মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘সমস্ত মূর্তি, প্রতিমা, ভাস্কর্য, ছবি, গান-বাজনা, বাঁশি-সূর, বাদ্যযন্ত্র ধ্বংস করতে আমাকে পাঠানো হয়েছে’
১ম দলীল
এ প্রসঙ্গে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছেন,
بُعِثْتُ لِكَسْرِ الْمَزَامِيْـرِ وَالْاَصْنَامِ
অর্থ: “আমি বাঁশি, গান-সূর, বাদ্যযন্ত্র ও মূর্তি, প্রতিমা, ভাস্কর্য ধ্বংস করার জন্য, ভেঙ্গে ফেলার জন্য প্রেরিত হয়েছি। ” (তাফসীরে আযীযী)
২য় দলীল
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উন বাকি অংশ পড়ুন...
বুযুর্গী-সম্মান:
হযরত শায়েখ আব্দুল্লাহ মুহম্মদ বিন খিযির মুসেলী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বর্ণনা করেন, আমার পিতা তিনি বলতেন, গাউছুল আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত বড়পীর ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মজলিসে ইলিম ও হিকমত সম্পর্কীয় বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হতো। উনার বুযূর্গী ও সম্মান উনার কারণে কেউ মজলিসে গলা পরিষ্কার বা কোনো প্রকার শব্দ পর্যন্ত করতেন না। যখন গাউছুল আ’যম, হযরত বড়পীর ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলতেন, কালের অনেক (কথা) হয়ে গেছে এবার হালের দিকে চলো। সাথে সাথে লোকেরা অস্থির হয়ে পড়তো এবং উনাদের মধ্যে হাল ও অজ্দ এসে যেতো।
গাউ বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র সূরা কাওছার শরীফ উনার ২নং পবিত্র আয়াত শরীফ উনার ব্যাখ্যায় আল্লামা কাযী ছানাউল্লাহ পানিপথী হানাফী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার বিশ্বখ্যাত তাফসীরগ্রন্থ ‘তাফসীরে মাযহারী’ উনার মধ্যে উল্লেখ করেন-
فَعَلـٰى هٰذَا يُثْبَتُ بِهٖ وُجُوْبُ صَلـٰوةِ الْعِيْدِ وَالْاُضْحِيَّةِ
অর্থ: পবিত্র আয়াত শরীফ উনার দ্বারা এটাই প্রমাণিত হয় যে, পবিত্র ঈদের নামায এবং পবিত্র কুরবানী করা উভয়ই ওয়াজিব। সুবহানাল্লাহ! (তাফসীরে মাযহারী ১০/৩৫৩)
উক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ উনার ব্যাখ্যায় আল্লামা সাইয়্যিদ মাহমূদ আলূসী বাগদাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার স্বী বাকি অংশ পড়ুন...
عَنْ حَضْرَتْ سَعِيدِ بْنِ أَبِى الْحَسَنِ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى حَضْرَتْ اِبْنِ عَبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ فَقَالَ إِنِّى رَجُلٌ أُصَوِّرُ هَذِهِ الصُّوَرَ فَأَفْتِنِى فِيهَا. فَقَالَ لَهُ ادْنُ مِنِّى. فَدَنَا مِنْهُ ثُمَّ قَالَ ادْنُ مِنِّى. فَدَنَا حَتَّى وَضَعَ يَدَهُ عَلَى رَأْسِهِ قَالَ أُنَبِّئُكَ بِمَا سَمِعْتُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ كُلُّ مُصَوِّرٍ فِى النَّارِ يَجْعَلُ لَهُ بِكُلِّ صُورَةٍ صَوَّرَهَا نَفْسًا فَتُعَذِّبُهُ فِى جَهَنَّمَ. وَقَالَ إِنْ كُنْتَ لاَ بُدَّ فَاعِلاً فَاصْنَعِ الشَّجَرَ وَمَا لاَ نَفْسَ لَهُ.
অর্থ: হযরত সাঈদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, এক ব বাকি অংশ পড়ুন...
কিছুক্ষণ সময় ইলিম অর্জন করা
طَلَبُ العِلْمِ سَاعَةً خَيْرٌ مِنَ قِيَامِ لَيْلَةٍ
সারা রাত্র নামায পড়া থেকে অল্প সময় কিছু ইলিম হাছিল করা, তলব করা সেটা আফযল উত্তম। পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো বলা হয়েছে-
وَطَلَبُ الْعِلْمِ يَوْمًا خَيْرٌ مِّنْ صِيَامِ ثَلاَثَةِ أَشْهُرٍ
“একদিন কিছু ইলিম অর্জন করা, তিন মাস একাধারে রোযা রাখা থেকে উত্তম, আফযল। ” সুবহানাল্লাহ!
এত ফযীলত মহান আল্লাহ পাক তিনি দিয়েছেন যারা আলিম উনাদেরকে। যারা উলামায়ে হক্কানী, যারা উলামায়ে রব্বানী। তার বিপরীত যারা করবে, তাদের জন্য কঠিন শাস্তি রয়েছে। যারা তার বিপরীত করবে, যারা ইলিম অর্জন করে ইলিম উনাক বাকি অংশ পড়ুন...
স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনিই প্রথমে আদেশ মুবারক করেছেন, ‘সমস্ত মূর্তি, প্রতিমা, ভাস্কর্য, ছবি, গান-বাজনা, বাঁশি-সূর, বাদ্যযন্ত্র ইত্যাদি সর্বপ্রকার হারাম কাজ থেকে বেঁচে থাকতে, বিরত থাকতে ও দূরে থাকতে। ’
১ম দলীল
মহান আল্লাহ পাক তিনি এ প্রসঙ্গে ইরশাদ মুবারক করেন,
فَاجْتَنِبُوا الرِّجْسَ مِنَ الْاَوْثَانِ
“তোমরা মূর্তি-ছবির অপবিত্রতা থেকে বেঁচে থাকো। ”
২য় দলীল
মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন,
وَلَقَدْ بَـعَثْـنَا فِـىْ كُلِّ اُمَّةٍ رَّسُوْلًا اَنِ اعْبُدُوا اللهَ وَاجْتَنِـبُوا الطَّاغُوْتَ
“অবশ্যই আমি প্রত্যেক উম্মতের মধ্যেই একজন সম্মানিত রাসূল আলাইহিস স বাকি অংশ পড়ুন...
কারামত মুবারক:
* সুলত্বানুল হিন্দ, কুতুবুল মাশায়িখ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি একদিন ওয়াজ-নছীহত করছিলেন। এক সময় উনার দৃষ্টি মুবারক ডান দিকে পড়লো। সাথে সাথে তিনি সসম্মানে দাঁড়িয়ে গেলেন। অতঃপর কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে বসে গেলেন। লোকজনের নিকট উনার এভাবে দাঁড়ানো এবং বসা রহস্যজনক মনে হলো। মজলিস শেষে খাদিম ছাহিব উনাকে জিজ্ঞাসা করলেন, হুযূর! ক্ষমা করবেন। আপনি একই মজলিসে কয়েকবার দাঁড়ালেন। আবার বসলেন। এর হিকমত কি? তিনি বললেন, ডান দিকে আমার সম্মানিত শায়েখ উনার রওজা শরীফ। যখন আমার দৃষ্টি ডান দি বাকি অংশ পড়ুন...
সম্মানিত ক্বিয়াম শরীফ উনার প্রমাণ
(পূর্বে প্রকাশিতের পর)
বর্ণিত আলোচনা থেকে যে দিক নির্দেশনা পাওয়া যায়, সে পরিপ্রেক্ষিতে দৃঢ়তার সাথে বলতে হয় যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আলোচনা মুবারক করার সময়ে অর্থাৎ সালাম পেশ করার সময় দাঁড়িয়ে যাওয়া ওয়াজিব। যেহেতু সম্মানিত ব্যক্তিকে উনার সামনে যেমন সম্মান করা হয়, উনার আড়ালেও তেমনভাবে সম্মান করতে হয়।
যেমন ইসলামী শরীয়ত উনার বহুল পরিচিত একটি মাসয়ালাকে এ বিষয়টি সহজভাবে বুঝার জন্যে দৃষ্টান্ত হিসেবে পেশ করা যেতে পারে।
পবিত্র বাইতুল্লাহ শরীফ উ বাকি অংশ পড়ুন...
সেই ইমাম আবু ইউসুফ রহমতুল্লাহি আলাইহি ফক্বীহুল উম্মত তিনি ইন্তিকাল করার সময় অনেক আলিম-উলামা উনার সাথে সাক্ষাত করতে এসেছেন। বিশ্ব বিখ্যাত আলিম-উলামা উনারা এসেছেন, যারা উনার ছাত্রের অন্তর্ভুক্ত। আর কেউ কেউ সমসাময়িক।
একটা মাসয়ালা নিয়ে এক আলিমের কিছু চু-চেরা ছিল। তিনিও প্রবেশ করলেন হযরত আবু ইউসুফ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার কামরাতে। তখন উনার ইন্তিকাল মুবারক প্রায় নিকটবর্তী, তিনি মূমূর্ষ অবস্থায়। সেই আলিম যখন প্রবেশ করলেন, তখন তিনি সেই মাসয়ালাটা আলোচনা করলেন, যে মাসয়ালা নিয়ে একটু চু-চেরা কিল ও কাল ছিল। যেহেতু উনার সময় শেষ তাই তি বাকি অংশ পড়ুন...
প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ফরয হচ্ছে দায়িমীভাবে মহান আল্লাহ পাক উনার এবং মহাসম্মানিত হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দিকে রুজু থাকা। মহান আল্লাহ পাক তিনি মহাসম্মানিত কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
وَلِكُلٍّ وِجْهَةٌ هُوَ مُوَلِّيهَا
অর্থ: “আর সবার জন্য রয়েছে নির্দিষ্ট কিবলা। যে দিকে সে মুখ করে, রুজু হয়। ” (পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ, পবিত্র আয়াত শরীফ ১৪৮)
ঠিক একইভাবে মুসলমানদের দায়িত্ব হচ্ছে, সমস্ত কাফিরদের থেকে ফিরে থাকা, তাদের কোন প্রকার অনুসরণ না করা, তাদের দিকে রুজু না হ বাকি অংশ পড়ুন...












