মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বনূ কুরাইজা উনার জিহাদ মুবারক:
হযরত আবূ লুবাবা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু নিজেকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদুন নববী শরীফ উনার খুঁটির সাথে বাঁধা প্রসঙ্গে:
হযরত ইবনে হিশাম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে কাতাদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত যে, হযরত আবূ লুবাবা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার সম্পর্কে যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র আয়াত শরীফ নাযিল করেন-
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَخُونُوا اللَّهَ وَالرَّسُولَ وَتَخُونُوا أَمَانَاتِكُمْ وَأَنتُمْ تَعْلَمُونَ
অর্থ: বাকি অংশ পড়ুন...
কাট্টা কাফির কা’ব বিন আশরাফকে হত্যা করার বিস্তারিত ঘটনা:
কাট্টা কাফির কা’ব বিন আশরাফ ছিলো বনী নাযীর গোত্রের কুখ্যাত এক কবি। সে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান মুবারক উনার খিলাফ কবিতা রচনা করতো। বিশেষ করে সম্মানিত বদর জিহাদ মুবারক উনার পর সে আরো বেশি করে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাই বাকি অংশ পড়ুন...
আমর ইবনে আব্দে উদ্দকে হত্যা:
যেসব মুশরিকরা আমর ইবনে আব্দে উদ্দের পিছনে দাঁড়িয়ে ছিলো, আমর ইবনে আব্দে উদ্দের ধরাশায়ী হওয়ার দৃশ্য দেখে তাদের অন্তরে এতটাই ভয়-ভীতি সৃষ্টি হলো যে, তারা নিজেদের অজান্তেই লাগাম ধরে নিজেদের ঘোড়াগুলোকে পরিখার দিকে চালনা করলো এবং একমাত্র নওফেল ছাড়া তাদের সবাই তাদের নিজেদের সেনাশিবিরে ফিরে গেলো। নওফেলের ঘোড়া পরিখার মধ্যে পড়ে গিয়েছিলো এবং সে নিজেও মাটিতে পড়ে গিয়ে কঠিন আঘাত পেয়েছিলো। পরিখার নিকট দায়িত্বরত হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনারা তার দিকে পাথর নিক্ষেপ করতে থাকলেন, তাই সে চ বাকি অংশ পড়ুন...
আর এই সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার ব্যাখ্যায় ‘তাফসীরে ইবনে কাছীর শরীফ’-এ উল্লেখ রয়েছে,
مَا ذَاكَ إِلَّا لِأَنَّ كُفْر الْيَهُودِ عِنَادٌ وَجُحُودٌ وَمُبَاهَتَةٌ لِلْحَقِّ وغَمْط لِلنَّاسِ وتَنَقص بِحَمَلَةِ الْعِلْمِ وَلِهَذَا قَتَلُوا كَثِيرًا مِنَ الْأَنْبِيَاءِ حَتَّى هَمُّوا بِقَتْلِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ غَيْرَ مَرَّةٍ وَسَحَرُوهُ وألَّبوا عَلَيْهِ أَشْبَاهَهُمْ مِنَ الْمُشْرِكِينَ عَلَيْهِمْ لَعَائِنُ اللَّهِ الْمُتَتَابِعَةُ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ
অর্থ: ইহুদীরা ঈমানদার উনাদের সাথে যে চরম শত্রুতা পোষণ করে তার কারণ এই যে, ইহুদীদের কুফরীসমূহ- চরম অবাধ্যতা, একগুঁয়েমী, জেদ, অবিশ্বাস, আস্বীকার, হক্বের ব বাকি অংশ পড়ুন...
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বনূ কুরাইজা উনার জিহাদ মুবারক:
হযরত আবূ লুবাবা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু নিজেকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদুন নববী শরীফ উনার খুঁটির সাথে বাঁধা প্রসঙ্গে:
বনূ কুরাইজা জিহাদের স্মরণীয় একটা ঘটনা হচ্ছে হযরত আবূ লুবাবা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার সম্পর্কে। যখন ইহুদীরা বাঁচার কোন পথ খুঁজে পেলো না তখন তারা রহমাতুল্লিল আ’লামীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে অনুরোধ জানিয়ে সংবাদ পাঠালো যে, বনূ আমর ইবনে আওফ গোত্রের হযরত আবূ লুবাবা ইবনে আব্দুল মুনযির রদ বাকি অংশ পড়ুন...
আব্দুল্লাহ ইবনে ক্বামীয়াহর চরম পরিণতি:
কিতাবে বর্ণিত রয়েছে- পবিত্র উহুদ যুদ্ধ থেকে আব্দুল্লাহ ইবনে কামিয়াহ পবিত্র মক্কা শরীফে ফিরে আসে। এরপর সে তার মেষপালের খোঁজে পাহাড়ের দিকে যায়। কারণ, তার মেষপাল পাহাড়ে চড়তো। সে দেখতে পায়, মেষপাল পাহাড়ের চূড়ায় চড়ছে। সে পাহাড়ের চূড়া বেয়ে উঠে মেষের পাল তাড়িয়ে আনতে গেলে হঠাৎ করে শক্তিশালী একটা ছাগল তাকে শিং দিয়ে প্রচ- জোরে গুঁতা মারে। গুঁতার ধাক্কা সামলাতে না পেরে সে মাটিতে পড়ে যায়। সে আর মাটি থেকে উঠতে সক্ষম হয়নি। ছাগলটি তাকে একের পর এক গুঁতা মারতে থাকে, আর সে গড়াতে গড়াতে নিচে পড়তে থাকে। ত বাকি অংশ পড়ুন...
আমর ইবনে আব্দে উদ্দকে হত্যা:
খন্দকের সম্মানিত জিহাদ মুবারক সংঘটিত হয় ৬ষ্ঠ হিজরী শরীফ উনার শুরুর দিকে। ৬ষ্ঠ হিজরী শরীফ উনার সম্মানিত ছফর শরীফ মাসে প্রায় এক মাস খন্দক্ব খনন করা হয়। তারপর সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ) মাসে খন্দকের মূল সম্মানিত জিহাদ মুবারক হয়। ‘খন্দক’ শব্দের অর্থ পরিখা বা গর্ত। যেহেতু এই সম্মানিত জিহাদ মুবারক-এ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ উনার ৩ দিকে দীর্ঘ খন্দক বা পরিখা খনন করা হয়েছিল, তাই এই সম্মানিত জিহাদ মুবারক উনাকে ‘খন্দকের জিহাদ’ বলা হয়। আর বাকি অংশ পড়ুন...
সাইয়্যিদাতুনা হযরত নুসাইবাহ্ বিনতে কা’ব রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা উনার বেনযীর দৃষ্টান্ত মুবারক:
হযরত নুসাইবাহ্ বিনতে কা’ব রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা তিনি বলেন, সম্মানিত জিহাদ মুবারক উনার একপর্যায়ে-
أَقْبَلَ الرَّجُلُ الَّذِي ضَرَبَ ابْنِي فَقَالَ رَسُولُ الله صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هَذَا ضَارِبُ ابْنِكِ قَالَتْ فَأَعْتَرِضُ لَهُ فَأَضْرِبُ ساقه فبرك قالت فرأيت رسول الله صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَتَبَسَّمُ حَتَّى رَأَيْتُ نَوَاجِذَهُ
অর্থ: “আমার সন্তান উনাকে যেই কাট্টা কাফির আঘাত করেছে সে অগ্রসর হয়ে সামনে আসছিলো। তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহ বাকি অংশ পড়ুন...
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বনূ কুরাইজা উনার জিহাদ মুবারক:
উল্লেখ্য যে, ইহুদী হুয়াই ইবনে আখতাব সে কা’ব ইবনে আসাদের প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করেছিলো। কুরাইশ কাফির মুশরিক ও গাতফানরা চলে যাওয়ার পর কা’ব ইবনে আসাদ সে বনূ কুরাইজার সাথে তাদের দুর্গে ঠাঁই নেয়। বনূ কুরাইজা যখন বুঝে ফেললো যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তাদেরকে ধ্বংস না করে ফিরবেন না। তখন কা’ব ইবনে আসাদ তাদের লক্ষ্য করে বললো, “হে ইহুদী সম্প্রদায়! আজ তোমরা যে অবস্থার সম্মুখীন হয়েছো, তাতো তোমরা দেখতেই পাচ্ছো। আমি তোমাদের সামনে বাকি অংশ পড়ুন...
সাইয়্যিদাতুনা হযরত নুসাইবাহ্ বিনতে কা’ব রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা উনার বেনযীর দৃষ্টান্ত মুবারক:
হযরত নুসাইবাহ্ বিনতে কা’ব রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা তিনি আরো বলেন, তখন আমি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সামনে ছিলাম। আমার হাতে কোনো ঢাল ছিলো না। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি একজন হযরত ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার হাত মুবারক-এ ঢাল দেখে ইরশাদ মুবারক করলেন,
أَلْقِ تُرْسَكَ إِلَى مَنْ يُقَاتِلُ فَأَلْقَاهُ فَأَخَذْتُهُ فَجَعَلْتُ أُتَرِّسُ بِهِ عَنْ رَسُوْلِ বাকি অংশ পড়ুন...
সাইয়্যিদাতুনা হযরত নুসাইবাহ্ বিনতে কা’ব রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা উনার বেনযীর দৃষ্টান্ত মুবারক:
হযরত নুসাইবাহ্ বিনতে কা’ব রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা তিনি ছিলেন একজন বিশিষ্ট আনছার মহিলা ছাহাবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা। উনার সম্মানিত কুনিয়াত মুবারক হচ্ছেন ‘হযরত উম্মু উমারাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা’। তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ উনার ‘বনূ নাজ্জার গোত্রে’ বিলাদত শরীফ গ্রহণ করেন। তিনি আকাবার দ্বিতীয় বাইয়াতের সময় সম্মানিত ও পবিত্র দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করেন। তিনি উহুদ, হুদায়বিয়াহ্, খাইবার, উমারাতুল কা বাকি অংশ পড়ুন...












