সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়াদ শরীফ
‘আপনার ফতওয়ার উপরে কারো ফতওয়া দেওয়ার কোনো অধিকার নেই’
, ১১ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৮ রবি , ১৩৯২ শামসী সন , ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ৩১ ভাদ্র , ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ১৪৪৫ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৭শে রজবুল হারাম শরীফ লাইলাতুল জুমু‘আহ্ শরীফ (খমীস দিবাগত জুমুয়াবার রাত) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “ইদানিং কালে দেখা গেছে অতীতের অনেক আওলিয়ায়ে কিরাম, চেনা-অচেনা, জানা-অজানা উনারা অনেকে আসেন, ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করেন। কয়েকদিন আগে হযরত আব্দুল হক্ব মুহাদ্দিছ দেহলবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি এসেছিলেন। উনি কয়েক দিন ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করেছেন।
উনি তো অনেক বড় ওলীআল্লাহ, বুযূর্গ, আলেম। ক্বাদরিয়াহ্ খান্দানের খলীফা আবার হযরত মুজাদ্দীদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনারও খলীফা। উনি প্রতিদিন পবিত্র ছলাতুল ইশা উনার নামায পড়ে মুরাকাবায় বসে চোখের পলকে হিন্দুস্থান থেকে সুদূর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ-এ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছোহবত মুবারক-এ চলে যেতেন এবং ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করতেন।
উনি কয়েকদিন এখানে থাকলেন, ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করলেন। একদিন আমি উনাকে ডাকলাম, ‘এদিকে আসেন। ’ উনি কাছে আসলেন। আমি উনাকে একটা মাসয়ালা জিজ্ঞাসা করলাম। উনি তো বড় মুফতী, মুহাদ্দিছ, অনেক কিছু, আলেম, ফক্বীহ্, ওলীআল্লাহ। আমি বললাম যে, ‘দেখেন- আমরা ফতওয়া দেই। কি ফতওয়া দেই? আমরা ফতওয়া দেই- বর্তমানে হজ্জ করা নাজায়িয। আপনি তো মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ-এ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ-এ ছিলেন। তখন তো আর ক্যামেরা ছিলো না। ’ বললেন- ‘হ্যাঁ। ’ স্বীকার করলেন উনি চুপ করে। অত্যন্ত আদবের সাথেই উনি সম্মতি প্রকাশ করেছেন। যাই হোক। আমি বললাম যে, ‘এই ব্যাপারে আপনি কী বলেন? আমরা তো ফতওয়া দেই যে, হজ্জ করা এখন জায়েয নেই, হারাম। কারণ হাজার হাজার ছবি তুলতে হয়। ওখানে কুফরী কাজ করতে হয়। বেপর্দা হতে হয়। ’ তখন উনি চুপ থাকলেন। এরপর অত্যন্ত আদবের সাথে উনি এটা সম্মতি প্রকাশ করলেন। উনি বললেন যে, ‘হ্যাঁ; এই ফতওয়াটাই সঠিক এবং আপনার ফতওয়ার উপরে কারো ফতওয়া দেওয়ার কোনো অধিকার নেই। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহি সালাম!) আপনি যেই ফতওয়া দিয়েছেন এটাই সঠিক। এর উপরে কারো ফতওয়া দেওয়ার কোনো অধিকার নেই। ’ (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহি সালাম!)
বুঝতে পারলে? যা শুনবে, সে অনুযায়ী আমল করবে। এটা মনে রাখবে।
তোমরা বুঝতে পারো না; কিন্তু অনেকে নফসের কারণে অনেক কিছু করে। এটা কিন্তু মূল বিষয় না। নফসকে নিয়ন্ত্রণ করাই হচ্ছে মূল বিষয়। মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,
اَلْكَـيِّسُ مَنْ دَانَ نَفْسَهٗ وَعَمِلَ لِمَا بَعْدَ الْمَوْتِ. وَالْعَاجِزُ مَنْ اَتْبَعَ نَفْسَهٗ هَوَاهَا وَتَـمَنّٰـى عَلَى اللهِ
‘জ্ঞানী ওই ব্যক্তি যে নফসকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং পরকালের আমল করে। আর নির্বোধ, মূর্খ, নাদান ঐ ব্যক্তি যে নফসের পায়রবী করে আর মনে করে অনেক কিছু হাছিল করবে। ” না‘ঊযুবিল্লাহ! (তিরমিযী শরীফ, ইবনে মাজাহ্ শরীফ, মিশকাত শরীফ)
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আল আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মানহানিকারীর একমাত্র শরঈ শাস্তি হচ্ছে ‘মৃত্যুদন্ড’ (৪)
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে ব্যবহৃত একখানা শব্দ মুবারক পবিত্র “নূরুল ফাতাহ” মুবারক উনার ব্যাপকতা ও বিশালতা
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারকে মানহানীকারীদের যুগে যুগে ভয়াবহ পরিণতি (৩১)
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (৩৭)
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মানহানিকারীর একমাত্র শরঈ শাস্তি হচ্ছে ‘মৃত্যুদন্ড’ (৩)
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্মানিত সম্বোধন মুবারক করার বিষয়ে কতিপয় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লফ্য বা পরিভাষা মুবারক
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মেহমানদারী করার মাধ্যমে উদযাপনে শাফায়াত মুবারক লাভ
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (৩৬)
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মানহানিকারীর একমাত্র শরঈ শাস্তি হচ্ছে ‘মৃত্যুদন্ড’ (২)
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্মানিত সম্বোধন মুবারক করার বিষয়ে কতিপয় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লফ্য বা পরিভাষা মুবারক
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা সারা কায়িনাত (৩৫)
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মানহানিকারীর একমাত্র শরঈ শাস্তি হচ্ছে ‘মৃত্যুদন্ড’ (১)
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)












