হিজরী পনেরো শতকের সম্মানিত মুজাদ্দিদ, সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি এককভাবে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সফর করার কারণে যখন দলে দলে মানুষ উনার মুবারক হাতে বয়াত হয়ে ইসলাম উনার সুশীতল ছায়াতলে আসতে শুরু করলো, তখন বিভিন্ন পরিবারের মহিলাগণ উনাদেরও তা’লীম-তালকিনের প্রয়োজন দেখা দিলো, প্রয়োজন পড়লো উনাদেরও বিশেষ হিদায়েতের নূর মুবারকের; যা কেবল ছোহবতের মাধ্যমেই অর্জন করা সম্ভব। কিন্তু মহিলাগণ কার ছোহবত এখতিয়ার করবেন এবং কিভাবে সেই নূর মুবারক ধারণ করবেন?
সম্মানিত ওলীআল্লাহগণ উনারা বিভিন্ন ক বাকি অংশ পড়ুন...
মানুষের মধ্যে যতগুলো কুপ্রবৃত্তি আছে, লোভ তারমধ্যে একটি। লোভের শুরুতেই মানুষকে নানারূপ অপমান ও লাঞ্ছনা ভোগ করতে হয় এবং পরিশেষে লজ্জার বোঝা ঘাড়ে বহন করতে হয়। আবার লোভ চরিতার্থ বা সফল না হলে সাথে সাথে তা থেকে আরো কতগুলো কুপ্রবৃত্তি উৎপন্ন হয়ে থাকে। কেননা যে ব্যক্তি কারো কাছ থেকে কিছু পাওয়ার জন্য লোভ করে, প্রথম থেকে তার সাথে চাটুবাক্য বলে তার মন ভুলাতে শুরু করে দেয় এবং নেফাক্বীমূলক আচরণ প্রদর্শন করতে থাকে। ধার্মিকতা বা সাধুগিরি দেখিয়ে তার প্রিয়ভাজন হওয়ার চেষ্টা করে। সে ব্যক্তি ঘৃণা বা অবহেলা করলেও সে তা নির্বিবাদে সহ্য করে নেয় বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা যে তা’লীম মুবারক দিয়েছেন সে তা’লীম মুবারক গ্রহণ করো তাহলে উনাদের সম্পর্কে জানতে পারবে, বুঝতে পারবে। মানুষতো তা’লীম গ্রহণ করে না, জানবে কিভাবে? যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি মহাপবিত্র আয়াত শরীফ নাযিল করলেন। মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করলেন, তোমরা হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের থেকেই ইলম মুবারক শিক্ বাকি অংশ পড়ুন...
যিনি খ্বালিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি বলতেছেন,
وَأُبَلِّغُكُم مَّا أُرْسِلْتُ بِهِ
আমাকে যে বিষয় বলা হয়েছে প্রকাশ করার জন্য আমি সেটা পৌঁছায়েছি। তবে
وَلَٰكِنِّي أَرَاكُمْ قَوْمًا تَجْهَلُونَ
আমি দেখতে পাচ্ছি, তোমরা গন্ডমূর্খ লোক। নাউযুবিল্লাহ! মূর্খ হওয়ার কারণে তোমরা এলোমেলো বক্তব্য পেশ করে থাকো, এটাতো ঠিক না। তোমরা তওবা ইস্তেসফার করো। এই জন্য পরবর্তী পবিত্র আয়াত শরীফে তিনি বলেছেন,
إِنَّ اللَّهَ كَانَ لَطِيفًا خَبِيرًا
যিনি খ্বালিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি বলে দিচ্ছেন, হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদেরকে ব বাকি অংশ পড়ুন...
এই বরকতময় পবিত্র ১০ই মুহররমুল হারাম শরীফ উনার দিনেই সৃষ্টির সূচনা হয় এবং এই দিনেই সৃষ্টির সমাপ্তি ঘটবে। বিশেষ বিশেষ সৃষ্টি এ বরকতময় দিনেই করা হয় এবং বিশেষ বিশেষ ঘটনা এ বরকতময় দিনেই সংঘটিত হয়।
যেমন :-
এ দিনেই মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র মর্যাদা, সম্মান ও খুছূছিয়ত ও হাবীবুল্লাহ হওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করে এ দিনকে সম্মানিত করেন।
এদিনে হযরত আবুল বাশার আলাইহিস সালাম উনার দোয়া মুবারক কবুলের আনুষ্ঠানিকতা করা হয়।
এদিনে মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত ইদরীস আল বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন,
وَلِلَّهِ الْعِزَّةُ وَلِرَسُولِهِ وَلِلْمُؤْمِنِينَ وَلَكِنَّ الْمُنَافِقِينَ لَا يَعْلَمُونَ
অর্থ: “সমস্ত ইজ্জত সম্মান মহান আল্লাহ পাক উনার, উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং মু’মিনগণ উনাদের। কিন্তু মুনাফিকরা এ ব্যাপারে কিছুই জানে না।” (পবিত্র সূরা মুনাফিকুন শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৮)
সেক্ষেত্রে যে সকল মু’মিন-মু’মিনাহ উনারা মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের যতবেশি তায়াল্লুক-নিসবত, নৈকট্য প্র বাকি অংশ পড়ুন...
সমস্ত সৃষ্টি এমন কি হযরত নবী এবং রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারাসহ সকলের মহাসম্মানিত মাতা হচ্ছেন উনারা। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!
একাধিক বর্ণনায় বর্ণিত রয়েছে পবিত্র হাদীছ শরীফ।
أَنَّ الْجَنَّةَ تَحْتَ أَقْدَامِ الْأُمَّهَاتِ
নিশ্চয়ই জান্নাত মায়ের ক্বদমের নিচে। সন্তানের জান্নাত হচ্ছে মায়ের পায়ের নিচে। তাহলে সমস্ত সৃষ্টির, হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালামসহ সকলের জান্নাত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের নূরুদ দারাজাত মুবারকের নিচে। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহি ছল্ বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র মুহররমুল হারাম শরীফ মাস উনার উল্লেখযোগ্য ও শ্রেষ্ঠতম দিন হচ্ছে ১০ই মুহররমুল হারাম শরীফ পবিত্র আশূরা শরীফ উনার দিন। এই মুবারক দিনটি বিশ্বব্যাপী এক আলোচিত দিন। কেননা সৃষ্টির সূচনা হয় এ দিনে এবং সৃষ্টির সমাপ্তিও ঘটবে এই দিনে। বিশেষ বিশেষ সৃষ্টি এই দিনেই করা হয় এবং বিশেষ বিশেষ ঘটনা ও এই দিনেই সংঘটিত হয়।
বর্ণিত রয়েছে- আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে শুরু করে সাইয়্যিদুনা হযরত আদম ছফিউল্লাহ আলাইহিস সালাম পর্যন্ত প্রায় সকল হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের কোনো ন বাকি অংশ পড়ুন...
সাইয়্যিদু শাবাবি আহলিল জান্নাহ, ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সালাম উনাকে কারবালায় শহীদ করার ব্যপারে হযরত উলামায়ে কিরামগণ উনারা ইজমা করেছেন যে, বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে আশ্চর্যজনক, নির্মম, বেদনাদায়ক এবং হৃদয়বিদারক বিষয় হলো কারবালার ঘটনা। সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম তিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নকশা মুবারক। তিনি হচ্ছেন ঈমানের মূল। এবং নাজাতের মূল। অথচ মুসলমান নামধারীরাই উনাকে শহীদ করলো। উনার শাহাদাত মুবারক উনার সা বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম সালাম উনাদেরকে মহান আল্লাহ পাক কায়িনাতবাসীর জন্য আমানতস্বরূপ করেছেন। উনারা একদিকে মাখলুকাতের নিরাপত্তাদানকারী। অপরদিকে মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সন্তুষ্টি মুবারক লাভের মাধ্যম। হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মধ্যে বানাতু রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত আন নূরুল ঊলা আলাইহাস সালাম তিনি অন্যতমা। উনার মুহব্বত পবিত্র ঈমান। আর উনার প্রতি বিদ্বেষ পোষণকারীদের জন্য খোদায়ী জিহা বাকি অংশ পড়ুন...












