পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ أَمَرَ بِإِحْفَاءِ الشَّوَارِبِ وَإِعْفَاءِ اللِّحْيَةِ.
অর্থ: হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে বর্ণনা করে বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নির্দেশ মুবারক দিয়েছেন গোঁফ ছোট করার ও দাড়ি লম্বা করার। (দারহী কী শরয়ী হাইছিয়ত)
বাকি অংশ পড়ুন...
গোঁফ বা মোঁছ ছোট করে রাখা সুন্নত ও মুন্ডন করা মাকরূহ তাহরীমী ও বিদয়াতে সাইয়্যিয়াহ হওয়ার অকাট্য ও নির্ভরযোগ্য দলীলসমূহ-
(২৬)
واختاره النووى- انه يقصه حتى يبدو طوف الشفة ولا يحفيه من اصله ونقل ابن القاسم عن مالك- ان احفاء الشارب مثلة
অর্থ: হযরত ইমাম নববী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার নিকট গ্রহণযোগ্য মত হলো- মোঁছ এরূপভাবে ছোট করবে, যেন ঠোঁটের প্রান্ত দেখা যায়, মোঁছ মূল থেকে দূর করবে না অর্থাৎ মু-ন করবে না। ইবনুল কাসিম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ইমাম মালেক রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণনা করেন, নিশ্চয়ই মোঁছ মু-ন করা “মোছলা” বা আকৃতি বিকৃত করার শামিল। (ইরশাদুস সার বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে মহান আল্লাহ পাক উনার নির্দেশিত একটি ফরয বিধান হলো পর্দা করা। পর্দাশীলা নেককারিনী মহিলাগণ উনারা দুনিয়ার মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ সম্পদ। মহান আল্লাহ পাক তিনি মহিলাদেরকে হাক্বীক্বী পর্দা পালনের মাধ্যমেই দুনিয়ার সবচেয়ে সম্মানজনক সম্পদে মহাসম্মানিত করেছেন। উক্ত পর্দা শুধু তিনি একটি হিজাব বা বোরকা পরিধানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ করে দেন নাই। বরং সম্মানিত মহিলাগণ উনাদের হাত, পা ও চেহারাসহ সমস্ত শরীর আবৃত করার সাথে সাথে উনাদের দৃষ্টি, কথা-বার্তা, আওয়াজ, হাটার পদ্ধতি, সুগন্ধি ব্যবহার, অ বাকি অংশ পড়ুন...
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ سَيِّدِنَا حَضْرَتْ اَلْاِمَامِ الْاَوَّلِ مِنْ اَهْلِ بَيْتِ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ (سَيِّدِنَا حَضْرَتْ عَلِـىٍّ كَرَّمَ اللهُ وَجْهَهٗ عَلَيْهِ السَّلَامُ) قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ سَبَّ نَبِيًّا فَاقْتُلُوْهُ وَمَنْ سَبَّ اَصْحَابِـىْ فَاضْرِبُوْهُ.
অর্থ: সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল আউওয়াল কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি কোনো নবী-রসূল আলাইহিস সালা বাকি অংশ পড়ুন...
হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ جَابِرٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِنَّ اللهَ اِخْتَارَ اَصْحَابِىْ عَلَى الثَّقَلَيْنِ سِوَى النَّبِيِّيْنَ وَالْمُرْسَلِيْنَ
অর্থ: হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদেরকে শুধু হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা ব্যতীত সমস্ত জিন-ইনসানের উপর, সমস্ত সৃষ্টির উপর শ্ বাকি অংশ পড়ুন...
ফযীলত ও মর্যাদা:
হযরত ইবনে মাসঊদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি পবিত্র হাদীছ শরীফ বর্ণনায় অত্যন্ত সতর্ক ছিলেন। উনার বর্ণিত হাদীছ শরীফের সংখ্যা ৮৪৮টি। বিশিষ্ট ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ উনাদের এক দল যেমন- হযরত আবু মূসা, হযরত আবু হুরায়রা, হযরত ইবনে আব্বাস, হযরত ইবনে উমর, হযরত ইমরান বিন হুসাইন, হযরত জাবির, হযরত আনাস, হযরত আবু উমামা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম প্রমুখ উনার নিকট থেকে হাদীছ শরীফ বর্ণনা করেছেন। প্রসিদ্ধ তাবেয়ীদের মধ্যে হযরত আলকামা, হযরত আসওয়াদ, হযরত মাসরূক, হযরত উবায়দা, হযরত আবু ওয়াছিলা, হযরত ক্বায়ে বাকি অংশ পড়ুন...
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِيَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ اَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَوْلَمَ عَلٰى حَضْرَتْ اُمِّ الْمُؤْمِنِيْنَ اَلْعَاشِرَةِ عَلَيْهَا السَّلَامُ بِسَوِيْقٍ وَتَمْرٍ.
অর্থ: “হযরত আনাস ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মনীন আল ‘আশিরাহ আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত মহাপবিত্র নিসবতে আযীম শরীফে ওলীমা মুবারক করেছিলেন খুরমা ও ছাতু সহযোগে। ” (আবূ দাউ বাকি অংশ পড়ুন...
উপমহাদেশের, বিশেষত বাংলাদেশের প্রচলিত ইতিহাসের বইগুলোতে মুসলমানদের তাচ্ছিল্য ও হিন্দুদের প্রশংসা শুরু হয় ব্রিটিশ আমলে হিন্দুদের দ্বারা ইংরেজি শিক্ষা গ্রহণ করা নিয়ে। এই এক ছুতো ধরে হিন্দু সম্প্রদায়কে শিক্ষানুরাগী, জ্ঞানী, প্রগতিশীল এসব উপাধি দিতে দিতে রীতিমতো আকাশে তুলে ফেলা হয়, আর মুসলমানদের শিক্ষা-দীক্ষাহীন পশ্চাৎপদ আখ্যা দিতে দিতে তাদের সমস্ত অবদানকেই বস্তুতঃ অস্বীকার করা হয়।
বলাবাহুল্য, ইতিহাসের ভুল ব্যাখার ফলে এটি হচ্ছে। ¯্রফে ইংরেজি শিখলেই ব্রিটিশদের দৃষ্টিতে মুসলমানরা ভালো হয়ে যেতো না, কিংবা স্রেফ ইংরেজি শিখ বাকি অংশ পড়ুন...
আমি যদি মুসলমান দাবি করি তা কী রাষ্ট্রযন্ত্রের দৃষ্টিতে অপরাধ? আমি যদি মহান আল্লাহ পাক উনার বান্দা দাবি করে ইবাদত-বন্দেগী করি; তবে কী তা রাষ্ট্রযন্ত্রের দৃষ্টিতে অপরাধ?
আমি যদি আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উম্মত দাবি করে সুন্নত মুবারক পালন করি; তবে তা কী রাষ্ট্রযন্ত্রের দৃষ্টিতে অপরাধ? আমি কী পবিত্র কুরআন শরীফ উনার পবিত্র আয়াত শরীফ উনার আমল করতে পারবো না?
পবিত্র কুরআন শরীফ উনার আমল করতে গেলে কী রাষ্ট্রযন্ত্র আমাকে বাধা দিবে? আমি কী প বাকি অংশ পড়ুন...
সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
সমাজ জীবনে সাধারণ মুসলমান তো বটেই, কার্যক্ষেত্রে আলিম দাবিদারদের মাঝেও পবিত্র কুরআন শরীফ নিয়ে ফিকিরের প্রবণতা তথা এর হাক্বীক্বত উপলব্ধির চেতনা খুবই কম পরিলক্ষিত হয়। এই উদাসীনতার দিকে নির্দেশ করে মহান আল্লাহ্ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “তারা কি পবিত্র কুরআন শরীফ সম্পর্কে ফিক বাকি অংশ পড়ুন...
সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, শুধু রাজধানীতে প্রতিবছর প্রায় লাখখানেক তালাক হচ্ছে। অর্থাৎ প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৩০০ সংসার ভাঙছে। নাঊযুবিল্লাহ!
অপরদিকে সরাসরি তালাক না হলেও অপসংস্কৃতির বেড়াজালে তথা অনলাইন অশ্লীলতার প্র বাকি অংশ পড়ুন...












