পবিত্র সূরা নিসা শরীফ উনার ৬৯ নং পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
فَاسْأَلُوا أَهْلَ الذِّكْرِ إِنْ كُنْتُمْ لَا تَعْلَمُونَ
অর্থ: “তোমরা যদি (কোন বিষয়ে) না জানো, তাহলে আহলে যিকির বা আল্লাহওয়ালা উনাদেরকে জিজ্ঞাসা করে জেনে নাও।” (পবিত্র সূরা নহল শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৪৩)
উপরোক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ উনার দ্বারা প্রতীয়মান হলো যে, যিনি বা যারা সত্যিকার আল্লাহওয়ালা উনাদেরকে অনুসরণ করতে হবে। কেননা, উনাদেরকে অনুসরণ করা ব্যতীত কারো পক্ষে আল্লাহওয়ালা ও আল্লাহওয়ালী হওয়া কোনোভাবেই সম্ভব নয়। মহান আল্লাহ পাক তিনি প্রত্যেক বাকি অংশ পড়ুন...
২. তৃতীয় কোনো লিঙ্গের অস্তিত্ব নেই:
(পূর্বে প্রকাশিতের পর)
এরূপ আরো অনেক পবিত্র আয়াত শরীফ এবং পবিত্র হাদীছ শরীফ রয়েছেন। যেখান থেকে অত্যন্ত সুস্পভাবে প্রমাণিত যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি মানুষকে জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেছেন। তাদের মধ্যে কাউকে পুরুষ আর কাউকে মহিলা হিসেবে সৃষ্টি করেছেন। মহান আল্লাহ পাক তিনি পুরুষ ও মহিলা ছাড়া তৃতীয় কোনো লিঙ্গ সৃষ্টি করেননি। এ বিষয়টিই হযরত ইমাম-মুজতাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা সম্মানিত শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে আরো সুস্পষ্টভাবে ব্যক্ত করেছেন। উনারা হিজড়ার ব্যাপারে অর্থাৎ লিঙ্গগত দিক থেকে যেই ব্যক্ বাকি অংশ পড়ুন...
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ক্বওল শরীফ:স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ওলামায়ে সূদের প্রতি বদ দোয়া করেছেন। যেমন- মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন-
عَنْ حَضْرَتْ اَنَسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَيْلٌ لِّاُمَّتِىْ مِنْ عُلَمَاءِ السُّوْءِ يَتَّخِذُوْنَ هٰذَا الْعِلْمَ تِجَارَةً يَبِيْعُوْنَهَا مِنْ اُمَرَاءِ زَمَانِهِمْ رَبَحًا لِّاَنْفُسِهِمْ لَا اَرْبَحَ اللهُ تِجَارَتَهُمْ
“হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত আছে-
عَنْ حَضَرَتْ عُمَرُو بْنِ شُعَيْبِ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ عَنْ اَبِيْهِ عَنْ جَده اَنَّ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَيْسَ مِنَّا مَنْ تَشَبَّهَ بِغَيْرِنَا لاَتَشَبَّهُوْا بِالْيَهُوْدِ وَلا بِالنَّصَارٰى.
অর্থ: “হযরত উমর বিন শুয়াইব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি উনার পিতা হতে উনার পিতা উনার দাদা হতে বর্ণনা করেন যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি আমাদের ভিন্ন অন্য জাতির সাদৃশ্য অবলম্বন করে সে আমাদের দলভুক্ত নয়। কাজেই আপনারা ইয়াহুদী এবং নাছারাদের সা বাকি অংশ পড়ুন...
ভারতে মুসলিম সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা:
পবিত্র আজমীর শরীফে মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠিত হলো। কাফির মুশরিকদের প্রকাশ্য শত্রুতা ও বিরোধিতা বন্ধ হলো। কিন্তু অনেকে গোপনে ষড়যন্ত্র ও প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার কাজে লিপ্ত রইলো। অর্থ ও ক্ষমতার লোভ দেখিয়ে মুসলমানদের ক্ষতিসাধনের লক্ষ্যে সর্বদা তৎপর ছিল। এ কাজে গরীব কাফের-মুশরিকদের ব্যবহার করতো। নাউযুবিল্লাহ!
একদিন সুলত্বানুল হিন্দ, কুতুবুল মাশায়িখ, মুজাদ্দিদে যামান, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার পবিত্র দরবার শরীফে বসে আছেন। আলিম-উলামা, পীর-মাশায় বাকি অংশ পড়ুন...
ছহীহ মুসলিম শরীফে বর্ণিত হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
إِنَّ هَذَا الْعِلْمَ دِينٌ فَانْظُرُوا عَمَّنْ تَأْخُذُونَ دِينَكُمْ.
অর্থ: “নিশ্চয়ই (পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের) ইলিমই হচ্ছে সম্মানিত দ্বীন। সুতরাং কার নিকট থেকে তোমরা ইলিম গ্রহণ বা শিক্ষা করতেছো তাকে দেখে নাও। অর্থাৎ তার ঈমান-আক্বীদা, আমল-আখলাক্ব শুদ্ধ আছে কি-না তথা কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ সম্মত কি-না, তা যাচাই করে নাও। ”
অতএব, যাদের ঈমান-আক্বীদাতে ত্রুটি বা কুফরী রয়েছে অর্থাৎ যাদের আক্বীদা আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনাদের অনুযায়ী নয়, যাদের আমল-আখলাক্বে ত্রুটি রয়েছে বাকি অংশ পড়ুন...
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ক্বওল শরীফ:
نَـحْمَدُهٗ وَنُصَلِّىْ وَنُسَلِّـمُ عَلـٰى رَسُوْلِهِ الْكَرِيْمِ وَعَلـٰى وَالِدَىْ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعَلـٰى حَضْرَتْ اُمَّهَاتِ الْـمُؤْمِنِيْنَ عَلَيْهِنَّ السَّلَامُ وَعَلـٰى حَضْرَتْ اَهْلِ بَيْتِهِ الْكَرِيْمِ عَلَيْهِمُ السَّلَامُ. اَمَّا بَعْدُ
যিনি খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
اِنَّمَا يَخْشَى اللهَ مِنْ عِبَادِهِ الْعُلَمٰؤُا
“নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক উনার বান্দাদের মধ্যে যাঁরা আলিম উনারাই মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করেন। ” (পবিত্র সূরা ফাত্বির শরীফ: ২৮)
তাহলে এখানে দেখা যাচ্ছে, যাঁদের মধ্যে মহান আল্লাহ পাক উনার ভী বাকি অংশ পড়ুন...
পরিচিতি:
উনার কুনিয়াত বা উপনাম ছিলো আবুল ফযল। পিতার নাম: হযরত শায়েখ আব্দুল আযীয বিন হারিছ তামীমী রহমতুল্লাহি আলাইহি। হযরত শায়েখ আব্দুল ওয়াহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহি ছিলেন একজন বিশিষ্ট ফক্বীহ, হাম্বলী মাযহাবের একজন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিত্ব।
তিনি উনার পিতা, হযরত আব্দুল্লাহ বিন ইসহাক খুরাসানী রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত আবূ বকর নাজ্জাদ রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত আহমদ বিন কামিল রহমতুল্লাহি আলাইহি এবং আরো অন্যান্য অনেকের থেকে মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ বর্ণনা করেছেন এবং একজন নির্ভরযোগ্য মুহাদ্দিছ হিসাবে পরিচিত ছিলেন। উনার নিকট থেকে মহা বাকি অংশ পড়ুন...












