সুওয়াল: রাজারবাগ শরীফ সিলসিলা ভুক্তদেরকে সম্মানিত মীলাদ শরীফ পাঠকালে ছলাত শরীফ বলার সময় নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক না বলে লক্বব মুবারক যথা রসূলিল্লাহ ও হাবীবিল্লাহ বলে থাকেন। আর অন্য যারা মীলাদ শরীফ পড়েন উনারা সরাসরি নাম মুবারক বলেন।
আবার সালাম পেশ করার সময় আপনারা আসসালামু আলাইকুম ইয়া রসূলাল্লাহ, আসসালামু আলাইকুম ইয়া নাবিয়্যাল্লাহ, আসসালামু আলাইকুম ইয়া হাবীবাল্লাহ বলেন। আর অন্যরা ইয়া নাবী সালামু আলাইকা, ইয়া রসূল সালামু আলাইকা, ইয়া হাবীব সালামু আলাইকা বলে থাকেন।
বাকি অংশ পড়ুন...
সাইয়্যিদুনা হযরত ওয়াহাব ইবনে আবদে মানাফ আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত স্বপ্ন মুবারক:
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যখন উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক-এ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রেহেম শরীফ-এ) অবস্থান মুবারক করছিলেন, তখন একদা উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আব্বাজান সাইয়্যিদুন নাস সাইয়্যিদুনা হযরত ওয়াহাব ইবনে আবদে মানাফ আলাইহিস সালাম তিনি একখানা বিশেষ স্বপ্ন মুবারক দেখতে পান। তিনি দেখেন- একজন সম্মানিত বুযূর্গ ব্যক্তি বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-اِنَّ اللهَ وَمَلَائِكَتَه يُصَلُّوْنَ عَلَى النَّبِيّ ط يَا اَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوا صَلُّوا عَلَيْهِ وَسَلّمُوْا تَسْلِيْمًا.
অর্থ: নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি ছলাত শরীফ তথা দুরূদ শরীফ পাঠ করেন। হে মু’মিনগণ! তোমরাও নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি ছলাত শরীফ তথা দুরূদ শরীফ পাঠ করো এবং সালাম শরীফ পেশ করো পেশ করার মত। (পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ : পবিত্র আয়া বাকি অংশ পড়ুন...
হাইস
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে- হযরত আনাস রদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আল ‘আশিরহ্ আলাইহাস সালাম উনার সঙ্গে পবিত্র নিসবাতুল আ’যীম শরীফ গ্রহণ করলেন। আমি উনার সম্মানিত ওলীমা মুবারক উনার জন্য হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের দাওয়াত করলাম। উনার মুবারক নির্দেশ মোতাবেক পবিত্র দস্তরখান বিছানো হলো। তারপর খেজুর, পনির ও ঘি দেয়া হলো। হযরত ‘আমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
ইয়াযীদ বাহিনীর তা-বলীলা:
৪. পবিত্র মদীনা শরীফ উনাকে জনশূন্য করে দেয়া: হযরত ইমাম কুরতুবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, “ঐতিহাসিকগণ লিখেছেন যে, পবিত্র মদীনা শরীফ তখন জনশূন্য হয়ে যান। মরুর পশুপাখিরা সেখানে মলমুত্র ত্যাগ করে। না‘ঊযুবিল্লাহ! পবিত্র মসজিদে নববী শরীফ কুকুরের বাসস্থানে পরিণত হয়। ” না‘ঊযুবিল্লাহ! (জযবুল কুলূব)
৫. পবিত্র মিম্বর শরীফ উনার অবমাননা: কিতাবে বর্ণিত রয়েছে-
فَلَمْ يُمَكِّنْ اَحَدًا دُخُوْلَ مَسْجِدِهَا حَتّٰى دَخَلَتْهُ الْكِلَابُ وَالذِّئَابُ وَبَالَتْ عَلٰى مِنْۢبَرِهٖ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
অর্থ: “(ঐ সময়) পবিত্র মসজি বাকি অংশ পড়ুন...
চতুর্থ হিজরী শতকে পবিত্র ঈদে বিলাদতে রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন:
সাইয়্যিদ মুহম্মদ সুলাইমান নদভী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি “সিরাতুন নবী” জীবনী গ্রন্থের ৩য় খ-ে উল্লেখ করেছেন ৩/৪ শতক হিজরী মীলাদ শরীফ উদযাপন করা হতো। এছাড়াও ৩৯৪ হিজরী সনে ফাতেমী খিলাফতের অধীনে মিশরে মাসব্যাপী ব্যাপক জাঁকজমকের সাথে পবিত্র ঈদে বিলাদতে রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালিত হতো।
পঞ্চম হিজরী শতকে পবিত্র ঈদে বিলাদতে রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন:
হযরত ইবনে জুবায়ের রহমতুল্লাহি আলাইহি (৫৪০-৬৪০ হিজর বাকি অংশ পড়ুন...
দস্তরখানায় খাদ্য খাওয়ার মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক পালনের ক্ষেত্রে আমীরুল মু’মিনীন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার বেমেছাল দৃঢ়তা মুবারকঃ
আমীরুল মু’মিনীন খলীফাতুল মুসলিমীন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত খিলাফত মুবারক কালে জেরুজালেম অর্থাৎ পবিত্র বাইতুল মুক্বাদ্দাস শরীফ ইহুদীদের হাত থেকে মুক্ত করেন মুসলিম সেনাপতি বিশিষ্ট ছাহাবী হযরত আবূ উবায়দাহ ইবনুল জাররাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি। সেখানকার ইহুদী সম্প্রদায়দের আসমানী কিতাবে বর্ণিত ছিল যে, মহান আল্লাহ পাক উনার ম বাকি অংশ পড়ুন...












