বর্তমান সময়ে ইহুদী ফান্ড দ্বারা পরিচালিত ওহাবী, সালাফী, লা’মাযহাবী ফেরকার লোকেরা সমাজে ইচ্ছামত পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাকে জাল, মওজু, দ্বয়ীফ বলে অপপ্রচার করছে। নাউযুবিল্লাহ! তাদের মতবাদের বিপক্ষে মনে হলেই সেটাকে তারা জাল বলছে। আর এ জন্য তারা উছুলে হাদীছ শরীফ উনার বিভিন্ন অপব্যাখ্যার আশ্রয়ও গ্রহণ করতে কার্পণ্য করছে না। শত শত বছর ধরে উম্মত যে হাদীছ শরীফ উনার উপর আমল করে আসছে কেউ কোন আপত্তি করে নাই অথচ হাল যামানায় এসব ওহাবীরা হঠাৎ আবির্ভূত হয়ে জাল! জাল! বলে চিৎকার শুরু করেছে।
তাদের ধারণা পবিত্র বুখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফ ছাড়া পবিত্র বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র ছহীহ হাদীছ শরীফ দ্বারা পবিত্র শবে বরাত প্রমাণিত। রেজালবিদ উনারা সনদ ছহীহ হওয়ার ব্যাপারে একমত পোষণ করেছেন। বিশ্ব বিখ্যাত পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার কিতাব “ছহীহ ইবনে হিব্বানে” ছহীহ সনদসহ বর্ণনা এসেছে-
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُعَافَى الْعَابِدُ بِصَيْدَا، وَابْنُ قُتَيْبَةَ وَغَيْرُهُ، قَالُوا: حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ خَالِدٍ الأَزْرَقُ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو خُلَيْدٍ عُتْبَةُ بْنُ حَمَّادٍ، عَنِ الأَوْزَاعِيِّ، وَابْنِ ثَوْبَانَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ مَكْحُولٍ، عَنْ مَالِكِ بْنِ يُخَامِرَ، عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: يَطْلُعُ اللَّهُ إِلَى خَلْقِهِ فِي لَيْلَةِ النِّصْفِ مِنْ شَعْبَانَ فَي বাকি অংশ পড়ুন...
ফাদাক বাগানের ওয়ারিশত্ব বিষয়ে হাদীছ শরীফগ্রন্থ অনুসন্ধান করে এখন পর্যন্ত ৩৬টি সনদে বর্ণিত রেওয়ায়েত পাওয়া যায়। পাঁচ জন বিশিষ্ট ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের থেকে এ বর্ণনাগুলো এসেছে। ৩৬ টি বর্ণনার মধ্যে ১১ টি বর্ণনা হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, হযরত আবু তোফায়েল রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, হযরত আমর ইবনে ওয়াসিলা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, হযরত উম্মে হানী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা থেকে বর্ণিত।
উপরোক্ত ৪ জন ছাহাবা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের বর্ণনাসমূহে আপত্তিকর কথাটি নেই। বাকি ২৫ টি বর্ণ বাকি অংশ পড়ুন...
ওহাবী-সালাফীদের নফসানিয়াত রক্ষায়
চুরি করার উজ্জল দৃষ্টান্ত
ওহাবী সালাফীরা চুরি ও প্রতারণা করতে করতে এতই নিচে নেমেছে যেটা বলার ভাষা নেই। তারাবীহর নামাযকে তারা কোনভাবেই ২০ রাকায়াত মানতে পারে না। কিন্তু তারা না চাইলে কি হবে ২০ রাকায়াততো ছহীহ সনদে প্রমাণিত। সালাফীদের যেহেতু একটা মুখস্ত অভ্যাস শিখিয়ে দেয়া হয়েছে, তাদের মতের খিলাফ হলেই সেটা জাল এবং সেই সনদের সবাই মিথ্যাবাদী হয়ে যায়। নাঊযুবিল্লাহ।
তারাবীহর নামাযকে অস্বীকার করতে গিয়ে এমনই একটা ঘটনা ঘটিয়ে ফেলেছে সালাফীরা। কিন্তু ভুল জায়গায় হাত পড়ে গেছে, স্বয়ং বুখারী শরীফ উনার বাকি অংশ পড়ুন...
দ্বয়ীফ বর্ণনাসমূহের গ্রহণীয় স্থান
যে সমস্ত স্থানে দ্বয়ীফ বর্ণনাসমূহ গ্রহণীয় তা নিম্নরূপ-
১. মুস্তাহাব পর্যায়ের আহকামসমূহ
২. কোন প্রমাণিত আমলের ফযীলতের বর্ণনা
৩. তারগীব তথা কোন আমলের প্রতি উৎসাহ প্রদান
৪. তারহীব তথা কোন কাজে ভীতি প্রদর্শনের ক্ষেত্রে
৫. সাওয়াব কোন আমলের নেকী সম্পর্কে
৬. যুহদ দুনিয়া বিমূখতা সম্পর্কে
৭. মাকরূহে তানযীহী সংক্রান্ত বিষয়ে
৮. কিসাস পূর্বের নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের ঘটনাবলী প্রসঙ্গে
৯. ইকাব বা কোন কাজের শাস্তি সম্পর্কে
১০. রাকায়েক বা যে সব কারণে অন্তর নরম হয় সে সম্পর্কে
১১. সীরাত তথা নূরে মুজাসসা বাকি অংশ পড়ুন...
দ্বয়ীফ সনদে বর্ণিত হাদীছ শরীফ সম্পর্কে উছুলে হাদীছ শরীফ উনার হুকুম
বিশ্ববিখ্যাত ফক্বীহ্ ইমাম হযরত ইবনে হুমাম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি লিখেছেন, দ্বয়ীফ হাদীছ শরীফ দ্বারা মুস্তাহাব প্রমাণিত হয় এবং দ্বয়ীফ হাদীছ শরীফ ফযীলত অর্জন করার জন্য আমল করাও জায়িয।
এ সম্পর্কে হযরত ইমাম হযরত ইবনে হুমাম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন-
اَلضَّعِيْفُ غَيْرُ الْـمَوْضُوْعِ يَعْمَلُ بِهٖ فِـىْ فَضَائِلِ الْاَعْمَالِ.
অর্থ : “দ্বয়ীফ হাদীছ শরীফ যা মওদ্বু নয়, তা ফযীলত অর্জনের জন্য আমল করা জায়িয। ” (ফতহুল ক্বাদীর ১/৩৪৯)
বিশ্ববিখ্যাত মুহাদ্দিছ ও ফক্বীহ্ হযরত ইমাম হযরত মোল্ বাকি অংশ পড়ুন...
নিম্নে সে বিষয়সমূহ সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো-
সনদ ছহীহ না হলেও উলামায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের
আমলের দ্বারা তা ছহীহ সাব্যস্ত হয়
হযরত উলামায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা যদি গ্রহণ করে নেন তবে তা ছহীহ বলে সাব্যস্ত হয়। এ বিষয়ে আলোচনা করতে গিয়ে বিখ্যাত আলিমে দ্বীন হযরত খতীব বাগদাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি কয়েকটি হাদীছ শরীফ উল্লেখ করেন যা সনদগতভাবে দুর্বল।
কিন্তু সকল আলিম এই হাদীছ শরীফগুলো আমল করে আসছেন। আর তাই তিনি বলেন-
وَإِنْ كَانَتْ هٰذِهٖ أَحَادِيْثَ لَا تُثَبِّتُ مِنْ جِهَةِ الْإِسْنَادِ لٰكِنَّ لَـمَا تَلَقَّتْهَا الكَافَّةُ عَنِ الْكَافَّةِ বাকি অংশ পড়ুন...
দ্বয়ীফ হলেই কি হাদীছ শরীফ
গ্রহণ করা যাবে না?
দ্বয়ীফ হলেই কি হাদীছ শরীফ গ্রহণ করা হবে না? যারা এমন কথা বলে তাদের জেনে রাখা দরকার, ইমাম হযরত বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বিখ্যাত কিতাব “আদাবুল মুফাররাদ” কিতাবে এমন অনেক হাদীছ শরীফ বর্ণনা করেছেন যার সনদ দ্বয়ীফ। বিখ্যাত হাদীছ শরীফ বিশারদ হযরত ইবনে হাজার আসকালানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার “তাকরীবুত তাহযীব” কিতাবে প্রায় ৫২ জন রাবীকে দুর্বল সাব্যস্ত করেছেন যারা সকলেই “আদাবুল মুফাররাদ” কিতাবের রাবী। ইমাম হযরত বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি যদি দ্বয়ীফ হাদীছ শরীফ নাই মানতেন বা গ্র বাকি অংশ পড়ুন...
ওহাবী সালাফীরা কি জানে বুখারী শরীফেই দ্বয়ীফ সনদের বর্ণনা আছে:
বর্ণনাকারী যদি তার উস্তাদকে বাদ দিয়ে সরাসরি পরবর্তী ব্যাক্তি থেকে পবিত্র হাদীছ শরীফ বর্ণনা করে সেক্ষেত্রে পবিত্র হাদীছ শরীফখানা উছুল অনুযায়ী মুয়াল্লাক হাদীছ শরীফ হয়। উছূলের কিতাবে মুয়াল্লাক হাদীছ শরীফ উনাকে বর্জনীয় বলা হয়েছে। অথচ মজার বিষয় হলো ছহীহ বুখারী শরীফেও মুয়াল্লাক হাদীছ শরীফ রয়েছে। যেমন-
قَالَ مَالِكٌ : أَخْبَرَنِي زَيْدُ بْنُ أَسْلَمَ أَنَّ عَطَاءَ بْنَ يَسَارٍ أَخْبَرَهٗ اَنَّ أَبَا سَعِيْدٍ الْـخُدْرِىَّ اَخْبَرَهٗ أَنَّهٗ سَمِعَ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيَهِ وَسَلَّمَ يَقُوْلُ
উক্ত সনদখানা বুখা বাকি অংশ পড়ুন...
ইহুদীদের পরিকল্পনা অনুযায়ী মুসলমান উনাদেরকে ছহীহ আক্বীদা ও আমল থেকে বিচ্যুত করে দেয়াই এদের উদ্দেশ্য
জারাহ করার বিষয়ে পূর্ণ ইলিম ছাড়া নফসানিয়াত প্রকাশ পেলে বুখারী শরীফ মুসলিম শরীফসহ অসংখ্য পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার কিতাবেও জারাহ হয়ে যাবে:
হযরত ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ইমরান ইবনে হিত্তান সূত্রে পবিত্র হাদীছ শরীফ বর্ণনা করেছেন। অথচ ইমরান ইবনে হিত্তান ছিলো খারিজী সম্প্রদায়ের লোক। শুধু তাই না এ ব্যক্তি আমীরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার শহীদকারী আব্দুর রহমান ইবনে বাকি অংশ পড়ুন...












