ঢিলা-কুলখ ব্যবহার করা সুন্নতে মুয়াক্কাদা। এর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা অনেক। কারণ এ ব্যাপারে উদাসীনতার ফলে শরীর ও কাপড় নাপাক থেকে যায় এবং ওজু ও নামাযও বাতিল হয়ে যায়।
শুকনা মাটির টুকরা, পাথর, নতুন বা পুরাতন কাপড়ের টুকরা, তুলা ইত্যাদি দ্বারা কুলুখ নেয়া জায়িয আছে। হাড়, শুকনা চামড়া, কয়লা ইত্যাদি কুলুখরূপে ব্যবহার করা মাকরূহ। কোন খাদ্যদ্রব্য দ্বারা কুলুখ নেয়া নিষিদ্ধ, হারাম।
পুরুষের ছোট ইস্তিঞ্জা একেবারেই সম্পূর্ণ নির্গত হয় না। খানিকটা সময়ের প্রয়োজন হয়। এই অবস্থায় ইস্তিঞ্জা বন্ধ হওয়া মাত্রই অপেক্ষা না করে পানি ব্যবহার করে উঠে গেলে বাকি অংশ পড়ুন...
হাদীছ শরীফ উনার ব্যাখ্যায়ও ইমাম-মুজতাহিদগণ উনাদের কিতাবে ছবি সম্পর্কে বিস্তারিত উল্লেখ করেছেন।
وَفِي الْبَحْرِ قَالُوا وَأَشَدُّهَا كَرَاهَةً مَا يَكُونُ عَلَى الْقِبْلَةِ أَمَامَ الْمُصَلِّي، ثُمَّ مَا يَكُونُ فَوْقَ رَأْسِهِ ثُمَّ مَا يَكُونُ عَنْ يَمِينِهِ وَيَسَارِهِ عَلَى الْحَائِطِ، ثُمَّ مَا يَكُونُ خَلْفَهُ عَلَى الْحَائِطِ أَوْ السِّتْرِ
অর্থ: আল্ বাহর” কিতাবে উল্লেখ আছে: মুছল্লীর সামনে প্রাণীর ছবি থাকা শক্ত মাকরূহ তাহরীমী। অতঃপর মাথার উপর, অতঃপর ডানে ও বামে দেয়ালের উপর অতঃপর পিছনে দেয়ালের উপর অতঃপর কোন পর্দায় প্রাণীর ছবি থাকা মাকরূহ তাহরীমী হবে।
(রদ্দুল্ মুহতার আলাদ্ দুররিল মুখতার আ বাকি অংশ পড়ুন...
ইস্তিঞ্জার পর ঢিলা-কুলুখ ব্যবহার করা সুন্নতে মুয়াক্কাদা
ইস্তিঞ্জার পর ঢিলা-কুলুখ ব্যবহার করার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা অনেক। কারণ এ ব্যাপারে উদাসীনতার ফলে শরীর ও কাপড় নাপাক থেকে যায় এবং ওজু ও নামাযও বাতিল হয়ে যায়।
শুকনা মাটির টুকরা, পাথর, নতুন বা পুরাতন কাপড়ের টুকরা, তুলা ইত্যাদি দ্বারা কুলুখ নেয়া জায়িয আছে। হাড়, শুকনা চামড়া, কয়লা ইত্যাদি কুলুখরূপে ব্যবহার করা মাকরূহ। কোন খাদ্যদ্রব্য দ্বারা কুলুখ নেয়া নিষিদ্ধ, হারাম।
পুরুষের ছোট ইস্তিঞ্জা একেবারেই সম্পূর্ণ নির্গত হয় না। খানিকটা সময়ের প্রয়োজন হয়। এই অবস্থায় ইস্তিঞ্জা বন্ধ হ বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র জুমু’আহ উনার নামাযের খুতবাতে, পবিত্র ঈদ উনার খুতবাতে লাঠি ব্যবহার করা আখাছ্ছুল খাছ মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক। যারা খুতবার সময় লাঠি ব্যবহার করা বিদ্য়াত বা মাকরূহ্ বলে থাকে, তাদের সে বক্তব্য সম্পূর্ণ মনগড়া এবং ভ্রান্ত।
কেননা পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ আছে যে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦াতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি খুতবা মুবারক দেয়ার সময় লাঠি মুবারক ব্যবহার করেছেন। এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণনা করা হয়েছে-
إِنَّ النَّبِي বাকি অংশ পড়ুন...
সুওয়াল:
কিছু বাতিল ফিরকা বের হয়েছে তারা প্রচার করে বেড়াচ্ছে, যেহেতু নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেছেন, আমাকে তোমরা যেভাবে নামায পড়তে দেখেছো সেভাবে নামায আদায় করো। তাছাড়া বাজারে বদ আক্বীদা ও বাতিল ফিরক্বার কিছু বইপত্র বের হয়েছে যাতে লিখা হয়েছে, ‘পুরুষ ও মহিলার নামায আদায়ের পদ্ধতি একই রকম। কোনরূপ প্রভেদ বা পার্থক্য নেই। ’ এ বিষয়ে সঠিক ফায়ছালা কি হবে?
জাওয়াব:
বাতিল ফিরকার উক্ত বক্তব্য এবং লেখা কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ তথা আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের ইমাম ও ফক্বীহ্গণের মত ও পথের স বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্বে প্রকাশিতের পর)
৭৩. প্রসঙ্গ : ধূমপান করা হারাম
বাতিলপন্থীদের বক্তব্য : ধূমপান করা মুবাহ।
দ্বীন ইসলাম উনার ফতওয়া : ধূমপানের মাসয়ালাটি মূলতঃ ক্বিয়াসী মাসয়ালা। ইমাম-মুজতাহিদগণ উনারা মূলতঃ কাঁচা পিয়াজ ও কাঁচা রসুন এর সাথে ক্বিয়াস করে ধূমপানের ফায়ছালা দিয়েছেন। হাদীছ শরীফ-এ কাঁচা পিয়াজ ও রসুন খেতে নিষেধ করা হয়েছে। কেননা তাতে দুর্গন্ধ রয়েছে। তাই ফক্বীহগণ উনারা কাঁচা পিয়াজ ও কাঁচা রসুন খাওয়াকে মাকরূহ তানযীহী বলে ফতওয়া দিয়েছেন। ধূমপানের দূর্গন্ধ যেহেতু পিয়াজ-রসুনের চেয়েও বেশী, তাই ফক্বীহগণ ধূমপান করাকে মাকরূহ তাহরীমী বল বাকি অংশ পড়ুন...
হাদীছ শরীফ উনার ব্যাখ্যায়ও ইমাম-মুজতাহিদগণ উনাদের কিতাবে ছবি সম্পর্কে বিস্তারিত উল্লেখ করেছেন।
وَفِي الْبَحْرِ قَالُوا وَأَشَدُّهَا كَرَاهَةً مَا يَكُونُ عَلَى الْقِبْلَةِ أَمَامَ الْمُصَلِّي، ثُمَّ مَا يَكُونُ فَوْقَ رَأْسِهِ ثُمَّ مَا يَكُونُ عَنْ يَمِينِهِ وَيَسَارِهِ عَلَى الْحَائِطِ، ثُمَّ مَا يَكُونُ خَلْفَهُ عَلَى الْحَائِطِ أَوْ السِّتْرِ
অর্থ: আল্ বাহর” কিতাবে উল্লেখ আছে: মুছল্লীর সামনে প্রাণীর ছবি থাকা শক্ত মাকরূহ তাহরীমী। অতঃপর মাথার উপর, অতঃপর ডানে ও বামে দেয়ালের উপর অতঃপর পিছনে দেয়ালের উপর অতঃপর কোন পর্দায় প্রাণীর ছবি থাকা মাকরূহ তাহরীমী হবে।
(রদ্দুল্ মুহতার আলাদ্ দুররিল মুখতার বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার দরবার শরীফে যেমন ওয়াজ করেছেন, খুৎবা দিয়েছেন, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুগণ উনারা শুনেছেন, ঠিক তদ্রƒপ শুনতে হবে। এর মধ্যে একটুও ব্যতিক্রম করা যাবে না।
এরপর আমি যেটা বলছিলাম, সেই পবিত্র আয়াত শরীফ উনার পবিত্র তাফসীর মুবারক উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উ বাকি অংশ পড়ুন...
রহমাতুল্লিল ‘আলামীন, ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, ইমামুল আইম্মাহ্, মুজাদ্দিদুয যামান, কুতুবুল আলম, মুহইউস সুন্নাহ, মাহিউল বিদয়াহ, গাউছুল আ’যম, আযীযুয যামান, ক্বইউমুয যামান, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, আস সাফফাহ, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে- “পবিত্র মসজিদে দুনিয়াবী কথা বললে চল্লিশ বছরের ইবাদত তথা নেকী নষ্ট হয়ে যায়।” “পবিত্র বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্বে প্রকাশিতের পর)
৬৭. প্রসঙ্গ- খাসি কুরবানী করা জায়িয ও সুন্নত
বাতিলপন্থীদের বক্তব্য : তারা বলে থাকে যে, খাসি কুরবানী করা জায়িয নেই। তাই খাসি কুরবানী করলে কুরবানী হবে না। নাঊযুবিল্লাহ!
দ্বীন ইসলাম উনার ফতওয়া : খাসি কুরবানী করা শুধু জায়িযই নয়, বরং সুন্নাতে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার অন্তর্ভুক্ত। স্বয়ং আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজেই খাসি কুরবানী করেছেন। যা ছিহাহ সিত্তার হাদীছ শরীফ দ্বারাই সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত।
অতএব, যা স্বয়ং আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল বাকি অংশ পড়ুন...
ঝুটার মাসায়িল
জিন-ইনসান কিংবা অন্য প্রাণী, কোনো প্রকার খাদ্য বা পানীয় বস্তু মুখে লাগিয়ে ত্যাগ করলে তাকে ঝুটা বা উচ্ছিষ্ট বলা হয়।
সর্বপ্রকার মানুষের ঝুটা পাক। তবে হাতে বা মুখে কোনো নাপাকী লেগে থাকলে, তাদের ঝুটা নাপাক হয়ে যাবে।
কুকুর, শূকর ও হিংস্র প্রাণীর ঝুটা নাপাক। এ সমস্ত প্রাণী কোনো পাত্রে মুখ দিলে সেটা কমপক্ষে তিনবার ধৌত করতে হবে। আর সাতবার ধৌত করা আফযল বা উত্তম। তন্মধ্যে প্রথমবার মাটির দ্বারা মেজে ফেলা আফযল বা উত্তম। হালাল পশু, যেমন- গরু, মহিষ, বকরী, ভেড়া, হরিণ ইত্যাদি এবং হালাল পাখি, যেমন- ময়না, তোতা, ঘুঘু, চড়ুঁই ইত্যাদির ঝ বাকি অংশ পড়ুন...












