শাতিম রাজপাল:
১৯২৯ সালের ৩১ অক্টোবর গাজী ইলমুদ্দীনের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। তিনি এখন গাজী থেকে শহীদের মর্যাদায় অধিষ্ঠিত হয়েছেন। মিয়ানওয়ালিতে উনাকে দাফন করা হয় যদিও মুসলমানগণ উনার লাশকে লাহোরে দাফন করতে চেয়েছিলেন। ব্রিটিশ বেনিয়ারা ভয় পেয়েছিলো যে, এটা একধরনের উত্তেজনা তৈরি করবে যা হিন্দু মুসলিম দাঙ্গা তৈরি করতে পারে। আল্লামা মুহম্মদ ইকবাল এবং মিয়া আবদুল আযীয লাশ লাহোরে নিয়ে যাওয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা করেছিলেন।
এরপর তার দেহ কবর থেকে ১৫ দিন পর তুলে আনা হয়। কিন্তু লাশে কোনো পচন ধরেনি; বরং চাঁদের আলোর ন্যায় জ্বলজ্বল করছিলো। দুই বাকি অংশ পড়ুন...
শাতিম রাজপাল:
পরদিন সকালে (৬ এপ্রিল ১৯২৯ খৃষ্টাব্দ) তারিখে ইলমুদ্দীন ঘর থেকে বের হয়ে বাজারে গিয়ে কামারের দোকান থেকে এক রুপি মূল্যের একটি ছুরি ক্রয় করে নেন! এবং যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন করার মাধ্যমে ছুরিটিকে জামার ভিতরে লুকিয়ে ফেলেন! কাঠমিস্ত্রি হওয়ার সুবাদে ছুরি-কাঁচির ব্যাপারে ভালো ধারনা ছিলো ইলমুদ্দীনের। ছুরি কেনার পর থেকেই মনের মধ্যে এক অস্থিরতা অনুভব করতে থাকেন এবং আত্মনিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলার উপক্রম হয়। তৎক্ষণাৎ তিনি হাসপাতাল রোডে পৌঁছান! আনারকলি হাসপাতাল রোডে ইশরত পাবলিশিং হাউজ এর সামনেই মালউন রাজপালের পাঠাগার ছিল বাকি অংশ পড়ুন...
মালউনটাকে হত্যার পরবর্তী ঘটনা:
মুহম্মদ কা’ব শরীফ লিখেন, গাজী মুরীদ হুসাইন উনাকে শাহাদাতের সিংহাসনে হাজির করার পর তিনি পবিত্র দুরূদ শরীফ পড়ছিলেন। উনাকে বলা হলো, যবান বন্ধ করুন। তিনি উত্তর দিলেন, আমার কাজ আমি করছি। তোমাদের কাজ তোমরা করো। কয়েক মুহূর্ত পরেই তিনি ফাঁসির কাষ্ঠে চড়লেন এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক হিফাযতের জন্য নিজের জীবন কুরবান করে মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বাকি অংশ পড়ুন...
মালউনটাকে হত্যার পরবর্তী ঘটনা:
বদবখত রাম গোপালকে হত্যা করার পর গ্রেফতারের জন্য মুরীদ হুসাইন নিজেই আত্মসমর্পণ করলেন। উনাকে উনার স্বীকারোক্তি থেকে ফিরানোর জন্য অনেক চেষ্টা করলেন মুসলমানগণ। কিন্তু সফল হওয়া যায়নি। সর্বশেষ উনার জান বাঁচানোর জন্যে কিছুদিন লাহোরের মানসিক হাসপাতালেও রাখা হলো। কিন্তু কিছুতেই তিনি পাগল সাজতে রাজি হলেন না। কারা জীবনে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দীদার মুবারকে ধন্য হয়েছেন মুরীদ হুসাইন রহমতুল্লাহি আলাইহি। তখন তিনি নিয়মিত নামায আদায় করতেন, পবিত্র কুর বাকি অংশ পড়ুন...
রাম গোপালের নির্মম পরিণতি:
১৯৩৬ খৃষ্টাব্দের ঘটনা। পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হলো। খবরে বলা হয়েছে, পল্লোল জেলাধীন গোভ গাঁয়ের পশু হাসপাতালের এক ইনচার্জ ডাক্তার রাম গোপাল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারকে তার গাধার নাম রেখেছে। নাঊযুবিল্লাহ! সংবাদ ছাপামাত্র মুসলমানরা ক্ষোভে উত্তেজনায় ফেটে পড়লেন। ইংরেজরা মুসলমানদের এই চাপে প্রভাবশালী অপরাধীর বিচার করার পরিবর্তে হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকা নার নাবিন্দ জেলাকে ঘেরাও করে কেল্লায় রুপান্তরিত করলো।
রাম গোপালের গোস্তাখি বরদ বাকি অংশ পড়ুন...
তাকে হত্যা করার বিবরণ:
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আতীক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, এরপর আমি চাবিটার দিকে এগিয়ে গেলাম এবং চাবিটা নিয়ে দরজাটি খুললাম। আবূ রফে‘র নিকট রাতের বেলা মজমা’র আসর বসতো, এ সময় সে তার উপর তলার কামরায় অবস্থান করছিলো। মজমায় আগত লোকজন চলে গেলে, আমি সিঁড়ি বেয়ে তার কাছে গিয়ে পৌঁছলাম। এ সময় আমি একটি করে দরজা খুলছিলাম এবং ভিতর দিক থেকে তা আবার বন্ধ করে দিয়ে যাচ্ছিলাম, যাতে লোকজন আমার ব্যাপারে জানতে পারলেও হত্যা না করা পর্যন্ত আমার নিকট পৌঁছতে না পারে। আমি তার কাছে গিয়ে পৌঁছলাম। এ সময় সে একটি অন্ধকার কক্ষে তার বাকি অংশ পড়ুন...
ইহুদী নেতা কা’ব বিন আশরাফ:
উনারা কা’ব বিন আশরাফের কর্তিত মস্তক নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সামনে রেখে দিলেন। তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার শুকরিয়া আদায় করলেন। এরপর হযরত হারিছ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার ক্ষতস্থানে পবিত্র নূরুল বারাকাত বা থুথু মুবারক লাগিয়ে দিলেন। এতে উনার পায়ের রক্ত ঝরা বন্ধ হয়ে গেলো। তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠলেন। সেই ক্ষতস্থানে আর কখনও তিনি ব্যাথা অনুভব করেননি। সুবহানাল্লাহ!
সকাল বেলা ইহুদীরা মুশরিকদেরকে সাথে নিয়ে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্ বাকি অংশ পড়ুন...
ইহুদী নেতা কা’ব বিন আশরাফ:
অতঃপর তৃতীয় হিজরী শরীফ উনার পবিত্র ১৪ই রবীউল আউওয়াল শরীফে এক জ্যোৎস্নারাতে কা’ব বিন আশরাফকে হত্যা করার উক্ত দলটি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র দরবার শরীফে এসে উপস্থিত হন। তিনি উনাদেরকে ‘বাকি আল-গারকাদ’ নামক স্থান পর্যন্ত এগিয়ে দেন। এরপর উনাদেরকে নছীহত মুবারক করে বলেন, আপনারা মহান আল্লাহ পাক উনার নামে চলুন। এবং তিনি দোয়া করেন, আয় আল্লাহ পাক! আপনি উনাদেরকে সাহায্য করুন। আমীন!
এরপর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বাকি অংশ পড়ুন...
ইহুদী নেতা কা’ব বিন আশরাফ:
এই খবর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট পৌঁছলো। তিনি হযরত মুহম্মদ বিন মাসলামাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে ডেকে পাঠালেন। তিনি যখন আসলেন উনাকে জিজ্ঞেস করলেন- আপনার কি হয়েছে? এটা কি সত্য যে, আপনি পানাহার করা বন্ধ করে দিয়েছেন? তিনি উত্তর দিলেন, জী হ্যাঁ। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনাকে জিজ্ঞেস করলেন, কেন? তিনি বললেন, আমি আপনার নিকট একটি অঙ্গীকার করেছি। কিন্তু আমি চিন্তিত যে, আমি সেই অঙ্গীকার পূরণে সক্ষম হব বাকি অংশ পড়ুন...
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্পর্কে, উনার সম্মানিত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম অর্থাৎ উনার সম্মানিত আব্বা-আম্মা আলাইহিমাস সালাম উনাদের সম্পর্কে, উনার সম্মানিতা আওয়াজে মুত্বহহারাত হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের সম্পর্কে এবং উনার সম্মানিত আওলাদ হযরত আবনা আলাইহিমুস সালাম ও হযরত বানাত আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের সুমহান শান বা মর্যাদার খিলাফ আচরণ যারা প্রকাশ করবে, উনাদের সম্পর্কে কটুক্তি করবে, সমালোচনা করবে, ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশ করবে, অবমাননাকর বা অসম্মানসূ বাকি অংশ পড়ুন...
ইহুদী নেতা কা’ব বিন আশরাফ:
কা’ব বিন আশরাফ। একজন ইহুদী নেতা। সম্মানিত ইসলাম ও মুসলমানদের জন্য ইহুদীদের মধ্যে সবচেয়ে কট্টর দুশমন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে অধিক কষ্ট দিতো এই খবীছ। সে ছিলো খুবই সম্পদশীল এবং বিলাসী জীবন যাপনকারী। আরবের পরিচিত সুদর্শন পুরুষ এবং একজন নামকরা কবি। তার দুর্গ ছিলো বনূ নাযীরের বসতির পিছনে; পবিত্র মদীনা শরীফ উনার উত্তর-পূর্বদিকে অবস্থিত।
তার নাড়ির সম্পর্ক ছিলো বনূ তাই এর শাখা বনূ নাবহানের সাথে। তার পিতা আশরাফের উপর জাহিলী যুগে রক্তপণ অপরিহার্য হয়ে গ বাকি অংশ পড়ুন...
আমাদের মাতৃভূমিতে দ্বীন ইসলাম বিরোধী বিদেশী সাম্রাজ্যবাদীদের দালালেরা দেশের সার্বভৌমত্ব এবং দেশের মানুষের ঈমানী অনুভূতিতে বিভিন্ন কৌশলে আঘাত করে যাচ্ছে। রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে এবং মানুষের ঈমানের সঙ্গে জড়িত সংবেদনশীল পদগুলোতে বসে আছে কাফির-মুশরিকদের দালাল মুনাফিকরা অথবা মুসলমান ছূরতে ছদ্মবেশী কাফির-মুশরিকরাই। এরা দেশকে গৃহযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে এবং ভয়াবহ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির মাধ্যমে দেশকে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক প্রায় অচলাবস্থার দিকে ঠেলে দিয়েছে। দেশকে এমন এক কৌশলগত সংকটে ফেলে দিয়েছে যে বাকি অংশ পড়ুন...












