মন্তব্য কলাম
‘ইসলামভীতি মোকাবেলায় জাতিসংঘে প্রস্তাব পাস’ হলেও কার্যকরী কিছুই হচ্ছে না ইসরাইলকে সহযোগিতা করতে আমেরিকায় ইসলামোফোবিয়ার বিস্তার আরো বাড়ানো হচ্ছে
, ০৭ রবীউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১২ খ্বমিস , ১৩৯২ শামসী সন , ১১ অক্টোবর , ২০২৪ খ্রি:, ২৫ আশ্বিন, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) মন্তব্য কলাম

ইসলামোফোবিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের আন্তর্জাতিক দিবসে একটি ভোটাভুটির মাধ্যমে ‘ইসলামোফোবিয়া মোকাবেলার পদক্ষেপ’ শীর্ষক প্রস্তাবের পক্ষে ১১৫টি দেশ ভোট দিয়েছে।
তবে ভোটদানে বিরত ছিল ভারত, ব্রাজিল, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, ইউক্রেন, যুক্তরাষ্ট্রসহ ৪৪টি দেশ। প্রস্তাবের বিপক্ষে কোন দেশ ভোট দেয়নি।
পাকিস্তানের উদ্যোগে উত্থাপন করা এই খসড়া প্রস্তাবে সহযোগী দেশ হিসেবে ছিল চীন।
পশ্চিমে ‘ইসলামোফোবিয়া’ একটি একাডেমিক পাঠ-এর মর্যাদা পেয়েছে। সাধারণ্যে শব্দটির অর্থ ‘ইসলামভীতি’। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ইসলামভীতি’ বিষয়ে মিলিয়ন ডলারের মুল্যমানের গবেষণা প্রকল্পও রয়েছে। একদল মানুষ ‘ইসলামকে ভয় পাচ্ছে’ এবং ভীতসন্ত্রস্ত বলেই ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের আঘাত করছে- বিষয়টির ভাব-ভাবনা অনেকটাই এরকম। সাপ মানুষকে এমনি এমনি ছোবল দেয় না। সে ভয় পায় যে মানুষ তাকে আঘাত করবে। তাই সে ভয়ের চোটেই আসলে সে অগ্রিম ছোবল মেরে বসে। ‘ফোবিয়া’ প্রত্যয়টির মাঝে এই ধারণাটি বেশ ভালো রকমেই প্রচ্ছন্ন আছে। ‘ভীতি’ বা ‘ফোবিয়া’র এই বয়ানে মুসলমানদের আক্রমণ করতে পারার পেছনে যে খানিকটা যুক্তিও আছে সে রকম একটি যৌক্তিকতাদায়ী স্বরও (অ্যাপোলোজেটিক টোন) মেলে।
‘ইসলামোফোবিয়া’র সংজ্ঞায়ন যারা করেন, অথবা শব্দটি ব্যবহার করতেই বেশি পছন্দ করেন, তাদের একটি যুক্তি এই যে ‘ফোবিয়া’ শব্দটি বিদ্বেষের বিপজ্জনক মাত্রা নির্দেশ করে। ঘৃণাকারীর ইসলাম সম্পর্কে এক ধরনের বদ্ধমূল অপবিশ্বাস বা ভুল অনুধাবনকেও বুঝিয়ে থাকে। দিয়া কায়ালি দেখিয়েছেন প্রসঙ্গ ইসলামোফোবিয়া। যে এক ধরণের অনড় পূর্বসংস্কার ইসলামোফোবিয়ার বৈশিষ্ট্য। এ কারণে মুসলমানদের ঘৃণা করতে গিয়ে ইসলামোফোবসরা মুসলমান-অমুসলমান নির্বিশেষে সকল আরবকেই ঘৃণা করে বসে। এর প্রমাণ মিলেছিল টুইন টাওয়ার ধ্বংসের পর। মুসলমান ভেবে যাকে প্রথম হত্যা করা হয় তিনি ছিলেন একজন শিখ ধর্মাবলম্বী। এই ধর্মাবলম্বী গোষ্ঠীর অভিবাসীদের একটি বড় অংশই আক্রমণের শিকার হয়েছিলেন। অর্থাৎ, ইসলাম ধর্মানুসারীদের মতো পোশাক-আশাক-দেহসজ্জার যে কেউই ইসলামোফোবিয়ার শিকার হতে পারে।
ইসলামোফোবিয়া, ভয়, ঘৃণা, এবং ইসলাম বা সামগ্রিকভাবে ইসলাম ধর্মের অনুশীলনকারীদের বিরুদ্ধে বৈষম্য। বিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে ফরাসি সাহিত্যে এই শব্দটি "ইসলামোফোবি" হিসাবে আবির্ভূত হয়েছিল মুসলিম বিরোধী অনুভূতি এবং নীতির জন্য একটি উপাধি হিসাবে এবং ১৯৯০ এর দশকের শেষের দিকে ইংরেজিতে জনপ্রিয় হয়েছিল। ইসলামোফোবিয়া হল এক প্রকার জেনোফোবিয়া বা বিদেশী বা বিদেশী জিনিসের ভয়। কিছু প-িত যুক্তি দিয়েছেন যে এটিকে মুসলিম বিরোধী বর্ণবাদের সমার্থক হিসাবে বিবেচনা করা উচিত, যেহেতু পৃথক মুসলমানদের জীবনে ইসলামোফোবিয়ার প্রভাব এবং যারা ইসলামফোবিক দৃষ্টিভঙ্গি ধারণ করে তাদের মনোভাব বর্ণবাদের ফলে ঘনিষ্ঠভাবে তুলনীয় ।
ইসলাম এবং এর অনুসারীদের প্রতি নেতিবাচক মনোভাব ইসলামোফোবিয়া শব্দটির অস্তিত্বের পূর্বে। বিরূপ চিত্রণগুলি ইসলামের প্রায় প্রথম দিকেই আবির্ভূত হয়েছিল, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের লেখকদের কাছ থেকে যাদের ধর্মীয় (যেমন, খ্রিস্টান) বা রাজনৈতিক (যেমন, বাইজেন্টাইন) প্রতিষ্ঠানগুলি সমগ্র অঞ্চলে ইসলামী সমাজের বিস্তৃতির কারণে হুমকির সম্মুখীন হয়েছিল। অনেক ইতিহাসবিদ মধ্যযুগীয় ইউরোপে আধুনিক ইসলামোফোবিয়া দ্বারা উপস্থাপিত ইসলামের কাঠামোগত বিকৃতির সন্ধান করেছেন। তারা মধ্যযুগের ক্রুসেড, যখন খ্রিস্টান শাসকরা মুসলিম-শাসিত ভূমি এবং স্পেনের রিকনকুইস্তা জয় করতে চেয়েছিল, খ্রিস্টান রাজ্যগুলির একটি ধারাবাহিক অভিযান যা আইবেরিয়ানদের দখলে পরিণত হয়েছিল, উভয়ের উপর ভিত্তি করে মুসলিম বিরোধী মনোভাবের প্রমাণের দিকে ইঙ্গিত করে। ১৫ শতকের শেষের দিকে উপদ্বীপ। অনেক প-িত বিশ্বাস করে যে ইসলামোফোবিয়ার বিকাশের একটি মূল অনুঘটক ছিল স্প্যানিশ ইনকুইজিশনের সময় লিম্পিজা দে সাংরে (স্প্যানিশ: "রক্তের বিশুদ্ধতা") বিধি যা ইহুদি বা মুসলিম বংশধরদের সাথে বৈষম্যমূলক আচরণ করে, তারা খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত হোক না কেন। অবশেষে, ইউরোপে অটোমান সাম্রাজ্যের বিস্তৃতি (বিশেষত ১৬৮৩ সালে এর ভিয়েনা অবরোধ) সমষ্টিগত ইউরোপীয় চেতনায় ইসলামী জাতিগুলির সম্ভাব্য শক্তির বিষয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে বলে মনে করা হয়।
অটোমান সাম্রাজ্যের উত্থানের পর কয়েক শতাব্দীতে ইসলামোফোবিয়ার অনেক প্রকাশ ঘটেছে, বিশেষ করে ইউরোপীয় ও আমেরিকান বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে। ফিলিস্তিনি আমেরিকান প-িত এডওয়ার্ড সাইদ প্রাচ্যবাদ সম্পর্কে ব্যাপক সমালোচনা লিখেছেন, একটি পশ্চিমা শৃঙ্খলা যা পশ্চিমা বিশ্বের বাইরের সমাজের অধ্যয়নের জন্য নিবেদিত। সাঈদের মতে প্রাচ্যবিদ প-িতরা, ইসলামী বিশ্বের জটিল বুদ্ধিবৃত্তিক ঐতিহ্যকে ছোট করে এবং ইসলামী সমাজের একটি ধারণা প্রচার করেছিলেন যা ছিল আদিম ও বহিরাগত।
প্রায়শই অন্তর্নিহিত ইসলামোফোবিয়া হল বিশ্ব দৃষ্টিভঙ্গি যে ইসলাম একটি সমজাতীয় সভ্যতার প্রতিনিধিত্ব করে যা অগত্যা প্রতিকূল এবং সক্রিয়ভাবে পশ্চিমা সভ্যতা বা হিন্দু সভ্যতার মতো অন্যান্য পৃথক তথাকথিত সভ্যতাকে জয় করতে চায়। এটি প্রভাব বা শক্তির সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রগুলির একটি ঐতিহাসিক বৈশিষ্ট্য যা একে অপরের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা এবং অভ্যন্তরীণ বৈচিত্র্যের অভাব রয়েছে, স্থির আন্তঃসাংস্কৃতিক যোগাযোগ এবং বিনিময়ের বাস্তবতার বিপরীতে যা ইউরোপীয়, এশীয় এবং আফ্রিকান ইতিহাসকে চিহ্নিত করে, বিশেষ করে ভূমধ্যসাগরের চারপাশে। ইসলামের ইসলামফোবিক ধারণাগুলিও সাধারণত "মধ্যপ্রাচ্য"কে "মুসলিম" এর সাথে মিলিত করে যখন বাস্তবতা হল যে মধ্যপ্রাচ্যের অনেক বাসিন্দা মুসলিম নয় এবং বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ মধ্যপ্রাচ্যের বাইরে বসবাস করে।
১১ সেপ্টেম্বর, ২০০১ এর পর, হামলা, ইসলামফোবিয়া বিশ্বজুড়ে দ্রুত বৃদ্ধি পায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপে বসবাসকারী হাজার হাজার স্বতন্ত্র মুসলমান মৌখিক এবং শারীরিক আক্রমণের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। অনেক প-িত বিশ্বাসীভাবে যুক্তি দিয়েছেন যে ইসলামোফোবিক মনোভাব সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের একটি অবিচ্ছেদ্য উপাদান ছিল, হামলার প্রতিক্রিয়ায় আমেরিকার নেতৃত্বে সন্ত্রাসবিরোধী প্রচেষ্টা শুরু হয়েছিল।
১১ সেপ্টেম্বরের হামলার পর ইসলামোফোবিয়ার উত্থানকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপে সংগঠিত মুসলিম বিরোধী আন্দোলনের বৃদ্ধির একটি মূল কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। একুশ শতকের প্রথম দিকে কথিত সাংস্কৃতিক বা আইনী ইসলামিক দখল রোধ করার সুস্পষ্ট মিশন সহ কয়েক ডজন সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। অনেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কিছু রাজ্যে গৃহীত আইনগুলিকে চ্যাম্পিয়ান করে সফলতা পেয়েছেন যা আদালতকে ইসলামী আইন (শরিয়া) উল্লেখ করা নিষিদ্ধ করেছিল। এই আইনগুলি এই ধারণার উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে যে ইসলাম পশ্চিমা সভ্যতার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় এবং আমেরিকান সমাজের মধ্যে থেকে পশ্চিমা প্রতিষ্ঠানগুলিকে ধ্বংস করার চেষ্টাকারী শত্রু মুসলমানদের অস্তিত্বহীন হুমকির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য পাস করা হয়েছে।
প্রকৃতপক্ষে ইসলামোফোবিয়া শব্দের মাধ্যমে মুসলিম-বিদ্বেষের সাধারণীকরণ এবং ‘পলিটিক্যাল কারেক্টনেস’ দেখানোয় বিপদ রয়েছে। কারণ ‘ইসলামভীতি’ শব্দের আড়ালে বিদ্বেষ ও বৈষম্যের নানা মাত্রার বাস্তবতাকে এড়িয়ে যাওয়া যায়। অথচ, মুসলমানরা শুধুই একটি প্রকরণে ঘৃণা বা বিদ্বেষের বলি হয় না। স্থান-কাল-পাত্রভেদে কখনো ভীতি, কখনো ঘৃণা, কখনো বিদ্বেষ, কখনো অসুয়া ক্রিয়াশীল থাকে।
এ রকম দৃশ্যের দেখা মেলে ইসরায়েলে। দেখা মেলে বাংলাদেশে। ২০২১ সালের মে মাসে ইসরায়েলে নেতানিয়াহুও উগ্র ইহুদিবাদ এবং মুসলিমবিদ্বেষি ঘৃণা উস্কে দিয়ে নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে চেয়েছিলো। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা চলছিল। মামলা ও শাস্তি হতে বাঁচতে সে আবারও রাষ্ট্রের শীর্ষপদ আঁকড়ে থাকতে চাইলো। প্রমাণ করতে চাইলো ইসরায়েল নামের ইহুদি রাষ্ট্রটিকে ফিলিস্তিনের মুসলমানদের হাত থেকে রক্ষা করার ক্ষেত্রে তার চাইতে বেশি সক্ষম ও যোগ্য আর কেউই নেই। উদ্দেশ্যমূলকভাবে ফিলিস্তিনে আক্রমণ শুরু করলো। আগেও দফায় দফায় একই কৌশল ব্যবহার করেছিলো। সাফল্যও মিলেছিল।
একই কুটতৎপরতা নূতুন করে চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাক ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার যে দাবি করা হয় তা চরমভাবে লঙ্ঘন করে ইসলামবিদ্বেষ ছড়ানো হচ্ছে। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় চলমান এ প্রক্রিয়ার কারণে মার্কিন সরকারের প্রতি দেশটির তরুণ সমাজ আস্থা হারিয়েছে।
ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীকে এক অজ্ঞাত ব্যক্তি গুলি করে। অঙ্গরাজ্যের বার্লিংটন শহরের কাছে ওই তিন ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী গুলিবর্ষণের শিকার হন। হামলার শিকার ২০ বছর বয়সি ওই শিক্ষার্থীরা হলেন হিশাম আওয়ারতানি, কিন্নান আব্দাল হামিদ ও তাহসিন আলী আহমাদ। এরমধ্যে গুলিবর্ষণের ফলে হিশামের কোমর থেকে নীচের অংশ পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে যায়।
ওই তিন শিক্ষার্থী ফিলিস্তিনিদের পরিচয় প্রকাশকারী কিফায়া পরিধান করেছিলেন এবং তারা আরবি ভাষাভাষি ছিলেন বলে তারা ইসলামবিদ্বেষী হামলার শিকার হয়েছেন বলে জল্পনা জোরদার হয়।
ভারমন্টের মিডলবেরি কলেজ এই গুলিবর্ষণের ঘটনাকে ‘মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইসলামবিদ্বেষী তৎপরতা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যাওয়ার প্রমাণ’ বলে মন্তব্য করে।
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ডানে সেলফি বামে সেলফি, সেলফি সেলফি সেলফি উন্মাদনায় সমাজে ব্যাপকভাবে বেড়েছে হত্যা, আত্মহত্যা, সম্ভ্রমহরণ, সড়ক দুর্ঘটনাসহ নানা অপরাধ। বিভিন্ন দেশে সেলফি’র উপর নিষেধাজ্ঞা জারী করলেও বাংলাদেশে কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। সরকারের উচিত অপসংস্কৃতি এবং আত্মহত্যার মতো অপরাধ বন্ধ করতে অবিলম্বে সেলফি নিষিদ্ধ করা।
২১ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ভীনদেশী অ্যাপের ফাঁদে পড়ে বিপথে যাচ্ছে দেশের তরুণ প্রজন্ম। বাড়ছে নারীপাচার, দেশে বাড়ছে অশ্লীলতা ও পর্ণোগ্রাফির প্রচার। কিশোর-কিশোরীদের টার্গেট করেই একটি মহল এসব অপসংস্কৃতির প্রচার ও প্রসার ঘটাচ্ছে। এসব অপসংস্কৃতি নির্মূলে দ্বীন ইসলামই একমাত্র সমাধান।
২০ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাংবিধানিক কাঠামোর সাথে সাংঘর্ষিক উপায়ে এবং এনবিআরের সাংগঠনিক স্বাতন্ত্র্য ও পেশাগত স্বকীয়তাকে অস্বীকার করে, রাষ্ট্রের অর্থনীতির মূল কাঠামো বিনষ্ট করে রাজস্ব আহরণের প্রক্রিয়াকে ধ্বংসের মুখোমুখি করে- এনবিআরকে ২ ভাগ করা হয়েছে মুসলিম দেশ সমূহের চির শত্রু আইএমএফ প্রস্তাবিত সংস্কারেই এমনটি করা হয়েছে কর্মকর্তাদের মতামত, সমালোচনা এবং গভীর অসন্তুষ্টির কোনো তোয়াক্কা না করেই ইউনুস হাসিনার পথে হেটেই স্বৈরাচারী কর্মকা- প্রকাশ করছে
১৯ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
রাষ্ট্রীয় আইন এবং সরকারী প্রচেষ্টায় স্বাধীনতা উত্তর আজ পর্যন্ত মজুদদারি, মুনাফাখোরী, দুর্নীতি, মাদক, অবক্ষয় দূর হয়নি আর দূর হবেও না। এসবে ব্যর্থ প্রশাসনকে তাই সফলতার জন্য দ্বীন ইসলাম উনার আলোকে আহবান আর সতর্কীকরণের কাছেই সমর্পিত হতে হবে। ইনশাআল্লাহ! ইসলামী মূল্যবোধের উজ্জীবন ঘটাতে হবে। ইনশাআল্লাহ!
১৮ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মুসলমানকে ‘মুসলমানিত্ব’ বুঝতে হবে। ‘আশহাদু আন্না মুহম্মাদার রসূলুল্লাহ’ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাক্বীক্বীভাবে বলতে হবে ও আমলে আনতে হবে।
১৭ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সমাজের স্রোত বা সময়ের সাথে আপোসকারীরা উলামায়ে হক্ব নয়। ইসলামী আহকাম ও আন্দোলন পদ্ধতি সময়ের সাথে পরিবর্তিত হয় না। ইবনুল ওয়াক্ত নয়; কেবলমাত্র আবুল ওয়াক্ত উনারাই পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার ত্রাণকর্তা ও অনুসরণীয়।
১৬ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সীমান্তে বিএসএফের পুশইন চলছেই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, আইজিপি, বিজিবি মহাপরিচালক- সবার কণ্ঠে কেবলই নরম সুর। নেই শক্ত ও কঠোর প্রতিবাদ। নেই বীরোচিত পদক্ষেপ।
১৫ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি এবং উনার অনবদ্য তাজদীদ ‘আত-তাক্বউইমুশ শামসী’ সম্পর্কে জানা ও পালন করা এবং শুকরিয়া আদায় করা মুসলমানদের জন্য ফরয। মুসলমান আর কতকাল গাফিল ও জাহিল থাকবে?
১৪ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ইহুদী-নাছারাদের ষড়যন্ত্রে পড়েই দুনিয়াদার মালানারা বেহেশত-দোযখের ওয়াজ বাদ দিয়েছে। পর্নোগ্রাফি, মাদক থেকে যুব সমাজকে বাঁচাতে চাইলে বেহেশত-দোযখের ওয়াজও বেশি বেশি করতে হবে।
১৩ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
প্রতিবছর বেকার হয় ১০ লাখ তরুণ প্রতিবছর শ্রমবাজারে তথা ক্ষুদ্র ব্যবসায় প্রবেশ করে ২৪ লাখ তরুণ। প্রতি বছর সরকারী চাকুরীতে প্রবেশ করে ১ লাখেরও কম সরকারী চাকুরীতে কোটা বাতিলের জন্য উপদেষ্টা সরকার গঠন হলো। আর সে উপদেষ্টা সরকার ৩৪ লাখ কর্মজীবির আশ্রয়স্থল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তথা ব্যবসাকে অন্তর্বর্তী সরকার দিন দিন অন্তরহীন করে যাচ্ছে।
১২ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
শুধু যুবকরাই নয় এখন ক্ষতিকারক এনার্জি ড্রিংকসে বুদ হচ্ছে শিশুরাও কর ফাঁকি দিতে অনেক এনার্জি ড্রিংকস হয়ে যাচ্ছে কোমল পানীয় জনস্বাস্থ্য রক্ষা করতে অবিলম্বে এনার্জি ড্রিংকস বন্ধ করতে হবে
১১ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ফারাক্কা বাঁধের পঞ্চাশ বছর পূর্ণ হল বিভিন্ন বাঁধ, ব্যারেজ আর ড্যাম তৈরী করে বাংলাদেশকে পানিশুন্য করার জোরদার পাঁয়তারা করছে ভারত মরণ ফাঁদ ফারাক্কার বিরুদ্ধে তীব্র জনমত ও জাতীয় ঐক্য তৈরী করে ফারাক্কা বাঁধ ভেঙ্গে ফেলার জন্য কার্যকর কর্মপন্থা গ্রহণ করতে হবে। ইনশাআল্লাহ!
১০ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)