কৃষকের আক্ষেপ:
‘১৬ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি করে এখন কিনছি ৪০ টাকায়’
এডমিন, ০৪ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২২ রবি’ ১৩৯১ শামসী সন , ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ০৫ আশ্বিন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) আজকের পত্রিকা
ক্ষেত থেকে কৃষকরা আলু যে দামে বিক্রি করেছেন, ছয় মাস পর সেই আলু প্রায় আড়াইগুণ দামে তাদেরই কিনে খেতে হচ্ছে। এটি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না তারা।
দিনাজপুর বাহাদুর বাজার এনএ মার্কেট, রেলওয়ে বাজার, চকবাজারসহ সবখানেই বর্তমানে আলু বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪২ টাকা কেজি দরে। অথচ গত মার্চ মাসেও এই আলু বিক্রি হয়েছে ১৬ থেকে ১৭ টাকায়। কৃষক পর্যায়ে যা ছিল আরও কম। ফলে কৃষকদের আক্ষেপের শেষ নেই। কষ্ট করে ঘাম ঝরিয়ে আলু আবাদ করলেও মজুতদাররা লাভবান হচ্ছেন বলে অভিযোগ কৃষকদের।
দিনাজপুর সদর উপজেলার শেখপুরা ইউনিয়নের বোলতৈড় এলাকার কৃষক সেলিম রেজা বলেন, ‘যখন আলু জমি থেকে তুলেছি তখন দাম ছিল ১৬ থেকে ১৭ টাকা করে। ওই আলু তো আমরা রেখে দিতে পারি না। কারণ আলু বিক্রি করার টাকা দিয়েই আমাদের অন্য ফসল উৎপাদনে ঝুঁকতে হয়। এখন আমাদের আবাদ করা আলুই আমাদের কিনতে হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি দরে। আমরা এত কষ্ট করে আবাদ করলাম, অথচ আমাদের লাভ নেই। লাভ হয়ে গেলো মজুত যারা করলো তাদের।’
সদরের ৬নং আউলিয়াপুর ইউনিয়নের উলিপুর গ্রামের কৃষক ইসমাইল আলী বলেন, ‘মার্চে আলু বিক্রি করেছি যে দামে তার চেয়ে ডাবল (দ্বিগুণ) দামে আলু কিনে খেতে হচ্ছে। আলুর দাম বাড়বে, কিন্তু এতটা বেশি? আমরা ঘাম ঝরিয়ে আবাদ করছি, আর লাভবান হচ্ছেন স্টকআলারা (মজুতদাররা)। এটা দেখা দরকার যে, কৃষকদের কাছ থেকে আলু, ধান, গম, ভুট্টা নিয়ে লাভবান হচ্ছেন অন্যরা। একবার খালি কৃষকদের কাছ থেকে নিতে পারলেই দাম বেশি।’