মন্তব্য কলাম
সুদানকে দুভাগে বিভক্ত করার মতই গভীর কূট প্রসারী ও দখলদার ইসরাইল- সৃষ্টির মত নির্মম পরিকল্পনা করে পার্বত্য চট্টগ্রামকে বাংলাদেশ থেকে আলাদা করার বহুমুখী ষড়যন্ত্রের নীলনকশায় করিডর দেয়ার ব্যবস্থা দিয়ে- বাংলাদেশে আরেক গাজা পরিস্থিতি তৈরী করতে যাচ্ছে জাতিসংঘ উপজাতিদের অনুষ্ঠানে বান্দরবানে আরাকান আর্মির আগমনের খবর স্বীকার করলেও শক্ত জবাব দেন নি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রতি জনগণের গালি ছিল
, ০১ মে, ২০২৫ ১২:০০:০০ এএম ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) মন্তব্য কলাম
“দেশটা তোর বাপের নাকি?”
একই ভাবে কোন রাজনৈতিক দল, নিরাপত্তা বিশ্লেষক, রাজনৈতিক বিশ্লেষক, অভিজ্ঞমহল, সমালোচক মহল এমনকী দেশের মালিক- ‘জনগণের’ মনোভাব না জেনেই
তথাকথিত মানবিক করিডর দেয়ার সিদ্ধান্ত দেয়ায়
সমালোচক মহল মন খুলে সমালোচনা করে বলতে চাইছেন-
“দেশটা কী উপদেষ্টার বাপের নাকি?”
সমালোচক মহল আরো বলছেন- “মার্কিন এজেন্ডার করিডর, নারকেল দ্বীপ, পার্বত্য চট্টগ্রাম দিয়ে ক্ষমতায় থাকার দিবা স্বপ্ন দেখলে তা দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে। ”
সোশাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় দেখেও আপনাদের বোঝা উচিৎ ছাত্র-জনতা এসব কর্মতৎপরতা সহ্য করতে পারছে না (প্রথম পর্ব)
গত ৭ ফেব্রুয়ারি নিউইয়র্কে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা সমস্যা ও অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়াবলী-সংক্রান্ত বিশেষ প্রতিনিধি খলিলুর রহমানের আলোচনায় 'হিউম্যানিটারিয়ান চ্যানেল' বা মানবিক করিডোরের বিষয়টি প্রথমে উত্থাপিত হয়। এ বিষয়ে খলিলুর রহমান সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, আরাকান আর্মি, আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং মিয়ানমার সরকার- সবার সঙ্গে আলোচনা করেই তিনি জাতিসংঘ মহাসচিবের কাছে গিয়েছিলেন। তার ভাষায়, ‘জাতিসংঘ মহাসচিবকে আমরা বলেছি, রাখাইনে যে মানবিক সমস্যা, যে সংকট সেটা মোকাবিলার জন্য আন্তর্জাতিক সাহায্যের বিকল্প নেই। সেই কাজটি জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানেই হবে। ’
এর এক মাস পর গত মার্চ মাসে বাংলাদেশ সফরে আসেন জাতিসংঘ মহাসচিব। এসময় পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনকে দেয় তার বক্তব্যে- দুটি বিষয় খুব স্পষ্ট ছিল; ১. আরাকান আর্মি একটি সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশ যেন তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে এবং ২. রাখাইনে সহায়তা পাঠাতে যেন বাংলাদেশ একটি চ্যানেল (করিডোর) তৈরি করে।
যদিও এই সংবাদ সম্মেলনের পরদিনই সমকালের একটি সংবাদ শিরোনাম ছিল: রাখাইনে মানবিক করিডোর ইস্যুতে ধীরে চলবে ঢাকা। খবরে বলা হয়, করিডোরটিকে মানবিক ক্ষেত্রে ত্রাণ পাঠানোর জন্য চিহ্নিত করা হলেও এটি বাংলাদেশের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। যেখানে আরাকান আর্মিকে কোণঠাসা করতে সব সরবরাহ আটকে দিয়েছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার; সেখানে বাংলাদেশ হয়ে যে ত্রাণ যাবে, তা রাখাইনের বেসামরিক নাগরিকদের কাছে পৌঁছাবে, নাকি আরাকান আর্মি সেগুলো দখলে নেবে- তার নিশ্চয়তা ঢাকার কাছে নেই। (সমকাল, ১৭ মার্চ ২০২৫)।
এর অর্ধ মাস পর গত ৮ এপ্রিল খলিলুর রহমানকে উদ্ধৃত করেই গণমাধ্যমে বলা হয়, রাখাইনে ‘মানবিক সহায়তার চ্যানেল’ হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তিনি বলেন, ‘এই জায়গা থেকে আমরা সবাই একত্রিত হয়েছি। আমি এটুকু বলতে পারি, আমাদের চেষ্টায় কোনো ঘাটতি থাকবে না। আমরা চেষ্টা করব, যাতে মানবিক সাহায্য প্রদান প্রক্রিয়াতে আরাকানে একটা স্থিতির অবস্থা আসে, শান্তির অবস্থা আসে এবং সেখান থেকে আরাকান তার নবসূচনা করতে পারে। ’ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম, ০৮ এপ্রিল)।
প্রসঙ্গত, ফেব্রুয়ারি মাসে খলিলুর রহমান যখন জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে আলাপ করেন তখন তিনি ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা সমস্যা ও অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়াবলী-সংক্রান্ত বিশেষ প্রতিনিধি। আর যেদিন (৮ এপ্রিল) বললেন যে, রাখাইনে ‘মানবিক সহায়তার চ্যানেল’ হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ-তার পরদিনই তাকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পদে নিয়োগ দেওয়া হয়।
সবশেষ গত ২৭ এপ্রিল বিকেলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, গৃহযুদ্ধে পর্যুদস্ত রাখাইন রাজ্যে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিতে বাংলাদেশের কাছে জাতিসংঘ ‘করিডোর’ দেওয়ার যে অনুরোধ জানিয়েছিল, তাতে অন্তর্বর্তী সরকার নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে। তবে এখানে কিছু শর্ত রয়েছে। তিনি শর্তগুলো বলেননি। করিডোর বাংলাদেশের জন্য নিরাপদ কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাব তিনি বলেন, ‘মালপত্র যাওয়ার ব্যবস্থা; অস্ত্র নেওয়া হচ্ছে না। ’
প্রশ্ন হলো, মালপত্র নেওয়ার এই করিডোর আর কী কী কাজে ব্যবহৃত হবে; মালপত্রের আড়ালে অন্য কিছু নেওয়া হবে কি না-সে বিষয়ে তিনি কীভাবে নিশ্চিত হলেন?
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সম্প্রতি বান্দরবান জেলার থানচি উপজেলার রেমাক্রি নামক স্থানে, যা মিয়ানমার সীমান্ত থেকে বাংলাদেশের ১০ কিলোমিটার ভেতরে, আরাকান আর্মির সদস্যরা স্থানীয় রাখাইন সম্প্রদায়ের সঙ্গে একটা উৎসবে যোগ দিলে বাংলাদেশে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। রেমাক্রি অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যম-িত একটি স্থান। সেখানে পানিপ্রপাত আছে। বান্দরবানে মিয়ানমার সীমান্ত রেমাক্রির খুব কাছে। এই দিক দিয়ে রাখাইন আর্মির বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ প্রায়ই ঘটে বলে জানা যায়। সোশাল মিডিয়া বাংলাদেশ এ ঘটনার কড়া সমালোচনা করে অবিলম্বে দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানানো হয়েছে। আরাকান আর্মির অবাধ চলাচলের বিষয়টি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার মুখে স্পষ্ট হয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘আরাকান আর্মির অনুপ্রবেশ সম্পর্কে যা কিছু বলা হচ্ছে, এর পুরোটাই সত্য নয়। আবার পুরোটাই মিথ্যাও নয়। আরাকান আর্মির সদস্যরা বাংলাদেশে বিয়ে পর্যন্ত করে ফেলছে। ’ তিনি আরও বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে আমদানির জন্য বাংলাদেশিদের দুই জায়গায় ট্যাক্স দিতে হয়। সিতওয়েতে মিয়ানমার সরকারকে আবার নাফ নদীর কাছে আরাকান আর্মিকে ট্যাক্স দিতে হয়। ’ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার এমন স্বীকারোক্তির পর পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন আরও স্পষ্ট করেন, ‘আরাকান আর্মি একটি নন স্টেট অ্যাক্টর। ফলে সরকারের সঙ্গে আরাকান আর্মির কোনো আলোচনা হয়নি। তবে মাঠ পর্যায়ে অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগ রয়েছে বলে অফিশিয়ালি স্বীকার করে নিচ্ছি। আরাকান আর্মি যে এখন একটা বাস্তবতা, সেটা স্বীকার করে নিয়েছেন। কিন্তু আরাকান আর্মি রোহিঙ্গাদের পছন্দ করে না।
যুক্তরাষ্ট্রও আরাকান আর্মিকে মানবিক করিডরে ত্রাণ দেওয়ার জন্য জাতিসংঘের প্রস্তাব সমর্থন করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রে পাশ হওয়া বার্মা অ্যাক্টের মূল কথা হলো, যারাই মিয়ানমারে সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে লড়াই করছে, তাদেরকে যুক্তরাষ্ট্র মারণাস্ত্র নয় (নন লেথাল)-এমন সহায়তা দেওয়াকে উৎসাহিত করবে। মার্কিন প্যাসিফিক কমান্ডের একজন জেনারেল, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের পূর্ব এশিয়াবিষয়ক ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি এবং মিয়ানমারে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সাম্প্রতিক বাংলাদেশ সফরকালে বিষয়টা নিয়ে আলোচনা হয়েছে কি না, সে ব্যাপারে বাংলাদেশের তরফে কিছুই বলা হয়নি।
মিয়ানমারের বাংলাদেশের সীমান্তসংলগ্ন রাখাইন রাজ্যে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী রাখাইন সম্প্রদায়ের সশস্ত্র গ্রুপ আরাকান আর্মি। বিদ্রোহী গোষ্ঠী ইউনাইটেড লিগ অব আরাকানের (ইউএলএ) সামরিক উইং হলো আরাকান আর্মি। ২০০৯ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। যারা মূলত কঠিন মুসলিম বিদ্বেষী। কাচিন ইনডিপেনডেন্ট আর্মির (কেআইএ) কাছে তারা সামরিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছে। ২০১৯ সালে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে আরাকান আর্মি যুদ্ধে লিপ্ত হয়। ২০২০ সালে তারা যুদ্ধবিরতি করে। তবে কোভিড-১৯ মহামারির সময়ে রাখাইনে ক্ষমতার শূন্যস্থান দখল করে আরাকান আর্মি। মিয়ানমারে সামরিক জান্তা ক্ষমতা দখলের পর দেশটিতে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। আরাকান আর্মি যুদ্ধবিরতি লংঘন করলে জান্তার বাহিনী আরাকান আর্মির ওপর বিমান হামলা শুরু করে। তার মধ্যেও আরাকান আর্মি গেরিলা যুদ্ধ চালিয়ে ঠান্ডু, মংডুসহ একের পর এক শহর দখলে নেয়। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে আরাকান আর্মি বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত পুরোটাই দখলে নিয়ে নেয়। আরাকান আর্মির সৈন্য সংখ্যা ৪৫ হাজার। মিয়ানমারের সরকার আরাকান আর্মিকে সন্ত্রাসী সংগঠন বলে অভিহিত করেছে। যদিও আরাকান আর্মি স্বাধীনতা চায়নি। তারা অবাধ স্বায়ত্তশাসন চায়।
রোহিঙ্গাবিরোধী : আরাকান আর্মি বৌদ্ধ ধর্মের রাখাইন জনগোষ্ঠীর সশস্ত্র সংগঠন। মিয়ানমারের সাধারণ বৃহত্তর জনগোষ্ঠী যেমন রোহিঙ্গা মুসলিম জনগোষ্ঠীকে ঘৃণা করে; আরাকান আর্মিও তার চেয়েও বেশী রোহিঙ্গাদের ঘৃণা করেও নিপীড়ন করে, এমনকী হতাহত করে। রোহিঙ্গাদের দমন-পীড়নের মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধ করার ব্যাপক অভিযোগ আরাকান আর্মির বিরুদ্ধেও রয়েছে। তারা রোহিঙ্গাদের মানব ঢাল হিসাবেও ব্যবহার করেছে। বিভিন্ন রোহিঙ্গা গ্রুপের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে। অনেক রোহিঙ্গাকে তাদের সঙ্গে যুদ্ধে যোগ দিতে বাধ্য করেছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। তারা রোহিঙ্গাদের বাঙালি মৌলবাদী বলেও বিভিন্ন সময়ে আখ্যায়িত করেছে।
জানা গেছে, আরাকান আর্মি চীনের সমর্থনপুষ্ট। তারা চীনের অস্ত্র ব্যবহার করে। ভারত প্রাথমিকভাবে মিয়ানমারের জান্তার সমর্থক হলেও পরবর্তী সময়ে রাখাইন রাজ্যের ওপর নেওয়া কালাদান মাল্টিমুডাল প্রকল্পকে অক্ষত রাখতে আরাকান আর্মির সঙ্গেও যোগাযোগ সৃষ্টি করেছে। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা গোষ্ঠী জাতিসংঘের মাধ্যমে আরাকান আর্মির সঙ্গে যোগাযোগ সৃষ্টি করছে।
গৃহযুদ্ধের মধ্যে থাকা মিয়ানমারের রাখাইনে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানোর জন্য শর্তসাপেক্ষে ‘মানবিক করিডর’ দেওয়ার বিষয়ে সরকার নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে বলে সম্প্রতি পররাষ্ট্র উপদেষ্টা যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেটি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপি সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, রাজনৈতিক বিশ্লেষক, অভিজ্ঞমহল, নিরাপত্তা বিশ্লেষক, সমালোচক মহল। সরব হয়েছে সোশাল মিডিয়া এবং সচেতন নাগরিক। ।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকগণ বলেছে, আন্তদেশীয় মানবিক করিডরের মতো জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কোনো রকম আলোচনা ও সম্মতি ছাড়া অনির্বাচিত অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ জাতিকে নিয়ে পাশা খেলার শামিল। কোন শর্তে করিডর, রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনের ব্যাপারে কী মনোভাব, আরাকান আর্মির সঙ্গে এ বিষয়ে কোনো যোগাযোগ হয়েছে কি না, মিয়ানমার সরকার বিষয়টি কীভাবে দেখবে, তাদের সঙ্গে সরকারি পর্যায়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না? চীন এটাকে কীভাবে নেবে-এসব বিষয় জাতির সামনে পরিষ্কার না করেই নিজেদের খেয়াল খুশী মোতাবেক করিডর দিয়ে দেয়া হবে দেশ-জাতির সাথে বেঈমানী করা। দেশের সার্বভৌমত্ব বিলীনের বীজ বপন করা।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকগণ মন্তব্য করেছেন, “বিগত ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার যেমন সাম্রাজ্যবাদী ভারতের স্বার্থে, দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়েছিল। ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারও কি মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের স্বার্থে রাখাইনে মানবিক করিডর দিয়ে দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তাকে হুমকিতে ফেলে বাংলাদেশকে গাজা বা ইউক্রেন বানাতে চাইছে?” (ইনশাআল্লাহ চলবে)
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান আরিফ।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ইতিহাসের নিরীখে, বর্তমান সংবিধান প্রণেতা গণপরিষদেরই কোন আইনী ভিত্তি বা বৈধতা ছিল না। গত ৫৫ বৎসর দেশবাসীকে যে অবৈধ সংবিধানের অধীনে বাধ্যগত করে রাখা হয়েছিলো এর প্রতিকার দিবে কে? ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের দ্বীন ইসলামের প্রতিফলন ব্যাতীত কোন সংবিধানই বৈধ হতে পারে না কারণ দেশের মালিক ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমান
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ইরান ফিলিস্তিনে ইসরাইলী হামলার জন্য বিশেষভাবে দায়ী সালাফী-লা মাযহাবী ওহাবী মালানারা কারণ তারাই সৌদি ইহুদী শাসকদের প্রশংসা করে, পৃষ্ঠপোষকতা করে তাদের দোষ-ত্রুটি এবং মুসলমান বিদ্বেষী ও ইসলাম বিরোধী কাজ চুপিয়ে রাখে বাংলাদেশসহ অন্যান্য মুসলিম দেশে তাদের কুফরী আক্বীদা প্রচার করে
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
বাজারে নতুন আলু উঠলেও দাম চড়া, কেজিতে ২০০ টাকা পুরোনো আলু নিয়ে বিপাকে ব্যবসায়ীরা আলু প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পের উদ্যোগ জরুরি আলু রফতানীতে কমপক্ষে লাখো কোটি টাকা আয় সম্ভব আলুর জাতের মান বৃদ্ধি এবং হিমাগার স্থাপনসহ রফতানীর ক্ষেত্রে সব বাধা দূর করে সরকারকে যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করতে হবে।
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
প্রশাসন খবর না রাখলেও প্রচ- শীতে মারা যায় হাজার হাজার লোক। চরম ভোগান্তিতে পড়ে কোটি কোটি লোক। সরকারি সাহায্যের হাত এখনও না বাড়ানো মর্মান্তিক। তবে শুধু লোক দেখানো উদ্যোগ গ্রহণই নয়; প্রকৃত সমাধানে চাই সম্মানিত ইসলামী চেতনার বিস্তার। তাহলে ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত এদেশে কোনো আর্তেরই আহাজারি উচ্চারণ হবার নয়।
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ভীনদেশী অ্যাপের ফাঁদে পড়ে বিপথে যাচ্ছে দেশের তরুণ প্রজন্ম। বাড়ছে নারীপাচার, দেশে বাড়ছে অশ্লীলতা ও পর্ণোগ্রাফির প্রচার। কিশোর-কিশোরীদের টার্গেট করেই একটি মহল এসব অপসংস্কৃতির প্রচার ও প্রসার ঘটাচ্ছে। এসব অপসংস্কৃতি নির্মূলে দ্বীন ইসলামই একমাত্র সমাধান।
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘উচ্চ সুদহার ব্যবসায়ীরা আর সহ্য করতে পারছেন না। ‘অগ্রিম আয়কর (এআইটি) এবং উৎসে কর কর্তন (টিডিএস) ব্যবসায়ের ওপর অতিরিক্ত চাপ তৈরি করছে। এআইটি ও টিডিএস আসলে ট্যাক্স টেরোরিজম বা কর-সন্ত্রাস। ব্যবসায়ীরা ‘কর-সন্ত্রাস’ থেকে মুক্তি চান। ব্যবসায়ীরা অগ্রিম আয়কর ও উৎসে করের চাপ থেকে মুক্তি চান।
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
দেশে মজুদ খনিজ সম্পদের অর্থমূল্য প্রায় ৫০ ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি কিন্তু উত্তোলনে বিনিয়োগ নাই বললেই চলে অথচ দেশ থেকে অর্থ পাচারের পরিমাণ ২০ লাখ কোটি টাকা সরকারের ঋণের পরিমাণ প্রায় ২০ লাখ কোটি টাকা
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমেছে, দেশে কেন উল্টো বেড়েছে? বিশ্ববাজারে জ্বালানি সহ খাদ্যপণ্যের দাম কমলেও বাংলাদেশে ভোক্তা বাড়তি দামে কিনছে বিশ্বে জ্বালানীসহ খাদ্য পণ্যের দাম ধারাবাহিকভাবে কমছে, কিন্তু বাংলাদেশে সুফল মিলছে না কেন? প্রতিবেশীরা স্বস্তিতে, বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়ছে কেনো?
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ৬৮ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা ‘আইএমএফের চাপে’ নতুন করের বোঝা বাড়ছে ৫৫ হাজার কোটি টাকা আইএমএফের শর্ত মানতে গিয়ে সরকারকে জ্বালানি, সার, বিদ্যুৎ এবং সামাজিক খাতে ভর্তুকি কমাতে হয়। এতে সমাজের নিচের স্তরের মানুষের ওপর চাপ বাড়ে।
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলামে কী প্রকৃতির মুহব্বত ও ঋতু প্রিয়তার কথা নেই? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে শীতকাল যে কত প্রিয় তা অনেকেরই অজানা। শীতে আছে গণীমত (পর্ব -২)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলামে কী প্রকৃতির মুহব্বত ও ঋতু প্রিয়তার কথা নেই? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে শীতকাল যে কত প্রিয় তা অনেকেরই অজানা। শীতে আছে গণীমত (পর্ব -১)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সন্ত্রাসবাদ নয়; জিহাদী যোগ্যতা অর্জন করা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অনুযায়ী ফরয। ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সব নাগরিকের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করতে হবে। উন্নত প্রশিক্ষন, যুদ্ধকৌশল, সামরিক সক্ষমতা এবং আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এখন সাফল্যের শীর্ষে। সরকারের উচিত- দেশের মর্যাদা বুলন্দ ও দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ত্বকে সমুন্নত রাখতে সেনাবাহিনীর প্রতি সকল প্রকার পৃষ্ঠপোষকতা নিশ্চিত করা।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)












