সম্পাদকীয়-১
স্বামী-স্ত্রীর সহজাত খুনসুটিকে বৈবাহিক ধর্ষণ সংজ্ঞায়িত করার সরকারী উসকানি এখন বাবা-মায়ের শাসনকেও মামলায় গড়িয়েছে। পারিবারিক বন্ধন ধ্বংস, এল.জি.বি.টি.কিউ আন্দোলনের কুচক্রী, কুশীলবদের কুতৎপরতা রোধে ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানকে এক্ষণি সোচ্চার হতে হবে ইনশাআল্লাহ
, ০৫ মুহররমুল হারাম শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ২ ছানী, ১৩৯৩ শামসী সন , ১ জুলাই, ২০২৫ খ্রি:, ১৭ আষাঢ়, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) সম্পাদকীয়
সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
অন্তর্বর্তী সরকার? নাকি পশ্চিমা সংস্কৃতি সয়লাবের সরকার? পশ্চিমা এজেন্ডা বাস্তবায়নের সরকার? এল.জি.বি.টি কিউ আন্দোলন প্রতিষ্ঠার সরকার? পারিবারিক বন্ধন আলগা করে দেয়ার সরকার? সে আবহ, প্রেক্ষাপট, পটভূমিকা তৈরী করার, উস্কে দেয়ার সরকার?
এ সরকারের নারী সংস্কার কমিশন স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীকে উস্কে দিয়েছে। স্বামীর স্ত্রীর সহজাত খুনসুটিকে সংজ্ঞায়িত করা হবে। হয়েছে বৈবাহিক ধর্ষণ হিসেবে। এল.জি.বি.টি.কিউ আন্দোলনের উদ্দেশ্যে ‘পুরুষ’ ‘মহিলা’ না বলে লিঙ্গভিত্তিক বর্ণনা দিয়েছে। খুব কূট কৌশলে পারিবারিক বন্ধন ধ্বংস করার লক্ষ্য গুলিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এর জন্য দৃশ্যমান-অদৃশ্যমান পৃষ্ঠপোষকতা, কুপ্ররোচনা এবং উন্মাদনা তৈরি করা হচ্ছে। গত ২২ শে জুন গণমাধ্যমে খবর হেডিং হয়েছে- “ব্যক্তিস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের অভিযোগে বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে মামলা করলেন ইংলিশ মিডিয়া পড়–য়া মেয়ে”।
খবরে জানা যায়- ব্যক্তিগত স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলে নিজের সুরক্ষা চেয়ে বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ১৯ বছরের এক তরুণী। গত রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলামের আদালতে এই মামলা করা হয়।
বাদী আরজিতে বলেছে, সে একজন প্রাপ্তবয়স্ক। তারপরও বাবা-মায়ের তার ব্যক্তিগত স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ, অপমান ও নির্যাতন করে যাচ্ছেন।
আদালত বাদীর জবানবন্দি নিয়ে তার বাবা-মাকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারীর নির্দেশ দিয়েছেন।
বাদীর আইনজীবী ইসফাকুর রহমান গালিব জানান, বাদী নিজের সুরক্ষা চেয়ে পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইনে আদালতে মামলা করেছেন।
বাদী মেহরীন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার মা ও বাবা আমাকে নির্যাতন করে। আমি সুন্দর একটা জীবন চাই। জাস্টিস পেতে আদালতে এসেছি। ’
বলার অপেক্ষা রাখে না- ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ বলতে স্বেচ্চাচারী, বল্গাহারা আচরণের বিরুদ্ধে পারিবারিক শামনকেও বোঝায় এবং এ ধরনের আইন পশ্চিমা বিশ্বেই অনুসৃত হয়। তাই সেখানে গে, লেসবিয়ান, এল.জি.বি.টি.সি, ট্রান্সজেন্ডার ব্যাপকভাবে চর্চিত হয়। সেখানে পারিবারিক বন্ধন ধূলায় ধূসরিত হয়।
সেই কলঙ্কিত ধূলির ঝড়ের সূচনাই কি হলো আন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে? ইসলামী মূল্যবোধ দূরে সরিয়ে দিয়ে ভারতীয় আর পশ্চিমা ঘটনার অবতারণাই কী ঘটল অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে?
গণমাধ্যমে গত বছর প্রকাশিত ভারতের একটি খবর হেডিং এখানে প্রাসঙ্গিক- “মোবাইল দেখতে বাধা, বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে থানায় ভাই-বোনের অভিযোগ”।
খবরে বলা হয়- টিভি এবং মোবাইল দেখা নিয়ে সারাক্ষণ মা-বাবা বকাঝকা করেন, কড়া শাসনে রাখেন বলে অভিযোগ করেছে ২১ বছর বয়সী এক তরুণী এবং তার আট বছর বয়সী ভাই। মা-বাবার বিরুদ্ধে তাই দু’জনে মিলেই মামলা দায়ের করেছে।
১লা আগস্ট ২০২৪ সালের পশ্চিমবঙ্গের বাংলা দৈনিক আনন্দবাজার বলেছে, মা-বাবার বিরুদ্ধে যে ধারায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ, তাতে তাদের সাত বছর পর্যন্ত সাজা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চালানও জমা পড়েছে জেলা আদালতে। পরে হাইকোর্টে সেটিকে চ্যালেঞ্জ জানান অভিযুক্ত দম্পতি। এ নিয়ে ইতিমধ্যে একদফা শুনানি হয়েছে আদালতে। আপাতত হাইকোর্ট জেলা আদালতের ট্রায়ালের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছেন।
এ ধরনের উন্মাসিক মানসিকতা যে কোন পর্যন্ত পৌছতে পারে তার নজীর আমেরিকায় দেখা গেছে।
গত ১২ই মে, ২০২৪ খবরে হেডিং হয়েছে- “অনুমতি ছাড়া জন্ম দেওয়ায় বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে টিকটকারের মামলা!”
খবরে জানা যায়- কাস থিয়াজ নামের ওই মার্কিন টিকটকার বলেন, ‘আমার বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে আমি মামলা করেছি। তারা আমাকে জন্ম দিয়েছেন। এবং সেই কারণেই আমি তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছি, কারণ আমি এখানে থাকতে রাজি নই। আমি জানতাম না যে আমাকে বড় হতে হবে এবং নিজের চলার জন্য একটি চাকরি করতে হবে। ’ মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক পোস্টের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
বলাবাহুল্য বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে এসব উচ্ছন্মে উন্মাদনা যে মূলত পশ্চিমারা কুসংস্কৃতিরই কু প্ররোচনা উপরোক্ত ঘটনা তার প্রমাণ বটে। কিন্তু এ কু চেতনা পশ্চিমা থেকে ভারত এবং ভারত থেকে এখন বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠার অপচেষ্টা করছে অন্তর্বর্তী সরকারের ভেতরে ঘাপটি মেরে থাকা কুচক্রী, কুশীলবরা। ইনশাআল্লাহ ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমান কোনভাবেই তা মেনে নিবে না। সরকারকে এক্ষুণি তাই সংশোধণ হতে হবে ইনশাআল্লাহ।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
আজ মহিমান্বিত ২৩শে জুমাদাল উখরা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, আফদ্বালুন নাস ওয়ান নিসা বা’দা রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আস সাবিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আজ মহিমান্বিত ২২শে জুমাদাল উখরা শরীফ! খলীফাতু রসূলিল্লাহ, আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া, খলীফাতুল মুসলিমীন, আমীরুল মু’মিনীন সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার সুমহান বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস এবং আমীরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র খিলাফত মুবারক গ্রহণ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
আজ মহিমান্বিত ২১শে জুমাদাল ঊখরা শরীফ! যা সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা, খইরু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার মহাপবিত্র ও বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করার সুমহান দিবস।
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মুবারক হো- মহাপবিত্র মহাসম্মানিত মহামহিমান্বিত ২০শে জুমাদাল উখরা শরীফ। সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা, বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুর রবিয়াহ যাহরা আলাইহাস সালাম উনার এবং সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, সাইয়্যিদাতুনা হযরত সিবত্বতুর রসূল আছ ছালিছাহ আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস।
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সরকারী ওষুধ লুটের ব্যবসা বহু রকম। জনস্বাস্থ্যের হুমকি বহুবিধ। সংবেদনশীল এ বিষয়টির প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের উদাসীনতা বরদাশতের বাইরে
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
জননিরাপত্তাকে প্রধান কর্তব্য বললেও অন্তর্বর্তী সরকার করুণভাবে ব্যর্থ হচ্ছে কেবলমাত্র খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পথে পরিচালিত হলেই সফল হওয়া সম্ভব হবে ইনশাআল্লাহ
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা দুরূহ হলেও অসম্ভব নয় খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পরিক্রমায় খুব সহজেই পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা সম্ভব ইনশাআল্লাহ
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
জালিম ও তাবেদার সরকারের করে যাওয়া আত্মঘাতী পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। সরকারের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা আমলাদের বাধা অবদমন করে পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর পূরো কর্তৃত্বের অধিকার সেনাবাহিনীকেই প্রতিফলিত করে প্রকৃত শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে ইনশাআল্লাহ।
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ভারত সীমান্তে ১৫ বছরে নিহত স্বীকৃত হিসেবে ছয় শতাধিক বাংলাদেশি। প্রকৃত সংখ্যা আরো বেশী। জ্বলন্ত প্রশ্ন হলো- বাংলাদেশিদের জীবনের কি কোনো মূল্য নেই? বিজিবির আত্মরক্ষার কি কোনো অধিকার নেই? বিজিবি কি দর্শকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে সীমান্ত পাহারা দিবে?
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে সেনাবাহিনীর গৌরবোজ্জল ভূমিকা যেমন জ্বলজ্বল, উন্নয়নে ঝলমল তেমনি সংকটকালেও থাকুক সমুজ্জল
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
৮ লাখ মেট্রিক টন লবণ মওজুদ থাকার পরও অবুঝ অন্তর্বর্তী সরকারকে লবণ আমদানী আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। লবণ শিল্পের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা সংরক্ষণ অবকাঠামোর অভাব অতিশীঘ্র দূর করতে হবে ইনশাআল্লাহ।
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মহিমান্বিত ১৪ই জুমাদাল উখরা শরীফ। আজ পঞ্চম হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, হুজ্জাতুল ইসলাম, হযরত ইমাম গাজ্জালী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! এ সুমহান দিবস মুবারক উনার তাৎপর্য অনুধাবন করা গোটা মুসলিম উম্মাহ্র জন্য বিশেষ প্রয়োজনীয় এবং ফজিলতের কারণ।
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)












