হিজরত’ শব্দটি হিজরান অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। সাধারণভাবে দেশত্যাগ করাকে ‘হিজরত’ বলা হয়। সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার পরিভাষায় হিজরত বলা হয়, ফিতনা-ফাসাদের আশঙ্কায় অথবা সম্মানিত দ্বীন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দেশত্যাগ করে অন্য কোনো দেশে গমন করা। মূলত, ‘সম্মানিত দ্বীন উনার কারণে কোনো দেশত্যাগ করাও হিজরতের অন্তর্ভুক্ত।’
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার দুশমন কাফির-মুশরিকরা গোপনে বৈঠক করে এ সিদ্ধান্তে উপনীত হলো যে, আগামীকাল ভোরবেলা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার পবিত্র হুজরা শরীফ থেকে যখন বাইর বাকি অংশ পড়ুন...
আফযালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া হযরত ছিদ্দীক্বে আকবার আলাইহিস সালাম উনার বুযুর্গী ও ফযীলত মুবারক বর্ণনার অপেক্ষা রাখে না। পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি একাধিক স্থানে উনার পবিত্র ছানা-ছিফত মুবারক করেছেন। উনার প্রশংসায় অসংখ্য পবিত্র হাদীছ শরীফ বর্ণিত হয়েছে। হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালামগণ উনাদের পরে যিনি সর্বশ্রেষ্ঠ মর্যাদার অধিকারী তিনিই হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম। তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরকে সন্তুষ্ট বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত বুরাইদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার পবিত্র ইসলাম গ্রহণ সম্পর্কে বলা হয়, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র মদীনা শরীফ উনার দিকে কিছুটা সামনে অগ্রসর হলে হযরত সুরাকা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার মতো হযরত বুরাইদা আসলামী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি ৭০ জন অশ্বারোহীসহ সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সন্ধানে বের হ বাকি অংশ পড়ুন...
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ফুফাত ভাই হযরত যুবাইর বিন আওওয়াম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার সাথে হযরত আসমা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা উনার বিবাহ হয়। হিজরতের পর তিনি মদীনা শরীফে চলে আসলে এখানেই পারিবারিক জীবন যাপন করতে থাকেন। কিন্তু হযরত যুবাইর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার সংসার ছিল হিসাবী সংসার। সাংসারিক কাজে সাহায্যের জন্য কোন গোলাম-বাঁদী ছিল না। থাকার মধ্যে ছিল একটি ঘোড়া ও একটি উট। এইগুলির দেখাশুনা করতে হতো হযরত আসমা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা উনাকেই। হযরত আসমা রদ্বিয়াল্ বাকি অংশ পড়ুন...
يَاۤ اَيُّهَا النَّاسُ قَدْ جَاءَتْكُمْ مَّوْعِظَةٌ مِّنْ رَّبِّكُمْ وَشِفَاءٌ لِّمَا فِىْ الصُّدُوْرِ. وَهُدًى وَّرَحْمَةٌ لِّلْمُؤْمِنِيْنَ. قُلْ بِفَضْلِ اللهِ وَبِرَحْمَتِهٖ فَبِذٰلِكَ فَلْيَفْرَحُوْا هُوَ خَيْرٌ مِّـمَّا يَجْمَعُوْنَ
তরজমা: “হে মানুষেরা! তোমাদের রব তায়ালা উনার তরফ থেকে তোমাদের নিকট এসেছেন মহান নছীহতকারী, অন্তরের মহান আরোগ্য দানকারী, মহান হিদায়েত দানকারী এবং মু’মিনদের জন্য মহান রহমত দানকারী। (অতএব, আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনি (উম্মতদেরকে) বলে দিন, মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত ফদ্বল ও সম্মানিত রহমতস¦রূপ আপনাকে যে তারা পেয়েছে, সেজন্য তাদের প্রতি কর্ত বাকি অংশ পড়ুন...
ইমামুল আউওয়াল মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ইমামুল মুত্তাক্বীন, আসদুল্লাহিল গালিব, খলীফাতুর রবি’, আমীরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন, সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি প্রায়ই বলতেন, মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন উনার একটি আদেশ মুবারক শুধু আমিই পালন করেছি। আমার পূর্বে এবং পরে অন্য কারো পালন করার সৌভাগ্য হয়নি। (তাফসীরে ইবনে কাসীর)
মহান আল্লাহ পাক তিনি যখন হুকুম দিলেন
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا نَاجَيْتُمُ الرَّسُولَ فَقَدِّمُوا بَيْنَ يَدَيْ نَجْوَاكُمْ صَدَقَةً ۚ ذَٰلِكَ خَيْرٌ لَكُمْ وَأَطْهَرُ ۚ فَ বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অস্বীকারকারীরা বলে থাকে হযরত ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি কি এই অনুষ্ঠান পালন করা বিষয়ে কোনো হাদীছ শরীফ এনেছেন? আর জন্মদিন পালন করা খিস্টানদের কালচার। আপনারা কেন তা পালন করেন? নাউযুবিল্লাহ!
মজার কথা হলো আমীরুল মু’মিনিন ফিল হাদীছ হযরত ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি পবিত্র বিলাদত শরীফ (জন্মদিন) পালন করার পক্ষে উনার কিতাবে দুইটি বাব রচনা করে দুইখানা পবিত্র হাদীছ শরীফ এনেছেন। উক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফে স্পষ্টভাবেই আমরা দেখতে পাই- বিলাদত বা জন্মগ্রহণ উপলক বাকি অংশ পড়ুন...
২৪৬ পর্ব:
সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি এটাই করলেন যে, তোমার মতো বয়সধারী অহঙ্কারী ও পবিত্র তাওরাত শরীফ ও পবিত্র ইঞ্জিল শরীফ-এর, অভিজ্ঞ এবং ত্রিত্ববাদে বিশ্বাসীকে মিম্বর থেকে নীচে নামিয়েছেন। আর আমার মত অল্প বয়সী, একত্ববাদে বিশ্বাসী মুসলমানকে মহান আল্লাহ পাক উনার অনুগত ত্বলিবে ইলিম (ছাত্র) শিশু সন্তানকে মিম্বরের উপর বসিয়ে দিলেন। তোমাদের দিলেন জিল্লত (অপমান) এবং আমাকে দিলেন ইজ্জত (সম্মান)। সুবহানাল্লাহ!
পরে রোমীয় পাদ্রী স্বীয় ওয়াদা ও শর্ত অনুযায়ী পবিত্র কালিমা শরীফ পাঠ করলো-
لا বাকি অংশ পড়ুন...
সাধারণভাবে মালে তেজারত বা ব্যবসার মাল অর্থাৎ যে মালের ব্যবসা করা হয়, তা যদি নিছাব পরিমাণ হয় এবং এক বছর কারো মালিকানাধীনে থাকে, তাহলে তার উপর যাকাত ফরয হয়।
ব্যবসার পণ্য বা আসবাবপত্রের সম্মানিত যাকাত (সোনা-রূপার নিছাবে রূপার মূল্য ধরে) :
اَلزَّكٰوةُ وَاجِبَةٌ فِىْ عُرُوْضِ التِّجَارَةِ كَائِنَةٌ مَّا كَانَتْ اِذَا بَلَغَتْ قِيْمَتُهَا نِصَابًا مِّنَ الْوَرَقِ اَىْ مِنْ وَّرَقِ الْفِضَّةِ اَوِ الذَّهَبِ يَقُوْمُهَا بِـمَا هُوَ اَنْفَعُ لِلْفُقَرَاءِ وَ الْـمَسَاِكِيْنِ مِنْهُمَا.
অর্থ : “ব্যবসায়ের মাল যে প্রকারেরই হোক না কেন, তার দাম সোনা-রূপার নিছাব পরিমাণ হলেই সম্মানিত যাকাত ওয়াজিব হয়। সোনা অথবা র বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বিষয়গুলি সুক্ষ্ম থেকে সূক্ষ্ম। আর উনাদের ঘৃণা করলে সরাসরি তার শাস্তি মৃত্যুদন্ড। যিনি খলিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন,
مَلْعُونِينَ
তারা হলো লা’নত গ্রস্থ। পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন। কি বলেন? যারা হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের পবিত্র শান মুবারকে চূ-চেরা কিল ও কাল করে তারা হচ্ছে লা’নত গ্রস্থ। নাউযুবিল্লাহ! কতটুকু? ইবলিসও লা’নত গ্রস্থ তার চেয়েও বেশি। যি বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি বলেন-
فَلْيَحْذَرِ الَّذِينَ يُخَالِفُونَ عَنْ أَمْرِهِ أَنْ تُصِيبَهُمْ فِتْنَةٌ أَوْ يُصِيبَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ
অর্থ: “সুতরাং যারা উনার (রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার) আদেশের বিরোধিতা করে, তাদের ভয় করা উচিত যে, তাদের উপর এসে পড়বে কোন যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি। ” (পবিত্র সূরা নূর শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ-৬৩)
আর এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِى رَافِعٍ عَنْ أَبِيهِ عَنِ النَّبِىِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لاَ أُلْفِيَنَّ أَحَدَكُمْ مُتَّكِئًا عَلَى أَرِيكَتِهِ يَأْتِيهِ الأَمْرُ مِنْ أَمْرِى مِمَّا أَمَرْتُ بِهِ أَوْ نَهَيْتُ عَنْهُ فَيَ বাকি অংশ পড়ুন...












