সুদ ব্যয়ের কারণে আকার বাড়লেও সুফল নেই বাজেটের।
সরকারের উচিত, ঋণের ধারা থেকে সরে এসে আভ্যন্তরীণ আয়ের দিকে গুরুত্ব দিয়ে বাজেটকে গণমুখী করা।
, ২৩ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ৩০ রবি , ১৩৯২ শামসী সন , ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ১২ আশ্বিন, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) সম্পাদকীয়
সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
বাংলাদেশের অর্থনীতির গঠন, অবস্থা বিবেচনায় আনলে বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ আয়ের যত পথ রয়েছে তা যদি বিকশিত করা যায় তাহলে বাংলাদেশের আর বিদেশ থেকে ঋণ নেয়ার কোনো প্রয়োজনই পড়েনা।
অর্থনীতিবিদদের মতে, বিদেশি নাগরিকদের ওপর সরকারের কোনো কর নেই। সেখান থেকে সরকার ৭ হাজার ৮০০ কোটি টাকা আয় করতে পারে। যেহেতু সম্পদ কর নেই, তাই এ খাতে সরকারের কোনো আয় নেই। অথচ সম্পদ কর থেকে আয় হতে পারে কমপক্ষে লাখো কোটি টাকা। বিদেশি পরামর্শক ফি বাবদ সরকার আয় করতে পারে ৩ হাজার কোটি টাকা; অথচ বর্তমানে এ বাবদ সরকারের কোনো আয় নেই। দেশে অপ্রদর্শিত অর্থের পরিমাণ জিডিপির প্রায় ৩৬ শতাংশের সমান। এই খাত থেকে সরকার ৬০ হাজার কোটি টাকা আয় করতে পারে। সরকার দেশের রাজস্বের উৎসগুলোর দিকে যথাযথ গুরুত্ব প্রদান করলে রাজস্বও হতে পারে জাতীয় আয়ের অন্যতম উৎস।
গত ১৪ বছরে বাংলাদেশ থেকে ১১ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। যা বেসরকারি হিসেবে প্রায় ১৮ লাখ কোটি টাকা এবং বর্তমানেও প্রতি বছর লাখো কোটি টাকা পাচার হচ্ছে। এই অর্থ যদি পাচার ঠেকানো যায় তাহলে এটি দিয়েই সরকারের একটি বড় অর্থ আয়ের সুযোগ থাকতো। কারন তা দেশের অর্থনীতিতে যুক্ত হতো। বর্তমানে সারাদেশে বিপুল পরিমাণ কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী রয়েছে যারা কর্মহীন ও বেকার। হিসাব মতে, তাদের সংখ্যা প্রায় ১২ কোটি। এই কর্মক্ষম জনশক্তিকে যদি দেশের বিভিন্ন অর্থনৈতিক খাতগুলোতে কাজে লাগানো যায় তাহলে এই খাত থেকেই বাজেটের সমপরিমাণ আয় হবে সরকারের।
সরকার দেশের বাণিজ্যিক খাতে নানারূপ অস্বাভাবিক ভ্যাট-কর আরোপ করে রেখেছে। যদি সরকার এই ভ্যাট কর উঠিয়ে নিয়ে দেশের বাণিজ্যিক খাতকে পৃষ্ঠপোষকতা করে তাহলে এটি থেকেও সরকারের আয় বাড়বে। সবচেয়ে বড় কথা সরকারের প্রতিটি প্রকল্পে, কাজে দুর্নীতির মচ্ছব চলছে। এই দুর্নীতি যদি রোধ করা যেতো তবে বাংলাদেশ টাকার উপরে ভাসতো।
প্রসঙ্গত, অর্থমন্ত্রী বলেছে, ২০৩০ সালের পর আমরা ঋণ নেবনা বরং ঋণ দেব। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি বর্তমানে যে হারে ঋণ ও সুদভিত্তিক বাজেট হচ্ছে তাতে অর্থমন্ত্রীর স্বপ্ন তো পূরণ হবেই না বরং দেশে শ্রীলঙ্কার মত পরিস্থিতি তৈরি হবে। তার বিপরীতে সরকার যদি আভ্যন্তরীণ আয়ের পথগুলো বিশৃঙ্খলামুক্ত করে তাহলে ২০৩০ সাল নয় বরং এখনই সরকার এই সক্ষমতা অর্জন করতে পারবে ইনশাআল্লাহ।
কিন্তু আত্মঘাতী ঋণের সুদ পরিশোধের বিষয়টি এখন অর্থনীতির জন্য মরণ কামড় হয়ে দাঁড়িয়েছে। পাটকল বন্ধ হয়ে যাওয়া, চিনিকলগুলোকে বেসরকারি খাতে দিয়ে দেয়া, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সঙ্কট তৈরি বা শিক্ষা-স্বাস্থ্যসহ সেবা খাতকে বাণিজ্যিকীকরণ করতে বাধ্য হয়েছে অযাচিত ঋণ গ্রহণের ফলে। এতে প্রকৃত উন্নয়ন হয়নি, বরং দারিদ্র্যের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃদ্ধি পেয়েছে দেশের জনপ্রতি ঋণের বোঝা। কাজেই নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার্থে জনগণের এখন সচেতন হয়ে সরকারের এই ঋণ গ্রহণের বিরুদ্ধে সক্রিয় হতে হবে।
মূলত, সুদভিত্তিক অর্থনীতিতে কখনোই সমৃদ্ধি আসবেনা। কেননা মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে সুদ হারাম করেছেন। আর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র হাদীছ শরীফে সুদের সাথে সংশ্লিষ্টদেরকে লানত দিয়েছেন। কাজেই, সুদমুক্ত বিশ্ব অর্থনীতির অনুশীলন, অনুসরণ ও প্রচলনই হোক বিশ্ববাসীর কামনা।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। আমীন!
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
আজ সুমহান ও বরকতময় পবিত্র ৫ই জুমাদাল উলা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, সাইয়্যিদাতুনা হযরত সিবত্বতু রসূলিল্লাহ আছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
০৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
দৈনন্দিন ৩২ বার পবিত্র সূরা ফাতিহা শরীফ পাঠ করলেও মুসলমান কি পবিত্র সূরা ফাতিহা শরীফ শুধু পাঠের মধ্যেই আবদ্ধ থাকবে? ফিকির আর আমল কী অধরাই থাকবে?
০৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যে সমাজ ব্যবস্থায় সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক, প্রজাতন্ত্রের মালিক ‘জনগণকে’ করা হয় সে সমাজব্যবস্থায়, অপরাধীরা নিয়ন্ত্রিত হয়না ও অপরাধ নির্মূল হয়না। সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং ভয় করার মালিক মহান আল্লাহ পাক তিনি। কেবলমাত্র এই অনুভূতি সমাজ থেকে সব অপরাধ নির্মূল করতে পারে।
০৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পাঁচ হাজার পৃষ্ঠার বিশাল নথিতে ২ লাখ ৫৭ হাজার একর বনভূমি দখলদার ১ লাখ ৬০ হাজার নাম এসেছে শুধু নাম সর্বস্ব না করে বনভূমি উদ্ধারের বাস্তব নজীর চাই
০৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ফুটপাতের প্রান্তিক হকারদের কাছ থেকে অসৎ ও লুটেরা মহল প্রতি মাসে চাঁদা আদায় করছে শত শত কোটি টাকা; অথচ সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ অর্থ দিয়ে বারবার উচ্ছেদ হওয়া হকারদের পুনর্বাসন সম্ভব; অন্যদিকে এই অর্থ যোগ হতে পারে জাতীয় অর্থনীতিতে। সরকারের আশু নজর কাম্য।
০৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
দ্রব্যমূল্যের আগুনে ঝলসে যাচ্ছে মানুষ। মূল্যস্ফীতির চাপে পিষ্ট হচ্ছে জনসাধারণ। সরকারের কর্তাব্যক্তিদের রকমফের চটকদার কথার পরিবর্তে এক্ষনি মূল্যস্ফীতিকে সংকুচিত করে দেশবাসীকে বাঁচাতে হবে ইনশাআল্লাহ।
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
৭ হাজার ৮০০ মিলিয়ন টন কয়লা মজুদের দেশে কয়লার ঘাটতিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র বন্ধ কেন? বিগত মাফিয়া সরকারের পথ থেকে সরে এসে কয়লা উত্তোলন শুরু করুন।
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
প্রসঙ্গঃ মোবাইল ফোনের ব্যবহার ও অপব্যবহার।
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
হোল্ডিং ট্যাক্স ছাড়, তাপ মুক্তি নিরাপদ ফল-সবজি প্রাপ্তি, পরিবেশ উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় শহরের প্রতিটি বাড়ির ছাদ হোক একটুকরো বাগান
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
৪০ শতাংশের বেশি ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প বন্ধ হয়েছে যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করলে ইনশাআল্লাহ ঘুরে দাঁড়াবে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মুদি দোকান, স্টেশনারি দোকান, শপিং মল, পার্লার, সুপার শপ সবখানেই ভেজাল কসমেটিক্স। মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ব্যবহারকারীরা। সরকারের কঠোর নজরদারী ও নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন।
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
দেশের ৪ কোটি মানুষ না খেয়ে থাকে। অথচ দেশে মাথাপিছু খাদ্য অপচয় হয় প্রায় ৯০ কেজি। বছরে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা।
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)