ওযূর প্রকারভেদ
ওযূ তিন প্রকার- (১) ফরয, (২) ওয়াজিব, (৩) মুস্তাহাব।
ক) পবিত্র নামায উনার জন্য, পবিত্র জানাযা ও পবিত্র সিজদায়ে তিলাওয়াতের জন্য ওযূ করা ফরয।
খ) পবিত্র বাইতুল্লাহ শরীফ তাওয়াফের জন্য ওযূ করা ওয়াজিব।
গ) ১. নিদ্রার পূর্বে, ২. নিদ্রা থেকে উঠে, ৩. মিথ্যা কথা বলার পর, ৪. কারো গীবত করার পর, ৫. মন্দ কবিতা আবৃত্তি করার পর, ৬. হাস্য-রসিকতার পর, ৭. ফরয গোসল সমাধা করার পর, ৮. নাপাক অবস্থায় খাওয়ার জন্য, ৯. পুনরায় আহলিয়ার সাথে একান্তে অবস্থান করার ইচ্ছা করলে, ১০. মুর্দাকে গোসল দেয়ার জন্য এবং ১১. একবার পবিত্র নামায আদায় করার পর দ্বিতীয়বার পবিত্র না বাকি অংশ পড়ুন...
নাজাত (نجاة) আরবী শব্দ। শাব্দিক অর্থ মুক্তি লাভ করা, জান্নাত লাভ করা, রেযামন্দি মুবারক লাভ করা। যে নূর মুবারক লাভের মাধ্যমে মাখলুকাত জাহান্নাম হতে মুক্তি লাভ করে, জান্নাত লাভ করে, চিরস্থায়ী রেযামন্দি হাছিল করে, উনাকে নূরুন নাজাত মুবারক হিসেবে অভিহিত করা হয়। সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে যা দম বা রক্ত নামে অভিহিত হয়, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে তা ‘নূরুন নাজাত মুবারক’ নামে সম্বোধন করতে হবে। কেননা পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عن ابن عباس رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْه قال حجم النبي صلى الل বাকি অংশ পড়ুন...
(গত পর্বের পর)
সেই রাত্রে ঐ কাজী সাহেব
স্বপ্নে দেখতেছে, সে জান্নাতে গেছে। জান্নাতে গিয়ে দেখতেছে সেখানে অনেকগুলি বড় বড়
বালাখানা তৈরী করা হচ্ছে। সেখানে নূরে
মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিও আছেন। সেই
কাজী সাহেব জিজ্ঞাসা করতেছে এখানে কি করা হচ্ছে? এখানে বড় বড় জান্নাতী বালাখানা তৈরী করা হচ্ছে। কাদের জন্য? এটা মুসলমানদের জন্য। তখন
কাজী সাহেব সে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম উনার কাছে গেলো। গিয়ে বললো, ইয়া রসূলাল্লাহ! ইয়া হাব বাকি অংশ পড়ুন...
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আমি ক্বিয়ামতের দিন চার শ্রেণীর লোকদের সুপারিশ করবো-
এক. যাঁরা আমার মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে, হযরত আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরকে সম্মান মুবারক করবেন।
দুই. যাঁরা আমার মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে, হযরত আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরকে আর্থিকভাবে সম্মানিত খিদমত মুবারকের আনজাম দিবেন।
তিন. যাঁরা আমার মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরী বাকি অংশ পড়ুন...
রহমাতুল্লিল ‘আলামীন, ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, ইমামুল আইম্মাহ্, মুজাদ্দিদুয যামান, কুতুবুল আলম, মুহইউস সুন্নাহ, মাহিউল বিদয়াহ, গাউছুল আ’যম, আযীযুয যামান, ক্বইউমুয যামান, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, আস সাফফাহ, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, ‘ফাতিহাতুল কিতাব’ ও ‘উম্মুল কুরআন’ এ উভয় নাম মুবারকে সূরাটির নামকরণ করা হয়েছে এ কারণে যে, সূরাটি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মূল। এ সূরা মু বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র জুমু’আহ উনার নামাযের খুতবাতে, পবিত্র ঈদ উনার খুতবাতে লাঠি ব্যবহার করা আখাছ্ছুল খাছ মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক। যারা খুতবার সময় লাঠি ব্যবহার করা বিদ্য়াত বা মাকরূহ্ বলে থাকে, তাদের সে বক্তব্য সম্পূর্ণ মনগড়া এবং ভ্রান্ত।
কেননা পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ আছে যে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦াতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি খুতবা মুবারক দেয়ার সময় লাঠি মুবারক ব্যবহার করেছেন। এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণনা করা হয়েছে-
إِنَّ النَّبِي বাকি অংশ পড়ুন...












