সম্পাদকীয়-২
সুদ ব্যয়ের কারণে আকার বাড়লেও সুফল নেই বাজেটের। সরকারের উচিত, ঋণের ধারা থেকে সরে এসে আভ্যন্তরীণ আয়ের দিকে গুরুত্ব দিয়ে বাজেটকে গণমুখী করা।
, ২৭ শাওওয়াল শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২৭ হাদি আশির, ১৩৯২ শামসী সন , ২৬ এপ্রিল, ২০২৫ খ্রি:, ১৩ বৈশাখ, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) সম্পাদকীয়

সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
বাংলাদেশের অর্থনীতির গঠন, অবস্থা বিবেচনায় আনলে বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ আয়ের যত পথ রয়েছে তা যদি বিকশিত করা যায় তাহলে বাংলাদেশের আর বিদেশ থেকে ঋণ নেয়ার কোনো প্রয়োজনই পড়েনা।
অর্থনীতিবিদদের মতে, বিদেশি নাগরিকদের ওপর সরকারের কোনো কর নেই। সেখান থেকে সরকার ৭ হাজার ৮০০ কোটি টাকা আয় করতে পারে। যেহেতু সম্পদ কর নেই, তাই এ খাতে সরকারের কোনো আয় নেই। অথচ সম্পদ কর থেকে আয় হতে পারে কমপক্ষে লাখো কোটি টাকা। বিদেশি পরামর্শক ফি বাবদ সরকার আয় করতে পারে ৩ হাজার কোটি টাকা; অথচ বর্তমানে এ বাবদ সরকারের কোনো আয় নেই। দেশে অপ্রদর্শিত অর্থের পরিমাণ জিডিপির প্রায় ৩৬ শতাংশের সমান। এই খাত থেকে সরকার ৬০ হাজার কোটি টাকা আয় করতে পারে। সরকার দেশের রাজস্বের উৎসগুলোর দিকে যথাযথ গুরুত্ব প্রদান করলে রাজস্বও হতে পারে জাতীয় আয়ের অন্যতম উৎস।
গত ১৪ বছরে বাংলাদেশ থেকে ১১ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। যা বেসরকারি হিসেবে প্রায় ১৮ লাখ কোটি টাকা এবং বর্তমানেও প্রতি বছর লাখো কোটি টাকা পাচার হচ্ছে। এই অর্থ যদি পাচার ঠেকানো যায় তাহলে এটি দিয়েই সরকারের একটি বড় অর্থ আয়ের সুযোগ থাকতো। কারণ তা দেশের অর্থনীতিতে যুক্ত হতো। বর্তমানে সারাদেশে বিপুল পরিমাণ কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী রয়েছে যারা কর্মহীন ও বেকার। হিসাব মতে, তাদের সংখ্যা প্রায় ১২ কোটি। এই কর্মক্ষম জনশক্তিকে যদি দেশের বিভিন্ন অর্থনৈতিক খাতগুলোতে কাজে লাগানো যায় তাহলে এই খাত থেকেই বাজেটের সমপরিমাণ আয় হবে সরকারের।
সরকার দেশের বাণিজ্যিক খাতে নানারূপ অস্বাভাবিক ভ্যাট-কর আরোপ করে রেখেছে। যদি সরকার এই ভ্যাট কর উঠিয়ে নিয়ে দেশের বাণিজ্যিক খাতকে পৃষ্ঠপোষকতা করে তাহলে এটি থেকেও সরকারের আয় বাড়বে। সবচেয়ে বড় কথা সরকারের প্রতিটি প্রকল্পে, কাজে দুর্নীতির মচ্ছব চলছে। এই দুর্নীতি যদি রোধ করা যেতো তবে বাংলাদেশ টাকার উপরে ভাসতো।
প্রসঙ্গত, অর্থমন্ত্রী বলেছে, ২০৩০ সালের পর আমরা ঋণ নেবনা বরং ঋণ দেব। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি বর্তমানে যে হারে ঋণ ও সুদভিত্তিক বাজেট হচ্ছে তাতে অর্থমন্ত্রীর স্বপ্ন তো পূরণ হবেই না বরং দেশে শ্রীলঙ্কার মত পরিস্থিতি তৈরি হবে। তার বিপরীতে সরকার যদি আভ্যন্তরীণ আয়ের পথগুলো বিশৃঙ্খলামুক্ত করে তাহলে ২০৩০ সাল নয় বরং এখনই সরকার এই সক্ষমতা অর্জন করতে পারবে ইনশাআল্লাহ।
কিন্তু আত্মঘাতী ঋণের সুদ পরিশোধের বিষয়টি এখন অর্থনীতির জন্য মরণ কামড় হয়ে দাঁড়িয়েছে। পাটকল বন্ধ হয়ে যাওয়া, চিনিকলগুলোকে বেসরকারি খাতে দিয়ে দেয়া, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সঙ্কট তৈরি বা শিক্ষা-স্বাস্থ্যসহ সেবা খাতকে বাণিজ্যিকীকরণ করতে বাধ্য হয়েছে অযাচিত ঋণ গ্রহণের ফলে। এতে প্রকৃত উন্নয়ন হয়নি, বরং দারিদ্র্যের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃদ্ধি পেয়েছে দেশের জনপ্রতি ঋণের বোঝা। কাজেই নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার্থে জনগণের এখন সচেতন হয়ে সরকারের এই ঋণ গ্রহণের বিরুদ্ধে সক্রিয় হতে হবে।
মূলত, সুদভিত্তিক অর্থনীতিতে কখনোই সমৃদ্ধি আসবেনা। কেননা মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে সুদ হারাম করেছেন। আর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র হাদীছ শরীফে সুদের সাথে সংশ্লিষ্টদেরকে লানত দিয়েছেন। কাজেই, সুদমুক্ত বিশ্ব অর্থনীতির অনুশীলন, অনুসরণ ও প্রচলনই হোক বিশ্ববাসীর কামনা।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। আমীন!
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
কৃষি যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে আরো সোনালী সমৃদ্ধি সম্ভব ইনশাআল্লাহ
২১ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রসঙ্গ: রাষ্ট্রদ্বীন ইসলাম, মুসলমানের দ্বীনি অধিকার, পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে পালনের আবহ এবং রাষ্ট্রযন্ত্রের দায়।
২১ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
দৈনন্দিন ৩২ বার পবিত্র সূরা ফাতিহা শরীফ পাঠ করলেও মুসলমান কি পবিত্র সূরা ফাতিহা শরীফ শুধু পাঠের মধ্যেই আবদ্ধ থাকবে? ফিকির আর আমল কী অধরাই থাকবে?
২০ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
‘শয়তানের নিঃশ্বাস’ নামের ভয়ঙ্কর ড্রাগ আতঙ্কে সারাদেশ একান্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ তৎপরতা এবং জনগণের সচেতনতা দরকার
২০ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
শিশুদের খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা মূলতঃ এদেশের শিশু মৃত্যু বাড়িয়ে ও প্রতিবন্ধী তৈরি করে, যা মুসলিম জনসংখ্যার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র সরকারী বেসরকারী পর্যায়ে যুৎপতভাবে এ বিষয়ে সচেতন ও সক্রিয় হতে হবে। ইনশাআল্লাহ!
১৯ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
১০ বর্গকিলোমিটার নারিকেল দ্বীপ রক্ষায় মিথ্যার বেসাতির বিপরীতে ৩ লাখ একর বেদখল বনভূমির প্রতি নিষ্ক্রীয় দর্শকের ভূমিকা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সাথে সাংঘর্ষিক শহীদদের সাথে প্রতারণা পরিবেশ উপদেষ্টার সম্যক উপলব্ধি প্রয়োজন।
১৯ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
বর্তমান সরকারের অরাজকতায় মধ্যবিত্তরাও এখন পুষ্টি সঙ্কটে ভুগছে মহান আল্লাহ পাক উনার রহমতমূখী প্রবণতার অভাবই এর মূল কারণ কেবলমাত্র খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পরিক্রমায় খোদায়ী রহমতে সব কিছুতে সচ্ছলতা হাছিল সম্ভব। ইনশাআল্লাহ!
১৮ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
নাটক-সিনেমার মাধ্যমে মুসলিম প্রজন্মকে দ্বীন ইসলাম থেকে দূরে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। পরকালের কথা স্মরণ করে মুসলিম উম্মাহকে বিধর্মীদের এসব ষড়যন্ত্র থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
১৮ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে উৎপাদন কম হলেও ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না লবণচাষীরা মধ্যস্বত্বভোগী ও সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে ইনশাআল্লাহ
১৭ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
লাখ লাখ মটর আমদানী করে দিলেন, লাখ লাখ পার্টস কিনতে দিলেন, হাজার হাজার ওয়ার্কশপ হতে দিলেন, লাখ লাখ অটো রিকশা তৈরি করতে দিলেন, চার্জের কারেন্ট দিলেন, রাস্তায় নামতে দিলেন, অনেকে ঋণ করে অটো রিকশা কিনেছে তাও জানলেন এখন ইচ্ছে হলো আর অটো রিকশা বন্ধ করে দিলেন? দিচ্ছেনা? দিবেনা? এই স্বৈরাচারিতা আর স্বেচ্ছাচারিতা এবং দায়িত্বহীনতা ও দায়বদ্ধতাহীণতার সরকার ব্যবস্থা চলবেনা, চলতে পারে না।
১৭ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
খাদ্য উপদেষ্টা ফ্যাসিস্ট হাসিনার কায়দায়ই বাংলাদেশে ৬০ লাখ টন গম আমদানির কথা বললো। আমাদের প্রশ্ন, গম আমদানি কেন? উৎপাদন বাড়ানোর পদক্ষেপ নিলে বাংলাদেশ গম রপ্তানীও করতে পারবে ইনশাআল্লাহ!
১৬ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ব্যবসার ওপর আরও চাপ আসছে, সরকারের ন্যূনতম কর প্রায় দ্বিগুণ করার পরিকল্পনা এতে ক্রেতা-বিক্রেতা তথা গোটা দেশের ব্যবসা হবে ধ্বংসপ্রাপ্ত আর জনগণ হবে ভয়াবহ দুর্দশাগ্রস্ত এবং চরম দরিদ্র। সার্বভৌমত্ব হবে বিপন্ন। সঙ্গতকারণেই এখনই এর অবসান হওয়া দরকার ইনশাআল্লাহ।
১৬ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)