ওযূর প্রকারভেদ
ওযূ তিন প্রকার- (১) ফরয, (২) ওয়াজিব, (৩) মুস্তাহাব।
ক) পবিত্র নামায উনার জন্য, পবিত্র জানাযা ও পবিত্র সিজদায়ে তিলাওয়াতের জন্য ওযূ করা ফরয।
খ) পবিত্র বাইতুল্লাহ শরীফ তাওয়াফের জন্য ওযূ করা ওয়াজিব।
গ) ১. নিদ্রার পূর্বে, ২. নিদ্রা থেকে উঠে, ৩. মিথ্যা কথা বলার পর, ৪. কারো গীবত করার পর, ৫. মন্দ কবিতা আবৃত্তি করার পর, ৬. হাস্য-রসিকতার পর, ৭. ফরয গোসল সমাধা করার পর, ৮. নাপাক অবস্থায় খাওয়ার জন্য, ৯. পুনরায় আহলিয়ার সাথে একান্তে অবস্থান করার ইচ্ছা করলে, ১০. মুর্দাকে গোসল দেয়ার জন্য এবং ১১. একবার পবিত্র নামায আদায় করার পর দ্বিতীয়বার পবিত্র না বাকি অংশ পড়ুন...
বেমেছাল মহাসম্মানিত বুলন্দী শান মুবারক
উনার কোনো ছায়া মুবারক ছিলেন না:
হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি বলেন,
لَمْ يَكُنْ لِرَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ظِلٌّ وَلَمْ يَقُمْ مَعَ شَمْسٍ قَطُّ اِلَّا غَلَبَ ضَوْءُهٗ ضَوْءَ الشَّمْسِ وَلَمْ يَقُمْ مَعَ سِرَاجٍ قَطُّ اِلَّا غَلَبَ ضَوْءُهُ ضَوْءَ السِّرَاجِ
অর্থ: “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছায়া মুবারক ছিলেন না। উনার ছায়া মুবারক সূর্যের আলোতে পড়তেন না এবং উনার নূর মুবারক উনার আলো সূর্যের আলোর উপর প্রাধান্য বিস্তার করতেন। তিনি (রাতে) বাতির আলোর সামনে দাঁড়ালে বাকি অংশ পড়ুন...
সম্মানিত দু‘আ বা মুনাজাত কবুলের সময়:
২. পবিত্র যিলহজ্জ শরীফ উনার প্রথম ১০ দিন ১০ রাত।
৩. বিশেষ করে পবিত্র যিলহজ্জ শরীফ উনার ৯ তারিখ। অর্থাৎ পবিত্র আরাফাহ্র দিবসে।
৪. পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাসে।
৫. পবিত্র জুমুআহ বার দিনে ও রাতে।
৬. রাতের প্রথম তৃতীয়াংশে।
৭. রাতের শেষ তৃতীয়াংশে।
৮. রাতের বেলার দু‘আ। বিশেষতঃ মধ্য রাতের দু‘আ।
৯. শেষ রাতের এক ষষ্ঠাংশে।
১০. ছুবহে ছাদিকের সময়।
১১. মুয়াযযিন যখন আযান দিতে থাকে।
১২. পবিত্র আযান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময়।
১৩. পবিত্র তাকবীর আরম্ভ হওয়ার সাথে সাথে।
১৪. জিহাদের ময়দানে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ানোর পর।
বাকি অংশ পড়ুন...
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার আগমনের পূর্বে আরব উপদ্বীপে কোনো শাসন কাঠামো না থাকায় সেখানে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীরও অস্তিত্ব ছিলো না। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সর্বপ্রথম আধুনিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গঠন করেন।
পবিত্র মদীনা শরীফ উনার মুসলমানদের প্রতি পবিত্র মক্কা শরীফের কুরাইশ এবং তাদের মিত্রদের পক্ষ থেকে সৃষ্ট হুমকি এবং পবিত্র মদীনা শরীফ উনার উপকণ্ঠে বসবাসকারী মুসলমানদের জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একাধিক ‘টহল দল’ গঠন করা হয়। এসব বাহিনীতে তিন থেকে পঞ্চাশজন প বাকি অংশ পড়ুন...
মূলতঃ তাকওয়ার মূল জিনিস হলো- মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পূর্ণ অনুসরণ এবং অনুকরণ। সেটাই হলো মূল তাকওয়া। আ’লা দরজার তাকওয়া।
এ প্রসঙ্গে বলা হয়, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে কেমন অনুসরণ করতেন। হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার জীবনের একটা ঘটনা বলা হয়।
এই ওয়াকেয়া শুনলে আপনারা বুঝতে পারব বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক উনার জলিলুল কদর ও সম্মানিত রসূল হযরত সুলাইমান আলাইহিস সালাম। মহান আল্লাহ পাক উনাকে সারা দুনিয়ার কর্তৃত্ব (শাসন ক্ষমতা) দিয়েছেন। তিনি সকল মাখলুকাতের ভাষা জানতেন। হযরত সুলায়মান আলাইহিস সালাম উনার প্রধান ও সভাসদগণের বিশেষ ব্যক্তিত্বের নাম মুবারক ছিল আসিফ বিন বারখিয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি। যিনি সিদ্দীক তবকার ওলী আল্লাহ ছিলেন। উনার দ্বারা যে কারামত মুবারক প্রকাশ পেয়েছে তা মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফে বর্ণনা করেছেন। মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وقَالَ الَّذِي عِندَهُ عِلْمٌ مِّنَ الْكِتَابِ أَنَا বাকি অংশ পড়ুন...
সারা রাস্তায় হেঁটে হেঁটে এসে মসজিদে এসেই টুপ করে চেয়ারে বসেই নিজেকে কি জানি মনে করা হচ্ছে? এটা ভুলে যাওয়া চলবে না- এটা ক্ষমতা দেখানোর জায়গা নয়, এটা সমস্ত ক্ষমতার যিনি মালিক, যিনি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা দেন ও যার থেকে ইচ্ছা ক্ষমতা কেড়ে নেন সেই খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার মসজিদ তথা বাইতুল্লাহ।
তাই সতর্ক হওয়া উচিত- কখনোই মসজিদে চেয়ারে বসে নামায পড়া উচিত নয়। এটা চরম বেয়াদবি ও মূর্খতার শামিল।
সকল মুসুল্লীদের সাথে সাথে মসজিদ কমিটিরও উচিত যে সকল মসজিদে চেয়ার আছে সেগুলো অতিসত্বর মসজিদ থেকে বের করার ব্যবস্থা করা। দুনিয়াদারদের র বাকি অংশ পড়ুন...
একটা ঘৃণিত, কলঙ্কময় চরিত্র- হাজ্জাজ বিন ইউসুফ। অনেকে এ নাম উচ্চারণে কিছুটা ইতস্ততবোধ, বিদ্বেষ, বৈরীভাব পোষণ করে থাকেন। কেননা এ লোলুপ হায়েনা এককালে সামান্য স্বার্থের নিমিত্তে লক্ষাধিক নিরীহ জনসাধারণের শিরñেদ করতেও সামান্যতম কুণ্ঠাবোধ করেনি। তাই তাকে দুর্ধর্ষ মানুষ হালাকু খানের সাথে তুলনা করলেও অত্যুক্তি হবে না।
হাজ্জাজ বিন ইউসুফ ছিলো মূলত হেজাজ প্রদেশের অন্তর্গত তায়েফের অধিবাসী। তায়েফের একটি বিদ্যালয়ে সে কিছুদিন চাকরি করে। সমকালীন যুগে হাজ্জাজ বিন ইউসুফ ছিলো কুরআনে হাফেজ। তীক্ষ্মবুদ্ধি, বাগ্মী ও দূরদর্শিতার কারণে বাকি অংশ পড়ুন...
আল-ইহসান প্রতিবেদন:
ছহিবাতু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, হাবীবাতুল্লাহ, ছহিবায়ে নিয়ামত, রহমতুল্লিল আলামীন, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আর আপনি তাদেরকে সম্মানিত আইয়্যামুল্লাহ শরীফ তথা মহান আল্লাহ পাক উনার বিশেষ বিশেষ দিন মুবারক সম্পর্র্কে স্মরণ করিয়ে দিন, জানিয়ে দিন। সুবহানাল্লাহ! নিশ্চয়ই এই বিশেষ দিন মুব বাকি অংশ পড়ুন...
নিজস্ব প্রতিবেদক:
দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ পরিমাণ মাদক কোকেন জব্দ করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। এ ঘটনায় একজন বিদেশি নাগরিককেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৫টায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যৌথ অভিযান চালিয়ে এ বিপুল পরিমাণ কোকেন জব্দ করে বাংলাদেশ কাস্টম ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।
এ ঘটনায় গায়ান রিপাবলিকের নাগরিক কারেন পেটুলা নামে একজন নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বিকেলে সেগুনবাগিচায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অধিদপ্তরের অতির বাকি অংশ পড়ুন...
ছাহিবাতু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, হাবীবাতুল্লাহ, ছাহিবায়ে নেয়ামত, রহমাতুল্লিল আলামীন, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী আলাইহিস সালাম উনাকে উনার কাঁধ মুবারক জড়িয়ে ধরে ইরশাদ মুবারক করেন, “আয় বারে ইলাহী! আমি উনাকে মুহব্বত করি। আপনিও উনাকে মুহব্বত করুন। আর উ বাকি অংশ পড়ুন...
উমাইয়া বিন খ্বাল্ফের পরিণতি:
উমাইয়া বিন খ্বালফ। আবূ ছাফওয়ান যার উপনাম। পবিত্র মক্কা শরীফ উনার আরেক কাফির সরদার। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নানাভাবে কষ্ট দিতো এই মালঊনটা। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে যখনই দেখতো এই বজ্জাতটা তখনই কটূক্তি করতো, উনার শান মুবারকে বেয়াদবী করতো, উনাকে অভিশাপ দিতো। নাঊযুবিল্লাহ! তার এই নিকৃষ্ট কর্মকা-ের জন্যই মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র সূরা হুমাযাহ শরীফ নাযিল করে বলেন-
وَيْلٌ لِكُلِّ هُمَزَةٍ لُمَزَةٍ
অর্থ: ধ্বং বাকি অংশ পড়ুন...












