঈদুল ফিতর সঠিক তারিখে না হওয়ার কারণে“আরব নিউজ” ২০০০ সালের ১১ই ফেব্রুয়ারী, জুমুয়াবার এ বিষয়ে নিবন্ধ প্রকাশ করে।
প্রমাণ দুই: ১৪২০ হিজরীর ৬ই শাওওয়াল, ইয়াওমুল খমীস, “আদ দাওয়া” ম্যাগাজিনে এ ব্যাপারে নিবন্ধ প্রকাশ করে।
প্রমাণ তিন: শাইখ আল মানিয়া ১৯৯৯ সালের ১২ই ডিসেম্বর, ইয়াওমুল আহাদ “আল জাজিরাতে” চাঁদের বিভ্রান্তি নিয়ে মত প্রকাশ করে।
http:/ww/w.alri“adh.com/2007/10/21/article288058.htmlপ্রমাণ চার: সউদী আরব যেদিন ১৪২৭ হিজরী সনের পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস উনার চাঁদ দেখার ঘোষণা দেয় সেদিন সূর্য অস্ত যাওয়ার পূর্বেই চাঁদ অস্ত যায় এবং সউদী আরবের ৬টি চাঁদ দেখা কমিটিও চাঁদ দেখতে পায়নি। যে সাক্ষীর ভাষ্য অনুযায়ী মাস ঘোষণা দেয়া হয় তাকে গণমাধ্যমের কারো সাথে কথা বলতে নিষেধ করা হয়।
প্রমাণ পাঁচ: ১৪২৫ হিজরী সনের পবিত্র যিলহজ্জ শরীফ মাস চাঁদ না দেখে শুরু হওয়াতে সউদী “আল ওয়াতান” পত্রিকায় “Testimonies of the Impossible” শিরোনাম দিয়ে নিবন্ধ প্রকাশ করে সউদী লেখক হামযা আল মুযাইনি। “আল হায়াত” পত্রিকা থেকে সাক্ষীর সঙ্গে দেখা করতে চাইলে তাকে গণমাধ্যমের সামনে আনা হয়নি আর কিং আব্দুল আযীয বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন গিয়ে দেখতে পায় ৮০ বছরের এক বৃদ্ধ। অর্থ দিয়ে সাক্ষ্য নেয়া হয়েছিলো।
প্রমাণ ছয়: মহাকাশ বিজ্ঞানীদের ভাষ্য অনুযায়ী (যা সঠিক ছিলো) ২০০৭ সালের ১লা অক্টোবর, ইছনাইনিল আযীম শরীফে “আরব নিউজ”-এ পবিত্র ঈদুল ফিতর পালিত হওয়ার তারিখ ঘোষিত হয় ১৩ই অক্টোবর, ইয়াওমুস সাবত। কিন্তু সউদী ওহাবী ইহুদী সরকার তারিখ এগিয়ে এনে ১২ই অক্টোবর, জুমুয়াবারে পবিত্র ঈদুল ফিতর পালন করতে জনগণকে বাধ্য করে। নাঊযুবিল্লাহ!
উপসংহার:
রাতে সূর্য দেখা যায় না, তাই কেউ রাতে সূর্য দেখতে পাওয়ার দাবিও করে না। চাঁদ দেখতে পাওয়া নিয়েই জটিলতা। পূর্ণ জোছনার চাঁদ সবাই দেখলেও বাঁকা চাঁদ বা হিলাল কেউ দেখতে পায় আর কেউ দেখতে পায় না। কিন্তু মহাকাশ বিজ্ঞানের মাধ্যমে বাঁকা চাঁদ দৃশ্যমান হওয়ার আকৃতিতে আসার বিষয়ে নিশ্চিত জানা যায়। তাই চাঁদ যখন দেখা যাওয়ার আকৃতিতেই আসে না, তখন দেখার দাবি করা হচ্ছে চরম মিথ্যাচারিতা। আর সউদী ওহাবী ইহুদী সরকার এই কাজটিই করে যাচ্ছে বছরের পর বছর। নাঊযুবিল্লাহ!
সঙ্গত কারণেই বলতে হয়, সউদী ওহাবী ইহুদী সরকারের উচিত তারা যেন প্রকাশ্যে বিশ্ববাসীকে এই বিষয়ে ঘোষণা দেয় যে, তারা পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার যে নির্দেশ চাঁদ দেখে মাস শুরু করা তা মান্য না করে বরং তাদের রচিত ‘উম্মুল কুরা’ ক্যালেন্ডার অনুসরণ করে আরবী মাসের তারিখ গণনা করছে।
তারা আরবী মাস শুরু করবে নিজেদের ইচ্ছামতো আর মিথ্যা সাক্ষী যোগাড় করে প্রমাণ করার চেষ্টা করে যে, চাঁদ দেখা গেছে। নাঊযুবিল্লাহ! কেন এই মিথ্যাচারিতা? প্রতি বছর রিয়াদে কয়েকটি ভাড়া করা সাক্ষীর কোর্টে এসে সাক্ষ্য দেওয়ার নাটক সাজিয়ে মাস গণনা করে যাচ্ছে। কেন এই প্রহসন? মাস সঠিক তারিখে গণনা শুরু হলে সউদী ওহাবীদের কি সমস্যা?
সউদী ওহাবীরা চাঁদ নিয়ে যে জালিয়াতি করছে তা সাধারণ মানুষের উপলব্ধির বাইরে। ফলে তারা যখন চাঁদ দেখার মিথ্যা দাবি করে, তখন অনেক মানুষ চাঁদ না দেখলেও বলে বসে আমরা চাঁদ দেখেছি। কারণ তারা ভাবে সউদী আরব কি মিথ্যা বলতে পারে? কিন্তু ১৪২৫ হিজরী সনে ৮০ বছরের বৃদ্ধের সাক্ষ্য অনুযায়ী মাস শুরুর ঘোষণা দিলে তাদের গেজেট পত্রিকা “আল ওয়াতান” এর সাংবাদিক এই বিষয়ে “Testimoû Impossible” শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করলে তাকে যে শাস্তি দেয়া হয়, সাধারণ মানুষের কাছেও তা গোপন করা হয়। কেন তারা এসব করছে? মানুষের হজ্জ নষ্ট করে তাদের কি লাভ হচ্ছে?
মূলত তারা যেহেতু সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার শত্রু অর্থাৎ তারা জাতিগতভাবে ইহুদী বলেই এ সমস্ত কু-কর্মগুলো বছরের পর বছর ধরে করে যাচ্ছে। আর তাদের বংশ ধারার ইতিহাস গোপন করতেও তারা চরম কূটকৌশল অবলম্বন করেছে। তাদের পূর্বপুরুষ ইহুদী হওয়া সত্ত্বেও তাদের জাতীয় গ্রন্থাগারের প্রধান মিশরীয় ব্যক্তিকে দিয়ে মিথ্যা ইতিহাস রচনা করিয়েছে এবং তাকে পুরস্কৃতও করেছে। সুতরাং এটা দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট যে, তাদের দেহে ইহুদী রক্ত প্রবাহিত বলেই অর্থাৎ তারা খোলশধারী মুসলমান হলেও জাতিগতভাবে ইহুদী বলেই এই কু-কর্মগুলো অহরহ করে যাচ্ছে।
কাজেই সউদী ওহাবী ইহুদী সরকারের এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে সারা বিশ্বের মুসলমানদের সোচ্চার হতে হবে, তাদের এসব অপকর্ম বন্ধে জোড়ালো প্রতিবাদ করতে হবে। কারণ তারা লক্ষ লক্ষ মুসলমানদের পবিত্র হজ্জ, রোযাসহ বহু আমল বরবাদ করে দিচ্ছে। নাঊযুবিল্লাহ! (সমাপ্ত)
-০-
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
অ্যান্টার্কটিকা নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় বিজ্ঞানীরা
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম (৪)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা অবশ্যই সত্যের মাপকাঠি; অস্বীকারকারীরা কাট্টা কাফির (১)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ উনাদের আলোকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দু‘আ বা মুনাজাত (১১তম অংশ)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম (৩)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দুনিয়ার যমীনে অবস্থানকালীন সময়ে ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ যে রোযা মুবারক রাখতেন সে রোযা মুবারক মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই শরীফ উনার দিনে হওয়াটা ছিলো একটি বিরল ঘটনা (২)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত হাযির-নাযির শান মুবারক (১)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
প্রাণীর ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িজ
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আল্লাহওয়ালী মহিলা উনাদের তিনটি বৈশিষ্ট্য-
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)












