মন্তব্য কলাম
৯৮ ভাগ মুসলমানের দেশে মুসলমানের সংজ্ঞা কতজন মুসলমান জানে? প্রকৃত মুসলমান না হয়ে শুধু বাহ্যিক মুসলমান দাবি কী অন্যায় নয়? মুসলমান মাত্রই পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে পরিপূর্ণভাবে প্রবেশ করতে হবে।
, ০৩ রবীউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০৯ খ্বমিস , ১৩৯২ শামসী সন , ০৭ অক্টোবর , ২০২৪ খ্রি:, ২২ আশ্বিন, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) মন্তব্য কলাম

সরকারি হিসেবে দেশের মুসলমানের সংখ্যা নব্বইভাগ বলা হলেও প্রকৃতপক্ষে মুসলমানের সংখ্যা ৯৮ ভাগ। অর্থাৎ ৩০ কোটির অধিক জনসংখ্যার মধ্যে দেশে সাড়ে ২৯ কোটির বেশি লোক মুসলমান।
তারা পবিত্র ঈদ পালন করেন। মুসলমান নাম ধারণ করেন। মুসলমান হিসেবে বাঁচেন। কিন্তু মুসলমানের অনুভূতি তাদের মধ্যে নেই। মুসলমানের দায়বোধ বা কর্তব্যবোধ নেই। মুসলমানের মর্যাদাবোধ নেই। মুসলমানের সংজ্ঞা জানা নেই।
মুসলমান হিসেবে সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার সীমারেখা জানা নেই। সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার পালনের আবশ্যকতাবোধ নেই। হালাল হারামের ইলম নেই। প্রতিটি কাজে নেকী-বদীর অনুভব নেই। জাহান্নামের ভয় নেই। জান্নাত উনার আকাঙ্খা নেই। আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার পূত-পবিত্র হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্পর্কিত বিন্দুমাত্র ইলম নেই। উনাদের নিসবত-তায়াল্লুক মুবারক নেই। তায়াল্লুক মুবারক অর্জনের ইলম ও অনুভূতি কোনোটাই নেই। বর্তমান যামানায় আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্পর্কেও কোনো ধারণা নেই। যামানার ইমাম ও মুজাদ্দিদ তথা সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার ও উনার সম্মানিত হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্পর্কেও সম্যক উপলব্ধি নেই।
অথচ পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “যে যামানার ইমাম উনাকে চিনলো না সে যেন জাহিলিয়াতের মধ্যে মারা গেল। ” নাঊযুবিল্লাহ!
মূলত, মুসলমানদের মৃত্যু পরবর্তী জীবনই যে আসল জীবন, সে চেতনা আজ কিছুই নেই। মুসলমান মিথ্যা বলতে পারে না। মুসলমান হারাম খেতে পারে না। মুসলমান দুর্নীতি করতে পারে না। মুসলমান মুনাফাখোরী হতে পারে না। সিন্ডিকেট করতে পারে না। মুসলমান শ্রমিককে ঠকাতে পারে না। গার্মেন্টসের শ্রমিকদের ফাঁকি দিতে পারে না। মুসলমান আমানত খিয়ানতকারী হতে পারে না। মুসলমান হিসেবে এসব দায়বোধ আজ শূন্যের কোঠায়।
বিপরীত দিকে মুসলমান মাত্রই সত্যবাদী। মুসলমান ইহসানকারী। মুসলমান ভ্রাতৃত্ববন্ধনে বিশ্বাসী। মুসলমান পরোপকারে নিবেদিত। মুসলমান ইয়াতীম, শিশু, মহিলার কল্যাণে উজ্জীবিত। এসব ইসলামী মূল্যবোধ আজ মুসলমানের অন্তর থেকে তিরোহিত। নাঊযুবিল্লাহ!
পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার নাম দিয়ে যারা রাজনৈতিক ফায়দা হাছিল করতে চায়; তাদের প্রতি আমাদের ধিক্কার আছে। কিন্তু মুসলমান নাম ধারণ করে যদি সম্মানিত ইসলামী অনুভব ও আমল না থাকে তাহলেও কী তা ধিক্কারের বিষয় নয়? মুসলমান পরিচয় এত সস্তা নয়! হাক্বীক্বী মুসলমান অর্থ মু’মিন হওয়া। এজন্য পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “তোমরা বলো যে- তোমরা আত্মসমর্পণ করেছো কিন্তু তোমরা মু’মিন হওনি। ”
এজন্য পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “হে ঈমানদারগণ তোমরা পরিপূর্ণভাবে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে প্রবেশ করো। ”
পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে পরিপূর্ণভাবে প্রবেশ করার অর্থ সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত পরিপূর্ণভাবে পালন করা। হারাম গান-বাজনা, ছবি, খেলাধুলা, বেপর্দা-বেহায়া ইত্যাদি থেকে বিরত থাকা। পক্ষান্তরে মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র হাত মুবারকে বাইয়াত হওয়া, সুন্নতী পোশাক পরা, যিকির-আযকার করা, তায়াল্লুক নিসবত হাছিল করা। এটাই হচ্ছে মুসলমানের পরিচয়।
কিন্তু মুসলমান আজ মুসলমানের পরিচয় ভুলে যাচ্ছে। বাস্তবে হাইব্রিড শস্যাদিকে যেমন মানুষ আসল শস্য বলছে না। কিন্তু হাইব্রিড শস্য ফলেও প্রচুর আর আকারেও বড়; কিন্তু স্বাদে মাকাল। ঠিক আজ মুসলমান ঘরে ঘরে। মুসলমান চারদিকে। কিন্তু আসল মুসলমান কয়জন?
প্রসঙ্গত, ভুয়া ডাক্তার, ভুয়া শিক্ষক, ভুয়া সাংবাদিক, ভুয়া র্যাব, ভুয়া পুলিশ আমাদের সমাজে চিহ্নিত হয়। পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয় এবং আইনে তাদের শাস্তিও হয়। কারণ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তারা যোগ্যতাধারী না হয়েও তারা সে পরিচয় জ্ঞাপনকারী। যদি তাই হয়, তাহলে হক্কানী মুসলমান না হয়েও নিজেকে মুসলমান ভাবা বা সমাজে মুসলমান পরিচয় দেয়া কী অপরাধের বিষয় নয়?
পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “তোমাদের কেউ ততক্ষণ পর্যন্ত ঈমানদার হতে পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত মহান আল্লাহ পাক ও উনার প্রিয় রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের ফায়ছালা অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে পরিপূর্ণরূপে এবং সন্তুষ্ট চিত্তে মেনে না নিবে। ”
যদি তাই হয়ে থাকে, তাহলে আধুনিকতার নামে, প্রগতির নামে ৯৮ ভাগ মুসলমানদের দেশে হারাম গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, ব্রিটিশ ফৌজধারী ও দেওয়ানী দ-বিধি, সুদী অর্থব্যবস্থা, দ্বীনবিহীন শিক্ষাব্যবস্থা ইত্যাদি কিছুই চলতে পারে না। কারণ মুসলমান তা গ্রহণ করতে পারে না। বরদাশত করতে পারে না। মুসলমান হিসেবে এখানে আমাদের প্রতিবাদকারী ও প্রতিহতকারী হতে হয়। কিন্তু আজ সারাদেশ হারামে সয়লাব হলেও মুসলমানের মধ্যে কোনো বিকার নেই। কোনো প্রতিবাদী চেতনা নেই। প্রতিহতের জজবা নেই। অথচ পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “তোমরাই হলে সর্বোত্তম উম্মত, মানবজাতির কল্যাণের জন্যেই তোমাদের উদ্ভব ঘটানো হয়েছে। তোমরা সৎকাজের নির্দেশ দান করবে ও অন্যায় কাজে বাধা দেবে এবং মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতি ঈমান আনবে। ”
প্রতিভাত হচ্ছে, সৎকাজের নির্দেশ দেয়া ও অন্যায় কাজে বাধা দেয়া ঈমানদার তথা মুসলমান হওয়ার শর্ত। কাজেই আজ মুসলমান কতটুকু মুসলমান আছে সেটা জ্বলন্ত প্রশ্ন? মনে রাখতে হবে ‘মুসলমান’ অতি উচ্চাঙ্গের শব্দ। অতি মর্যাদাপূর্ণ শব্দ। মুসলমান সব সদগুণাবলীর শব্দ। সব অন্যায় পরিত্যাগের শব্দ। পরিপূর্ণভাবে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে প্রবেশের শব্দ।
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “হে ঈমানদারগণ! তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করার মতো ভয় করো। এবং তোমরা পরিপূর্ণ মুসলমান না হয়ে ইন্তিকাল করো না। ”
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সাংবিধানিক কাঠামোর সাথে সাংঘর্ষিক উপায়ে এবং এনবিআরের সাংগঠনিক স্বাতন্ত্র্য ও পেশাগত স্বকীয়তাকে অস্বীকার করে, রাষ্ট্রের অর্থনীতির মূল কাঠামো বিনষ্ট করে রাজস্ব আহরণের প্রক্রিয়াকে ধ্বংসের মুখোমুখি করে- এনবিআরকে ২ ভাগ করা হয়েছে মুসলিম দেশ সমূহের চির শত্রু আইএমএফ প্রস্তাবিত সংস্কারেই এমনটি করা হয়েছে কর্মকর্তাদের মতামত, সমালোচনা এবং গভীর অসন্তুষ্টির কোনো তোয়াক্কা না করেই ইউনুস হাসিনার পথে হেটেই স্বৈরাচারী কর্মকা- প্রকাশ করছে
১৯ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
রাষ্ট্রীয় আইন এবং সরকারী প্রচেষ্টায় স্বাধীনতা উত্তর আজ পর্যন্ত মজুদদারি, মুনাফাখোরী, দুর্নীতি, মাদক, অবক্ষয় দূর হয়নি আর দূর হবেও না। এসবে ব্যর্থ প্রশাসনকে তাই সফলতার জন্য দ্বীন ইসলাম উনার আলোকে আহবান আর সতর্কীকরণের কাছেই সমর্পিত হতে হবে। ইনশাআল্লাহ! ইসলামী মূল্যবোধের উজ্জীবন ঘটাতে হবে। ইনশাআল্লাহ!
১৮ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মুসলমানকে ‘মুসলমানিত্ব’ বুঝতে হবে। ‘আশহাদু আন্না মুহম্মাদার রসূলুল্লাহ’ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাক্বীক্বীভাবে বলতে হবে ও আমলে আনতে হবে।
১৭ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সমাজের স্রোত বা সময়ের সাথে আপোসকারীরা উলামায়ে হক্ব নয়। ইসলামী আহকাম ও আন্দোলন পদ্ধতি সময়ের সাথে পরিবর্তিত হয় না। ইবনুল ওয়াক্ত নয়; কেবলমাত্র আবুল ওয়াক্ত উনারাই পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার ত্রাণকর্তা ও অনুসরণীয়।
১৬ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সীমান্তে বিএসএফের পুশইন চলছেই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, আইজিপি, বিজিবি মহাপরিচালক- সবার কণ্ঠে কেবলই নরম সুর। নেই শক্ত ও কঠোর প্রতিবাদ। নেই বীরোচিত পদক্ষেপ।
১৫ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি এবং উনার অনবদ্য তাজদীদ ‘আত-তাক্বউইমুশ শামসী’ সম্পর্কে জানা ও পালন করা এবং শুকরিয়া আদায় করা মুসলমানদের জন্য ফরয। মুসলমান আর কতকাল গাফিল ও জাহিল থাকবে?
১৪ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ইহুদী-নাছারাদের ষড়যন্ত্রে পড়েই দুনিয়াদার মালানারা বেহেশত-দোযখের ওয়াজ বাদ দিয়েছে। পর্নোগ্রাফি, মাদক থেকে যুব সমাজকে বাঁচাতে চাইলে বেহেশত-দোযখের ওয়াজও বেশি বেশি করতে হবে।
১৩ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
প্রতিবছর বেকার হয় ১০ লাখ তরুণ প্রতিবছর শ্রমবাজারে তথা ক্ষুদ্র ব্যবসায় প্রবেশ করে ২৪ লাখ তরুণ। প্রতি বছর সরকারী চাকুরীতে প্রবেশ করে ১ লাখেরও কম সরকারী চাকুরীতে কোটা বাতিলের জন্য উপদেষ্টা সরকার গঠন হলো। আর সে উপদেষ্টা সরকার ৩৪ লাখ কর্মজীবির আশ্রয়স্থল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তথা ব্যবসাকে অন্তর্বর্তী সরকার দিন দিন অন্তরহীন করে যাচ্ছে।
১২ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
শুধু যুবকরাই নয় এখন ক্ষতিকারক এনার্জি ড্রিংকসে বুদ হচ্ছে শিশুরাও কর ফাঁকি দিতে অনেক এনার্জি ড্রিংকস হয়ে যাচ্ছে কোমল পানীয় জনস্বাস্থ্য রক্ষা করতে অবিলম্বে এনার্জি ড্রিংকস বন্ধ করতে হবে
১১ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ফারাক্কা বাঁধের পঞ্চাশ বছর পূর্ণ হল বিভিন্ন বাঁধ, ব্যারেজ আর ড্যাম তৈরী করে বাংলাদেশকে পানিশুন্য করার জোরদার পাঁয়তারা করছে ভারত মরণ ফাঁদ ফারাক্কার বিরুদ্ধে তীব্র জনমত ও জাতীয় ঐক্য তৈরী করে ফারাক্কা বাঁধ ভেঙ্গে ফেলার জন্য কার্যকর কর্মপন্থা গ্রহণ করতে হবে। ইনশাআল্লাহ!
১০ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পর্যটক নিষিদ্ধের পর এখন চলছে- খোদ নারিকেল দ্বীপ বাসীকে উৎখাতের গভীর এবং নির্মম ও নিষ্ঠুর ষড়যন্ত্র। চালানো হচ্ছে ক্ষুধার মারনাস্ত্র। তৈরী করা হচ্ছে দুর্ভিক্ষ এবং কুকুরের অভয়ারণ্য।
০৯ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
গত ৩রা মে হেফাজতের সমাবেশে ব্লাসফেমী আইন চাওয়া হয়েছে ব্লাসফেমী আইন- ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে বৈধতা বিচার ও একটি অর্šÍভেদী বিশ্লেষণ (২য় পর্ব)
০৮ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)