হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে রাওয়াহা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার ঈমানদীপ্ত জজবায়ী শান মুবারক
এডমিন, ১০ মুহররমুল হারাম শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ৩০ ছানী, ১৩৯১ শামসী সন , ২৯ জুলাই, ২০২৩ খ্রি:, ১৪ শ্রাবণ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) ইতিহাস

অন্যত্র বর্ণিত রয়েছে, জাহিলী যুগে হযরত আবু দারদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার সাথে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে রাওয়াহা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার গভীর বন্ধুত্ব ছিল। হযরত আবু দারদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তখনো সম্মানিত দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করেননি। উনার বাড়িতে ছিলো এক মূর্তি। একদা হযরত আবু দারদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু যখন বাড়ি থেকে বের হলেন সে সময় ঠিক উল্টো পথ দিয়ে সেই বাড়িতে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে রাওয়াহা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি প্রবেশ করলেন। তিনি হযরত আবু দারদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার পরিবার-পরিজনের কাছে জিজ্ঞাসা করলেন যে, হযরত আবু দারদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি কোথায়? জবাব আসলো- এইমাত্র বাইরে গেলেন। তখন হযরত আব্দুল্লাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু দ্রুত মূর্তির ঘরে প্রবেশ করে সেখানে রক্ষিত একটি হাতুড়ি দিয়ে মূর্তিটি ভেঙে চুরমার করে দিলেন এবং সেই স্থান ত্যাগ করলেন। হযরত আবু দারদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ফিরে এসে উনার পরিবারের নিকট ঘটনার আদ্যপান্ত শুনে খুবই জালালী হলেন। কিন্তু পরক্ষণেই উনার অন্তরে চেতনার উদয় হলো- আহা! যদি মূর্তির কোন ক্ষমতাই থাকতো তাহলে তো সে নিজেকেই রক্ষা করতে পারতো। এই ঈমানদীপ্ত আত্মোপলব্ধির পর তিনি হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে রাওয়াহা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার সাথে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমত মুবারকে গিয়ে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করলেন। সুবহানাল্লাহ!