রিয়াজত-মাশাক্কাত:
একবার সাইয়্যিদুল আওলিয়া, মাহবূবে সুবহানী, গাউছুল আ’যম, আওলাদে রসূল, হযরত বড়পীর ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার মুরীদদের একটি ঘটনা বর্ণনা প্রসঙ্গে বলেন- “একবার আমি নির্জনে একাকী অবস্থান করছিলাম। এমন সময় হঠাৎ এক ব্যক্তি আমার কাছে এসে বললেন, আমাকেও আপনার সাথে থাকার অনুমতি দান করুন। আমি বললাম, ঠিক আছে। ওই ব্যক্তি বললেন, একটি শর্তে যে, আপনি আমার আদেশের বিরুদ্ধাচরণ করবেন না। আমি বললাম, ঠিক আছে, আমি কোনমতেই আপনার আদেশের বিরুদ্ধাচরণ করবো না। ওই ব্যক্তি বললেন, আচ্ছা; আপনি এখানেই অবস্থান করুন আমি এখনই আসছি, আর আমার বাকি অংশ পড়ুন...
বিভিন্ন ঘটনাবলী:
হযরত শিবলী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনিقُلْ لِلْمُؤْمِنِيْنَ يَغُضُّوْا مِنْ اَبْصَارِهِمْ (হে আমার মহাসম্মানিত হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি মু’মিনদেরকে বলে দিন তারা যেন তাদের দৃষ্টি অবনত রাখে), এই সম্মানিত আয়াত শরীফ উনার ব্যাখ্যা সম্বন্ধে বলেন, হে আমার মহাসম্মানিত হাবীব ও মাহবূব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি মু’মিনদেরকে আমার এই নির্দেশ মুবারক পৌঁছে দিন যে, তারা মুখম-লে শোভিত চক্ষুদ্বয় যেন অবনত রাখে এবং গায়রে মাহরাম মহিলাদের প্রতি যেন দৃষ্টিপাত না করে এবং তাদের অন্তর চক্ষু দ্বারা মহান আল্লাহ পাক উনাকে ব বাকি অংশ পড়ুন...
বিভিন্ন ঘটনাবলী:
একদিন এক যুবক একটি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করার জন্য হযরত আবূ বকর শিবলী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মজলিসে পৌঁছেন, কিন্তু নিজে তা উচ্চারণ করতে অক্ষম হয়ে শুধু বললেন, হুযূর! আমাকে কিছু নছীহত করুন। তিনি বললেন, সেই সম্প্রদায়ের উচিত, তারা যেন প্রতিটি নিঃশ্বাসকে শেষ নিঃশ্বাস মনে করে এবং সেই শেষ নিঃশ্বাসে “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” যিকির নয়, বরং “আল্লাহ” নামের যিকির করে। কারণ, হতে পারে তাদের নিঃশ্বাস “লা ইলাহা”-এর উপর শেষ হয়ে যেতে পারে, আল্লাহ পর্যন্ত পৌঁছতে পারবে না। (অর্থাৎ “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” বা নফী-ইছবাত যিকিরে প্রথম নফী বা বাকি অংশ পড়ুন...
মা’রিফাত হাছিলের প্রচেষ্টায় প্রাথমিক অবস্থা:
হযরত আবূ বকর শিবলী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি প্রথম অবস্থায় “আল্লাহ” শব্দের প্রতি এমন আগ্রহান্বিত ছিলেন যে, কেউ “আল্লাহ” শব্দ উচ্চারণ করলে তিনি তার মুখে চিনি দ্বারা পূর্ণ করে দিতেন। তিনি ছেলেপেলেদের মধ্যে চিনি বন্টন করতেন, যেন তারাও “আল্লাহ” শব্দ উচ্চারণ করে। অতঃপর কিছুদিন উনার অভ্যাস এরূপ হয়েছিলো, যে ব্যক্তি আল্লাহ শব্দ বলতো, তিনি তার মুখ টাকা ও মোহর দ্বারা পূর্ণ করে দিতেন। কিছুকাল পরে উনার মধ্যে এমন আত্মাভিমান উৎপন্ন হলো যে, উন্মুক্ত তরবারী হাতে নিয়ে ঘুরতেন এবং বলতেন, যে ব্যক্ত বাকি অংশ পড়ুন...
পরিচিতি:
উনার আসল নাম জা’ফর বিন ইউনুস, যদিও কেউ কেউ অন্যান্য নামও বলেছেন। কারণ বাগদাদে উনার মাযার শরীফের উপর যে শিলালিপি রয়েছে তাতে জা’ফর বিন ইউনুসই লিখা রয়েছে। (নাফাহাতুল উন্স)
তবে তিনি উনার কুনিয়াত বা উপনাম “আবূ বকর শিবলী” দ্বারা মশহুর। তিনি তৃতীয় তবকার আওলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের মধ্যে একজন। তিনি বাগদাদের অধিবাসী ছিলেন। হযরত খাজা খায়ের নাসসাজ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার হাতে তিনি তওবা করেন, কিন্তু হযরত জুনায়েদ বাগদাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মুরীদ ছিলেন। তিনি একজন বিশিষ্ট আরিফ ছিলেন এবং মজলিসে ওয়াজ নছীহত বাকি অংশ পড়ুন...
ইদানিং উক্ত হালত স্থায়ীভাবে চলছে যেন সৃষ্টি জগত আমার জ্ঞান ও দৃষ্টির বাইরে। তারপর উক্ত মাকামে একটি উচ্চ গৃহ প্রকাশ পেল। সেখানে সোপান বা সিঁড়ি সন্নিবেশিত ছিল। আমি সেখানে উপনীত হলাম পরে সেটাও পূর্ববৎ ধীরে ধীরে নিম্নে চলে গেল এবং নিজেকে প্রতি মুহূর্তে আরোহী অবস্থায় পাচ্ছিলাম। তাহিয়াতুল ওযূর নামায আদায় করছিলাম। ইতোমধ্যে একটি উঁচু মাকাম দৃষ্টি গোচর হলো। নক্শবন্দীয়া তরীকার বুযূর্গ ইমামুশ্ শরীয়ত ওয়াত তরীকত, ইমামুছ ছিদ্দীকীন, সুলত্বানুল আউলিয়া, হযরত খাজা বাহাউদ্দীন নক্শবন্দ বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি, কুতুবুল আলম, কামরূছ্ ছ বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি আরো বলেন, বৎস! তুমি লিখেছো যে, “আপনার সাথে নিসবত বা সম্বন্ধের ইতোপূর্বে যেরূপ তাছীর ছিল এখন তদ্রুপ নেই। ” মনে রেখো, দৈহিক তাছীর বা ক্রিয়া নেই বটে; কিন্তু রূহানী বা আত্মিক তাছীর বৃদ্ধি পেয়েছে। অবশ্য সবাই সব সময় তা অনুভব করতে পারে না। কি করবো তুমি তো এ ফকীরের সংশ্রবে অতি অল্পকাল অবস্থান করেছিলে তাই বিশেষ বিশেষ ইলমে মা’রিফাতসমূহ তোমার উপস্থিতিতে অতি অল্পই বর্ণিত হয়েছে। কাজেই মহান আল্লাহ পাক তিনি যদি পুনরায় তোমাকে আমার সাক্ষাত দান করেন এবং কিছুদিন আমরা একত্রে অবস্থান করি তবে বুঝতে পা বাকি অংশ পড়ুন...
কামিল শায়েখ উনার প্রতি সর্বক্ষেত্রে বিশুদ্ধ আক্বীদা ও হুসনে যন পোষণ করা মুরীদের জন্য কামিয়াবী হাছিলের কারণউল্লেখ্য যে, “বেলায়েতে মূসাউয়ী” (হযরত মূসা আলাইহিস সালাম উনার বেলায়েত) থেকে “বেলায়েতে খাছ্ছাহ” তথা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বেলায়েতের আওতাভুক্ত করা, সালিকে মাজ্জুব থেকে মাজ্জুবে সালিকের গ-িভুক্ত করা এবং অতি সাধারণ মুরীদকে ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহ্ দিয়ে তার অন্তর থেকে বদ খাছলতগুলো দূর করে সৎ গুণাবলী প্রবেশ করিয়ে কামিলে মুকাম্মিলে পরিণত করা ওলীআল্লাহগণ উনাদের পক্ষে অসম্ভব নয়।
বাকি অংশ পড়ুন...












