খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন উনার কালাম পাক উনার মধ্যে এবং আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, যিকরুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে পবিত্র যিকির উনার বহু গুরুত্ব ও ফযীলত বর্ণনা করেছেন। যেমন, পবিত্র যিকির উনার গুরুত্ব ও ফযীলত সম্পর্কে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার কালাম পাক উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
فَاذْكُرُوْنِـىْ اَذْكُرْكُمْ
অর্থাৎ “তোমরা আমার যিকির কর, আমিও তোমাদেরকে স্মরণ করবো। (সূরা বাক্বারা শরীফ : আয়াত শরীফ ১৫২)
এ আয়াত শরীফ উনার ব্যাখ্যায় বাকি অংশ পড়ুন...
(২০) মহান মুর্শিদ ক্বিবলা তিনি যা আদেশ করবেন তা নির্দ্বিধায় পালন করবে। আর যে বিষয়ে নিষেধ করবেন নিসংকোচে তা থেকে বিরত থাকবে। যদিও মুরীদের কাছে তা শরীয়তের খেলাফ মনে হতে পারে; কিন্তু হাক্বীক্বতে তা খেলাফ নয় বরং তা মুরীদের জন্য ভালাই ও কামিয়াবীর কারণ। যা পালনের মাধ্যমে মুরীদের কাঙ্খিত সফলতা অর্জিত হবে।
মূলত: বিনা চূ-চেরায় দ্বিধাহীনচিত্তে শায়েখ বা মুর্শিদ ক্বিবলা উনার আদেশ মুবারক পালন করার জন্য যেমন ইলিমের প্রয়োজন, তেমনি প্রয়োজন অন্তরের বিশুদ্ধতাও।
মহান আল্লাহ পাক উনাকে যেমন উনার বান্দাগণের মধ্যে আলিমগণই বেশী ভয় করেন, হাক্বী বাকি অংশ পড়ুন...
কর্ম ব্যস্ত জীবনে স্ট্রেস বা মানসিক চাপ নিত্য দিনের সঙ্গী। স্ট্রেস থেকে অধিকাংশ রোগের সূচনা হয়। চাকুরী-ব্যবসার চাপ, পরিবারের চাপ, পড়ালেখার চাপ, অর্থনৈতিক চাপ, বন্ধু-শত্রুর চাপসহ সফলতা-বিফলতা হিসেব নিকেষ করতে করতে মানুষ আজ দিশেহারা। স্ট্রেসের মাত্রা এত বেশি হয় যে রাতে ঠিক মত ঘুম হয় না। অনেকেই ঘুমের ওষুধ খেয়ে শান্ত থাকার চেষ্টা করেন। নার্ভ দুর্বল হয়ে সারাদিন অকেজো হয়ে পড়ে থাকেন। অনেকে নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। সারাদিনের ইমোশনকে ভুলতে সাময়িক কিছু ব্যবহার করেন। কিন্তু সেটা পার্মানেন্ট কোন সমাধান হয় না।
স্ট্রেস থেকেই সকল রোগের স বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র ইবাদতে যাহিরাহ ও পবিত্র ইবাদতে বাতিনাহ উভয়টি সঠিক ও পরিপূর্ণভাবে পালন করার জন্য পবিত্র ইলম অর্জন করা ফরয।
এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اَنَسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ طَلَبُ الْعِلْمِ فَرِيْضَةٌ عَلٰى كُلِّ مُسْلِمٍ.
অর্থ : হযরত আনাস বিন মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, প্রত্যেক মুসলমান পুরুষ-মহিলা উনাদের জন্য পবিত্র ইলম অর্জন করা ফরয। (মুসলিম শর বাকি অংশ পড়ুন...
অনুরূপভাবে মাহবুবে ইলাহী, হযরত খাজা নিযামুদ্দীন আউলিয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি তা’লীম-তরবীয়ত তথা ইলমে শরীয়ত হাছিল করার পর মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার রসূল সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের হাক্বীক্বী মা’রিফাত ও মুহব্বত হাছিলের লক্ষ্যে ইলমে তাছাওউফ বা ইলমে মা’রিফাত শিক্ষায় আত্মনিয়োগ করলেন। সেক্ষেত্রে যিকির-ফিকির, রিয়াজত-মাশাক্কাতে কঠোর হলেন; কিন্তু ইলিম হাছিলের প্রবণতা পূর্ববত প্রবল রয়ে গেলো।
উল্লেখ্য, মহান আল্লাহ পাক উন বাকি অংশ পড়ুন...
আরো বর্ণিত আছে যে, একবার নিশাপুরের এক সওদাগর এক হাজার মুদ্রায় এক খুব ছূরত বাঁদী ক্রয় করলো। ঘটনাক্রমে ঐ সময় তার একটি খাতক টাকা পরিশোধ না করে নিশাপুর ছেড়ে অন্য শহরে পালিয়ে গেলো। তখন সওদাগর তার খোঁজ করা দরকার বলে মনে করলো; কিন্তু তার অসুবিধার সৃষ্টি হলো বাঁদীকে নিয়ে। এমন গুণবতী, খুব ছূরত বাঁদীকে কার কাছে রেখে যাওয়া যায়? শহরে তখন একটি বিশ্বাসী লোকও ছিলো না।
অবশেষে সওদাগর হযরত আবু উছমান জাররা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে একমাত্র বিশ্বাসী মনে করে উনার কাছে অনুরোধ জানালো যে, “জনাব! আমার বাঁদীকে আপনার জিম্মায় রেখে যেতে চাই। কয়েকটি দিন ত বাকি অংশ পড়ুন...
উল্লেখ্য যে, শয়তান মানুষের প্রকাশ্য ও প্রধানতম শত্রু। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
إِنَّهُ لَكُمْ عَدُوٌّ مُّبِينٌ
অর্থ: “নিশ্চয়ই সে (শয়তান) তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু। ” আরো বর্ণিত আছে-
إِنَّ الشَّيْطَانَ لَكُمْ عَدُوٌّ فَاتَّخِذُوهُ عَدُوًّا
অর্থ: “নিশ্চয়ই শয়তান তোমাদের শত্রু। তাকে শত্রু হিসেবেই গ্রহণ করো। ”
কাজেই মুরীদের সুলূকের পথে হাল বা বিভিন্ন অবস্থার পাশাপাশি শয়তানের ধোঁকাও আসতে পারে। অতএব, কোনটি হাক্বীক্বী হাল এবং কোনটি শয়তানের ধোঁকা সেটা শায়েখ বা মুর্শিদ ক্বিবলা উনার নিকট থেকে জেনে যাচাই-বাছাই করা দায়িত্ব-কর্তব্য। আ বাকি অংশ পড়ুন...
(গত ৮ রমাদ্বান শরীফের পর)
কেননা মহান আল্লাহ পাক উনার নৈকট্য মুবারক লাভের চেষ্টায় নিমগ্ন থাকা সুলূকের পথে সালিক বা মুরীদের এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান যে, এ সময় সালিক যেমন প্রতি-মুহূর্তে আত্মিক উন্নতি ও অগ্রগতির দিকে দ্রুত ধাবিত হয়, বিভিন্ন মাকামের সাথে সম্পৃক্ত হয়। তেমনি অবনতি ও মারাত্মক ক্ষতিরও সম্ভাবনা থাকে প্রবল।
মানব জীবনের প্রধান শত্রু ইবলীস। ইবলীস সালিক বা মুরীদের এ উন্নতি ও অগ্রগতিকে সহ্য করতে পারে না। তাই সুলূকের পথে মহা বিপর্যয় সৃষ্টি করতে সে সদা তৎপর। মুরীদকে সে নানা প্রকার প্রলোভন দেখাতে থাকে। সেক্ষেত্রে মু বাকি অংশ পড়ুন...
মাদরাসা উনার গৃহ নির্মাণ:
সাইয়্যিদুল আওলিয়া, ইমামে রব্বানী, মাহবূবে সুবহানী, মুহিউদ্দীন, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত বড়পীর ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার উস্তাদ হযরত আবু সাঈদ মুবারক মাখদুমী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি যখন এই মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করে নিজেই উনার শিক্ষকতা কার্যে নিয়োজিত ছিলেন, তখন উনার ছাত্র সংখ্যা ছিলো খুবই কম। কিন্তু সাইয়্যিদুল আওলিয়া, ইমামে রব্বানী, মাহবূবে সুবহানী, মুহিউদ্দীন, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত বড়পীর ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি শিক্ষকতা ও পরিচালনা দায়িত্বভার গ্রহণ করার সাথে সাথে উনার এবং মাদর বাকি অংশ পড়ুন...
মুহলিকাত مهلكات ওই সকল বদ খাছলত বা কুস্বভাবকে বলে, যে সকল বদ খাছলত মানুষকে বা মানুষের অন্তরকে ধ্বংস বা হালাক করে দেয়। এ প্রসঙ্গে জনৈক বুযুর্গ কবি তিনি বলেন-
خواہی کہ شوی دل تو چوں ائنہ+ بد چیز بروں کن از درون سینہ.
অর্থ : তুমি যদি চাও, তোমার অন্তর আয়নার মতো পরিষ্কার হোক, তবে তুমি তোমার অন্তর থেকে বদ স্বভাবসমূহ বের করে দাও।
এ সকল বদ খাছলত হচ্ছে :
১। কিবর (অহঙ্কার) ২। হাসাদ (হিংসা) ৩। বোগয (শত্রুতা) ৪। গদ্বব (রাগ) ৫। গীবত (পরনিন্দা) ৬। হিরছ (লোভ) ৭। কিযব (মিথ্যা) ৮। বোখল (কৃপণতা) ৯। রিয়া (লোক দেখানো) ১০। গুরুর (ধোঁকাবাজী) ১১। কিনা (দুশমনী) ১২। ত্বমা (হালাল-হারাম বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র মুনজিয়াত منجيات হলো ওই সকল নেক খাছলত বা সৎ স্বভাব, যে সকল নেক খাছলত বা সৎ স্বভাব নাজাত বা মুক্তি দেয়। অর্থাৎ “তায়াল্লুক মায়াল্লাহ” বা খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে সম্পর্ক মুবারক সৃষ্টি করে দেয়।
জনৈক বুযুর্গ কবি বলেন-
خواہی کہ شوی منزل قرب مکین. بنیک چسیز نفس خویش را فرما تعلیم
অর্থ : যদি তুমি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার নৈকট্য মুবারক লাভ করতে চাও, তবে তোমার নফ্স্ বা অন্তরকে নেক খাছলতসমূহ দ্বারা তা’লীম দাও।
আর ওই সকল নেক খাছলত মুবারক হচ্ছে-
১। তওবা (গুনাহ থেকে প্রত্যাবর্তন), ২। ছবর (ধৈর্য), ৩। শোকর (কৃতজ্ঞতা), ৪। তাওয়াক্ক বাকি অংশ পড়ুন...












