শাজরা শরীফ
‘শাজরা’ ও ‘সিলসিলা’ দুটি শব্দই আরবী। এর আভিধানিক অর্থ যথাক্রমে বৃক্ষ (গাছ) ও শিকল। আর ইসলামী পরিভাষায় এর অর্থ মাশায়িখে তরীক্বত উনাদের মুবারক নামসমূহের তরতীব; যা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পর্যন্ত পৌঁছেছে।
একজন মুরীদের জন্য তার মুর্শিদ ক্বিবলা উনার “শাজরা শরীফ বা সিলসিলা” সম্বন্ধে অবগত হওয়া অবশ্য কর্তব্য।
মহান আল্লাহ পাক উনার খালিছ ওলী হযরত কারামত আলী জৌনপুরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার ‘মুরাদুল মুরীদীন’ কিতাবে এ প্রসঙ্গে লিখেছেন, “যে ব্যক্তি মুরীদ হয়েও তার মু বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র ইবাদতে যাহিরাহ ও পবিত্র ইবাদতে বাতিনাহ উভয়টি সঠিক ও পরিপূর্ণভাবে পালন করার জন্য পবিত্র ইলম অর্জন করা ফরয।
এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اَنَسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ طَلَبُ الْعِلْمِ فَرِيْضَةٌ عَلٰى كُلِّ مُسْلِمٍ.
অর্থ : হযরত আনাস বিন মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, প্রত্যেক মুসলমান পুরুষ-মহিলা উনাদের জন্য পবিত্র ইলম অর্জন করা ফরয। (মুসলিম শর বাকি অংশ পড়ুন...
মুহলিকাত مهلكات ওই সকল বদ খাছলত বা কুস্বভাবকে বলে, যে সকল বদ খাছলত মানুষকে বা মানুষের অন্তরকে ধ্বংস বা হালাক করে দেয়। এ প্রসঙ্গে জনৈক বুযুর্গ কবি তিনি বলেন-
خواہی کہ شوی دل تو چوں ائنہ+ بد چیز بروں کن از درون سینہ.
অর্থ : তুমি যদি চাও, তোমার অন্তর আয়নার মতো পরিষ্কার হোক, তবে তুমি তোমার অন্তর থেকে বদ স্বভাবসমূহ বের করে দাও।
এ সকল বদ খাছলত হচ্ছে-
১। কিবর (অহঙ্কার) ২। হাসাদ (হিংসা) ৩। বোগয (শত্রুতা) ৪। গদ্বব (রাগ) ৫। গীবত (পরনিন্দা) ৬। হিরছ (লোভ) ৭। কিযব (মিথ্যা) ৮। বোখল (কৃপণতা) ৯। রিয়া (লোক দেখানো) ১০। গুরুর (ধোঁকাবাজী) ১১। কিনা (দুশমনী) ১২। ত্বমা (হালাল-হারাম ন বাকি অংশ পড়ুন...
খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللهَ وَكُونُوا مَعَ الصَّادِقِينَ
অর্থ : হে ঈমানদারগণ! খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করো এবং ছাদিক্বীন বা সত্যবাদীগণ উনাদের ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করো। সূরা তওবা শরীফ : আয়াত শরীফ ১১৯)
বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র মুনজিয়াত منجيات হলো ওই সকল নেক খাছলত বা সৎ স্বভাব, যে সকল নেক খাছলত বা সৎ স্বভাব নাজাত বা মুক্তি দেয়। অর্থাৎ “তায়াল্লুক মাআল্লাহ” বা খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে সম্পর্ক মুবারক সৃষ্টি করে দেয়।
জনৈক বুযুর্গ কবি বলেন-
خواہی کہ شوی منزل قرب مکین.
بنیک چیز نفس خویش را فرما تعلیم
অর্থ: যদি তুমি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার নৈকট্য মুবারক লাভ করতে চাও, তবে তোমার নফ্স্ বা অন্তরকে নেক খাছলতসমূহ দ্বারা তা’লীম দাও।
আর ওই সকল নেক খাছলত মুবারক হচ্ছে-
১। তওবা (গুনাহ থেকে প্রত্যাবর্তন), ২। ছবর (ধৈর্য), ৩। শোকর (কৃতজ্ঞতা), ৪। তাওয়াক্কু বাকি অংশ পড়ুন...
‘শাজরা’ ও ‘সিলসিলা’ দুটি শব্দই আরবী। এর আভিধানিক অর্থ যথাক্রমে বৃক্ষ (গাছ) ও শিকল। আর ইসলামী পরিভাষায় এর অর্থ মাশায়িখে তরীক্বত উনাদের মুবারক নামসমূহের তরতীব; যা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পর্যন্ত পৌঁছেছে।
একজন মুরীদের জন্য তার মুর্শিদ ক্বিবলা উনার “শাজরা শরীফ বা সিলসিলা” সম্বন্ধে অবগত হওয়া অবশ্য কর্তব্য।
মহান আল্লাহ পাক উনার খালিছ ওলী হযরত কারামত আলী জৌনপুরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার ‘মুরাদুল মুরীদীন’ কিতাবে এ প্রসঙ্গে লিখেছেন, “যে ব্যক্তি মুরীদ হয়েও তার মুর্শিদ ক্বি বাকি অংশ পড়ুন...
উল্লেখ্য যে, প্রত্যেক হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের নিকট উনাদের পূর্ববর্তী শায়েখ হতে প্রাপ্ত বিশেষ কিছু নিয়ামত থাকে। যা সিলসিলা অনুযায়ী পরবর্তীতে যোগ্য ও বিশ্বস্ত মুরীদদের নিকট আমানত স্বরূপ দেয়া হয়। যা মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার সম্মানিত রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নির্দেশ মুবারক অনুযায়ী প্রদান করা হয়। কাজেই যিনি এ নিয়ামতের অধিকারী হন তিনি হিদায়েতের তাজদীদী কার্যক্রম সুচারুরূপে ও সঠিকভাবে পালন করতে সক্ষম হন। সুবহানাল্লাহ!
শিক্ষা জীবনেই হযরত আঁখি স বাকি অংশ পড়ুন...
‘সম্মানিত দ্বীন ইসলাম’ উনার মধ্যে প্রবেশ করার একমাত্র মাধ্যম হচ্ছেন ‘সম্মানিত ঈমান’। সুবহানাল্লাহ! যখন কেউ সম্মানিত ঈমান আনেন, তখন তিনি সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে প্রবেশ করেন। আর সম্মানিত ঈমান সুসংঘঠিত হয়ে থাকেন সম্মানিত আক্বীদা মুবারক উনার মাধ্যমে। সুবহানাল্লাহ!
এ কারণে যিনি খালিক মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
يَاأَيُّهَا الَّذِينَ اٰمَنُوا ادْخُلُوا فِي السِّلْمِ كَافَّةً وَلَا تَتَّبِعُوا خُطُوَاتِ الشَّيْطَانِ إِنَّهُ لَكُمْ عَدُوٌّ مُبِينٌ
অর্থ: “হে ঈমানদারগণ! তোমরা সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে পরিপূর্ণরূপে দাখিল হও। তোমরা ক বাকি অংশ পড়ুন...
“মা’দানুল মাআনী” কিতাবে বর্ণিত আছে, হযরত নাছীরুদ্দীন মাহমূদ চেরাগে দেহলবী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ইন্তেকালের সময় নিকটবর্তী হলে শেখ রুকনুদ্দীন বেরুনী ও শেখ কামালুদ্দীনকে (উনার দুই ভাগিনা) ডেকে বললেন, চিশতীয়া খান্দানের পূর্বের যে শায়েখ বা মুর্শিদ ক্বিবলা উনার যে সমস্ত নিয়ামত আমার নিকট গচ্ছিত ছিল, তা হতে যার যা প্রাপ্য ছিল আমি তা যথাযথ প্রদান করেছি। এখন তোমাদের প্রতি আমার নির্দেশ হলো, “আমার ইন্তেকালের পর আমাকে যখন কবরে রাখা হবে তখন আমার খেরকাটি আমার সীনার উপর, কাঠের পাত্রটি মাথার নীচে, তছবীহের ছড়াটি আমার আঙ্গুলের ফাঁকে, সেন্ড বাকি অংশ পড়ুন...
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
مَنْ ذَكَّرَكُمُ اللَّهَ رُؤْيَتُهُ وَزَادَ فِي عِلْمِكُمْ مَنْطِقُهُ وَذَكَّرَكُمْ بِالآخِرَةِ عَمَلُهُ
অর্থ: “যাঁকে দেখলে মহান আল্লাহ পাক উনার কথা স্মরণ হয়, যাঁর কথা শুনলে দ্বীনি ইলিম বৃদ্ধি হয়, যাঁর আমল দেখলে পরকালের আমল করতে ইচ্ছে হয়। ” (উনাকে অনুসরণ করো) (মুসনাদে আহমদ শরীফ, ক্ববাসুম মিন নূরে মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
فِطْرَتَ اللَّهِ الَّتِي فَطَرَ النَّاسَ عَلَيْهَا لَا تَبْدِيلَ لِخَلْقِ اللَّهِ ذَلِكَ الدِّينُ الْقَيِّمُ وَلَكِنَّ أَكْثَرَ النَّاسِ لَا يَعْلَمُونَ
অর্থ: মহান আল্লাহ পাক উনার সেই দ্বীন, যা তিনি মানুষের জন্যে পছন্দ করেছেন, তা অনুসরণ করো। মহান আল্লাহ পাক উনার সৃষ্টির কোন পরিবর্তন (করতে) নাই। এটাই সত্য-সঠিক দ্বীন, কিন্তু অধিকাংশ মানুষ তা বুঝে না। (পবিত্র সূরা রূম শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ, ৩০)
বাকি অংশ পড়ুন...












