মন্তব্য কলাম
"" ছহীহ ইসলামের দৃষ্টিতে দুর্নীতিবাজ জামাতের তথাকথিত জাতীয় সমাবেশ এবং জামাতী দুর্নীতির প্রসঙ্গ কথা""
, ২৬ মুহররমুল হারাম শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ২৩ ছানী, ১৩৯৩ শামসী সন , ২২ জুলাই, ২০২৫ খ্রি:, ০৮ শ্রাবণ, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) মন্তব্য কলাম
প্রসঙ্গ: দুর্নীতির বিরুদ্ধে জামাতের লড়াই
১৯শে জুলাইয়ের তথাকথিত জাতীয় সমাবেশে জামাতীরা দূর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যে বিবৃতি দিয়েছে তার পোষ্টমর্টেম বা ব্যবচ্ছেদ করলে কি দাড়ায়?
প্রথমত: ‘জামাতে ইসলামী’ নামটাই বড় ধরনের দুর্নীতি।
‘জামাতে ইসলামে’র অর্থ হলো- ‘ইসলামের জামাত’। আর তারাই মুসলমান হতে পারেন যারা ইসলাম বিশ্বাস করেন বা ইসলামে অন্তর্ভুক্ত আছেন। কিন্তু দেশের অধিকাংশ মুসলমান কথিত জামাত- বা তথা জামাতে ইসলামী করেন না।
তাহলে তারা কি ইসলামী জামাত বা জামাতে ইসলামের বাইরে?
এটা কি বাংলাদেশের প্রায় সব মুসলমানের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত অপবাদ দেয়া নয়?
হক্কুল ইবাদ নষ্ট করার এই প্রক্রিয়াই তো সবচেয়ে বড় দুর্নীতি।
মওদুদীপন্থীরা যখন জামাতে ইসলামী ব্যবহার করে তখন কিন্তু তারা ‘জামাতে ইসলাম’ সম্বোধনকে নিজেদের জন্য কুক্ষিগত করে নেয়!
যারা মওদুদী মার্কা জামাতের বাইরে তারা কি ইসলামী জামায়াত বা জামাতে ইসলামের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত নন?
এই ফিতনার নিরসন হবে কবে?
এর জন্য কি মওদুদী জামাতীরাই দায়ী নয়?
এটাই কি নিকৃষ্ট দুর্নীতি নয়?
মওদুদী জামাতীরাই কি সবচেয়ে বড় আমানতের সবচেয়ে বেশী খেয়ানতকারী নয়? এটাই কি চূড়ান্ত দুর্নীতি নয়?
জামাতের তথাকথিত জাতীয় সমাবেশে ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আজহারুল ইসলাম বলেছে-
“জামাত প্রচলিত ধারার কোনো রাজনৈতিক দল নয়। জামাত প্রচলিত ধারায় কোনো ইসলামীক দল নয়। জামাত একটি ইসলামী আন্দোলনের নাম। ”
এই বক্তব্যের ব্যবচ্ছেদও অনেক তীর্যক।
প্রথমত: তারা বললো, জাতীয় সমাবেশ।
কিন্তু জাতীয় সমাবেশের প্রমাণটা কি?
তারা প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপির কাধে ভর করে সারাজীবন চলেছে রাজাকার হয়েও মন্ত্রীত্বের পতাকা উড়িয়েছে।
সেই বিএনপিকে তারা আমন্ত্রণ জানাননি বলে সালাহউদ্দীন ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
নিজস্ব ঘরানার এবি পার্টি তাদের কিঞ্চিৎ সমালোচনা করে বলে তাদেরও দাওয়াত দেননি।
অন্যান্য অনেক রাজনৈতিক দলও অংশগ্রহণ করেনি।
সর্বোপরি সংবিধান মোতাবেক দেশের মালিক যে জনগণ সে জনগণও এখানে সম্পৃক্ত হয়নি।
জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ হয়নি। হওয়ার ইচ্ছেও পোষণ করেনি। ব্যবস্থাও রাখা হয়নি।
তারপরেও কী করে?
কি কারণে?
কিসের ভিত্তিতে?
কোন মাপকাঠিতে?
কোন সংজ্ঞায়?
কোন আশায়?
কোন ব্যাখ্যায়?
জামাতের সমাবেশকে জাতীয় সমাবেশ বলে প্রচার করা হলো?
অনুষ্ঠান করা হলো? নেটিজেনরা প্রশ্ন করেছেন এটা কি গোটা জাতির সাথে জাতীয় বেঈমানী,
জাতীয় প্রতারণা,
তথা জাতীয় দুর্নীতি নয়?
তাহলে দেখা যাচ্ছে যে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে চাইলে জামাতকে জিহাদ করতে হবে খোদ জামাতের বিরুদ্ধেই।
যে কারণে জামাতের সমাবেশ জাতীয় সমাবেশ নয় এমনকি ইসলামী সমাবেশও নয় বরং একে একান্তভাবে জামাতের রাজনৈতিক সমাবেশই বলতে হয়
জামাতের এই সমাবেশকে কি অন্তত: ইসলামী সমাবেশ বলা যেতো?
এ প্রশ্নের উত্তরে হক্কানী আলেম সমাজ মন্তব্য করেছেন, ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে তাও সঠিক নয়।
কারণ, জামাতের এ সমাবেশে ইসলামী আক্বীদা, আমল, ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নত বা
মহান আল্লাহ পাক, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
প্রশংসা, পবিত্রতা, মুহব্বত, মারিফাত ইত্যাদি
নিয়ে আলোচনা হয়নি। সুতরাং একে ইসলামী সমাবেশ কোনভাবেই বলা যায় না।
অপরদিকে জামাতে ইসলামী দাবি করেছে, তারা প্রচলিত ধারায় ইসলামী দল নয় এমনকি প্রচলিত ধারার রাজনৈতিক দলও নয়।
তথাকথিত জাতীয় সমাবেশে জামাতের এই দুই বিবৃতিও সজ্জন মিথ্যা,জালিয়াত, প্রতারণা ও মুনাফেকী প্রমাণিত হয়েছে।
সমাবেশের মূল বক্তব্য, বার্তা, চাওয়া-পাওয়া নিয়ে ঘোষিত হয়েছে ৭ দফা দাবিতে।
সে দাবিগুলো পর্যালোচনায়ই তা যথাযথভাবে প্রমাণিত হয়।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ও অন্যান্য সময় সংঘটিত সব গণহত্যার বিচার।
জুলাই গণহত্যার বিচার অন্য সব রাজনৈতিক দল এবং ইসলামিক দলগুলোও প্রথাগত রাজনৈতিক ধারায় চাইছে। জামাত সে বৃত্তের বাইরে গিয়ে ইসলামী আন্দোলনের প্রাসঙ্গিকতায় দাবি করতে পারেনি যে, জুলাই গণহত্যার ইসলামী শরয়ী বিচার চাই।
অপরদিকে জামাত মূলত: মনে করেছে, শুধু ২৪ নয় ২০০৮ থেকে তাদের যেসব কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে, তারও বিচার হোক।
কিন্তু এই বিচারের দাবিটাকে জামাত সাধারণভাবে এনেছে। বলেছে ২০২৪ সালসহ সব গণহত্যার বিচার চাই।
প্রচলিত কার্যক্রমের মত জামাত এখানে সুক্ষ¥ চিন্তা করতে পারেনি, যে গণহত্যার বিচারের মধ্যে প্রধান ও মুখ্য হচ্ছে, ৭১ এর গণহত্যার বিচার।
তাহলে কি জামাত নিজেই নিজেদের ৭১ এর গণবিচার চাইলো না?
তবে কি জামাতের দৃষ্টিতে ফ্যাসিস্ট সরকার যে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছিলো সেটাই ঠিক তাহলে?
রাষ্ট্রের সব স্তরে প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কারের দাবি; জামাতকে পুরোদস্তুর ধর্মনিরপেক্ষ রাজনৈতিক দল হিসেবে প্রমাণ করেছে।
রাষ্ট্রীয় সব স্তরে প্রয়োজন মৌলিক সংস্কার। একথা এনসিপি, এবি পার্টিসহ অন্যান্য পার্টিরা বলছে।
একথা ইসলামী আন্দোলনসহ অন্যান্য ইসলামী দলগুলো বলছে, তাহলে জামাতে প্রচলিত রাজনৈতিক দল ও ইসলামী দলের ব্যতিক্রম- এ দাবি কি আরো একবার জোরদারভাবে প্রমাণিত হলো না?
ঐতিহাসিক জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্রের পূর্ণ বাস্তবায়নের দাবি এবং জামাতের হাক্বীক্বত।
ঐতিহাসিক জুলাই সনদ ও ঘোষণার পূর্ণ বাস্তবায়নের দাবি এটাও কি জামাতের ঐতিহাসিক ডবল স্টান্ডার্ড নয়। জামাত ৩৬শে জুলাই প্রচার করছে। জুলাই বিপ্লব প্রচার করছে।
কিন্তু এমন অদ্ভুত কথা পৃথিবীর কোথাও শোনা গেছে যে, বিপ্লব হওয়ার পর এর ঘোষণাপত্র ঠিক করা হয়?
এটা কি বিপ্লব? নাকি বিপ্লব না? তা নিয়ে মতভেদ হয়। বিপ্লবের পরিবর্তে অনেকে গণঅভ্যুত্থান বলতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে?
বাস্তব সত্য হলো, আন্দোলন হয়েছিলো কোটা তথা হাসিনা খেদাওর ভিত্তিতে। এখানে আজকের কথিত সংস্কারের চেতনা ছিলো না।
সংস্কারের স্রোতে আজ মুরতাদী, নাস্তিক্যবাদী সমকামী নারী আন্দোলন, জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয় প্রতিষ্ঠা- এসব হচ্ছে।
বলা হচ্ছে, সংস্কারের সিদ্ধান্ত নিয়ে গণভোট হবে।
কিন্তু সংস্কার করার সিদ্ধান্তই তো জনগণের নেই।
সংস্কার হবে? নাকি সংস্কার হবে না? এই প্রশ্নেই তো আরো গণভোট দরকার ছিলো।
আর গোটা কতক রাজনৈতিক দলের কিছু ব্যক্তির কিছু মতকেই সংস্কার বলে চাপিয়ে দেয়াই কি সবচেয়ে বড় অন্যায় সংস্কার নয়?
অন্যান্য দলতো বটেই ইসলামের নামধারী জামাতও তো এই অন্যায় ভিত্তিহীন এবং মিথ্যা ও প্রতারণার বলয় থেকে বেরোতে পারলো না।
জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিবারের পুনর্বাসন।
কুরআন শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, তোমরা ওই কথা বলো কেন? যা তোমরা নিজেরা করো না?
মূলত: জামাত জুলাই শহীদ ও আহতদের নিয়েও রাজনীতি করছে। রাজনৈতিক কায়দায়ই দাবি তুলছে। অথচ জামাত তার নিজস্ব কর্মীবাহিনীর জন্য যা করে; সেই একই কায়দায় কাজ করলে একটা আহতও এখন দুর্দশাগ্রস্ত থাকতো না। কিন্তু জামাত বিষয়টি জিইয়ে রাখছে কারণ তারা রাজনীতি পছন্দ করে ইসলাম বা ইখলাছ চায় না।
কুখ্যাত হিটলারের আর ভঙ্গুর সরকারের দেশ নেপালের মত পি.আর পদ্ধতিতে নির্বাচন চাচ্ছে জামাত।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এরা এতই নাদান যে ইসলামের দৃষ্টিতে হারাম গণতন্ত্র করলেও এবং তারও ইতিহাস সম্পর্কেও নিরেট জাহেল। পৃথিবীর ইতিহাসের এক ভয়ংকর ফ্যাসিস্ট, স্বৈরাচার ও একনায়কের নাম এডলফ হিটলার। জার্মানির ইতিহাসে হিটলারের চ্যান্সেলর নির্বাচিত হওয়া এবং একনায়কত্ব কায়েম ছিল একটি দীর্ঘ রাজনৈতিক নাটকের পরিণতি।
১৯১৮ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে পরাজয়ের মাধ্যমে জার্মান রাজতান্ত্রিক সাম্রাজ্য পতনের পর দেশটি গণতন্ত্রের পথে হাঁটলেও, দেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থা ছিল ভঙ্গুর ও বিশৃঙ্খল। ১৯১৮ থেকে ১৯৩৩ সাল পর্যন্ত ১৫ বছরে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের কারণে বিশ বারের মতো সরকার গঠন ও ভাঙনের ঘটনা ঘটে। ফলে জনগণের বিশ্বাস হারায় গণতন্ত্র- আর সেই সুযোগে আনুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থার বিদ্যমান দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে ক্ষমতার কেন্দ্রে উঠে আসেন হিটলার। ইতিহাস বিশ্লেষণ করে এমনটাই মনে করেন রাজনীতি বিশ্লেষক ও রাজনীতি গবেষকরা।
১৯১৮ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে পরাজয়ের পর জার্মানিতে চালু হয়েছিল ভাইমার গণতন্ত্র। সেই গণতন্ত্রে নির্বাচন পদ্ধতি ছিল আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক (চৎড়ঢ়ড়ৎঃরড়হধষ জবঢ়ৎবংবহঃধঃরড়হ- চজ)। পিআর সিস্টেমের কারণে সে সময় জার্মানিতে অর্ধ শতাধিক আঞ্চলিক ছোট ছোট দল গড়ে ওঠে। পিআর ব্যবস্থার কারণে ছোট ছোট ওই দলগুলোও সংসদে প্রবেশ করতে পারত কিন্তু কোনো দলই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেত না। ফলে সরকার গঠন করতে বিভিন্ন মত ও পথের আঞ্চলিক ও প্রধান দলগুলোকে ক্ষমতাকেন্দ্রিক জোট করতে হতো। কিন্তু স্থিতিশীল সরকার গঠনের জন্য যেমন জোট প্রয়োজন ছিল সেটি গড়ে উঠতো না। ফলে সামান্য মত-পার্থক্য হলে সরকার থেকে ছোট দলগুলো সমর্থন প্রত্যাহার করে নিতো আর সরকারের পতন ঘটতো।
ভঙ্গুর সরকার ও জোট রাজনীতির অনৈক্যের সুযোগে রাজনীতিতে নিজের দলের ওপর বিশ্বাস রাখার দাবি নিয়ে জনপ্রিয় দলে পরিণত হয় হিটলারের নাৎসি পার্টি। ১৯৩২ সালের জুলাই মাসে পিআর পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে নাৎসি পার্টি সবচেয়ে বড় বেশি ভোট পেলেও সরকার গঠন করার মতো একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। ফলে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট হিন্ডেনবার্গ হিটলারকে চ্যান্সেলরের শপথ নিতে আমন্ত্রণ জানায়নি। কিন্তু হিটলার সরকার গঠনের জন্য ছোট দলগুলোর সাথে সমঝোতা শুরু করে। দীর্ঘ আলোচনা মাধ্যমে বিভিন্ন দলকে বেশি সংখ্যক মন্ত্রিত্ব দিয়ে জোট সরকার গঠনের প্রস্তাব দেয় হিটলার। হিটলার ডানপন্থী রাজনীতিবিদ ফ্রাঞ্জ ফন পাপেন ও ডিএনভিপি নেতা আলফ্রেড উগেনবার্গকেও তার মন্ত্রিসভায় গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী হিটলার চ্যান্সেলর পদ ও মাত্র দু'টি মন্ত্রিত্ব নিবে আর বাকি সব মন্ত্রিত্ব জোট দলগুলোকে দিয়ে দিবে। দু'জন বাদে সব মন্ত্রিত্ব পেয়ে জোটের এই দুই নেতার ধারণা ছিল, হিটলারকে চ্যান্সেলর বানানো হলেও যেহেতু সব মন্ত্রী তাদের তাই পেছন থেকে তারাই হিটলারকে নিয়ন্ত্রণ করবে। এই ভুল ধারণার ওপর ভিত্তি করে তারা প্রেসিডেন্ট হিন্ডেনবার্গকে জোট নেতা হিটলারকে শপথ পড়াতে রাজি করান। ১৯৩৩ সালের ৩০ জানুয়ারি জোট সরকারের প্রধান হিসেবে প্রথমবারে মতো এডলফ হিটলার জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে নিয়োগ পায়।
জোট সরকার গঠনের কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই হিটলার রাষ্ট্রের সবকিছুতে নিজের একক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা শুরু করে। এসময় জোট নেতারা হিটলারের বিরোধিতা শুরু করে। এর মধ্যে ২৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৩- জার্মান পার্লামেন্টে আগুন লাগে। যে আগুন লাগার কারণ এখনও অস্পষ্ট। আগুন লাগার সাথে সাথে কোনো তদন্ত ছাড়াই হিটলার ঘোষণা করে, কমিউনিস্টরা সংসদে আগুন দিয়েছে। সারা দেশে তিনি এই সংবাদ ছড়িয়ে দেন। আর রাষ্ট্রপতিকে দিয়ে হিটলার সংসদে আগুন লেগেছে মর্মে জরুরি আইন জারি করে নাগরিক অধিকার স্থগিত করেন। এরপরই সারা দেশে হিটলার বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গণগ্রেফতার শুরু করে। আর সপ্তাহ খানেকের মধ্যে জরুরি পরিস্থিতি বিবেচনায় নতুন ডিক্রি জারি করে সংসদ ছাড়াই নিজে নিজেই আইন পাসের ক্ষমতা এককভাবে নিয়ে নেয়। এভাবেই একনায়ক হিসেবে যাত্রা শুরু হয় হিটলারের।
১৯৩৩ সালের মাঝামাঝিতে হিটলার কমিউনিস্ট পার্টি কেপিডি ও সোশালিস্ট পার্টি এসপিডি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এমন ঘোষণা দেখে হিটলারের সাবেক জোট সঙ্গীরা স্বেচ্ছায় নিজেদের দলকেই বিলুপ্ত ঘোষণা করে। এমনকি শক্তিশালী দল সেন্ট্রুমও নিজেদের বিলুপ্ত ঘোষণা করে। এরপর ১৪ জুলাই ১৯৩৩ সালে নাৎসি পার্টি ছাড়া সব রাজনৈতিক দলকেই নিষিদ্ধ ঘোষণা করে হিটলার। এভাবেই গণতান্ত্রিক পিআর পদ্ধতির সুযোগ নিয়ে একনায়ক হিটলার পুরো রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়।
ইংল্যান্ডের ওয়ারউইক বিশ্ববিদ্যালের গবেষক ইমরান আহম্মেদ বলেন, এই আনুপাতিক ভোটিংয়ের ফলে জার্মানির একক দল সরকার গঠন করতে পারত না। সরকার গঠন করতে ও নানান সিদ্ধান্ত নিতে দলগুলোকে আপস করতে হতো। ফলে জোট সরকার দুর্বল হতো। এতে করে জনগণের মধ্যে সরকারের ওপর আস্থা কমে যেত। আর সরকার বার বার ভেঙে যাওয়ায় অর্থনৈতিক সংকটও প্রবল হয়ে উঠতো। এই ভঙ্গুর অর্থনীতি ও রাজনীতির শূন্যতার মাঝেই হিটলার শক্তিশালী নেতৃত্বের প্রতিশ্রুতি দিয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করে। যা তাকে অপ্রতিরোধ্য করে দেয়। এখান থেকে বাংলাদেশের মানুষেরও শিক্ষা নেওয়ার সুযোগ আছে। এখন যারা সমঝোতা বা আলোচনার টেবিলে বসছে না ভবিষ্যতে তাদের পরিণতি কি হবে সেটা ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত।
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান আরিফ।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সন্ত্রাসবাদ নয়; জিহাদী যোগ্যতা অর্জন করা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অনুযায়ী ফরয। ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সব নাগরিকের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করতে হবে। উন্নত প্রশিক্ষন, যুদ্ধকৌশল, সামরিক সক্ষমতা এবং আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এখন সাফল্যের শীর্ষে। সরকারের উচিত- দেশের মর্যাদা বুলন্দ ও দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ত্বকে সমুন্নত রাখতে সেনাবাহিনীর প্রতি সকল প্রকার পৃষ্ঠপোষকতা নিশ্চিত করা।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম এর তথ্যানুযায়ী বেনিয়া বৃটিশগুলো মুসলিম ভারত থেকে লুট করেছে ১২ হাজার লক্ষ কোটি টাকা প্রকৃতপক্ষে তারা লুট করেছে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র এখনও বন্ধ করলে যা লাভ হবে চালু রাখলে তার চেয়ে অনেক বেশী ক্ষতি হবে ৫৩টি পরিবেশবাদী সংগঠনের দাবী অবিলম্বে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করে সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা হোক কিন্তু তাদের উপেক্ষা করে পরিবেশ উপদেষ্টা প্রমাণ করছে তার পরিবেশবাদী তৎপরতা অন্য পরিবেশবাদীদের সাথে সাংঘর্ষিক এবং তার পরিবেশবাদী প্রচারণা কার্যকলাপ আসলে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য নয় বরং বিশেষ প্রভুর নির্দেশনায় (প্রথম পর্ব)
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
জুয়ার নেশায় বুদ হচ্ছে শিশু-কিশোররা-শিক্ষার্থীরা অধিকাংশ সাইটই পরিচালিত হয় দেশের বাইরে থেকে অনলাইনে জুয়ায় ছোট ছোট বাজির টাকা দিন শেষে একটি বড় অঙ্কের অর্থ হয়ে দেশ থেকে ডলারের মাধ্যমে পাচার হচ্ছে প্রতিদিন এসব খেলা স্বাভাবিক গেমের মতো হওয়ায় প্রকাশ্যে খেলা হলেও আশপাশের মানুষ তা বুঝতে পারেন না কেবলমাত্র ইসলামী মূল্যবোধের উজ্জীবনেই জুয়া বন্ধ সম্ভব ইনশাআল্লাহ
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
গার্মেন্টসের চেয়েও বড় অবস্থানে তথা বিশ্বের শীর্ষ অবস্থানে অধিষ্ঠান হতে পারে বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্প। যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করলে শুধু মাত্র এ খাত থেকেই বছরে ১১ লাখ কোটি টাকা অর্জন সম্ভব ইনশাআল্লাহ। যা বর্তমান বাজেটের প্রায় দেড়গুণ আর শুধু অনিয়ম এবং সরকারের অবহেলা, অসহযোগীতা দূর করলে বর্তমানেই সম্ভব প্রায় ২ লাখ কোটি টাকা অর্জন জাহাজ নির্মাণ শিল্পের সমৃদ্ধি সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং সরকারের গাফলতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা জনগণের জন্যও জরুরী। (২য় পর্ব)
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার রোবে, দোয়ার বরকতে- কুদরতীভাবে কমে যাচ্ছে ডলারের আধিপত্য বাংলাদেশের রিজার্ভ ডলারে রাখা উচিৎ নয়- এতে লাভ আমেরিকার মুসলিম বিশ্বে অভিন্ন মুদ্রা ব্যবস্থা বিশেষত মূল্যহীন কাগজী মুদ্রা বাদ দিয়ে সুন্নতী দিনার-দিরহাম মুদ্রা চালু করা আবশ্যক ইনশাআল্লাহ (দ্বিতীয় পর্ব)
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বিদেশি হাইব্রিড বীজের ফাঁদে দেশের কৃষি। হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় ফসলের জাত, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জীববৈচিত্র্য। ফুলে-ফেঁপে উঠছে বীজ কোম্পানিগুলো।
২৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মুশরিক ভারতের প্রতি লা’নত ওদের জনসংখ্যা দিন দিন নিম্নমুখী পক্ষান্তরে ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের দেশ বাংলাদেশে খোদায়ী রহমত। (সুবহানাল্লাহ) বাংলাদেশে জনসংখ্যার এখন ৬৫ ভাগই কর্মক্ষম এবং জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার উর্ধ্বগামী বাংলাদেশ ভোগ করছে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের নিয়ামত। সুবহানাল্লাহ!
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রসঙ্গ: মধ্যম আয়ের ফাঁদ এড়াতে সতর্কতা তথা মধ্যম আয়ের স্থবিরতা তাওয়াক্কুল আর তাকওয়া অবলম্বনে সব সমস্যা দূর হয়ে অচিরেই বাংলাদেশ হতে পারবে শীর্ষ সমৃদ্ধশালী দেশ ইনশাআল্লাহ
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
রিজওয়ানার পরিবেশবাদী প্রচারণার বিপরীতে রবি ঠগ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস স্থাপনে ইতিবাচক বার্তা এবং ইউনুসের পানি ও প্রকৃতি প্রেমের বানীর পরিবর্তে আপত্তি সত্ত্বেও একনেকে রবি ঠগ বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্প অনুমোদনে জনগণ তথা নেটিজনের মূল্যায়নটা কী?
২৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
যখন কোনো দেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে যুদ্ধবিমান কিনে, তখন তা শুধু একটি বিমান কেনার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না। এর সাথে যুক্ত হয় একাধিক শর্ত, নিষেধাজ্ঞা এবং জটিল টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশনস
২৫ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
লাগামহীন ব্যর্থতার পর মাদক নিয়ন্ত্রণেও সরকার চরমভাবে ব্যর্থ। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী নিজস্ব দুর্বলতার কারণে মাদক নিয়ন্ত্রণে নজরই দিতে পারছে না। উল্টো আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অনেক সদস্য নিজেরাও জড়িয়ে পড়ছে মাদক ব্যবসায়।
২৪ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)












