আর স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
بُعِثْتُ لِاُتِـمَّ مَكَارِمَ الْاَخْلَاقِ.
অর্থ: “আমি সমস্ত চারিত্রিক গুণাবলীসমূহকে, উত্তম গুণাবলীসমূহকে পূর্ণতা দানের জন্য প্রেরিত হয়েছি। ” সুবহানাল্লাহ! (‘উকূদুয্ যাবারজুদ লিস সুয়ূত্বী ২/৪৬৮)
কাজেই, যারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ইত্তিবা’ তথা অনুসরণ-অনুকরণ করবে, তারা অবশ্যই সর্বোত্তম গুণাবলির অধিকারী হবে। সুবহানাল্লাহ!
যারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি বাকি অংশ পড়ুন...
কিতাবে আরো বর্ণিত রয়েছে-
قَالَ حَضْرَتْ سُفْيَانُ الثَّوْرِىُّ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ كَانَ حَضْرَتْ اَلْفُقَهَاءُ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِمْ يَقُوْلُوْنَ لَا يَسْتَقِيْمُ قَوْلٌ اِلَّا بِعَمَلٍ وَلَا يَسْتَقِيْمُ قَوْلٌ وَعَمَلٌ اِلَّا بِنِيَّةٍ وَلَا يَسْتَقِيْمُ قَوْلٌ وَعَمَلٌ وَنِيَّةٌ اِلَّا بِنِيَّةِ مُوَافَقَةِ السُّنَّةِ.
অর্থ: “হযরত সুফিয়ান ছাওরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, হযরত ফুক্বাহায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা বলেছেন, কোনো কথা কখনো ভারসাম্যপূর্ণ হয় না ‘আমল করা ব্যতীত। কোনো কথা এবং ‘আমল কখনো ভারসাম্যপূর্ণ হয় না নিয়ত ব্যতীত। আর কোনো কথা, ‘আমল এবং নিয়ত কখনো ভারসাম্যপূর্ণ হয় না পবিত্র সুন বাকি অংশ পড়ুন...
একটা বিদয়াত প্রচলন করলে যদি সেখান থেকে একখানা সুন্নত মুবারক বিলুপ্ত হয়ে যায় এবং যারা বিদয়াত প্রচলন করবে তাদের জন্য জাহান্নাম ওয়াজিব হয়ে যায়, তাহলে যারা একখানা সুন্নত মুবারক ইত্তিবা’ তথা অনুসরণ-অনুকরণ করবে, সে অবশ্যই একটি বিদয়াত প্রতিহত করার ফযীলত হাছিল করবে এবং অবশ্যই তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব করে দেয়া হবে। এতে কোনো সন্দেহ নেই। সুবহানাল্লাহ!
যারা পবিত্র সুন্নত মুবারক ইত্তিবা’ তথা অনুসরণ-অনুকরণ করবে, তাদের সমস্ত ‘আমল কুদরতময়ভাবে সুরক্ষিত রাখা হবে:
এ সম্পর্কে যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
یٰۤاَی বাকি অংশ পড়ুন...
৬৬. হাফিযুল্ হাদীছ (حافظ الحديث):
(১৪০-১৪১)
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম ও হযরত তাবিয়ীন রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের যুগের পর যিনি সনদ ও মতনের সমস্ত বৃত্তান্তসহ এক লক্ষ হাদীছ শরীফ আয়ত্ত করেছেন উনাকে ‘হাফিযুল্ হাদীছ’ বলে। মুফতী হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ আমীমুল্ ইহসান মুজাদ্দিদী বরকতী হানাফী মাতুরীদী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার লিখিত ‘মীযানুল্ আখবার’ কিতাবের বর্ণনা মতে, যিনি সনদ ও মতনের সমস্ত বৃত্তান্তসহ এক হাজার হাদীছ শরীফ আয়ত্ত করেছেন উনাকে ‘হাফিযুল্ হাদীছ’ বলে। তবে, কেউ কেউ হাফিযুল্ হাদীছ হওয়ার জন্য ইলমে লাদুন্নী বাকি অংশ পড়ুন...
‘সুওয়াল: অষ্টম শ্রেণীর ‘ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা’ বইয়ের ১১৮ নং পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে রাজনৈতিক নেতৃত্বের অসাধারণ দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করেছেন। রাষ্ট্র পরিচালনায় আল কুরআনের সর্বজনীন গণতান্ত্রিক নীতি অনুসরণ করেন।... দেশ পরিচালনায় জনগণের মতামতের স্বীকৃতি দেন। যা গণতন্ত্রের মূল কথা।” নাউযুবিল্লাহ! এ লেখাটি কতটুকু শরীয়তসম্মত?
সুওয়ালে উল্লেখিত লেখা থেকে যেসব প্রশ্ন উত্থাপিত হয় তা হচ্ছে-
১. নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল বাকি অংশ পড়ুন...
যাঁরা একখানা সুন্নত মুবারক জিন্দা করবে, তারা জান্নাত লাভ করবে:
এ সম্পর্কে পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اَنَسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ اَحْيَا سُنَّتِـىْ فَقَدْ اَحْيَانِـىْ وَمَنْ اَحْيَانِـىْ فَهُوَ فِـى الْـجَنَّةِ.
অর্থ: “হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি আমার একখানা পবিত্র সুন্নত মুবারক জিন্দা করলো, সে ব্যক্তি মূলত আমাকেই জিন্দা করলো। সুবহানাল্লাহ! আর বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন-
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا أَطِيعُوا اللَّهَ وَأَطِيعُوا الرَّسُولَ وَلَا تُبْطِلُوا أَعْمَالَكُمْ.
অর্থ: হে ঈমানদারগণ! তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনার এবং মহাসম্মানিত রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ইত্তিবা’ বা অনুসরণ-অনুকরণ করো। আর তোমরা তোমাদের আমলসমূহ বিনষ্ট করো না। (পবিত্র সূরা মুহম্মদ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৩৩)
বাকি অংশ পড়ুন...
প্রতি সেকেন্ডে কোটি কোটি ঈদ
২. প্রতি সেকেন্ডে সেকেন্ডে, প্রতি পলকে পলকে কোটি কোটি ঈদ, ঈদে আকবর, ঈদে আ’যম বা তার চেয়েও বড় ঈদ হওয়ার দলীল:
একজন বান্দা-বান্দী, উম্মতের জন্য সবচেয়ে বড় নেক আমল হচ্ছেন- মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক উনার ইত্তিবা বা অনুসরণ-অনুকরণ করা। সুবহানাল্লাহ! কেননা, স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই ইরশাদ মুবারক করেন,
قُلْ اِنْ كُنْتُمْ تُـحِبُّوْنَ اللهَ فَاتَّبِعُوْنِىْ يُـحْبِبْكُمُ اللهُ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوْبَكُمْ وَاللهُ غَفُوْرٌ رَّحِيْمٌ
অর্থ: “(আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্ল বাকি অংশ পড়ুন...
যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারকে ইরশাদ মুবারক করেন-
اِنَّكَ لَعَلـٰى خُلُقٍ عَظِيْمٍ.
অর্থ: “নিশ্চয়ই আপনি সুমহান চরিত্র মুবারক উনার অধিকারী। ” সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা ক্বলাম শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৪)
মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন-
قُلْ اِنْ كُنْتُمْ تُـحِبُّوْنَ اللهَ فَاتَّبِعُوْنِـىْ يُـحْبِبْكُمُ اللهُ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوْبَكُمْ وَاللهُ غَفُوْرٌ رَّحِيْمٌ.
অর্থ: “(আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনি বলে দিন, যদি তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনাকে মুহব্ বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র কুরআন শরীফে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
قُلْ يَاأَيُّهَا النَّاسُ إِنِّي رَسُولُ اللَّهِ إِلَيْكُمْ جَمِيعًا الَّذِي لَهُ مُلْكُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ يُحْيِي وَيُمِيتُ فَآمِنُوا بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ النَّبِيِّ الْأُمِّيِّ الَّذِي يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَكَلِمَاتِهِ وَاتَّبِعُوهُ لَعَلَّكُمْ تَهْتَدُونَ
অর্থ: আপনি বলে দিন, হে মানুষেরা! নিশ্চয়ই আমি তোমাদের সকলের জন্য মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। উনারই জন্য আসমান যমীনের সমস্ত কর্তৃত্ব। তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই। তিনিই জীবন দান করেন এবং তিনিই মৃত্যু দান করেন। কাজেই তোমরা ঈ বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “সুতরাং যে ব্যক্তি আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক ইত্তিবা’ তথা অনুসরণ-অনুকরণ করবেন, তিনি অবশ্যই সম্মানিত হিদায়াত মুবারক লাভ করবেন। সুবহানাল্লাহ!
জুব্বা পরিধান করা খাছ সুন্নত। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি জুমুয়া, ঈদ এবং বিশেষ বিশেষ সময়ে কামীছ বা কোর্তা মুবারকের উপরে জুব্বা মুবারক পরিধান করতেন। জুব্বা কালো, গন্ধম ইত্যাদি রং-এর হওয়া সুন্নত মুবারক। জুব্বা হচ্ছ বাকি অংশ পড়ুন...
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ক্বওল শরীফ:
نَـحْمَدُهٗ وَنُصَلِّـىْ وَنُسَلِّـمُ عَلـٰى رَسُوْلِهِ الْكَرِيْـمِ وَعَلـٰى وَالِدَىْ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعَلـٰى حَضْرَتْ اُمَّهَاتِ الْـمُؤْمِنِيْـنَ عَلَيْهِنَّ السَّلَامُ وَعَلـٰى حَضْرَتْ اَهْلِ بَيْتِهِ الْكَرِيْـمِ عَلَيْهِمُ السَّلَامُ. اَمَّا بَـعْدُ
যিনি খ্বাালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
وَرَفَعْنَا لَكَ ذِكْرَكَ
অর্থ: “আর (আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আমি আপনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র যিকির মুবারক, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আলো বাকি অংশ পড়ুন...












