(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
আল্লাহ পাক তিনি কুরআন শরীফ-এ এবং যিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হাদীছ শরীফ-এ আমভাবে হযরত আহলে বাইত আলাইহিমুস সালাম এবং খাছভাবে উনাদের প্রত্যেকের শানে অর্থাৎ হযরত সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার ফাযায়িল-ফযীলত, বুযুর্গী-সম্মান, খুছূছিয়ত বর্ণনা করেছেন। আল্লাহ পাক তিনি কুরআন শরীফ-এ ইরশাদ করেন-
قل لا اسئلكم عليه اجرا الا المودة فى القربى
আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, হে আমার হাবীব, নূরে ম বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন-
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عُمَرَ رَضِىَ اللهُ تَـعَالـٰى عَنْهُ عَنْ رَّسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ خِصَالٌ لَّا تَـنْۢبَغِـىْ فِـى الْمَسْجِدِ لَا يُـتَّخَذُ طَرِيْـقًا
অর্থ: হযরত ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে বর্ণনা করেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, কতগুলো অভ্যাস বা কাজ রয়েছে সেগুলো পবিত্র মসজিদ উনাদের মধ্যে করা জায়িয নেই। যেমন- পবিত্র মসজিদ উনাদেরকে (ভেঙ্ বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের মুহব্বত মুবারক, উনাদের প্রতি হুসনে যন বা উত্তম ও সঠিক ধারণা জুয্য়ে ঈমান বা ঈমানের অঙ্গ। আর হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের সমালোচনা করা ও উনাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করা কাট্টা কুফরীর অন্তর্ভুক্ত। এ সম্পর্কে দলিল-আদিল্লাহসহ বিস্তারিত আলোচনা করার পূর্বে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের বুযুর্গী-সম্মান, ফাযায়িল-ফযীলত, মর্যাদা-মর্তবা মুবারক তুলে ধরা হলো। পরবর্তীতে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের সম্পর বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
মূলতঃ আবহমানকাল হতে যারা খাছ ও খাঁটি ওলীআল্লাহ হয়েছেন, উনারা সকলেই স্ব-স্ব শায়েখ বা মুর্শিদ ক্বিবলা উনার আদেশ ও নিষেধের প্রতি পূর্ণ আনুগত্যশীল ছিলেন। শায়েখ বা মুর্শিদ ক্বিবলা উনার ইজাযত না পাওয়া পর্যন্ত শায়েখ উনার খানকা শরীফ হতে উনারা প্রস্থান করতেন না। এমনকি এক্ষেত্রে যদিও শরীয়তের কোন গুরুত্বপূর্ণ আমল ব্যহত হতো তথাপিও সেই সকল ব্যক্তিগণ উনারা উনাদের শায়েখ বা মুর্শিদ ক্বিবলা উনার ছোহবত মুবারককেই প্রাধান্য দিয়ে তথায় অবস্থান করতেন।
এ প্রসঙ্গে আফদ্বালুল আউলিয়া, ইমামে রব্বানী, ক্বাইয়ূমে আউওয়াল সাইয়্যি বাকি অংশ পড়ুন...
প্রত্যেক জিন-ইনসানই সুখ প্রিয়, শান্তি প্রিয়। আর এটাই সকলের লক্ষ্য কিভাবে একটু সুখে থাকা যায়, শান্তিতে থাকা যায়। আর এই সূখের জন্যই প্রত্যেকে সব কিছুকে বিসর্জন দেয়। কেউ টাকার পিছনে ছুটে, কেউ বা আবার ক্ষমতার দিকে। সবার উদ্দেশ্যই এক ও অভিন্ন। কিন্তু বাস্তবে কারোরই সুখের দেখা মিলে না। আর মিলবেই বা কি করে? যে পথে সুখের সন্ধান করার কথা সে পথ বাদ দিয়ে অন্য পথে কি করে সুখ মিলতে পারে?
প্রকৃত সুখ, শান্তি বা ইতমিনান লাভ করতে হলে অবশ্যই সেটা মহান আল্লাহ পাক উনার নির্দেশিত পথেই তালাশ করতে হবে। তবেই প্রকৃত সুখ মিলবে, মিলবে ইতমিনান। এখন প্রশ্ন জা বাকি অংশ পড়ুন...
বর্তমানে অনেকেই জানান, তার কোন লেখা পড়তে ইচ্ছা করে না। পড়ার বই বা পত্রিকার আর্টিকেল, এমনকি ডিজিটাল মাধ্যমের লেখাও নয়। সে ভিডিও’র মাধ্যমে জানতে ইচ্ছুক। কারণ ভিডিওর মাধ্যমে কষ্ট কম এবং সহজ হয়।
মানুষের মধ্যে হঠাৎ এ ধরনের অভ্যাস তৈরী হওয়ার একটি বড় কারণ ইন্টারনেটে অনলাইনের ব্যবহার। মানুষ এখন অনলাইনে প্রচুর পরিমাণে ভিডিও কনটেন্ট দেখে। এই যে ভিডিও দেখার অভ্যাস এবং দ্রুত একটির পর একটি দেখা, এটি মানুষের আচরণে পরিবর্তন এনে ধৈর্যচ্যূতি ঘটাচ্ছে। সে একটি ভিডিওতেও বেশিক্ষণ মনোযোগ দিতে পারছে না, বরং অনেক ভিডিও দেখতে হবে এমন তাড়া অনুভব কর বাকি অংশ পড়ুন...
এতো ফযীলত মহান আল্লাহ পাক তিনি দিয়েছেন উনাদেরকে, যার কোনো মেছাল নেই। উনাদেরকে সবদিক থেকেই মর্যাদা-মর্তবা দেয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে আরেকখানা আয়াত শরীফ-এ উল্লেখ করা হয়েছে। মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই বলেন-
إِنَّمَا يُرِيدُ اللَّهُ لِيُذْهِبَ عَنْكُمُ الرِّجْسَ أَهْلَ الْبَيْتِ وَيُطَهِّرَكُمْ تَطْهِيرًا
নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি চান, আপনারা যাঁরা আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম রয়েছেন, আপনাদেরকে পবিত্র করার মতো পবিত্র করতে। অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক তিনি আপনাদেরকে পবিত্র করার মতো পবিত্র করেই সৃষ্টি করেছেন। সুবহানাল্লাহ! বেমেছাল পবিত্রতা দিয়ে, যোগ্ বাকি অংশ পড়ুন...
তাই হযরত আলী খাওয়াস রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন-
لا يكمل الفقير فى باب الاتباع لرسول الله صلى الله عليه وسلم حتى يصير مشهودا له فى كل عمل مشروع ويستاذنه فى جميع اموره من اكل ولبس وجماع ودخول وخروج.
অর্থাৎ কোন ফকীহ্ (অর্থাৎ ওলীআল্লাহ) সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার (শুধুমাত্র বাহ্যিক) অনুসরণেই কামেল হতে পারেন না, যে পর্যন্ত সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি শরীয়তের প্রতিটি কাজের মধ্যে উনার নিকট দৃশ্যমান না হন। এমনকি উন বাকি অংশ পড়ুন...
ফিরাসাত বা অন্তর্দৃষ্টি-২
ইমামুল মুসলিমীন, ইমামুল মুহাদ্দিসীন, মুজাদ্দিদে মিল্লাত ওয়াদ দ্বীন, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি একদিন একটি বড় নালার পাড়ে ওযূ করছিলেন। যখন কুলি করার জন্য পানি মুখ মুবারকের নিকট আনলেন তখন দুর্গন্ধ পেলেন। তারপর যেদিক থেকে পানি আসছিল সেদিকে রওয়ানা হলেন। কিছু দূর গিয়ে দেখতে পেলেন, একজন যুবক গোসল করছে। ইমামুল মুসলিমীন সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি সেই যুবককে বললেন, হে যুবক! তুমি কি মুসলমান? যুবক জবাবে বললো, হ্যাঁ, আমি মুসলমান। তখন তিনি তাকে কাছে ডাকলেন, বল বাকি অংশ পড়ুন...
গৃহপালিত পশুর মালিক অতিরিক্ত যাকাত দিতে পারবেন
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اُبَـىِّ بْنِ كَعْبٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ بَعَثَنِي النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُصَدِّقًا فَمَرَرْتُ بِرَجُلٍ فَلَمَّا جَـمَعَ لِيْ مَالَهُ لَـمْ اَجِدْ عَلَيْهِ فِيْهِ اِلَّا اِبْنَةَ مَـخَاضٍ فَقُلْتُ لَهٗ اَدِّ ابْنَةَ مَـخَاضٍ فَاِنَّـهَا صَدَقَتُكَ. فَقَالَ ذَاكَ مَا لَا لَبَنَ فِيْهِ وَلَا ظَهْرَ وَلَكِنْ هٰذِهٖ نَاقَةٌ فَتِيَّةٌ عَظِيْمَةٌ سَـمِيْنَةٌ فَخُذْهَا. فَقُلْتُ لَهٗ مَا اَنَا بِاٰخِذٍ مَا لَـمْ اُوْمَرْ بِهٖ وَهٰذَا رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْكَ قَرِيْبٌ فَاِنْ اَحْبَبْتَ اَنْ تَأْتِيَهٗ فَتَعْرِضُ عَلَيْهِ مَا عَرَضْتَ عَل বাকি অংশ পড়ুন...












