হাদীছ শরীফে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেছেন- যে দেখ, ইবলীস তো ওয়াসওয়াসা দিয়ে থাকে। কিন্তু ইবলীস সবচাইতে বেশী খুশি হয় কিসে জান কি তোমরা?
ইবলীসের মজলিস বসে প্রতিদিন। যেমন- আলিমদের মজলিস বসে থাকে। উলামাদের মজলিস বসে থাকে। ঠিক তদ্রুপ ইবলীসের মজলিস বসে থাকে পানির উপরে। প্রতিদিন দিনের শেষে বসে ইবলীসের মজলিস। সে বসে তাদের সকলকে নিয়ে, যারা তার খাছ শারগেদ রয়েছে, অর্থাৎ বড় শয়তান যারা রয়েছে, তারা তার মজলিসে হাজিরা দেয়, উপস্থিত হয়। সেখানে উপস্থিত হওয়ার পরে ইবলীস সবাইকে জিজ্ঞাসা করে- তোমরা বাকি অংশ পড়ুন...
স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজেই মূর্তী ভেঙ্গেছেন
১ম দলীল
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,
عَنْ حَضْرَتْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُوْدٍ رَضِىَ اللهُ تَـعَالـٰى عَنْهُ قَالَ دَخَلَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وسلَّم مَكَّةَ يَـوْمَ الْفَتْحِ وَحَوْلَ الْـبَـيْتِ سِتُّـوْنَ وَثَلاَثُ مِائَةِ نُصُبٍ فَجَعَلَ يَطْعَـنُـهَا بِعُوْدٍ فِـىْ يَدِهٖ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وسلَّم وَيَـقُولُ {جَآءَ الْـحَقُّ وَزَهَقَ الْبَاطِلُ } {جَآءَ الْـحَقُّ وَمَا يُـبْدِئُ البَاطِلُ وَمَا يُعِـيْدُ}
অর্থ: “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাস‘ঊদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহ বাকি অংশ পড়ুন...
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সম্মানিত খন্দকের জিহাদে কবিতা মুবারক পাঠ করেছিলেন:
হযরত বারা ইবনে আযিব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, সম্মানিত খন্দকের মাটি বহনকালে আমি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে কবিতার নিম্নোক্ত চরণগুলি আবৃত্তি করতে শুনেছি।
اللَّهُمَّ لَوْلاَ أَنْتَ مَا اهْتَدَيْنَا + وَلاَ تَصَدَّقْنَا وَلاَ صَلَّيْنَا
فَأَنْزِلَنْ سَكِينَةً عَلَيْنَا + وَثَبِّتِ الْأَقْدَامَ إِنْ لاَقَيْنَا
إِنَّ الْأُوْلَى قَدْ بَغَوْا عَلَيْنَا + إِذَا أَرَادُوْا فِتْنَةً أَبَيْنَا-
অর্থ: ‘আয় মহান আল্লাহ বাকি অংশ পড়ুন...
এজন্য অন্য হাদীছ শরীফে বলা হয়েছে-
إِنَّ أَشَدَّ النَّاسِ عَذَابًا يَوْمَ الْقِيَامَةِ عَالِمٌ لَمْ يَنْفَعْهُ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ بِعِلْمِهِ
নিশ্চয় কঠিন শাস্তি হবে ঐ ব্যক্তির হাশরের ময়দানে, ক্বিয়ামতের দিন, যে ব্যক্তি তার ইলিমের দ্বারা কোন ফায়দা হাছিল করতে পারেনি।
এবং আরেক হাদীছ শরীফে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেছেন যে দেখ-
إِنَّ مِنْ أَشَرِّ النَّاسِ عِنْدَ اللهِ مَنْزِلَةً يَوْمَ الْقِيَامَةِ عَالِمٌ لاَ يَنْتَفِعُ بِعِلْمِهِ.
নিশ্চয় মানুষের মধ্যে সবচাইতে নিকৃষ্ট ঐ ব্যক্তি, যে ইলিম অর্জন করেছে, অথচ তার দ্বারা কোন ফায়দা হাছিল করতে পারেন বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার প্রথম সূরা মুবারক উনার নাম হচ্ছেন পবিত্র সূরা ফাতিহা শরীফ। এই পবিত্র সূরা উনাকে বলা হয় ‘উম্মুল কুরআন’। নাযিল হওয়ার ধারাবাহিকতায় এ পবিত্র সূরা শরীফ পঞ্চম হলেও পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার প্রথমে অবস্থান হয় এই পবিত্র সূরা শরীফ উনার।
পবিত্র সূরা ফাতিহা শরীফ উনার গুরুত্ব অনুধাবন করা যায়, প্রত্যেক নামাযের প্রত্যেক রাকাতে এ পবিত্র সূরা শরীফ পাঠ করার বাধ্যবাধকতা দেখে। একজন মানুষ দৈনিক ৫ ওয়াক্ত ফরয নামাযের ১৭ রাকাতে ১৭বার, ৩ রাকাত ওয়াজিব নামাযে ৩বার এবং ১২ রাকাত সুন্নতে মুয়াকাদ্দাহ নামাযে ১২বার, এই বাকি অংশ পড়ুন...
যিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক নন। যার সম্মানার্থে মহান আল্লাহ পাক তিনি সমস্ত কায়িনাত সৃষ্টি করেছেন। মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার রুবূবিয়্যাত মুবারক প্রকাশ করেছেন। যাঁর সম্মানার্থে সমস্ত কায়িনাত এখনো অস্তিত্বে টিকে রয়েছে। কুল মাখলুক্বাত সমস্ত নিয়ামত লাভ করছে। সমস্ত হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা যার উম্মত হওয়ার জন্য আরজী করেছেন। যিনি হচ্ছেন সাইর্য়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, আল হাদ্বির ওয়ান নাযির, মুত্তলা’ আলাল গইব, হায়াতুন নবী, রহমতুল্লিল আলামীন, রঊফুর রহীম, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পা বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ جَابِرٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُ عَنْ حَضْرَتْ عُمَرَ الْفَارُوقِ عَلَيْهِ السَّلَامُ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَئِنْ عِشْتُ إِنْ شَاءَ اللهُ لَأُخْرِجَنَّ الْيَهُودَ وَالنَّصَارَى مِنْ جَزِيرَةِ الْعَرَبِ.
অর্থ: “হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যমীনবাসী হতে আমার পর্দা করার বিষয়টি যদি বিলম্বিত হতো, তাহলে আমি এই জাযিরাত বাকি অংশ পড়ুন...
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজে গরুর গোস্ত খেয়েছেন
(পূর্বে প্রকাশিতের পর)
বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, উক্ত মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ থেকে এটাও স্পষ্ট হলো যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ছদক্বাহ্ গ্রহণ করতেন না, শুধুমাত্র হাদিয়া গ্রহণ করতেন।
আর যেহেতু উক্ত মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে স্পষ্টভাবেই বলা আছে যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে গরুর গোস্ত দিয়ে বলা হয়েছে, এটা হয বাকি অংশ পড়ুন...
যদি কোন ব্যক্তি ইলিম অর্জন করার পর সঠিক জবাব না দেয়, চুপিয়ে রাখে, তাহলে তার কঠিন শাস্তি হবে এবং আরো বলা হয়েছে-
مَنْ تَعَلَّمَ عِلْمًا مِمَّا يُبْتَغَى بِهِ وَجْهُ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ لاَ يَتَعَلَّمُهُ إِلاَّ لِيُصِيبَ بِهِ عَرَضًا مِنَ الدُّنْيَا لَمْ يَجِدْ عَرْفَ الْجَنَّةِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ يَعْنِى رِيحَهَا
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেছেন, কোন ব্যক্তি ইলিম অর্জন করল যা দ্বারা মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি হাছিল করা উচিৎ ছিল কিন্তু সে মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টির জন্য ও নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া বাকি অংশ পড়ুন...












