(পূর্বপ্রকাশিতের পর)
বর্ণিত রয়েছে, জীবনের একসময়ে যখন তিনি পবিত্র মদীনা শরীফ উনার মধ্যে অবস্থান করেছিলেন, অহরহ প্রাণের আক্বা, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যিয়ারত মুবারক সমৃদ্ধ ছিলেন।
তখন এক পর্যায়ে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নির্দেশ মুবারক দিলেন, “হে হযরত আব্দুল হক মুহাদ্দিছ দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি! আপনি হিন্দুস্থানে যান। সেটাই হবে আপনার হিদায়েতের ক্ষেত্র। কিন্তু প্রাণের আক্বা, নূরে মুজাসস বাকি অংশ পড়ুন...
প্রকাশ থাকে যে, পুরুষ-মহিলা সকলের জন্যই পবিত্র ইলমে ফিক্বাহ উনার শিক্ষার সাথে সাথে ইছলাহ বা আত্মশুদ্ধি হাছিল করার লক্ষ্যে পবিত্র ইলমে তাছাওউফ হাছিল করাও ফরয। আর পবিত্র ইলমে তাছাওউফ যেহেতু শায়েখ বা মুর্শিদ ব্যতীত অর্জন করা যায় না তাই পিতা হোক, মাতা হোক, ছেলে হোক, মেয়ে হোক, স্বামী হোক, স্ত্রী হোক সকলের জন্যই একজন কামিলে মুকাম্মিল শায়েখ বা মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার হাতে বাইয়াত গ্রহণ করা ফরয। তবে যে কোনো কাজ করার পূর্বে সন্তানের জন্য পিতা-মাতা আর স্ত্রীর জন্য স্বামীর অনুমতি নেয়া বরকতের কারণ। কিন্তু সেজন্য যে বিষয়ে পিতা-মা বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র দ্বীন ইসলাম কায়েম বলি বা শরীয়াহ আইন প্রতিষ্ঠা বলি- রাজনীতি করে কিছুই কায়েম সম্ভব না। দরকার নিরঙ্কুশ তাসাউফ চর্চা। দেশে দেশে তাসাউফ চর্চার জন্য, আত্মশুদ্ধির জন্য দরগাহ খানকাহ প্রতিষ্ঠা করা। এতে মানুষদের মনে প্রকৃত অর্থেই দ্বীন ইসলামের প্রতি দরদ মহব্বত পয়দা হবে। তারা সত্যিকার তাওহীদ শিখবে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহব্বত মারেফত শিখবে। ঈমানি কুওয়াত বৃদ্ধি পাবে। প্রকৃত দ্বীন ইসলামী মহব্বত জেগে উঠলে তবেই ইতিহাস করে ফেলা সম্ভব।
সুলতান সালাহউদ্দীন আইয়্যুবী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উন বাকি অংশ পড়ুন...












