যিনি খলিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি বারবার পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে বললেন, কেন বললে না?
وَلَوْلا إِذْ سَمِعْتُمُوهُ قُلْتُم مَّا يَكُونُ لَنَا أَن نَّتَكَلَّمَ بِهَذَا
যখন তোমরা শুনলে তখন কেন বললে না, আমাদের জন্য জায়িয নেই। উনাদের শান মুবারকে আমাদের কথা বলার অধিকার নেই। উনারা পবিত্র থেকে পবিত্রতম বরং পবিত্রতা দানকারী। এটা প্রকাশ্য অপবাদ, কেন বললে না? তাহলে কি বুঝা গেল এখান থেকে। যেমন বিশুদ্ধ হুসনে যন পোষণ করতে হবে উনাদের সম্পর্কে যে কখনও অনুমান করে, ধারণা করে, ফিকির করে কোন কিছু কথা বলা যাবে না। বলতে হবে উনাদের সম্পর্কে আমাদের কোন ইলম ক বাকি অংশ পড়ুন...
সাইয়্যিদুল আউলিয়া, গাউছুল আ’যম, হাবীবুল্লাহ, খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার লক্ষ-কোটি রহমত, বরকত, সাকীনা, মাগফিরাত, দয়া-দান, ইহসান মুবারক যার কারণে আমরাসহ সারা কায়িনাত আমাদের দোজাহানের মমতাময়ী মাতা আদরণীয় মা সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, ইমামুছ ছিদ্দীক্বা, ক্বায়িম-মাক্বামে উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদুর রসূল, হাবীবাতুল্লাহ, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনাকে লাভ করেছি।
আমরাই শ্রেষ্ঠ উম্মত তথা উম্মতে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া স বাকি অংশ পড়ুন...
যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি এরপর পবিত্র আয়াত শরীফ নাযিল করেছেন। তিনি ধাপে ধাপে অনেক কিছু বলেছেন। মানুষতো এর অর্থ বুঝে না। আরবী অর্থ বুঝে হাক্বীক্বত বুঝে না। যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি বললেন, কেন তোমরা বললে না?
وَلَوْلا إِذْ سَمِعْتُمُوهُ
যখন তোমরা শুনলে। কি বলা উচিত ছিল?
قُلْتُم مَّا يَكُونُ لَنَا أَن نَّتَكَلَّمَ بِهَذَا
যখন শুনলে তখন কেন বললে না আমাদের এ বিষয় কথা বলার অধিকার নেই। কেন বললে না? কেন বললে না?
سُبْحَانَكَ هَذَا بُهْتَانٌ عَظِيمٌ.
যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র উনারাও পবিত্র। হযর বাকি অংশ পড়ুন...
খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার দিকে মানুষকে ডাকা খাছ সুন্নতে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। সকল হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালামগণ উনারাও উনাদের সমগ্র জীবন মুবারকে মানুষকে মহান আল্লাহ পাক উনার দিকে, হিদায়েতের দিকে ডেকে গেছেন। আর এই ডাকার ফলশ্রুতিতে অবর্ণনীয় কষ্ট, ত্যাগ তিতিক্ষা সহ্য করেছেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উম্মতগণের মধ্যে যাঁরা হক্কানী-রব্বানী ওলীআল্লাহ উনারা হচ্ছেন বনী ইসরাইল যুগের নবীগণ সদৃশ। সুবহানাল্লাহ!
একজন মানুষের প্রথমে নিজে ইছলাহ হওয়া ফরয। অ বাকি অংশ পড়ুন...
যারা নিজের ভাল-মন্দ কাজের মধ্যে তারতম্য করতে পারে না; বরং নিজের সব কাজই উত্তম বলে গর্বানুভব করে, তারা দ্বীনিপথে চলার কালে সর্বস্থলে বিপদাপন্ন হয়। এ কারণেই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, রোজ কিয়ামতে মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনাকে বলবেন, আপনার সন্তানদের মধ্য থেকে জাহান্নামীদেরকে বেছে বের করুন। তিনি বলবেন, হে বারে ইলাহী! কতজনের মধ্যে কতজনকে বের করবো? মহান আল্লাহ পাক তিনি বলবেন, প্রতি হাজারে নয়শত নিরানব্বই জনকে বের করুন। অবশ্য এরা সবাই অনন্তকাল জাহা বাকি অংশ পড়ুন...
এরপরও সেই মূর্খ লোকগুলি বলে থাকে,
اَلْمَرْءُ يَقِيْسُ عَلى نَفْسِهِ
(প্রত্যেকেই অন্যকে নিজের মতো ধারণা করে।) উনারা নাকি নানান এলোমেলো কাজ করেছেন। নাউযুবিল্লাহ! নাউযুবিল্লাহ! নাউযুবিল্লাহ! এখন এর ফায়সালাটা কি? এটারতো কোন ফায়সালা নেই। এখন আমাদের কাছে কোন ফায়সালা নেই। আমরা সম্মানিত শরীয়ত উনার যে ফতওয়া সেটা দিব। আর যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং যিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা ফায়সালা করবেন পরকালে। এখানে কোন ফায়সালা নেই। কাজেই বিষয়টা কিন্তু খুব ফিকির করতে হবে। উনাদের শান-ম বাকি অংশ পড়ুন...
এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
رجحه الامام الواقدى و قال و كان حضرة عبد الله عليه السلام قد رجع ضعيفا مع قريش لـما رجعوا من تـجارتـهم و مروا بالـمدينة فتخلف عند اخواله بنى عدى بن النجار فاقام عندهم مريضا شهرا فلما قدم اصحابه مكة سألـهم حضرة عبد الـمطلب عليه السلام عنه فقالوا خلفناه مريضا فبعث اليه اخاه الـحارث فوجده قد توفى و دفن فى دار التابعة و قيل دفن بالابواء
অর্থ: হযরত ইমাম ওয়াক্বিদী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি তারজীহ বা প্রাধান্যপ্রাপ্ত বর্ণনা সূত্রে বর্ণনা করে বলেন যে, সাইয়্যিদুনা হযরত যবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি মারিদ্বী শান মুবারক উনাকে গ্রহণ করায় কুরাইশদের সাথে ব্যবসা থেকে প্রত্যাবর্তন বাকি অংশ পড়ুন...
মাখলুকাত মাঝে মহান আল্লাহ পাক কর্তৃক আখাছছুল খাছভাবে মনোনীত ব্যক্তিত্বগণ উনাদের মধ্যে সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি অন্যতম। তিনি মহান বারী তায়ালা উনার সর্বাধিক প্রিয়পাত্র বলেই নূরে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ধারণ করার সৌভাগ্য অর্জন করেছেন। পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عن جابر رضى الله تعالى عنه قال قلت يارسول الله صلى الله عليه وسلم بابى انت وامى اخبرنى عن اول شئ خلقه الله قبل الاشياء قال يا جابر ان الله تعالى خلق قبل الاشياء نور نبيك من نوره فجعل ذلك النور يدور بالقدرة حيث شاء الله تعالى ولم يكن فى ذلك الوقت لوح ولا قلم ولا سماء ولا ارض.
অর্থ: হযরত জাবির বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন,
قَلَّ لااسئلكم عَلَيْهِ أَجْرًا أَلَا المَوَدَّةَ فِي القُرْبَى
অর্থ: “হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি জানিয়ে দিন, আমি তোমাদের নিকট কোনো বিনিময় চাচ্ছি না। আর চাওয়াটাও স্বাভাবিক নয়; তোমাদের পক্ষে দেয়াও কস্মিনকালে সম্ভব নয়। তবে তোমরা যদি ইহকাল ও পরকালে হাক্বীক্বী কামিয়াবী হাছিল করতে চাও; তাহলে তোমাদের জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে, আমার হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত করা, তা’যীম-তাকরীম মুবারক করা, উনাদের খিদমত মুবারক উনার আনজাম দেয়া। ” (পবিত্র বাকি অংশ পড়ুন...
এক শ্রেণীর বেআক্বল, জাহেল প্রচার করে থাকে যে, হযরত ছাহাবায়ে ক্বিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা গরীব ছিলেন, অভাব অনটনে ছিলেন। নাউযুবিল্লাহ! তারা এ বিষয়টিকে সামনে এনে বলতে চায় যে, দ্বীন ইসলাম ধনী হওয়াকে সমর্থন করেনা। নাউযুবিল্লাহ! মূলত এদের জাহেলী মগজের কারণেই তারা এমনটা ভেবে থাকে ও প্রচার করে থাকে। অথচ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কোনো ছাহাবীই অভাব-অনটনে ছিলেন না। বরং উনারা ছিলেন দুনিয়াবিমুখ। উনারা যে সম্পদই অর্জন করতেন তা সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার খিদমতে হাদিয়া করে দিতেন বাকি অংশ পড়ুন...
মুকাদ্দিমা
খালিক, মালিক, রব, মহান আল্লাহ পাক উনার বিষ্ময়কর সৃষ্টি হচ্ছে চাঁদ ও সূর্য। দিনের আকাশে জ্বলে থাকা সূর্য আর রাতের আকাশে ঝলমলে চাঁদ মানুষের কেবল কল্যাণেই আসেনি বরং মানব মনে জন্ম দিয়েছে নানান ভাল লাগা আর সৃষ্টি করেছে কৌতুহল। চাঁদ-সূর্যের প্রতি মানুষের আগ্রহেই জন্ম নিয়েছে মহাকাশ বিজ্ঞান আর বছরের হিসাব গণনা করার মত বিষয়ের। বছরের হিসাব গণনা করার বিষয়টি বর্ষপঞ্জির সাথে জড়িত।
বর্ষপঞ্জি ছাড়া আমাদের ব্যক্তিগত কাজকর্ম, সরকারি কাজকর্ম সবই অচল। দেশ, জাতি, ব্যক্তি, ইতিহাস, ভূগোল, বিজ্ঞান, সাহিত্য- সব কিছুই সময়ের সুতোয় বাঁধা। সম বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র ইসতিস্কা উনার নামায
যখন অনাবৃষ্টিতে বান্দার কষ্ট হতে থাকে তখন রাজ্জাকুল ‘ইবাদ মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট বৃষ্টি বা পানি প্রার্থনার জন্য যে পবিত্র নামায পড়া হয় তাকেই ইসতিস্কার নামায বলে। এ পবিত্র নামায পড়া সুন্নত। দেশের সকল মুসলমান পুরুষ, বালক ও বৃদ্ধ এবং গরু-বাছুর নিয়ে বিনয়ীর লেবাস পরে, পায়ে হেঁটে অতিশয় আযীযী এবং কাকুতি-মিনতিসহ ময়দানে বের হয়ে যাবে। তথায় সকলেই নিজ নিজ পাপের জন্য মহান আল্লাহ পাক উনার পবিত্র দরবার শরীফ-এ অপরাধ স্বীকার করে খালিছ বা খাঁটিভাবে তওবা-ইস্তিগফার করবে, যদি কেউ কারো হক নষ্ট করে থাকে, তা ফেরত দিবে।
বাকি অংশ পড়ুন...












