অতঃপর হযরত আবু ছালেহ মূসা জঙ্গী দোস্ত রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি পরদিন সকালে দজলা নদীর তীর দিয়ে হাঁটতে লাগলেন, যেদিক থেকে ছেব ফলটি ভেসে আসছিল। কিছুদূর যাবার পর তিনি দেখলেন, নদীর কিনারায় একটি ছেব ফলের বাগান। বাগানের একটি গাছের একটি ডালা ফলসহ নদীর উপর ঝুলন্ত অবস্থায়। আর তার কিছুফল পানিতে ভেসে আছে। তখন তিনি নিশ্চিত হলেন যে, নিশ্চয়ই আমি এই বাগানেরই ফল খেয়েছি।
অতঃপর তিনি বাগানের মালিকের বাড়িতে গেলেন। বাড়িতে গিয়ে উনার সাথে বাগানের মালীর দেখা হয়। মালী উনাকে অপেক্ষা করার জন্য বলে বাগানের মালিককে সংবাদ দেয়। কিছুক্ষণ পর বাগানের মালি বাকি অংশ পড়ুন...
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিছালী শান মুবারক প্রকাশের পরবর্তী সময়ে:
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিছালী শান মুবারক প্রকাশিত হওয়ার পর দীর্ঘদিন যাবত তিনি তা’লীম ব্যতিত অন্যান্য সকল কর্মকান্ড থেকে দূরে থাকেন। তবে খলীফাতুল মুসলিমীন, সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার খিলাফত মুবারককালে হিজরী ১৫ সনে তিনি জিহাদের ডাকে সাড়া দিয়ে ইয়ারমুকের জিহাদে বেরিয়ে পড়েন এবং বীরত্বের সাথে জিহাদ করেন। হিজরী ২০ সনে (৬৪০ খৃ:) খলীফা হযরত ফা বাকি অংশ পড়ুন...
ম উনার সম্মানার্থে আখেরী উম্মত তথা আমাদেরকে অসংখ্য, অগণিত নিয়ামত মুবারক হাদিয়া করেছেন। আর সেই অসংখ্য, অগণিত নিয়ামত মুবারক উনাদের মধ্যে বিশেষ একখানা নিয়ামত মুবারক হচ্ছেন- পবিত্র শা’বান শরীফ মাস উনার মধ্যরাত্রি মুবারক যা আমাদের এই অঞ্চলে পবিত্র শবে বরাত নামেই মশহূর। যাকে পবিত্র কুরআন শরীফে ‘লাইলাতুম মুবারকাহ’ এবং পবিত্র হাদীছ শরীফে ‘লাইলাতুন নিছফে মিন শা’বান’ বলে নামকরণ করা হয়েছে। আমাদের এই অঞ্চলে এই রাত্রি মুবারক ‘শবে বরাত’ হিসেবে মশহূর হওয়ার কারণ হচ্ছে, এই এলাকায় একসময় ফার্সী ভাষার প্রচলন ছিলো। তাই খোদা, নামায, রোযা, পান বাকি অংশ পড়ুন...
সুলতানুল হিন্দ, খাজা গরীবে নেওয়াজ হাবীবুল্লাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার দরবার শরীফে সুলতান শিহাবুদ্দীন মুহম্মদ ঘোরী:
হিন্দু রাজা পৃথ্বিরাজ মুসলমান সৈন্যবাহিনীর হাতে পরাজিত হয়ে গ্রেফতার হলো। তাকে সুলতান শিহাবুদ্দীন মুহম্মদ ঘোরীর নিকট হাজির করা হলো। জানতে চাওয়া হলো পৃথ্বিরাজের ব্যাপারে সুলতানের ফায়সালা।
সুলতান শিহাবুদ্দীন মুহম্মদ ঘোরী বললেন, “তোমরা তাকে চির বিদায় করে দাও। শত্রুর শেষ রাখতে নেই। ” নির্দেশ পেয়ে সৈন্যরা পৃথ্বিরাজের মাথা দ্বিখ-িত করলো। তার লাশ নদীতে ফেলে দিলো। (তারিখে ফেরেশতা- ১/৫৮, গরীবে নেওয়াজ পূর্ণাঙ্গ বাকি অংশ পড়ুন...
কা’বা শরীফে উচ্চস্বরে পবিত্র কুরআন শরীফ তিলাওয়াত:
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসঊদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি যখন ইসলাম গ্রহণ করেন তখন মুসলমান সংখ্যা ছিলো অল্প। মক্কা শরীফে তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ব্যতীত অন্য কেউ উচ্চস্বরে পবিত্র কুরআন শরীফ তিলাওয়াত করেননি। মু’মিনগণ পরস্পর আলোচনা করে স্থির করেন যে, অবিলম্বে কুরাইশ গোত্রের লোকদেরকে উচ্চস্বরে পবিত্র কুরআন শরীফ তিলাওয়াত শুনাতে হবে। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসঊদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি এই দায়িত্ব গ্রহণ করতে অগ্রসর হ বাকি অংশ পড়ুন...
ইবনাতু আবীহা, উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আর রবি‘য়াহ আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় ইসম বা নাম মুবারক যে কারণে ইতিহাসের পাতায় ও মু’মিনদের মনে অত্যান্ত মর্যাদার সাথে লেখা হয়ে আছে তাহলো তিনি ছিলেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার সংরক্ষক বা হেফাযতকারী। ইয়ামামার যুদ্ধে বহু সংখ্যক হাফিযে কুরআন শহীদ হলে সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি এ ঘটনায় অত্যন্ত উদ্বিগ্ন হয়ে সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার কাছে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ সংকলনের প্রস্তা বাকি অংশ পড়ুন...
পরিচিতি:
নাম মুবারক- আবদুল্লাহ, কুনিয়াত বা উপনাম মুবারক- আবু আবদির রহমান, পিতা- মাসঊদ এবং মাতার নাম উম্মু আবদ্। লোকে উনাকে ইবনু উম্মে আবদ্ বলে ডাকত। পবিত্র মক্কা শরীফের হুযাইল গোত্রের লোক। নসবনামা মুবারক- মুদার বিন নিযার আলাইহিমুস সালাম পর্যন্ত প্রলম্বিত। বনু যুহরার হালীফ (মিত্র), একজন মুহাজির বদরী ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। প্রথম পর্যায়ের দ্বীন ইসলাম গ্রহণকারীদের একজন। বদরের জিহাদে অংশগ্রহণকারী, দুইবার হিজরতকারী, উম্মতের একজন বিশিষ্ট আলিম ও ফক্বীহ ছাহাবী; এজন্য উনার মশহুর ও প্রসিদ্ধ লক্বব মুবারক হচ্ছেন ফক্বীহুল বাকি অংশ পড়ুন...












