(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
এখন একদিক থেকে উনারা আহলে বাইত উনাদের অন্তর্ভুক্ত। আরেক দিক থেকে যাঁরা উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারাও আহলে বাইত উনাদের অন্তর্ভুক্ত। এখানে উনাদেরকে খাছ করে বুঝানো হয়েছে এই মুবাহালার জন্য। উনাদের যে খুছূছিয়ত তা হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত রয়েছে।
قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَرَكْتُ فِيْكُمْ فِئَتَيْنِ كِتَابَ اللهِ وَسُنَّتِى
একখানা হাদীছ শরীফ।
আরেকখানা হাদীছ শরীফ-
تَرَكْتُ فِيْكُمْ فِئَتَيْنِ كِتَابَ اللهِ وَعِتْرَتِى
এখানে মুহাদ্দিছীনে কিরাম যাঁরা, যাঁরা হাদীছ শরীফ বিশারদ উনারা বলেন-
تَرَكْتُ فِيْكُمْ فِئَتَيْنِ كِتَابَ اللهِ বাকি অংশ পড়ুন...
(বিলাদত শরীফ ৫৩৬ হিজরী, বিছাল শরীফ ৬৩৩ হিজরী)
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
কুতুবুল মাশায়িখ, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সম্মানিতা মাতা সাইয়্যিদা হযরত উম্মুল ওয়ারাহ মাহে নূর রহমতুল্লাহি আলাইহা তিনি বলেন, আমরা সাধারণত বৃহস্পতিবার রাত খাছভাবে ইবাদত-বন্দেগী, যিকির-ফিকিরের মাধ্যমেই অতিবাহিত করতাম। আমার যাওজুল মুকাররাম আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদ গিয়াসুদ্দীন রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি তাহাজ্জুদ নামায শেষ করে যখন মুনাজাতের জন্য হাত মুবারক তুললেন তখন সমস্ত ঘর মনোমুগ্ধকর আকর্ষণীয় খুশবুতে ভরে গেলো।
উল্ল বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
অর্থাৎ এটাকে আয়াতে মুবাহালা বলা হয়। যখন কোনো বিষয় দলীল-আদিল্লাহ দিয়ে ফায়ছালা হয় না তখন মুবাহালা করার বিষয়টা এসে থাকে। এখন যারা উপস্থিত থাকে তারা থাকলেও চলবে, আল-আওলাদদেরকে ডাকলেও চলে, সেটার গুরুত্ব বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। সেটা মহান আল্লাহ পাক তিনি বলে দেন। যখন মুবাহালার আয়াত শরীফ নাযিল হলো, তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন ঠিক আছে, তোমাদের মধ্য থেকে যারা উপস্থিত তারা আসুক, আমরাও আসি। এখন মুবাহালা করা হবে। বলতে হবে কি? মহান আল্লাহ পাক! যে বিষয়ে আলোচনা হলো, এতে যারা বাকি অংশ পড়ুন...
(গতকালকের পর)
(১৬) শায়েখ বা মুর্শিদ ক্বিবলা তিনি কোন কাজের জন্য মুরীদকে ত্বলব করলে যথাসময়ে উনার ডাকে সাড়া দিবে এবং কাজ শেষ করতঃ পুনরায় অনুমতি বা নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত উনার ছোহবত মুবারক থেকে প্রস্থান করবে না। অপর কোন বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে উনার আহবানে সাড়া না দেয়া এবং বিনা অনুমতিতে উনার দরবার শরীফ হতে বিদায় হওয়া মুরীদের জন্যে উচিত নয়।
কেননা মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
لَا تَجْعَلُوا دُعَاءَ الرَّسُولِ بَيْنَكُمْ كَدُعَاءِ بَعْضِكُمْ بَعْضًا قَدْ يَعْلَمُ اللَّهُ الَّذِينَ يَتَسَلَّلُونَ مِنْكُمْ لِوَاذًا
অর্থ: “তোমরা পরস্পর পরস্পরকে যেভাবে সম্বোধন করে বাকি অংশ পড়ুন...
নিসবত, তায়াল্লুক-এর যে বিষয়টা এবং
وَيُؤْذِينِي مَا آذَاهَا
যে সমস্ত বিষয় সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ হযরত আন নূরুর রবিআহ আলাইহাস সালাম উনাকে কষ্ট দেয়, সে সমস্ত বিষয়গুলি স্বয়ং নূরে মুজাসসাম, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকেও কষ্ট দেয়। নাঊযুবিল্লাহ! এই যে বিষয়টা নিসবত, মুহব্বত, তায়াল্লুক উনার মুহব্বত জুয্য়ে ঈমান। যেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। যেহেতু উনারা আহলে বাইত শরীফ উনাদের অন্তর্ভুক্ত। পবিত্র কুরআন শরীফ-এ মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র বাকি অংশ পড়ুন...
(গতকালকের পর)
কাজেই যদি কোন ব্যক্তি স্বপ্নেও দেখে যে, আফদ্বালুল আউলিয়া ইমামে রব্বানী হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি, মাহবূবে সুবহানী কুতুবে রব্বানী সাইয়্যিদুল আউলিয়া গাউছুল আ’যম হযরত বড়পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি প্রমুখ আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা তাকে ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহ দিচ্ছেন তাহলে বুঝতে হবে যে, স্বীয় মুর্শিদ ক্বিবলা উনার পক্ষ হতেই ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহ দেয়া হচ্ছে। মূলতঃ একজনের মুরীদকে অন্যজন সেই মুরীদের শায়েখ উনার অনুমতি ব্যতিত ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহ দিতে পারেন না। আর তা তরতীবও নয়।
বর্ণিত আছে যে, একবা বাকি অংশ পড়ুন...
নিজের চেয়ে অপরের প্রয়োজনকে অত্যাধিক গুরুত্ব দেয়াকে ঈছার বলা হয়। যা হামদরদী অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার সম্মানিত হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুহব্বতে অপরের প্রয়োজনের প্রতি গুরুত্বারোপের যে প্রাধান্য দেয়া হয় সেটাকেই বুঝানো হয়। হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের প্রত্যেকটি কথা, কাজ, অভ্যাসে হামদরদীর যে ঈমানদীপ্ত নিদর্শন ফুটে উঠতো তা পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী যামানার অন্য কোন মানুষের পরস্পরের মাঝে খুজে পাওয়া অত্যন্ত দুষ্কর বটে। মহান আল্লাহ পাক তিন বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
উনার ‘আক্দ্ মুবারক’ অর্থাৎ হযরত ইমামুল আউওয়াল র্কারামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি যে উনাকে গ্রহণ করলেন খিদমত করার জন্য, সে ‘আক্দ্ মুবারক’ সম্পর্কে যদিও অনেক ইখতিলাফ রয়েছে। এখানে একটা বিষয় উল্লেখ্য সেটা হচ্ছে, আসলে মুসলমানদের যে ইতিহাসগুলি রয়েছে, যেটা আমি অনেকবার বলেছি তাহলো- বাগদাদ যখন হালাকু খান নিয়ে নেয় অর্থাৎ বাগদাদ যখন পতন ঘটে তখন এই কাফির-মুশরিক, ইহুদী-নাছারাগুলি বাগদাদে যে বড় বড় লাইব্রেরী ছিল সেখানে বড় বড় নির্ভরযোগ্য কিতাবাদি ছিলো। সেখান থেকে মুসলমানদের ইতিহাসগুলি তারা পুড়িয়ে দিয়ে অন্য বাকি অংশ পড়ুন...
(১৩) শায়েখ বা মুর্শিদ ক্বিবলা যদি কোন কারণবশতঃ মুরীদের প্রতি অসন্তুষ্ট হন, তবে উনার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করবে না। বরং তিনি কেন এমন হলেন, সে কারণ খুঁজে বের করবে। নিজের কৃত অন্যায়ের জন্য মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করবে এবং ভবিষ্যতে এরূপ না করার জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করবে। অতঃপর শায়েখ বা মুর্শিদ ক্বিবলা উনার দরবার শরীফে হাজির হয়ে কৃত অপরাধের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করতঃ বিনয় প্রকাশ করবে। মনে রাখবে, মহান আল্লাহ পাক উনার নৈকট্য লাভের জন্য শায়েখ বা মুর্শিদ ক্বিবলা উনার সাহায্য ব্যতীত গত্যন্তর নেই। যেমন- কেউ যদি রাজা-বাদশাহ’র বাকি অংশ পড়ুন...
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اُعْطِيْتُ خَـمْسًا لَـمْ يُعْطَهُنَّ اَحَدٌ قَبْلِـىْ نُصِرْتُ بِالرُّعْبِ مَسِيْـرَةَ شَهْرٍ وَّجُعِلَتْ لِــىَ الْاَرْضُ مَسْجِدًا وَّطَهُوْرًا فَاَيُّـمَا رَجُلٍ مِّنْ اُمَّتِـىْ اَدْرَكَتْهُ الصَّلـٰوةُ فَلْيُصَلِّ وَاُحِلَّتْ لِــىَ الْمَغَانِـمُ وَلَـمْ تَـحِلَّ لِاَحَدٍ قَبْلِىْ وَاُعْطِيْتُ الشَّفَاعَةَ وَكَانَ النَّبِـىُّ يُبْعَثُ اِلـٰى قَوْمِهٖ خَاصَّةً وَّبُعِثْتُ اِلَـى النَّاسِ عَامَّةً.
অর্থ: নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আমাকে এমন পাঁচটি সম্মানিত নি‘য়ামত বাকি অংশ পড়ুন...
স্বয়ং সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সরাসরি তা তদারকি মুবারক করে থাকেন
وعد الله الذين امنوا وعملوا الصالحات لـهم مغفرة واجر عظيم
অর্থ: মহান আল্লাহ পাক তিনি মুবারক ওয়াদা করছেন যে, পবিত্র ঈমান আনয়নকারী এবং আমলে ছলিহকারী উনাদের জন্য ক্ষমা ও মহান প্রতিদান রয়েছে। (পবিত্র সূরা মায়িদা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৯)
অর্থাৎ আমলে ছলিহকারী মু’মিন উনাদের প্রতিদান সম্পূর্ণরুপে প্রদান করার ব্যাপারে স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি মুবারক ওয়াদা করেছেন। এখন সর্বশ্রেষ্ঠ আমলে ছলিহ কোনটি? আসল বাকি অংশ পড়ুন...
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
اَلْقَاضِىْ لَـهُمْ حَوَائِجَهُمْ
অর্থ: “যারা আমার বংশধর সম্মানিত আওলাদ ও সম্মানিত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মাল দিয়ে, সম্পদ দিয়ে খিদমত মুবারকের আঞ্জাম দিবে তাদেরকে আমি ক্বিয়ামতের দিন তথা দায়িমীভাবে সবসময় সুপারিশ করবো।” সুবহানাল্লাহ!
এ প্রসঙ্গে আনওয়ারুল আরিফীন নামক কিতাবে বর্ণিত আছে- হযরত রবি বিন সুলাইমান রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বড় একজন বুযূর্গ ব্যক্তি আল্লাহওয়ালা ছিলেন। উনার অনেক মুরিদ-মুতাকিদ ছিলেন। তিনি উনার হায়াতে ৫০ ব বাকি অংশ পড়ুন...












