পবিত্র সূরা মাঊন শরীফ উনার সংক্ষিপ্ত ছহীহ্ তাফসীর বা ব্যাখ্যা মুবারক
‘পবিত্র সূরা মাঊন শরীফ’ উনার প্রথমেই মহান আল্লাহ পাক তিনি স্বয়ং উনার হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খুছূছিয়ত মুবারক বর্ণনা করেন তথা উনার ইল্ম মুবারক সম্পর্কে সমস্ত ক্বায়িনাতবাসীকে জানিয়ে দিলেন যে, তিনি মুত্তালা’ আলাল গইব অর্থাৎ ইলমে গইব উনার অধিকারী। যা পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার কিতাব ‘মুসলিম শরীফ’ উনার মধ্যে উল্লেখ রয়েছে যে, ‘আমাকে সৃষ্টির শুরু হতে শেষ পর্যন্ত সমস্ত বাকি অংশ পড়ুন...
চতুর্থ প্রমাণ (তৃতীয় অংশ)
বর্তমান সময়টা হচ্ছে সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক প্রতিষ্ঠিত হওয়ার নির্দিষ্ট সময়:
এই কথা বলার আর অপেক্ষাই রাখে না যে, সমাজতন্ত্র ও গণতন্ত্রের প্রত্যেক শাসকই হচ্ছে- চরম অত্যাচারী, যালিম, লুটেরা, স্বৈরাচার, গোমরাহ্, পথভ্রষ্ট, বিভ্রান্ত, গোমরাহ্কারী, পথভ্রষ্টকারী, বিভ্রান্তকর। কারণ, ইচ্ছায় হোক; আর অনিচ্ছায় হোক- তারা প্রত্যেকেই ইহুদী, খ্রিস্টান ও কাফির, মুশরিকদের গোলাম, তাদের একান্ত অনুগত ভৃত্য, তাদের একান্ত এজেন্ট অর্থাৎ দালাল। আর যারা ইহুদী, খ্রিস্টান ও কাফির, মুশরিকদের গোলাম, তাদের এ বাকি অংশ পড়ুন...
সাইয়্যিদাতুনা হযরত নুসাইবাহ্ বিনতে কা’ব রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা উনার বেনযীর দৃষ্টান্ত মুবারক:
(দ্বিতীয় অংশ)
হযরত নুসাইবাহ্ বিনতে কা’ব রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা উনার আওলাদ হযরত আব্দুল্লাহ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনিও আঘাতপ্রাপ্ত হন এবং উনার জখমের স্থান থেকে ফিনকি দিয়ে রক্ত বের হতে থাকে। তখন হযরত নুসাইবাহ্ বিনতে কা’ব রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা তিনি একটি পট্টি দিয়ে উনার আওলাদ উনার জখমের স্থান বেঁধে দিয়ে বলেন,
انْهَضْ بُنَيَّ فَضَارِبِ القَوْمَ
‘হে আমার সন্তান যান, উঠুন। আবার গিয়ে কাফিরদের সাথে সম্মানিত জিহাদ মুবারক করুন বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরও ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اُمِّ الْـمُؤْمِنِيْنَ الثَّالِثَةِ الصِّدِّيْقَةِ عَائِشَةَ عَلَيْهَا السَّلَامُ قَالَتْ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَاَنْ تُصَلِّيَ الْمَرْاَةُ فِيْ بَيْتِهَا خَيْرٌ مِّنْ اَنْ تُصَلِّيَ فِي حُجْرَتِـهَا،وَلَاَنْ تُصَلِّيَ فِيْ حُجْرَتِـهَا خَيْرٌ مِّنْ اَنْ تُصَلِّيَ فِي الدَّارِ وَاَنْ تُصَلِّيَ فِي الدَّارِ خَيْرٌ مِّنْ اَنْ تُصَلِّيَ فِي الْمَسْجِدِ
অর্থ : হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, মহিলাদের বদ্ধ কা বাকি অংশ পড়ুন...
“মুগনী” কিতাবে উল্লেখ আছে- لَهْوَ الْحَدِيْثِ ‘লাহ্ওয়াল হাদীছ’ হচ্ছে- গান-বাজনা, সঙ্গীত। এ আয়াত শরীফ দ্বারা তা হারাম সাব্যস্ত হয়েছে। যে ব্যক্তি এটাকে হালাল জানবে সে কাফের হবে।
وَفِىْ جَامِعِ الْفَتَاوَى اِسْتِمَاعُ الْمَلَاهِى وَالْجُلُوْسُ عَلَيْهَا وَضَرْبُ الْمَزَامِيْرِ وَالرَّقْصُ كُلُّهَا حَرَامٌ وَمُسْتَحِلُّهَا كَاِفرٌ.
অর্থ: জামিউল ফতওয়াতে” উল্লেখ আছে, গান-বাজনা শ্রবন করা, গান-বাজনার মজলিসে বসা, বাদ্য-যন্ত্র বাজানো, নর্তন-কুর্দন করা সবই হারাম। যে ব্যক্তি এগুলোকে হালাল মনে করবে সে ব্যক্তি কাফের।
বাকি অংশ পড়ুন...
যখন সেই কাফেলা খাদ্যশস্য বোঝাই করে নজদের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে সে সময় সেই ইহুদী ব্যবসায়ী তাদের কাফেলার সঙ্গী হতে চাইলো। সে তার মাতৃভূমিতে ফিরে যাবার জন্যে আকুল ইচ্ছা প্রকাশ করলো। তার এই অভিপ্রায়ের কথা শুনে কাফেলার সবাই তাকে চরম উৎসাহে অভিনন্দন জানালো। সেই ছদ্মবেশী ইহুদী, কাফিলার সাথে নজদে এসে উপস্থিত হলো।
নজদে এসে শুরু হয় তার ভিন্ন রকমের কার্যকলাপ। সে তার নিজস্ব কিছু লোক দিয়ে নিজের সম্পর্কে অনেক প্রোপাগান্ডা শুরু করে এবং ধর্মীয় অনেক বিষয়ে নিজের মনমত ফতওয়াও দিতে থাকে। সেই সুবাদে কিছু ভক্তও জুটিয়ে ফেলে। কিন্তু সে সময় আল- বাকি অংশ পড়ুন...












