সুওয়াল:
ক্বওমী মাদরাসার মুখপত্রের জুমাদাল উখরা ১৪৪৬ হিজরী সংখ্যায় এক সুওয়ালের জাওয়াবে বলা হয়েছে, কদমবুছি নিষেধ হওয়ার পক্ষে শরীয়তে কোন নস তথা প্রমাণ নেই। তবে সেজদার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ যেনো না হয়ে যায় সেজন্য সতর্কতা হলো- কদমবুছি থেকে বিরত থাকা।
জাওয়াব (১ম অংশ):
কওমী মাদরাসার মুফতীদের উক্ত জাওয়াব স্বয়ং যিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের আমল মুবারকের খিলাফ বা বির বাকি অংশ পড়ুন...
৫. ফিক্বাহের কিতাব থেকে দলীল:
(পূর্বে প্রকাশিতের পর)
হযরত শায়েখ আবিদ সিন্দী হানাফী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন,
تمام روايات سے ثابت هوا كه علماء ومشاءخ اور ديني شرف ركهنے والے حضرات كي دست بوسي بلكه قدم بوسي نيز پيشاني وغيره پر بوسه دينا سنت اور تعامل صحابه وتابعين سے بلا كسي نكير كے ثابت هے
অর্থ : পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার সকল বর্ণনা মুবারক দ্বারা এটাই প্রমাণিত হয় যে, আলিম-উলামা, পীর-মাশায়িখ এবং দ্বীনদার ব্যক্তি উনাদের সম্মানিত দস্তবুছী এবং সম্মানিত ক্বদমবুছী মুবারক (পা চুম্বন), এমনকি কপালে অন্যান্য জায়গায় দেয়াও সম্মানিত সুন্নত মুবারক উনার অন্তর্ভুক্ত এবং হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্ব বাকি অংশ পড়ুন...
৪. পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার শরাহগ্রন্থ থেকে দলীল:
হযরত আব্দুল হক্ব মুহাদ্দিছ দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি এবং আল্লামা বদরুদ্দীন আইনী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন-
وفي الحديث دليل على جواز تقبيل الأرجل
অর্থ: আর পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ক্বদমবুছী জায়িয হওয়ার দলীল রয়েছে। সুবহানাল্লাহ! (লুম‘আত ৮/৫১, আওনুল মা’বূদ ১৪/১৩৬)
হাশিয়ায়ে সিন্দীর ২য় খ-ের ৩৯৮ পৃষ্ঠায় উল্লেখ রয়েছে-
جَوَازُ تَقْبِيلِ الرِّجْلَيْنِ
অর্থ: দুই পা বুছা দেয়া তথা ক্বদমবুছী করা জায়িয। ’
৫. ফিক্বাহের কিতাব থেকে দলীল:
আল্লামা ইমাম বদরুদ্দীন আইনী হানাফী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন- বাকি অংশ পড়ুন...
সাইয়্যিদুনা হযরত গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার নছীহত মুবারক:
সুলত্বানুল হিন্দ, সাইয়্যিদুনা হযরত গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, পাঁচটি জিনিষ দর্শন করা সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার দৃষ্টিতে ইবাদত এবং গুনাহ মাফের কারণ।
এক: নিজের পিতা-মাতার যিয়ারত (দর্শন) করা, উভয়কে আদবের সাথে সালাম করা। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে সকল সন্তান মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি-রেযামন্দি, কুরবত-নৈকট্য লাভের আশায় নিজের মাতা-পিতার খিদমত করে, মুহব্বতের দৃষ্টিতে উনাদে বাকি অংশ পড়ুন...
২. হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদের পরস্পরের সম্মানিত আমল মুবারক:
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছেন-
عَنْ حَضْرَتْ صُهَيْبٍ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُ قال رأيت حضرت عليا عليه السلام يقبل يد حضرت العباس عليه السلام ورجله
অর্থ : হযরত ছুহাইব রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ইমামুল আউওয়াল সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম উনাকে দেখেছি সাইয়্যিদুনা হযরত খ¦াতিমুল মুহাজিরীন আলাইহিস সালাম (সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস আলাইহিস সালাম) উনার সম্মানিত হাত মুবারক-এ এবং সম্মানিত ক্বদম মুবারক-এ ব বাকি অংশ পড়ুন...
শরীয়তের ফতওয়া অনুযায়ী ক্বদমবুছী নেয়া বা করার জন্য অনুমতি দান করা আখাছ্ছুল খাছ সুন্নত মুবারক:
(পূর্বে প্রকাশিতের পর)
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ أُمِّ أَبَانَ بِنْتِ الْوَازِعِ بْنِ زَارِعٍ رَحْمَة اللهِ عَلَيْهَا عَنْ جَدِّهَا زَارِعٍ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُ وَكَانَ فِي وَفْدِ عَبْدِ الْقَيْسِ قَالَ لَمَّا قَدِمْنَا الْمَدِينَةَ فَجَعَلْنَا نَتَبَادَرُ مِنْ رَوَاحِلِنَا فَنُقَبِّلُ يَدَ النَّبِيِّ صَلَّـى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَرِجْلَه
অর্থ: হযরত উম্মু আবান বিনতে ওয়াযি’ ইবনে যারি’ রহমতুল্লাহি আলাইহা তিনি উনার সম্মানিত দাদা হযরত যারি’ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণ বাকি অংশ পড়ুন...
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শরীয়ত মুবারক উনার সম্মানিত ফতওয়া মুবারক অনুযায়ী সম্মানিত ক্বদমবুছী মুবারক নেয়া বা করার জন্য অনুমতি দান করা আখাছ্ছুল খাছ সুন্নাত মুবারক:
قدم(ক্বদম) শব্দটি আরবী। এটি আরবী এবং ফার্সী উভয় ভাষায় ব্যবহার হয়, যার অর্থ ‘পা’। আরبوسى ‘বূছী’ শব্দটি ফার্সী, যার অর্থ ‘বুছা দেয়া বা চুম্বন করা’। সুতরাং قدم بوسى (ক্বদমবূছী) অর্থ ‘পায়ে বুছা দেয়া বা পদচুম্বন করা’। আরدست (দস্ত( শব্দটি ফার্সী, যার অর্থ ‘হাত’। সুতরাং بوسى دست (দস্তবূছী) অর্থ ‘হাতে বুছা দেয়া’। এক্ষেত্রে দুটি বিষয় রয়েছেন- ১. সরাসরি হাতে বুছা দেয়া, ২. হাত দ্বারা পা স বাকি অংশ পড়ুন...
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, শাহ্ আমীরাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত মুজীরাতুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস মুবারক
ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, ছাহিবে নেয়ামত, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ১৪৪৫ হিজরী শরীফ উনার ১৯শে রবীউছ ছানী বাকি অংশ পড়ুন...
কারামত মুবারক:
* সুলত্বানুল হিন্দ, কুতুবুল মাশায়িখ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি আজমীর শরীফে বসবাস করতেন। আজমীর শরীফের লোকজন যখন পবিত্র হজ্জের মৌসুমে পবিত্র হজ্জ সম্পন্ন করার জন্য পবিত্র মক্কা শরীফে যেতেন। সেখানে গিয়ে সাইয়্যিদুনা হযরত গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে দেখতে পেতেন। লোকজন পবিত্র হজ্জের কার্যাদি সম্পন্ন করে ফিরে এসে বর্ণনা করতেন যে, আমরা সাইয়্যিদুনা হযরত গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে তাওয়াফ করতে দেখলাম। পবিত্র আরাফার ময়দানেও দেখলাম। পবিত্র জমজম কূপের প বাকি অংশ পড়ুন...
সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার তরফ থেকে খিলাফত মুবারক লাভ:
উল্লেখ্য যে, আবহমানকাল থেকে ভারত উপমহাদেশের সূফী-মাশায়িখ তথা তরীক্বতপন্থীগণের মাঝে এ কথা প্রচারিত রয়েছে যে, রিয়াজত-মাশাক্কাত তথা চেষ্টা-কোশেশের পথে তাকমিলে (পূর্ণতায়) পৌঁছার জন্য সুলত্বানুল হিন্দ, কুতুবুল মাশায়িখ, সাইয়্যিদুনা হযরত গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষ অনুমোদন প্রয়োজন। উনার অনুমোদন বা সত্যায়ন ব্যতীত কেউ কামিল বা পূর্ণতায় পৌঁছেছেন বলে গণ্য করেন বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
গাউছুল আ’যম হযরত বড়পীর ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সাথে সাক্ষাত:
একদিকে হযরত গাউছুল আ’যম বড়পীর ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার খানকা শরীফে মুরিদানদেরকে যিকিরের ‘দরস’ (শিক্ষা) দিচ্ছিলেন। অপরদিকে মাহফিল শরীফে সামা শরীফ উনার আওয়াজ উচ্চ হতে উচ্চতায় পৌঁছতে ছিলো।
রাত দ্বিপ্রহরের পর হযরত বড়পীর ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি হযরত গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার কামরার সামনে দাঁড়িয়ে বললেন- হে দ্বীনের সাহায্যকারী! আমি কি ভিতরে আসবো?
হযরত গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি স্বসম্মানে দাঁড়িয়ে বাকি অংশ পড়ুন...
৪. হাদীছ শরীফ উনার শরাহগ্রন্থ থেকে দলীল
হযরত আব্দুল হক্ব মুহাদ্দিছ দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি এবং আল্লামা বদরুদ্দীন আইনী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি অর্থাৎ উনারা বলেন,
وفي الحديث دليل على جواز تقبيل الأرجل
অর্থ : আর হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ক্বদমবুছী জায়িয হওয়ার দলীল রয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! (লুম‘আত ৮/৫১, আওনুল মা’বূদ ১৪/১৩৬)
হাশিয়ায়ে সিন্দীর ২য় খ-ের ৩৯৮ পৃষ্ঠায় উল্লেখ রয়েছেন,
جَوَازُ تَقْبِيلِ الرِّجْلَيْنِ
অর্থ : দুই পা বুছা দেয়া তথা ক্বদমবুছী করা জায়িয। ’
৫. ফিক্বাহের কিতাব থেকে দলীল
আল্লামা ইমাম বদরুদ্দীন আইনী হানাফী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বল বাকি অংশ পড়ুন...












