সুন্নতী খাবার সম্পর্কিত হাদীছ শরীফ
, ০১ লা জুমাদাল ঊলা শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০৭ সাদিস, ১৩৯২ শামসী সন , ০৪ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ১৯ কার্তিক, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) সুন্নত মুবারক তা’লীম
কদু তরকারী
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তরকারী হিসেবে কদুকে পছন্দ করেছেন।
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মুহম্মদ ইবনে জাফর ইবনে হাইয়ান আসবাহানী তিনি উনার কিতাবে এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ বর্ণনা করেন-
হযরত আনাস ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি প্রচুর পরিমাণে কদু তরকারী খেতেন। আমি বললাম, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি প্রচুর পরিমাণে কদু তরকারী কেন খাচ্ছেন? নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, কদু মগজের শক্তি বৃদ্ধি করে এবং স্মরণশক্তি প্রখর করে। (আখলাকুন নবী ওয়া আদাবুহ ৩য় খ- ৩৩৭ পৃষ্ঠা: হাদীছ শরীফ নং ৬৭০)
অন্য বর্ণনায় বর্ণিত রয়েছে- নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছা হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনাকে বলেন যে, তরকারীর সাথে অধিক পরিমাণে কদু রান্না করুন। কারণ এতে বিষন্ন মনে শক্তি আসে। কদু বুদ্ধি তীক্ষè করে ও মস্তিষ্ককে শক্তিশালী করে।
শুকনা গোশত ও কদু:
এছাড়াও তরকারী হিসেবে কদুর সাথে শুকনা গোশত দিয়েও রান্না করা হতো।
এ প্রসঙ্গে বর্ণিত রয়েছে- হযরত আনাস ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক দর্জি ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি খাবার তৈরী করে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে দাওয়াত করলেন। হযরত আনাস ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক খিদমতে রুটি এবং সুরুয়া যাতে কদু ও শুকনা গোশতের টুকরা ছিল তা পেশ করলেন। আমি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে দেখতে পেলাম যে, পেয়ালার কিনারা হতে তিনি কদুর টুকরা খোঁজ করে নিচ্ছেন। সেদিন হতে আমি সব সময় কদু পছন্দ করি। (বুখারী শরীফ: কিতাবুল বু‘যূ: বাবু যিকিরিল খ্বইয়্যাত্ব: হাদীছ শরীফ নং ২০৯২)
অন্য হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে- হযরত আবূ তালুত রহতমুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হযরত আনাস ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার নিকটে গেলেন। হযরত আনাস ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি তখন কদুর তরকারী খাচ্ছিলেন আর বলছিলেন, হে কদুগাছ! নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তোমাকে পছন্দ করতেন বলেই আমি তোমাকে পছন্দ করি। (তিরমিযী শরীফ: কিতাবুত ত্ব‘য়ামাহ: বাবু মা-জা-য়া ফী আকলিদ দুব্বা’: হাদীছ শরীফ নং ১৮৪৯)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
বাম দিক থেকে শুরু করা হলেও যে আমলগুলো মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক উনার অন্তর্ভুক্ত
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ওযূর একটি মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক অনিচ্ছাকৃত তরক করায় নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সতর্কতা মুবারক
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ঘুমানোর মহাসম্মানিত মহাপবিত্র সুন্নতী তারতীব মুবারক - ২
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
ঘুমানোর মহাসম্মানিত মহাপবিত্র সুন্নতী তারতীব মুবারক -১
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
হাত ও পায়ের নখ কাটার মহাসম্মানিত সুন্নতী তারতীব মুবারক
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
যেসব দিনে গোসল করা ও গোসলে কি কি ব্যবহার করা মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক ছেড়ে দেয়া মানেই পথভ্রষ্ট হওয়া। নাউযুবিল্লাহ!
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
চিকিৎসা গ্রহণ করা খাছ সুন্নত মুবারক (২)
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
চিকিৎসা গ্রহণ করা খাছ সুন্নত মুবারক (১)
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ওযূ করার খাছ সুন্নতী তারতীব মুবারক ও মাসয়ালা-মাসায়িল (৫)
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ওযূ করার খাছ সুন্নতী তারতীব মুবারক ও মাসয়ালা-মাসায়িল (৪)
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
ওযূ করার খাছ সুন্নতী তারতীব মুবারক ও মাসয়ালা-মাসায়িল (৩)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)












