হযরত মুয়াজ ইবনে জাবাল রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ও জর্ডানের রোমান শাসক
, ০৯ জুমাদাল ঊলা শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৫ সাদিস, ১৩৯২ শামসী সন , ১২ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ২৭ কার্তিক, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
জর্ডানের সুন্দর ‘ফাহল’ নগরী। ইরাক-জর্দান এলাকায় এটি ছিলো রোমানদের শেষ দুর্গ। মুসলমানদের অগ্রাভিযানে রোমান বাহিনী মুসলিম সেনাপতি হযরত আবু উবাইদা জাররাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার কাছে সন্ধির প্রস্তাব দিলো। সন্ধি সম্পর্কে আলোচনার জন্য তিনি হযরত মুয়াজ ইবনে জাবাল রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে পাঠালেন রোমক শাসক সাকলাবের কাছে।
তিনি সাকলাবের প্রাসাদে পৌঁছানোর পর সাকলাব উনাকে পরম সমাদরে একটি কারুকার্যখচিত আসনে বসার অনুরোধ জানালো। কিন্তু তিনি মাটিতেই আসন পেতে বসে পড়লেন। তখন সাকলাব বললো, আমি আপনাকে সম্মান দিতে চাই, কিন্তু আপনি নিজের সম্মান নিজেই নষ্ট করছেন। তখন মুয়াজ ইবনে জাবাল রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বললেন, যে আসন দরিদ্র প্রজাদের রক্তে রঞ্জিত সে আসনকে আমরা ঘৃণা করি। তখন সাকলাব বললো, আপনাদের উর্ধ্বতন দায়িত্বশীল ও আপনাদের প্রভুও কি এরুপ আসনে বসেন না? তিনি বললেন, না। আমিরুল মু’মিনীনও এরূপ আসনে বসেন না। আর একমাত্র মহান আল্লাহ পাক তিনি ব্যতিত আমরা কাউকে প্রভু বলে সম্বোধন করি না। নিজেকে কখনো কোনো মানবের দাস বলে ভাবি না। মানুষের উপর প্রভূত্ব চালাই না আমরা।
তখন সাকলাব বললো, তাহলে আপনারা পররাজ্য অধিকারে আসেন কেন? তিনি বললেন, আমরা পররাজ্য অধিকার করি ঠিক কিন্তু কোনো ন্যায় পরায়ন ও সত্য নিষ্ঠের রাজ্য আমরা দখল করি না। দখল করি তোমার মতো স্বার্থপরের রাজ্য। তারপর সেখানকার মৃত প্রায় মানুষকে নতুন জীবন দেই, প্রত্যেকটি মানুষকে মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকার ব্যবস্থা করি।
সর্বশেষ সাকলাব বুঝতে পারলো মুসলমানদের সাথে যুদ্ধ মানে সাক্ষাৎ ধ্বংস। তখন সে বললো, আমরা আপনাদেরকে বালকা জিলাসহ জর্ডানের সিংহভাগ দিয়ে দেব। আপনারা আমাদের সাথে সন্ধি করুন। তখন হযরত মুয়াজ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বললেন, আমরা ধন সম্পদের লোভে যুদ্ধ করি না। আমরা দ্বীন ইসলাম এবং ন্যায়পরায়নতার জন্য যুদ্ধ করি। তুমি দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করো অথবা জিযিয়া দাও। নাহলে যুদ্ধ করো। ’ সাকলাব যুদ্ধের পথই অনুসরণ করলো এবং শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়ে মুসলমানদের হাতে তুলে দিলো ফাহল, বেসান, আম্মান, জিরাশ, মায়াব প্রভৃতি নগরীসহ গোটা জর্ডান প্রদেশ।
-মুহম্মদ শাহজালাল।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ওহাবীদের চক্রান্ত উন্মোচন
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িজ
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
৩টি বিশেষ নেক কাজ, যা ইন্তেকালের পরও জারি থাকে
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
হযরত ছাহাবায়ে কিরামগণ উনাদের প্রতি আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি মুবারক পবিত্র কুরআন শরীফ দ্বারা প্রমাণিত
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু (১)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
“আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম” কিতাবের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে বিরোধিতাকারীদের আপত্তির জবাব
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মুসলমানদেরকে ঈমান থেকে সরিয়ে দিতে কাফিরগুলো সবসময় চেষ্টা করে যাচ্ছে
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
শরীয়তের দৃষ্টিতে কোন রোগই ছোঁয়াচে নয়, ছোঁয়াচে বিশ্বাস করা কুফরী
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সারাবিশ্বে একই দিনে ঈদ পালন ও রোযা শুরু করার কথা বলার উদ্দেশ্য পবিত্র ঈদ ও পবিত্র রোযাকে নষ্ট করা, যা মূলত মুনাফিকদের একটি ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত (৬৬)
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)