হযরত শায়েখ আলাউল হক রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বাইয়াত হওয়ার পর আজীবন উনার শায়েখ সুলত্বানুল আরেফীন হযরত আঁখি সিরাজুদ্দীন উছমান আওদাহী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার খিদমত মুবারকে নিয়োজিত ছিলেন। নিজ শায়েখ বা মুর্শিদ ক্বিবলা উনার প্রতি পরিপূর্ণভাবে সমর্পিত না হলে, যথাযথ তা’যীম-তাকরীম না করলে, মুহব্বত দৃঢ়ভাবে রাখতে না পারলে উনার যথাযথ খিদমতের আঞ্জাম দেয়া কিংবা আদেশ-নিষেধ পালন করা সম্ভব নয়।
মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার মহাসম্মানিত রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মা’রিফাত, মুহব্বত ও নৈক বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
শায়েখ বা মুর্শিদ ক্বিবলা উনার প্রতি আদব ও হুসনে যন:
সুলত্বানুল হিন্দ, কুতুবুল মাশায়িখ, সাইয়্যিদুনা হযরত গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, আমি দ্বিতীয় দিন পুনরায় মুর্শিদ ক্বিবলা উনার খিদমতে হাযির হয়ে অবনত মস্তকে উনার সামনে দাঁড়িয়ে রইলাম। তিনি বললেন, বসুন। আমি বসে পড়লাম। তিনি আবার বললেন, উপরের দিকে তাকান। আমি আসমানের দিকে দৃষ্টি করলে তিনি পুনরায় আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন কোন পর্যন্ত দেখতে পাচ্ছেন? আমি বললাম, আরশে মুয়াল্লা পর্যন্ত। এবার বললেন, নিচের দিকে তাকান। আমি যমীনের দিকে দৃৃষ্টিপাত করলে পুনরা বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত ইমাম হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন- ‘অনন্ত সুখময় জান্নাত কেবল কয়েক দিনের বাহ্যিক অনুষ্ঠান ক্রিয়াকলাপ দ্বারা লাভ করা যায় না। ইহা আন্তরিকতা ও একাগ্র চেষ্টা-কোশেশ দ্বারা লাভ করতে হয়। ’
আমাদের বেহেশতে প্রবেশ করতে হলে অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি মুবারক লাভের জন্য কোশেশ করতে হবে। আমাদের কোশেশের মাধ্যমে ইলিম অর্জন করতে হবে এবং আমল করতে হবে। এই ইলিম এবং আমলের কোশেশ ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে যদি আমরা ততোধিক কোশেশের মাধ্যমে ইখলাছ পয়দা না করতে পারি।
অতএব, ইখলাছই হচ্ছে সমস্ত ইবাদতের মূল। ইখলাছবিহীন ইবাদত প্র বাকি অংশ পড়ুন...
জনৈক পীর ছাহেব উনার একজন মুরীদ গাউসুল আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, হযরত বড়পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার দরবার শরীফ উনার পাশ দিয়ে আসা-যাওয়া করতেন। তবে যাতায়াতের সময় উনার মাথা ও মুখম-ল রুমাল দিয়ে ঢেকে ফেলতেন।
এর কারণ সম্পর্কে হযরত বড়পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি তাকে সুওয়াল করলে উক্ত ব্যক্তি জবাবে বলেন- হুযূর! বেয়াদবী মাফ করবেন, আমি ভালভাবেই জানি এবং বুঝি যে, আপনি বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বুযূর্গ ব্যক্তি, আর বর্তমান যামানায় মহান আল্লাহ পাক উনার খাছ লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ এবং বর্তমান যামানার সমস্ত ওলীআল্লাহ উনাদের গর্দানের উপর বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে বলেছেন-
لِكُلٍّ جَعَلْنَا مِنكُمْ شِرْعَةً وَمِنْهَاجًا
অর্থ: আমি তোমাদের প্রত্যেককেই শরীয়ত এবং ত্বরিকত অর্থাৎ তাছাওউফ দিয়েছি। (পবিত্র সূরা মায়িদা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৪৮)
এ আয়াত শরীফে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি প্রত্যেক উম্মতকে বা প্রত্যেক সম্প্রদায়কে বুঝিয়েছেন যে, হযরত আবুল বাশার আদম আলাইহিস সালাম উনার থেকে শুরু করে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পর্যন্ত বর্ণনা করা হয়েছে য বাকি অংশ পড়ুন...
শাজরা শরীফ
‘শাজরা’ ও ‘সিলসিলা’ দুটি শব্দই আরবী। এর আভিধানিক অর্থ যথাক্রমে বৃক্ষ (গাছ) ও শিকল। আর ইসলামী পরিভাষায় এর অর্থ মাশায়িখে তরীক্বত উনাদের মুবারক নামসমূহের তরতীব; যা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পর্যন্ত পৌঁছেছে।
একজন মুরীদের জন্য তার মুর্শিদ ক্বিবলা উনার “শাজরা শরীফ বা সিলসিলা” সম্বন্ধে অবগত হওয়া অবশ্য কর্তব্য।
মহান আল্লাহ পাক উনার খালিছ ওলী হযরত কারামত আলী জৌনপুরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার ‘মুরাদুল মুরীদীন’ কিতাবে এ প্রসঙ্গে লিখেছেন, “যে ব্যক্তি মুরীদ হয়েও তার মু বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র ইবাদতে যাহিরাহ ও পবিত্র ইবাদতে বাতিনাহ উভয়টি সঠিক ও পরিপূর্ণভাবে পালন করার জন্য পবিত্র ইলম অর্জন করা ফরয।
এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اَنَسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ طَلَبُ الْعِلْمِ فَرِيْضَةٌ عَلٰى كُلِّ مُسْلِمٍ.
অর্থ : হযরত আনাস বিন মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, প্রত্যেক মুসলমান পুরুষ-মহিলা উনাদের জন্য পবিত্র ইলম অর্জন করা ফরয। (মুসলিম শর বাকি অংশ পড়ুন...
মুহলিকাত مهلكات ওই সকল বদ খাছলত বা কুস্বভাবকে বলে, যে সকল বদ খাছলত মানুষকে বা মানুষের অন্তরকে ধ্বংস বা হালাক করে দেয়। এ প্রসঙ্গে জনৈক বুযুর্গ কবি তিনি বলেন-
خواہی کہ شوی دل تو چوں ائنہ+ بد چیز بروں کن از درون سینہ.
অর্থ : তুমি যদি চাও, তোমার অন্তর আয়নার মতো পরিষ্কার হোক, তবে তুমি তোমার অন্তর থেকে বদ স্বভাবসমূহ বের করে দাও।
এ সকল বদ খাছলত হচ্ছে-
১। কিবর (অহঙ্কার) ২। হাসাদ (হিংসা) ৩। বোগয (শত্রুতা) ৪। গদ্বব (রাগ) ৫। গীবত (পরনিন্দা) ৬। হিরছ (লোভ) ৭। কিযব (মিথ্যা) ৮। বোখল (কৃপণতা) ৯। রিয়া (লোক দেখানো) ১০। গুরুর (ধোঁকাবাজী) ১১। কিনা (দুশমনী) ১২। ত্বমা (হালাল-হারাম ন বাকি অংশ পড়ুন...
খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللهَ وَكُونُوا مَعَ الصَّادِقِينَ
অর্থ : হে ঈমানদারগণ! খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করো এবং ছাদিক্বীন বা সত্যবাদীগণ উনাদের ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করো। সূরা তওবা শরীফ : আয়াত শরীফ ১১৯)
বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র মুনজিয়াত منجيات হলো ওই সকল নেক খাছলত বা সৎ স্বভাব, যে সকল নেক খাছলত বা সৎ স্বভাব নাজাত বা মুক্তি দেয়। অর্থাৎ “তায়াল্লুক মাআল্লাহ” বা খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে সম্পর্ক মুবারক সৃষ্টি করে দেয়।
জনৈক বুযুর্গ কবি বলেন-
خواہی کہ شوی منزل قرب مکین.
بنیک چیز نفس خویش را فرما تعلیم
অর্থ: যদি তুমি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার নৈকট্য মুবারক লাভ করতে চাও, তবে তোমার নফ্স্ বা অন্তরকে নেক খাছলতসমূহ দ্বারা তা’লীম দাও।
আর ওই সকল নেক খাছলত মুবারক হচ্ছে-
১। তওবা (গুনাহ থেকে প্রত্যাবর্তন), ২। ছবর (ধৈর্য), ৩। শোকর (কৃতজ্ঞতা), ৪। তাওয়াক্কু বাকি অংশ পড়ুন...
‘শাজরা’ ও ‘সিলসিলা’ দুটি শব্দই আরবী। এর আভিধানিক অর্থ যথাক্রমে বৃক্ষ (গাছ) ও শিকল। আর ইসলামী পরিভাষায় এর অর্থ মাশায়িখে তরীক্বত উনাদের মুবারক নামসমূহের তরতীব; যা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পর্যন্ত পৌঁছেছে।
একজন মুরীদের জন্য তার মুর্শিদ ক্বিবলা উনার “শাজরা শরীফ বা সিলসিলা” সম্বন্ধে অবগত হওয়া অবশ্য কর্তব্য।
মহান আল্লাহ পাক উনার খালিছ ওলী হযরত কারামত আলী জৌনপুরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার ‘মুরাদুল মুরীদীন’ কিতাবে এ প্রসঙ্গে লিখেছেন, “যে ব্যক্তি মুরীদ হয়েও তার মুর্শিদ ক্বি বাকি অংশ পড়ুন...
উল্লেখ্য যে, প্রত্যেক হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের নিকট উনাদের পূর্ববর্তী শায়েখ হতে প্রাপ্ত বিশেষ কিছু নিয়ামত থাকে। যা সিলসিলা অনুযায়ী পরবর্তীতে যোগ্য ও বিশ্বস্ত মুরীদদের নিকট আমানত স্বরূপ দেয়া হয়। যা মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার সম্মানিত রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নির্দেশ মুবারক অনুযায়ী প্রদান করা হয়। কাজেই যিনি এ নিয়ামতের অধিকারী হন তিনি হিদায়েতের তাজদীদী কার্যক্রম সুচারুরূপে ও সঠিকভাবে পালন করতে সক্ষম হন। সুবহানাল্লাহ!
শিক্ষা জীবনেই হযরত আঁখি স বাকি অংশ পড়ুন...












