২৫০ বছর আগে আরব বণিকরা আবিষ্কার করেছিলেন নারিকেল দ্বীপ
ফ্যাসিস্ট সরকার থেকে মুক্ত জনগণ আমেরিকার তাবেদার সরকার বরদাশত করবে না ইনশাআল্লাহ (পর্ব-২)
, ২১ রবীউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২৭ খ্বমিস , ১৩৯২ শামসী সন , ২৫ অক্টোবর , ২০২৪ খ্রি:, ০৯ কার্তিক, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) মন্তব্য কলাম
স্বাধীনতার পূর্ব থেকেই নারিকেল দ্বীপের প্রতি শকুনীর দৃষ্টি ছিল আমেরিকার।
সাম্প্রতিককালে চীন, মিয়ানমারের ষড়যন্ত্র প্রতিহতের পর আমেরিকা এখন আরো আগ্রাসী হয়েছে।
ফ্যাসিস্ট সরকারের কঠোর সমলোচনা করলেও তাদেরই প্রেসক্রিপশন প্রচার করছে পরিবেশ উপদেষ্টা ও সরকার
নারিকেল দ্বীপে যাতায়াতে প্রতিবন্ধকতা, রাত যাপন বন্ধ আমেরিকার নীল নকশা বাস্তবায়নেরই ভিত্তি তৈরী
নারিকেল দ্বীপে মার্কিন ঘাটি ষড়যন্ত্রের নস্যাতে এ দেশের স্বাধীনতা প্রিয় এবং বৈষম্যবিরোধী জনগণ আবারো রক্ত দিতে প্রস্তুত ইনশাআল্লাহ
ফ্যাসিস্ট সরকার থেকে মুক্ত জনগণ আমেরিকার তাবেদার সরকার বরদাশত করবে না ইনশাআল্লাহ (পর্ব-২)
নারিকেল দ্বীপে রাতে থাকা নিষেধ নভেম্বরে, ফেব্রুয়ারিতে যাওয়া বন্ধ
- প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ প্রবালদ্বীপ নারিকেল দ্বীপে চার মাস (নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি) পর্যটক সীমিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ তথ্য জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) রাজধানীর হেয়ার রোডে ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।
অপূর্ব জাহাঙ্গীর জানান, নভেম্বরে রাতে নারিকেল দ্বীপে থাকতে পারবেন না পর্যটকরা। ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে দুই হাজার পর্যটক প্রতিদিন যেতে পারবেন, রাতেও থাকতে পারবেন। আর ফেব্রুয়ারিতে কোনও পর্যটক নারিকেল দ্বীপে যেতে পারবেন না, তখন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হবে। এ ছাড়া নারিকেল দ্বীপে ওয়ান-টাইম ইউজ (একবার ব্যবহারযোগ্য) প্লাস্টিকের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর বলেন, উপদেষ্টা পরিষদ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে নারিকেল দ্বীপে পর্যটন সীমিত করা হবে। নভেম্বর, ডিসেম্বর, জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি এই চার মাস সীমিত থাকবে। নভেম্বর মাসে পর্যটকরা যেতে পারবেন কিন্তু রাতে থাকতে পারবেন না। ডিসেম্বর-জানুয়ারি পর্যটকরা যেতেও পারবেন, রাতে থাকতেও পারবেন। প্রতিদিন নারিকেল দ্বীপে দুই হাজারের বেশি পর্যটক প্রবেশ করতে পারবেন না। ফেব্রুয়ারি মাসে পর্যটকরা যেতে পারবেন না। তখন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হবে।
উল্লেখ্য নারিকেল দ্বীপ নিয়ে বর্তমান সরকারের পদক্ষেপকে দেশের জনগণ গভীর ষড়যন্ত্র এমনকী নারিকেল দ্বীপ আমেরিকার হাতে তুলে দেয়ার নীল নকশা হিসেবে দেন। এদিকে বিরূপ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে অনেক বিক্ষোভ, সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন হচ্ছে।
গণমাধ্যমে হেডিং হয়েছে- ‘নারিকেল দ্বীপে রাত্রিযাপনসহ পর্যটনকে অব্যাহত রাখতে হবে’
‘প্রতিবছর সিজনের শুরুতে নারিকেল দ্বীপ নিয়ে একটা তালবাহানা শুরু হয়। তারই ধারাবাহিকতায় বিগত সরকারের করা নীতিকে বাস্তবায়নের জন্য যে ঘোষণা পরিবেশ উপদেষ্টা দিয়েছেন সেটা আমাদের আতঙ্কিত করে তুলেছে। আমরা পরিবেশ রক্ষার বিপক্ষে নয়। আমরা পরিবেশকে রক্ষা করে চলতে চাই। নারিকেল দ্বীপে রাত্রিযাপনসহ পর্যটনকে অব্যাহত রাখতে হবে। এটা না করলে জাতির জন্য একটা বড় বিপর্যয় হবে।’
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে সেন্ট মার্টিন্স দ্বীপ পরিবেশ ও পর্যটন রক্ষা উন্নয়ন জোটের চেয়ারম্যান শিবলুল আজম কোরেশী এসব কথা বলেন।
ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব কক্সবাজারের (টোয়াক) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমরা বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপদেষ্টা এবং প্রধান উপদেষ্টা বরাবর আবেদন করব এবং স্মারকলিপি দেব। পরিবেশ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও পর্যবেক্ষণ জোরদার করে রাত্রিযাপনের অনুমতি দিতে হবে। প্রয়োজনে সর্বোচ্চ দুই রাতের অনুমতি দেন। বাংলাদেশ ছাড়াও বিভিন্ন দেশে অনেক বিচ্ছিন্ন দ্বীপ রয়েছে, যেগুলোকে পরিবেশবিদরা খুবই সুন্দর করে সাজিয়ে দিয়েছেন। আমরাও চাই আপনারা পরিবেশ রক্ষার পর্যবেক্ষণ জোরদার করে রাত্রিযাপনের অনুমতি দেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ১৯৯৭ সালে নারিকেল দ্বীপকে পরিবেশ সংকটাপন্ন দ্বীপ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। পরিবেশ সংকটাপন্ন দ্বীপ ঘোষণা করার পর থেকে পরিবেশ মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড একটি মাস্টার প্ল্যানের মাধ্যমে নারিকেল দ্বীপকে বিশ্ব রোল মডেল পর্যটন হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছিল। আমরা পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং পরিবেশ মন্ত্রণালয় গিয়ে বারবার অনুরোধ করেছিলাম যে আপনাদেরকে মাস্টার প্ল্যানের রোল মডেলের ম্যাপটি দেখান। কিন্তু পরিবেশ মন্ত্রণালয় আমাদেরকে বারবার মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। আমরা বলতে চাই, একটা সেক্টরকে মেরে ফেলে আরেকটা সেক্টরকে উন্নয়ন করা যায় না।
তারা আরও বলেন, নারিকেল দ্বীপে লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। আজকে নারিকেল দ্বীপ নিয়ে যদি ষড়যন্ত্র করা হয় তাহলে লাখ লাখ মানুষ বেকার হয়ে যাবে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ২ বছর যাবত বাংলাদেশের রাজনীতিতে বহুল উচ্চারিত শব্দ হলো নারিকেল দ্বীপ। কয়েকমাস আগে শেখ হাসিনা বলেছিলেন যে, যুক্তরাষ্ট্র নারিকেল দ্বীপটাকে দখল করতে চায় বলেই তাদের সরকারের উপর চাপ তৈরি করছে। আবার ক্ষমতাচ্যুত হয়ে শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর বলেছেন: নারিকেল দ্বীপকে আমেরিকার হাতে তুলে দিলে তিনি ক্ষমতায় থাকতে পারতেন। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কেবলমাত্র এই নারিকেল দ্বীপটাকে দখল করার জন্য শেখ হাসিনা সরকারকে সরিয়ে দিয়ে আমেরিকা তাদের পুতুল ড. ইউনুসকে বাংলাদেশের ক্ষমতায় বসিয়েছে। আবার ড. ইউনুস ক্ষমতায় আসার পর তার কাছের লোকজন বলা শুরু করেছে যে, নারিকেল দ্বীপটার আয়তন এতো ছোট যে এখানে সামরিক ঘাঁটি তৈরি করা সম্ভব নয়। এদিকে নারিকেল দ্বীপে পর্যটকদের যাওয়া নিষেধ করছে ইউনুস সরকার।
কেনো ভূ রাজনৈতিক ভাবে এ দ্বীপ ভীষণভাবে গুরুত্বপূর্ণ?
কারণ এ দ্বীপটার অবস্থান মালাক্কা প্রণালীর একেবারে কাছাকাছি। মালাক্কা প্রণালী বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চোখ পয়েন্টগুলোর মধ্যে একটা। যে প্রণালীর মধ্যে দিয়ে প্রতি বছর প্রায় ৯৪ হাজার জাহাজ আসা যাওয়া করে এবং বিশ্ব বাণিজ্যের প্রায় ৩০ শতাংশ এই মালাক্কা প্রণালীর মধ্যে দিয়েই যায়। স্বাভাবিক ভাবেই যে দেশের সেনাবাহিনী এ প্রণালীর আশেপাশে মোতায়েন থাকবে এ পয়েন্টের উপর সে দেশের প্রভাব ততবেশি থাকবে এবং সেই দেশ যদি এই চোখ পয়েন্টটাকে বন্ধ করে দেয় তবে বৈদেশিক ব্যবসা বাণিজ্য কিন্তু যে কোনো সময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে। বলা বাহুল্য, চীন দেশের সব বাণিজ্যিক জাহাজ কিন্তু এই মালাক্কা প্রণালীর মধ্য দিয়েই যাতায়াত করে থাকে। তাই নারিকেল দ্বীপের মতো দ্বীপে যদি আমেরিকার সেনা মোতায়েন হয় তাহলে চীন কিন্তু ভীষণভাবে চাপে পড়ে যাবে।
ইতিমধ্যে ভারত এই মালাক্কা প্রণালীকে ব্লক করার জন্য নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে একটি মিলিটারী বেজ বানিয়েছে আর তাই চীন নতুন বাণিজ্য পথ তৈরি করার জন্য মালাক্কা প্রণালীকে এড়িয়ে মায়ানমারের কিউ উপ ফিউয়ে গভীর সমুদ্রবন্দর তৈরি করছে। এই বন্দরটি মায়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলে বঙ্গোপসাগরের উপকূলের রাখাইন রাজ্যে অবস্থিত। এই বন্দর তৈরি হয়ে গেলে মালাক্কা প্রণালী এড়িয়ে এই পথে চীনের সমুদ্র বাণিজ্য চলবে। মায়ানমারের কোকো আইল্যান্ড ইতিমধ্যেই চীন লীজে নিয়েছে এবং চীন এখানে নজরদারী করারও ব্যবস্থা করেছে। এই কোকো দ্বীপ থেকে মাত্র ৪৫ কিলোমিটার দুরে অবস্থিত ভারতের আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে যে ভারতীয় সেনা ঘাঁটি রয়েছে তার উপর চীন নজর রাখতে পারে।
এদিকে রাশিয়া বঙ্গোপসাগরের ডেওই ডীপ সি পোর্ট তৈরি করার জন্য মায়ানমারের সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। অতএব বঙ্গোপসাগরে ভারতের একাধিক বন্দর রয়েছে, চীনের বন্দর রয়েছে ও রাশিয়াও বঙ্গোপসাগরে সমুদ্র বন্দর তৈরি করছে অথচ সুপার পাওয়ারখ্যাত আমেরিকার কোনো ঘাঁটি আজও বঙ্গোপসাগরে তৈরি করতে পারেনি। তাই বাংলাদেশের নারিকেল দ্বীপ হচ্ছে আমেরিকার কাছে খড়কুটোর মতো যা আমেরিকা কোনোভাবেই হাতছাড়া করতে চাইছে না। নারিকেল দ্বীপকে নিজেদের দখলে নিতে আমেরিকা মরিয়া হয়ে চেষ্টা করছে।
ড. ইউনুস ক্ষমতায় আসার পর পরিবেশের দোহাই দিয়ে নারিকেল দ্বীপে পর্যটকের সংখ্যা কম করে দিয়েছে। এতে করে প্রশ্ন উঠেছে এতো জায়গা থাকতে কেনো ড. ইউনুসের সরকার নারিকেল দ্বীপের পরিবেশ নিয়ে চিন্তিত হচ্ছে! তাহলে কি সময় নিয়ে ধীরে ধীরে আমেরিকার হাতে নারিকেল দ্বীপকে তুলে দেওয়া হবে?
সবার নজর অন্যদিকে ঘুরানোর জন্য ইউনুস সরকার বলছে, এই দ্বীপটা খুব ছোট একটা দ্বীপ তাই এখানে সামরিক ঘাঁটি বানানো সম্ভব নয় তাই আমেরিকা নারিকেল দ্বীপকে দখল করার প্রশ্নই আসে না।
আসল প্রশ্ন হচ্ছে এখানে কি আসলেই সামরিক ঘাঁটি করা সম্ভব?
যদিও ইউনুস সরকারের ঘনিষ্টরা বলছে, এই দ্বীপে সামরিক ঘাঁটি করা সম্ভব না তবে আসল কথা হলো এ দ্বীপের তিন দিকে ভীত শীলা আছে অর্থাৎ বেজমেন্ট আছে যা জোয়ারের সময় তলিয়ে যায় এবং ভাটার সময় জেগে উঠে তাই এগুলো যদি ধরা হয় তখন এ দ্বীপের আয়তন হবে ১৫ বর্গ কিলোমিটারের মতো। এখন আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে যদি সামুদ্রিক প্রবাল, পাথর, বালি এবং কিছু রাসায়নিক মিশ্রণকে ফেলা হয় এ সমুদ্রের পানিতে তাহলে এর বেজমেন্ট অর্থাৎ বর্তমান আয়তনকে ৩ থেকে ৪ গুণ পর্যন্ত বাড়িয়ে ফেলা সম্ভব। তখন এ দ্বীপের আয়তন ১৫ বর্গ কিলোমিটার থেকে বাড়িয়ে অনায়াসে ৪৫ থেকে ৫০ বর্গকিলোমিটার করে ফেলা সম্ভব। ইতিমধ্যে এ প্রযুক্তি দুবাইয়ে ব্যবহৃত হয়েছে এমনকি আমেরিকা, চীন, রাশিয়া ও ভারতের কাছেও এ প্রযুক্তি রয়েছে।
অর্থাৎ আয়তনে ছোট বলে নারিকেল দ্বীপে সামরিক ঘাঁটি তৈরি করা সম্ভব নয়; এ কথাটি সম্পূর্ণ ভ্রান্ত কথা। আমেরিকার কাছে যে প্রযুক্তি আছে সেটা দিয়ে এ দ্বীপের বেজমেন্টে অনায়াসে ৫০ বর্গ কিলোমিটারের একটি কৃত্রিম দ্বীপ তৈরি করা অসম্ভব নয়।
(ইনশাআল্লাহ চলবে)
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার রোবে, দোয়ার বরকতে- কুদরতীভাবে কমে যাচ্ছে ডলারের আধিপত্য বাংলাদেশের রিজার্ভ ডলারে রাখা উচিৎ নয়- এতে লাভ আমেরিকার মুসলিম বিশ্বে অভিন্ন মুদ্রা ব্যবস্থা বিশেষত মূল্যহীন কাগজী মুদ্রা বাদ দিয়ে সুন্নতী দিনার-দিরহাম মুদ্রা চালু করা দরকার ইনশাআল্লাহ (প্রথম পর্ব)
১২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
খাদ্যদ্রব্যে অতিরিক্ত ভেজাল মিশ্রণে হুমকির মুখে ৪৫ কোটি মানুষ। ভেজাল খাবারে দেশব্যাপী চলছে নীরব গণহত্যা। ভেজাল দমনে সম্মানিত ইসলামী মূল্যবোধের প্রতিফলন ঘটাতে হবে।
১১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রসঙ্গ: শিশুদের জন্য ইন্টারনেট নিরাপদ করতে প্যারেন্টাল কন্ট্রোল গাইড লাইন তৈরি করছে সরকার নিয়ন্ত্রনহীন ইন্টারনেট জগতে প্রবেশ করে অশ্লীলতা, হিংস্রতা ও অপসংস্কৃতিতে লিপ্ত হচ্ছে শিশু কিশোররা সরকারের উচিত হবে এই গাইডলাইনে দীর্ঘসূত্রিতা না রেখে তা ত্বরিৎ বাস্তবায়ন করা।
১০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
বিশ্বব্যাপী হালাল পণ্যের বাজার ৪০ ট্রিলিয়ন ডলার। সুবিশাল এই বাজারে প্রবেশে অনেকটাই ব্যর্থ বাংলাদেশ। মান নিয়ন্ত্রণ এবং উন্নত পণ্য ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশও এই সুবিশাল বাজার ধরতে পারে সরকারের উচিত- হালাল পণ্য উৎপাদন রফতানিতে প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করা এবং মুসলিম বিশ্বের বাজার ধরতে কুটনৈতিক তৎপরতা চালানো।
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
চিকিৎসকের ভুল নির্ধারণ এবং শাস্তি প্রয়োগে বাংলাদেশের প্রচলিত আইন সম্পূর্ণই ব্যর্থ তন্ত্র-মন্ত্রের ভাবধারায় আইন প্রণয়ন যেমন সঠিক ও ভারসাম্যপূর্ণ হয়নি তেমনি প্রয়োগও স্বচ্ছ হয় না কেবলমাত্র খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পরিক্রমায়ই রোগী-চিকিৎসক সুসম্পর্ক এবং উত্তম চিকিৎসা সম্ভব ইনশাআল্লাহ!
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সংবিধান, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য বিরোধী আপত্তিকর শব্দ প্রকাশের বিপরীতে মহান আল্লাহ পাক উনার ‘কুদরত’ ও ‘রহমত’ এ ছিফত মুবারক দ্বয়ের ব্যাপক প্রচলন ঘটাতে হবে
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
শতবর্ষ আগের ঐতিহ্যবাহী হেজাজ রেলওয়ে এখনও টিকে আছে জর্ডানে বিশ্বের মুসলমানদের একত্রিত করার উদ্দেশ্যে তৈরি হয়েছিল ‘দ্য হেজাজ রেলওয়ে’ নামে এই রেলপথ হেজাজ রেলওয়ে পূণর্জ্জীবিত করলে এর মাধ্যমে মুসলিম বিশ্বকে এক সূতায় বাধা সম্ভব সম্ভব মুসলিম বিশ্বের নিজস্ব বাণিজ্য, অর্থনীতি, সমরনীতি সমৃদ্ধ করে নতুন সোনালী অধ্যায়ের সূচনা ইনশাআল্লাহ!
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাগরের বুকে তৈরি হচ্ছে নতুন বাংলাদেশ অনেক বেড়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের আয়তন খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পরিক্রমায় চললে বাংলাদেশ এত বড় হতে পারে যে বর্তমান ৪০ থেকে ৫০ কোটি জনসংখ্যার পরও বাংলাদেশেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে কাজের জন্য লোক আসবে ইনশাআল্লাহ!
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
৯০ হাজার হরিণ থাকার কথা যে নিঝুম দ্বীপে প্রতিকূল পরিবেশে সে দ্বীপে এখন হরিণ সংখ্যা মাত্র ৫ হাজার কিন্তু নারিকেল দ্বীপের কুকুর প্রেমীরা এক্ষেত্রে নির্বিকার ভয়াবহ বায়ু দূষণসহ নানা দূষণে ৩ কোটি লোকের ঢাকা বসবাসের জন্য চরম ঝুকিপূর্ণ কিন্তু তথাকথিত পরিবেশবাদীরা নিশ্চুপ! ওরা মূলত: পশু প্রেমী না শুধুই কুকুর প্রেমী, পরিবেশবাদী না শুধুই নারিকেল দ্বীপ ষড়যন্ত্রী!
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
বাংলাদেশীদের টাকায় খেয়ে পড়ে বাঁচে যে কলকাতা তারাই দিলো- বাংলাদেশীদের চিকিৎসা না করার ভাওতাবাজি ঘোষণা গণমাধ্যমে এসেছে ও আসছে বাংলাদেশীরা না যাওয়ায় সব সেক্টরে ওদের মরনাপন্ন অবস্থা প্রতিবছর ভারতের মেডিক্যাল টুরিজম প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রচারণার কবলে পড়ে বাংলাদেশীদের কাছ থেকে ওরা লুটে নেয় ১০ হাজার কোটি টাকা ভারতের দোসর সরকারের পতনের পর এ বিষয়ে দেশবাসীসহ সরকারকে সক্রিয় হতে হবে। ইনশাআল্লাহ!
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পবিত্র দ্বীন ইসলাম অন্যান্য ধর্মের সাথে সমমর্যাদার ভিত্তিতে সহাবস্থানে থাকতে পারে না। পবিত্র দ্বীন ইসলাম কখনোই কথিত ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’র অধীন হতে পারে না।
০২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
প্রসঙ্গঃ সম্মানিতা হুর, গেলমানের আলোচনায় কুণ্ঠা। তার বিপরীতে অশ্লীল শব্দ আওড়াতে স্বতঃস্ফূর্ততা হুর, গেলমান লাভের মানসিকতা পোষণের পরিবর্তে বিবস্ত্রপনায় বিপর্যস্থ হওয়া তথা চরিত্রহীনতায় পর্যবসিত হওয়া। নাঊযুবিল্লাহ!
০১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)