মন্তব্য কলাম
"" পত্রিকা পর্যালোচনা-খবর প্রতিক্রিয়া"" সমকামী উপদেষ্টা আর যৌনকর্মী তৈরীর নারী সংস্কার কমিশনের উস্কানিতেই কী? পতিতাদের সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি, সুবিধা ও সমদ্ধি এবং সম্মানের পক্ষে জাতিসংঘ, সি.আই.এ. মোসাদ নিয়ন্ত্রিত ও নিয়োজিত মিডিয়াগুলো পতিতাদের পক্ষে লেখালেখি শুরু করেছে?
, ০৮ ছফর শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ০৪ ছালিছ, ১৩৯৩ শামসী সন , ০৩ আগস্ট, ২০২৫ খ্রি:, ২০ শ্রাবণ, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) মন্তব্য কলাম
১৫টি মূল বিষয়সহ ৪৩৩টি সুপারিশ করেছে নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন। ইউনূসের কাছে এই প্রতিবেদন হস্তান্তর করে কমিশন।
সুপারিশগুলোর মধ্যে আছে- শ্রম আইনে গৃহকর্মী ও যৌনকর্মীদের শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান। এটি অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে বাস্তবায়ন করা সম্ভব বলে মনে করে নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন।
তারা বলেছে, “নারী আন্দোলনের যে তথাকথিত চিরন্তন আকাক্সক্ষা ‘স্বাধীনতা’ এবং সেই স্বাধীনতা পেতে হলে, নারীর যদি সত্যিকারের মুক্তি পেতে হয়, তাহলে আমরা কি করতে চাই, আমাদের আকাক্সক্ষা কি, স্বপ্ন কি- সেগুলো তুলে ধরেছি।
আমরা জানি অনেক কিছু নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হবে, আমরা সেই বিতর্ককে স্বাগত জানাই। কারণ আমরা মনে করি, এখন ২০২৫ সাল, হাইটাইম-এগুলো নিয়ে জনপরিসরে আলোচনা হোক, বিতর্ক হোক, জানাজানি হোক। ”
প্রসঙ্গত: নারী কমিশনের এসব ইসলামবিরোধী ঘোষণার বিপরীতে প্রচ- আন্দোলনের মুখে ইউনুস সরকার চুপসে গিয়েছিলো। ইউনুস বলেছিলো, এখনই এসব কিছু হবে না। কিন্তু অন্য সব ক্ষেত্রে মিথ্যা সান্তনা দেয়ার পর নিজেদের মিশন ভিশন বাস্তবায়নের মত নারীবাদের ক্ষেত্রে ইউনুস সরকার মুনাফেকী কায়দায় কাজ করে যাচ্ছে।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে,
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব (পরিকল্পনা ও পরিসংখ্যান অধিশাখা) নাহিদ মঞ্জুরা আফরোজ বলেছে, রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ায় প্রায় দুই একর জমিতে ছয়তলা ভিতবিশিষ্ট তিনতলা ভবন নির্মাণ করা হবে। এতে ১৫০ জন পঞ্চাশোর্ধ্ব নারী এবং ৩০০ জন শিশুকে আবাসন সুবিধা দেওয়া হবে। প্রকল্পের আওতায় এক হাজার ১৯টি আসবাবপত্র ও ৭০টি অফিস সরঞ্জামাদি কেনা হবে।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানায়, নারীরা একপর্যায়ে নিরূপায় হয়ে কিংবা অনেকে পরিস্থিতির স্বীকার হয়ে যৌনকর্মের দিকে ধাবমান হচ্ছে। ফলে তাদের স্থান হয় সমাজবর্হিভূত যৌনপল্লীতে। ২০১৫-১৬ সালের সরকারি পরিসংখ্যান মোতাবেক বাংলাদেশে যৌনকর্মীর সংখ্যা এক লাখ দুই হাজারেরও বেশি। বর্তমানে যৌনকর্মীর সংখ্যা বাড়ছে। দৌলতদিয়া যৌনপল্লী বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় গণিকালয়। এখানে প্রায় চার হাজার যৌনকর্মী এ পেশায় জড়িত। ”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সরকারী প্রজ্ঞাপনে ২টি শব্দ নেই।
‘পতিতা’
‘পতিতাবৃত্তি’
বিপরীতে রয়েছে
‘যৌনকর্মী’
‘যৌনপেশা’।
অর্থাৎ শিক্ষকতা, চিকিৎসা, ইঞ্জিনিয়ারিং, ব্যবসা, চাকরী ইত্যাদি পেশার মত যৌনকাজও একটা পেশা।
গার্মেন্ট শ্রমিক, নির্মাণ শ্রমিক, কারখানার শ্রমিকদের মত তারাও শ্রমিক। এবং শ্রমিক বলতে বৈধ (!) শ্রমিক। নাউযুবিল্লাহ!
আর এরূপ স্বীকৃতি যখন আসবে তখন খোদ পতিতাবৃত্তিকে আরো বৈধতা ও সম্মান এবং ব্যাপক প্রতিষ্ঠা ও নিরাপত্তা দেয়ার জন্য হবে তীব্র আন্দোলন।
যার জন্য তৈরী হয়েছে এবং এখন প্রস্তুত রয়েছে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশন তখন অনেক উদাহরণ দিবে। অনেক নজীর উপস্থাপন করবে। এরপর স্বভাবতই বল প্রয়োগ করবে। উদাহরণ পেশ করা গেলো।
এখন সি.আই.এ, মোসাদ তথা জাতিসংঘ যেটা করছে মিডিয়ায় যৌনকর্মী তথা যৌনশ্রমিক এবং যৌন পেশার সমর্থনে বিস্তর লেখালেখি করে যাচ্ছে। নি¤েœ উদাহরণ পেশ করা হলো। তাদের ভাষায়-
খবর শিরোনাম:
স্বেচ্ছায় যৌনকর্ম করা কি অপরাধ?
ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ
খবর ভাষ্য:
পৃথিবীর বহু দেশে স্বেচ্ছায় যৌনকর্ম করা কোনো অপরাধ নয়। যেমন বেলজিয়ামে রীতিমতো পার্লামেন্টে আইন পাস করে যৌনকর্মীদের দেওয়া হয়েছে যুগান্তকারী কিছু সুযোগ-সুবিধা। এমনকি একটা নির্দিষ্ট সময় পর যৌনকর্মীরা সরকারি চাকরিজীবীদের মতো পেনশন পাবেন সরকারের পক্ষ থেকে। শুধু পেনশন নয়, প্রত্যেক যৌনকর্মীর থাকবে স্বাস্থ্যবিষয়ক ইন্স্যুরেন্স। যার আওতায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তারা বিনামূল্যে চিকিৎসা পাবেন।
এ ছাড়া বেকারত্ব ভাতা পাবেন তারা। যৌনকর্মে নামার পর কাজ না পেলে সরকার অর্থ প্রদান করবে। আছে পারিবারিক ভাতাও। নতুন আইন অনুযায়ী মাতৃত্বকালীন ছুটিও আছে যৌনকর্মীদের। যৌনকর্মীদের বেশকিছু অধিকারও দেওয়া হয়েছে।
খদ্দেরের অধীনে চলে যাওয়ার পরও যৌনকর্মে অস্বীকৃতি জানাতে পারবেন। শাস্তির ভয় ছাড়াই যে কোনো সময় যৌনকর্মে বিঘœ ঘটানোর অধিকার পাবেন যৌনকর্মীরা। যে কোনো সময় কোনো প্রকার পূর্ব নোটিশ ছাড়াই চুক্তি ভঙ্গ করতে পারবেন। এতে তারা বেকরত্ব ভাতার অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন না।
যৌনকর্মীরা যাতে অন্য কাজে যোগ দিতে পারেন, সেটা নিশ্চিত করতে তাদের পরিচয় সুরক্ষিত রাখার বিধান রয়েছে। আইনে আরও বলা হয়েছে, যৌনকর্মী যদি ৬ মাসের মধ্যে কোনো খদ্দেরকে ১০ বারের বেশি প্রত্যাখ্যান করেন, তাহলে তাকে নিয়োগকারী এ ব্যাপারে সরকারের সহায়তা চাইতে পারেন। কিন্তু তাকে বরখাস্ত করতে পারবেন না।
আইনটিতে আরও বলা হয়েছে, যে কক্ষে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করা হয়, সেখানে যৌনকর্মীর জন্য একটি এলার্ম বাটন থাকবে। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্যই এই ব্যবস্থা রাখা হবে।
খবর প্রতিক্রিয়া:
এ ধরণের খবর বা লেখা তো এতদিন প্রকাশ পায়নি, বর্তমান সমকামী উপদেষ্টা সরকার এবং যৌনকর্মী নারী সংস্কার কমিশনের আমলে এসব লেখা প্রকাশ পাচ্ছে কেন?
সরকারের আস্কারায়ই যে ইসলামবিরোধী এসব লেখা প্রকাশ পাচ্ছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
খবর শিরোনাম:
পতিতাবৃত্তি কি অপরাধ?
০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, দৈনিক সংবাদ
খবর ভাষ্য:
পৃথিবীর বহু দেশে পতিতাবৃত্তি কোনো অপরাধ নয়। যেমনÑ বেলজিয়ামে রীতিমতো পার্লামেন্টে আইন পাস করে যৌনকর্মীদের দেয়া হয়েছে যুগান্তকারী কিছু সুযোগ-সুবিধা। এমনকি একটা নির্দিষ্ট সময় পর যৌনকর্মীরা সরকারি চাকরিজীবীদের মতো পেনশন পাবেন সরকারের পক্ষ থেকে। শুধু পেনশন নয়, প্রত্যেক যৌনকর্মীর থাকবে স্বাস্থ্যবিষয়ক ইন্স্যুরেন্স, যার আওতায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তারা বিনামূল্যে চিকিৎসা পাবেন। এছাড়া বেকারত্ব ভাতা পাবেন তারা। যৌনকর্মে নামার পর কাজ না পেলে সরকার অর্থ প্রদান করবে। আছে পারিবারিক ভাতাও। নতুন আইন অনুযায়ী মাতৃত্বকালীন ছুটিও আছে যৌনকর্মীদের। যৌনকর্মীদের বেশকিছু অধিকারও দেয়া হয়েছে। খদ্দেরের অধীনে চলে যাওয়ার পরও যৌনকর্মে অস্বীকৃতি জানাতে পারবেন। শাস্তির ভয় ছাড়াই যে কোনো সময় যৌনকর্মে বিঘœ ঘটানোর অধিকার পাবেন যৌনকর্মীরা। যে কোনো সময় কোনো প্রকার পূর্ব নোটিশ ছাড়াই চুক্তি ভঙ্গ করতে পারবেন। এতে তারা বেকরত্ব ভাতার অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন না।
যৌনকর্মীরা যাতে অন্য কাজে যোগ দিতে পারেন, সেটা নিশ্চিত করতে তাদের পরিচয় সুরক্ষিত রাখার বিধান রয়েছে। আইনে আরও বলা হয়েছে, যৌনকর্মী যদি ৬ মাসের মধ্যে কোনো খদ্দেরকে ১০ বারের বেশি প্রত্যাখ্যান করেন, তাহলে তাকে নিয়োগকারী এ ব্যাপারে সরকারের সহায়তা চাইতে পারেন। কিন্তু তাকে বরখাস্ত করতে পারবেন না।
আইনটিতে আরও বলা হয়েছে, যে কক্ষে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করা হয়, সেখানে যৌনকর্মীর জন্য একটি এলার্ম বাটন থাকবে। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্যই এই ব্যবস্থা রাখা হবে।
খবর প্রতিক্রিয়া:
বাংলাদেশে এখন বেলজিয়ামসহ ইউরোপীয় দেশের উদাহরণ পেশ করা হবে। এবং জাতিসংঘ মানবাধিকারের কারণে তারাও ক্রমে চাপ প্রয়োগ করবে। বাংলাদেশের দ্বীনদার জনগণ সাবধান হবে কবে?
খবর শিরোনাম:
যৌনকর্মীদের সামাজিক সুরক্ষা: বেলজিয়াম পারে, আমরাও কি পারি না
০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, দৈনিক এইসময়
খবর ভাষ্য:
এই সময়: গতর খাটিয়ে খাই, শ্রমিকের অধিকার চাই!’ নব্বইয়ের দশক থেকে এই স্লোগানকে সামনে রেখে শহর কলকাতা দেখেছে একের পর এক মিছিল। যৌনকর্মীদের সেই মিছিলকে মিছিল নগরীর নাগরিকরা কেউ উপেক্ষা করেছেন, কেউ মুখ ফিরিয়েছেন, কেউ আবার সরাসরি গালমন্দ করেছেন। যাঁরা এই দাবির সমর্থক, তাঁরা সংখ্যায় হাতেগোনাই রয়ে গিয়েছেন। তার পর থেকে কয়েক দশক কেটে গেলেও বহু কাক্সিক্ষত সেই শ্রমিকের অধিকার পাননি রাজ্য এমনকি দেশের যৌনকর্মীরাও।
কিন্তু ভারত সাত হাজার কিলোমিটার দূরের দেশ বেলজিয়াম এই কাজটিই সুসংহত ভাবে করে দেখাল। বেলজিয়াম সরকার ঠিক করেছে, সে দেশের প্রত্যেক যৌনকর্মীকে যাবতীয় সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প, পেনশন, স্বাস্থ্য বিমার আওতায় আনা হবে। শুধু তাই নয়, যৌনকর্মীদের কর্মস্থলে নিরাপত্তার জন্য প্যানিক বাটন, আইনি সুরক্ষার ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
ঘটনা হলো, ২০২২ সালেই বেলজিয়ামে যৌন পেশাকে ডিক্রিমিনালাইজড বা অপরাধ মুক্ত করা হয়। সেই প্রেক্ষিতে এই বৈপ্লবিক পরিবর্তনগুলি আনতে পারছে সে দেশের সরকার। ইতিমধ্যে যৌনকর্মীদের এমপ্লয়ি সার্টিফিকেট দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। কোনও ক্লায়েন্টকে রিফিউজ করা অথবা যৌনক্রিয়া চলার সময়ে কোনও আপত্তিকর ক্রিয়া করতে না চাইলে যৌনকর্মীদের বিরুদ্ধে জরিমানা বা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। রীতিমতো আইন করে এই নিয়ম চালু করা হয়েছে সে দেশে।
খবর প্রতিক্রিয়া:
সমকামী উপদেষ্টা সরকার এবং যৌনকর্মী নারী সংস্কার কমিশনের পৃষ্ঠপোষকতায় প্রনোদনায় এসব ধাঁচের লেখা এখন জোরালোভাবে প্রচার হচ্ছে।
এটা মার্কিনীদের পুরানো প্রক্রিয়া।
ইসলামবিরোধী যে কোন ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের আগে ওরা ঐ বিষয়ে প্রচুর লেখালেখি করিয়ে জনমত তৈরীর চেষ্টা করে। এর বিপরীতে ইসলামী ব্যক্তিত্ব, মহল, দল, বক্তার প্রতিবাদ কিছুই নাই।
যা মহা দুঃখজনক।
খবর শিরোনাম:
পেনশনের দাবিতে মে দিবসে কলকাতায় যৌনকর্মীদের মশাল মিছিল
বিবিসি বাংলা
খবর ভাষ্য:
কলকাতার যৌনকর্মীরা ১লা মে আন্তর্জাতিক শ্রম দিবসের প্রাক্কালে পেনশন ও অন্যান্য অবসর-কালীন সুযোগ-সুবিধার দাবিতে এক বিরাট মিছিল করেছেন।
শনিবার সন্ধ্যায় 'দুর্বার মহিলা সমন্বয় কমিটি'র ডাকে কলকাতার সোনাগাছি এলাকার শত শত যৌনকর্মীর ওই সমাবেশ ও মিছিল থেকে দাবি জানানো হয়, ৪৫ বছর পেরোলেই তাদের পেনশন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করতে হবে।
তবে ট্রেড ইউনিয়ন নেতারা বলছেন, যতদিন না এই পেশাটি শ্রম আইনের আওতায় আসছে ততদিন যৌনকর্মীদের জন্য পেনশনের ব্যবস্থা করা কঠিন - তবে সরকারের সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পগুলো সুবিধা অবশ্যই তাদের পাওয়া উচিত।
এশিয়ার সবচেয়ে বড় যৌনপল্লী বলে পরিচিত কলকাতার সোনাগাছিতে বেশ কয়েক হাজার যৌনকর্মীকে নিয়ে বহু বছর ধরেই কাজ করছে দুর্বার নামে ওই এনজিও-টি।
খবর প্রতিক্রিয়া:
পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতীয় কালচারও এখন তুলে ধরা হচ্ছে, কিন্তু কোলকাতার উগ্র হিন্দুত্ববাদী ধর্মই যে পতিতাবৃত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত সে কথা প্রচার হচ্ছে না।
রবি ঠগ যে টাকায় রক্ত-গোশতে গড়া; তার সমালোচনা হচ্ছে না।
কিন্তু সেই চরিত্রহীনতার দিকেই বাংলাদেশের মানুষকে ধাবিত করা হচ্ছে। নাঊযুবিল্লাহ!
খবর শিরোনাম:
পতিতাবৃত্তি কি শ্রম? রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও সমাজের বাস্তবতা
২২ এপ্রিল ২০২৫, যুগান্তর
খবর ভাষ্য:
বর্তমানে ‘পতিতাবৃত্তি’ কিংবা যৌনপেশাকে ‘শ্রম’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তাবটি ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। অনেক মানবাধিকার সংস্থা যৌনকর্মীদের ‘অধিকার’ ও ‘সম্মানজনক শ্রম’ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে চায়। জাতিসংঘের টঘঅওউঝ ২০২১ সালে ‘যৌনপেশাকে’ প্রাপ্তবয়স্কদের সম্মতিসাপেক্ষ শ্রম (পড়হংবহংঁধষ ধফঁষঃ ষধনড়ৎ) হিসেবে বৈধতার পক্ষে মত দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, নিউজিল্যান্ডের মতো দেশগুলো যৌনকর্মীদের জন্য আইনি সুরক্ষা ও শ্রমিকের অধিকার নিশ্চিত করতে নীতিগত পরিবর্তন এনেছে। বাংলাদেশেও নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন তাদেরকে শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তাব করেছে।
খবর প্রতিক্রিয়া:
আমাদের জনসংখ্যার ৯৮ ভাগ অধিবাসীই দ্বীন ইসলাম উনার অনুসারী। পৃথিবীর ধর্মমতসমূহের মধ্যে ব্যভিচার, দেহব্যবসা বা যৌনতার বিরুদ্ধে ইসলামের অবস্থান সবচেয়ে কঠোর। একজন ব্যভিচারীর জন্য ইসলামে যে শাস্তির বিধান করা হয়েছে সেটি হলো পাথর নিক্ষেপের মাধ্যমে মৃত্যু কার্যকর। আমাদের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম হলেও আমাদের দেশে ইসলামি শাসনব্যবস্থা চালু নেই। তথাপিও সংবিধানের চেতনার আলোকে পতিতাবৃত্তি নিরোধ বিষয়ে রাষ্ট্রযন্ত্রের কার্যকর উদ্যোগ আবশ্যক।
আইনি দিক থেকে জবরদস্তিমূলক শ্রম এবং ‘পতিতাবৃত্তি বাংলাদেশে নিষিদ্ধ। বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৪(১) অনুচ্ছেদে জবরদস্তিমূলক শ্রম আদায়কে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আর ১৮(২) অনুচ্ছেদে ‘পতিতা’বৃত্তিকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০-এ পাচারের জন্য শাস্তির বিধান করা হয়েছে।
খবর শিরোনাম:
নারী যৌনকর্মীদের স্বীকৃতি চায় কমিশন
সাম্প্রতিক দেশকাল
খবর ভাষ্য:
নারী কমিশন বলেছে, “অনানুষ্ঠানিক খাতে নারী শ্রমিকদের শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া ও সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় আনা প্রয়োজন। যৌনকর্মীদের শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতি ও স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।
খবর প্রতিক্রিয়া:
সি.আই.এ, মোসাদ তাদের অনুগামী মিডিয়া দ্বারা এ ধরণের লেখালেখি আরো বিস্তর করবে এবং করাবে। বামপন্থী তথা ডেমোক্রেটপন্থী এবং জর্জ সরোজের অনুসারী ও তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীদের দ্বারা এরুপ লেখালেখির পর আন্দোলন শুরু করবে। এবং সে আন্দোলন সমর্থন করবে।
সহযোগিতা করবে
পৃষ্ঠপোষকতা করবে
প্রতিষ্ঠা করবে
জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন।
তারা বলবে, পৃথিবীর অন্যান্য সভ্য দেশে তা হয়েছে। সুতরাং বাংলাদেশকে সভ্য হতে হবে। এবং এখানেও যৌনকর্মের স্বীকৃতি ও যৌনকর্মীদের প্রতিষ্ঠা দেয়া হবে। নাঊযুবিল্লাহ!
অতএব, ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের উচিত, এখনই সমকামী ও যৌনকর্মী পৃষ্ঠপোষক অর্ন্তবর্তী সরকারকে অপসারণ করা। ইনশাল্লাহ!
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান আরিফ।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছরে অর্থনীতি গভীর সংকটে শেষ প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধি মাত্র ৩.৩৫ শতাংশ দেশের অর্থনীতি তলানী তথা বারোটা বাজার খবর এখন সর্বত্রই ব্যাপক সমালোচিত হচ্ছে
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ইতিহাসের নিরীখে, বর্তমান সংবিধান প্রণেতা গণপরিষদেরই কোন আইনী ভিত্তি বা বৈধতা ছিল না। গত ৫৫ বৎসর দেশবাসীকে যে অবৈধ সংবিধানের অধীনে বাধ্যগত করে রাখা হয়েছিলো এর প্রতিকার দিবে কে? ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের দ্বীন ইসলামের প্রতিফলন ব্যাতীত কোন সংবিধানই বৈধ হতে পারে না কারণ দেশের মালিক ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমান
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ইরান ফিলিস্তিনে ইসরাইলী হামলার জন্য বিশেষভাবে দায়ী সালাফী-লা মাযহাবী ওহাবী মালানারা কারণ তারাই সৌদি ইহুদী শাসকদের প্রশংসা করে, পৃষ্ঠপোষকতা করে তাদের দোষ-ত্রুটি এবং মুসলমান বিদ্বেষী ও ইসলাম বিরোধী কাজ চুপিয়ে রাখে বাংলাদেশসহ অন্যান্য মুসলিম দেশে তাদের কুফরী আক্বীদা প্রচার করে
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
বাজারে নতুন আলু উঠলেও দাম চড়া, কেজিতে ২০০ টাকা পুরোনো আলু নিয়ে বিপাকে ব্যবসায়ীরা আলু প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পের উদ্যোগ জরুরি আলু রফতানীতে কমপক্ষে লাখো কোটি টাকা আয় সম্ভব আলুর জাতের মান বৃদ্ধি এবং হিমাগার স্থাপনসহ রফতানীর ক্ষেত্রে সব বাধা দূর করে সরকারকে যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করতে হবে।
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
প্রশাসন খবর না রাখলেও প্রচ- শীতে মারা যায় হাজার হাজার লোক। চরম ভোগান্তিতে পড়ে কোটি কোটি লোক। সরকারি সাহায্যের হাত এখনও না বাড়ানো মর্মান্তিক। তবে শুধু লোক দেখানো উদ্যোগ গ্রহণই নয়; প্রকৃত সমাধানে চাই সম্মানিত ইসলামী চেতনার বিস্তার। তাহলে ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত এদেশে কোনো আর্তেরই আহাজারি উচ্চারণ হবার নয়।
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ভীনদেশী অ্যাপের ফাঁদে পড়ে বিপথে যাচ্ছে দেশের তরুণ প্রজন্ম। বাড়ছে নারীপাচার, দেশে বাড়ছে অশ্লীলতা ও পর্ণোগ্রাফির প্রচার। কিশোর-কিশোরীদের টার্গেট করেই একটি মহল এসব অপসংস্কৃতির প্রচার ও প্রসার ঘটাচ্ছে। এসব অপসংস্কৃতি নির্মূলে দ্বীন ইসলামই একমাত্র সমাধান।
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘উচ্চ সুদহার ব্যবসায়ীরা আর সহ্য করতে পারছেন না। ‘অগ্রিম আয়কর (এআইটি) এবং উৎসে কর কর্তন (টিডিএস) ব্যবসায়ের ওপর অতিরিক্ত চাপ তৈরি করছে। এআইটি ও টিডিএস আসলে ট্যাক্স টেরোরিজম বা কর-সন্ত্রাস। ব্যবসায়ীরা ‘কর-সন্ত্রাস’ থেকে মুক্তি চান। ব্যবসায়ীরা অগ্রিম আয়কর ও উৎসে করের চাপ থেকে মুক্তি চান।
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
দেশে মজুদ খনিজ সম্পদের অর্থমূল্য প্রায় ৫০ ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি কিন্তু উত্তোলনে বিনিয়োগ নাই বললেই চলে অথচ দেশ থেকে অর্থ পাচারের পরিমাণ ২০ লাখ কোটি টাকা সরকারের ঋণের পরিমাণ প্রায় ২০ লাখ কোটি টাকা
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমেছে, দেশে কেন উল্টো বেড়েছে? বিশ্ববাজারে জ্বালানি সহ খাদ্যপণ্যের দাম কমলেও বাংলাদেশে ভোক্তা বাড়তি দামে কিনছে বিশ্বে জ্বালানীসহ খাদ্য পণ্যের দাম ধারাবাহিকভাবে কমছে, কিন্তু বাংলাদেশে সুফল মিলছে না কেন? প্রতিবেশীরা স্বস্তিতে, বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়ছে কেনো?
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ৬৮ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা ‘আইএমএফের চাপে’ নতুন করের বোঝা বাড়ছে ৫৫ হাজার কোটি টাকা আইএমএফের শর্ত মানতে গিয়ে সরকারকে জ্বালানি, সার, বিদ্যুৎ এবং সামাজিক খাতে ভর্তুকি কমাতে হয়। এতে সমাজের নিচের স্তরের মানুষের ওপর চাপ বাড়ে।
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলামে কী প্রকৃতির মুহব্বত ও ঋতু প্রিয়তার কথা নেই? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে শীতকাল যে কত প্রিয় তা অনেকেরই অজানা। শীতে আছে গণীমত (পর্ব -২)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলামে কী প্রকৃতির মুহব্বত ও ঋতু প্রিয়তার কথা নেই? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে শীতকাল যে কত প্রিয় তা অনেকেরই অজানা। শীতে আছে গণীমত (পর্ব -১)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)












