ছোহবত ইখতিয়ার প্রসঙ্গে নির্দেশ মুবারক:
হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের পর হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ, সম্মানিত ও মর্যাদাবান হয়েছেন। তার একমাত্র কারণ হচ্ছে, উনারা মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করেছেন। সুবহানাল্লাহ! ফলে মহান আল্লাহ পাক তিনি উনাদের মাক্বাম মুবারক সুনির্দিষ্ট করে দিয়েছেন। উনাদের সম্পর্কে পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ ম বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্বে প্রকাশিতের পর)
১৬। শায়েখ বা মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার নিকট অপরের সালাম নিয়ে আসা আদবের খিলাফ। উনার নিকট এসে কিছুদিন থাকার ইচ্ছা হলে পূর্বেই চিঠি-পত্রাদি বা অন্য কোনো মারফত অনুমতি নিয়ে আসা দরকার। চিঠি-পত্রাদি সরাসরি মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার নিকট না লিখে দরবার শরীফ উনার অন্য কারো নিকট লেখাই অধিক শিষ্টতা বা আদব।
১৭। শায়েখ বা মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার সাথে কখনোই তর্ক-বিতর্ক করবেনা। উনার উপর নিজ ইচ্ছা চাপানোর চেষ্টা করবেনা বরং উনার ইচ্ছানুসারে কাজ করবে। উনার নিকট এমনভাবে থাকবে, যেমন গোসলদানক বাকি অংশ পড়ুন...
ছোহবত ইখতিয়ার প্রসঙ্গে নির্দেশ মুবারক:
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَاصْبِرْ نَفْسَكَ مَعَ الَّذِينَ يَدْعُونَ رَبَّهُم بِالْغَدَاةِ وَالْعَشِيِّ يُرِيدُونَ وَجْهَهُ ۖ وَلَا تَعْدُ عَيْنَاكَ عَنْهُمْ تُرِيدُ زِينَةَ الْحَيَاةِ الدُّنْيَا ۖ وَلَا تُطِعْ مَنْ أَغْفَلْنَا قَلْبَهُ عَن ذِكْرِنَا وَاتَّبَعَ هَوَاهُ وَكَانَ أَمْرُهُ فُرُطًا
অর্থ: “ওই সমস্ত লোকদের ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করো, ফরয করে নাও, যারা সকাল-সন্ধ্যা অর্থাৎ দায়িমীভাবে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি মুবারক উনার জন্য যিকির-ফিকির করে থাকেন। দুনিয়ার চাকচিক্য দেখে বা দুনিয়ার মোহে মোহগ্রস্ত হয়ে উনাদের থেকে তোমাদে বাকি অংশ পড়ুন...
وَاصْبِرْ نَفْسَكَ مَعَ الَّذِينَ يَدْعُونَ رَبَّهُم بِالْغَدَاةِ وَالْعَشِيِّ يُرِيدُونَ وَجْهَهُ ۖ وَلَا تَعْدُ عَيْنَاكَ عَنْهُمْ تُرِيدُ زِينَةَ الْحَيَاةِ الدُّنْيَا ۖ
অর্থ: “ওই সমস্ত লোকদের ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করো, ফরয করে নাও, যারা সকাল-সন্ধ্যা অর্থাৎ দায়িমীভাবে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি মুবারক উনার জন্য যিকির-ফিকির করে থাকেন। দুনিয়ার চাকচিক্য দেখে বা দুনিয়ার মোহে মোহগ্রস্ত হয়ে উনাদের থেকে তোমাদের দৃষ্টি ফিরিয়ে নিয়ো না।” (পবিত্র সূরা কাহফ শরীফ- ২৮)
বাকি অংশ পড়ুন...
ছোহবত উনার পরিচয়:
اَلصُّحْبَة (ছোহবত) শব্দের শাব্দিক পরিচয়-
اَلصُّحْبَة (ছোহবত) শব্দটি মূলত আরবী কিন্তু তা ফার্সী ও উর্দূ ভাষাতেও ব্যবহার করা হয়।
যার অর্থ- সাহচর্য লাভ করা, সঙ্গ, সাথে থাকা, সান্নিধ্য লাভ করা, নৈকট্য লাভ করা ইত্যাদি। যেমন বলা হয়- الصُّحْبَةُ تَثْبُتُ بِطُرُقٍ অর্থাৎ সাহচর্য বা ছোহবত অনেক পদ্ধতিতে প্রতিষ্ঠিত হয়ে থাকে। সেটা দেখার মাধ্যমে হতে পরে আবার কথা শ্রবণের মাধ্যমেও হতে পারে কিংবা সাথে থাকার মাধ্যমে হতে পারে অথবা স্পর্শ লাভের মাধ্যমেও হতে পারে। কাজেই ছোহবত শব্দটি বহুল অর্থে ব্যবহৃত।
اَلصُّحْبَة (ছোহবত) শব্দের পারিভাষিক পরিচয়-
ছ বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্বে প্রকাশিতের পর)
এখানে মুরীদ বা সালিকের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু আদব বর্ণনা করা হলো। বাকী আরো অনেক কিছু রয়েছে যা শায়েখ বা মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার ছোহবত মুবারক উনার মাঝে এসে শিখে নিতে হবে।
১। সালিক বা মুরীদ সর্বদাই নিজ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনাকে সর্বশ্রেষ্ঠ মনে করবে।
২। মনকে সকল দিক থেকে সরিয়ে শায়েখ বা মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার দিকে নিয়োজিত রাখবে। যথাসম্ভব মাল ও জান দিয়ে উনার খিদমত করবে।
৩। শায়েখ বা মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার হুকুম ছাড়া উনার সামনে ফরয ও সুন্নত ব্যতীত কোনো নফল আমল করব বাকি অংশ পড়ুন...
অতএব বুঝা গেলো যে, পবিত্র ক্বলবী যিকির ব্যতীত শয়তান ও শয়তানী ওয়াসওয়াসা থেকে বেঁচে থাকা যেমন অসম্ভব তদ্রুপ শরীয়ত উনার খিলাফ কাজ থেকে বেঁচে থাকাও অসম্ভব।
তাই অন্তর পরিশুদ্ধ করতে হলে বা শয়তানী ওয়াসওয়াসা থেকে বাঁচতে হলে পবিত্র ক্বলবী যিকির করতে হবে। কারণ পবিত্র ক্বলবী যিকিরই সার্বক্ষণিক বা দায়িমী যিকির উনার একমাত্র মাধ্যম।
যেমন দায়িমী বা পবিত্র ক্বলবী যিকির সম্পর্কে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার কালাম পাক উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
وَاذْكُر رَّبَّكَ فِىْ نَفْسِكَ تَضَرُّعًا وَّخِيْفَةً وَّدُوْنَ الْـجَهْرِ مِنَ الْقَوْلِ بِالْغُدُوِّ وَا বাকি অংশ পড়ুন...
উল্লেখ্য যে, ইলমে তাছাওউফ বা তরীক্বতের সব কিতাবেই তিন প্রকার সম্মানিত নিসবত মুবারক হাছিলের কথা বলা হয়। (এক) ফানা ফিশ শায়েখ, (দুই) ফানা ফির রসূল, (তিন) ফানা ফিল্লাহ।
কাজেই, সালিক বা মুরীদের জন্য ফরজ হচ্ছে, সম্মানিত শায়েখ উনার প্রতি সর্বোচ্চ বিশুদ্ধ আক্বীদাহ এবং সর্বোত্তম হুসনে যন মুবারক পোষণ করা অর্থাৎ নূরে মুজাস্সাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পরেই সম্মানিত শায়েখ বা মুর্শিদ ক্বিবলা উনাকে সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ মনে করা। তবেই তার পক্ষে অতি সহজে সম্মানিত নি‘য়ামত মুবারক হাছিল করে মঞ্জিলে মাক্বছূদে পৌঁছ বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্বে প্রকাশিতের পর)
আর পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عَبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَلشَّيْطَانُ جَاثِـمٌ عَلٰى قَلْبِ ابْنِ اٰدَمَ فَاِذَا ذَكَرَ اللهَ خَنَسَ وَاِذَا غفَلَ وَسْوَسَ
অর্থ : হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, শয়তান আদম সন্তানের ক্বলবে আসন পেতে বসে থাকে। যখন সে পবিত্র যিকির করে, তখন শয়তান পালিয়ে যায়। আর যখন সে পবিত্র যিকির থেকে গাফিল হয়, বাকি অংশ পড়ুন...
যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
مَنْ يَهْدِ اللهُ فَهُوَ الْمُهْتَدِ وَمَنْ يُضْلِلْ فَلَنْ تَـجِدَ لَهٗ وَلِيًّا مُرْشِدًا
অর্থ: খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি যাঁকে হিদায়াত দান করেন, সেই হিদায়াত লাভ করে। সুবহানাল্লাহ! আর যে ব্যক্তি গোমরাহীর মধ্যে দৃঢ় থাকে, সে কখনো ওলীয়ে মুর্শিদ বা কামিল শায়েখ উনার সম্মানিত ছোহবত মুবারক লাভ করতে পারে না। না‘ঊযুবিল্লাহ! (পবিত্র সূরা কাহ্ফ : আয়াত শরীফ ১৭)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عَبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى বাকি অংশ পড়ুন...












