ছোহবত (সংসর্গ) ক্রিয়া করে:
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ عَطَاءٍ الْـخُرَاسَانِىْ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ اَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ تَصَافَحُوْا يَذْهَبِ الْغِلُّ وَتَـهَادَوْا تَـحَابُّوْا وَتَذْهَبِ الشَّحْنَاءُ.
অর্থ: হযরত আতা খুরাসানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বর্ণনা করেন, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, পরস্পর মুছাফাহা করো। এতে অন্তরঙ্গতা বৃদ্ধি পায়, মনের কালি দূর হয়। একে অন্যকে হাদিয়া দাও। এতে মুহব্বত গভীর হয় এবং হিংসা-বিদ্বে বাকি অংশ পড়ুন...
ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করার গুরুত্ব ও ফযীলত সম্পর্কে মাযহাব ও তরীক্বার ইমাম উনাদের কওল শরীফ:
হযরত শেখ সা’দী রহমতুল্লাহি আলাইহি:
ছোহবত মুবারক উনার গুরুত্ব বুঝাতে গিয়ে বুযূর্গ কবি হযরত শেখ সা’দী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি একটা ঘটনা বর্ণনা করেছেন উনার কিতাবের মধ্যে-
پسر نوح بابداں بنشست+ خاندان نبوتش گم شد
سگ اصحاب کھف روزے چند+ پئے نیگاں گرفت مردم شد
অর্থ: “হযরত নূহ আলাইহিস সালাম উনার ছেলে কেনান খারাপ লোকদের ছোহবতে থাকায় নুবুওওয়াতী খান্দানের মর্যাদা থেকে বঞ্চিত হয়ে জাহান্নামী হলো। আর আছহাবে কাহাফ উনাদের কুকুর নেককারদের ছোহবতে থাকার কারণে মানুষের ছূরতে বাকি অংশ পড়ুন...
অনেকে মনে করে যে, পিতা-মাতা জীবিত থাকাকালে শায়েখ বা মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার নিকট বাইয়াত হওয়া যায় না। এটা একটি অবান্তর ধারণা, যা পবিত্র শরীয়ত উনার সাথে কোনো মিল নেই।
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اَنَسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ طَلَبُ الْعِلْمِ فَرِيْضَةٌ عَلٰى كُلِّ مُسْلِمٍ وَفِىْ رِوَايَةٍ عَلٰى كُلُّ مُسْلِمٍ وَّمُسْلِمَةٍ.
অর্থ : হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু বাকি অংশ পড়ুন...
ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করার গুরুত্ব ও ফযীলত সম্পর্কে মাযহাব ও তরীক্বার ইমাম উনাদের কওল শরীফ:
হযরত ইমাম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি:
হযরত ইমামে আ’যম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন-
لولا سنتان لهلك ابو نعمان
অর্থ: “আমি ইমামে আ’যম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি, আমি যদি দুটি বছর না পেতাম, তাহলে অবশ্যই ধ্বংস হয়ে যেতাম। ” অর্থাৎ হিদায়েতের উপর অটল থাকা আমার জন্য কষ্টসাধ্য হয়ে যেতো।
এখানে ইমামে আ’যম হযরত আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি যে দু’বছরের কথা উল্লেখ করেছেন, সে দু’বছর তিনি উনার সম্মানিত শায়েখ, হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহ বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্বে প্রকাশিতের পর)
আর শায়েখ বা শায়েখ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার গুরুত্ব সম্পর্কে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عَبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَلشَّيْخُ فِىْ اَهْلِهٖ كَالنَّبِىِّ فِىْ اُمَّتِهٖ وَفِىْ رِوَايَةٍ اَلشَّيْخُ لِقَوْمِهٖ كَالنَّبِىِّ فِىْ اُمَّتِهٖ
অর্থ : হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা উম্মতের নিকট যের বাকি অংশ পড়ুন...
বেয়াদবের পরিণতি ও তার আলামত
পবিত্র তরিক্বত উনার মধ্যে বেয়াদবের কোনো ঠাঁই বা স্থান নেই। এ কথাটিকে ফার্সীতে হযরত মাওলানা রূমী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেছেন এভাবে-
از خدا جویم توفیق ادب+ بے ادب محروم گشت از لطف رب.
অর্থ : আমি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট পবিত্র আদব তলব করছি, কারণ বেয়াদব খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার রহমত (করুণা) থেকে বঞ্চিত। (মসনবী শরীফ)
পবিত্র ইলমে তাছাওউফ উনার কিতাবে বর্ণিত রয়েছে, কোনো ব্যক্তি হোক সে আলিম অথবা জাহিল, খোদা না করুন সে যদি কোনো ওলীআল্লাহ উনার সাথে বেয়াদবি করে তবে তার প্রতি খালিক্ব মালিক রব ম বাকি অংশ পড়ুন...
ছোহবত ইখতিয়ার প্রসঙ্গে নির্দেশ মুবারক:
হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের পর হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ, সম্মানিত ও মর্যাদাবান হয়েছেন। তার একমাত্র কারণ হচ্ছে, উনারা মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করেছেন। সুবহানাল্লাহ! ফলে মহান আল্লাহ পাক তিনি উনাদের মাক্বাম মুবারক সুনির্দিষ্ট করে দিয়েছেন। উনাদের সম্পর্কে পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ ম বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্বে প্রকাশিতের পর)
১৬। শায়েখ বা মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার নিকট অপরের সালাম নিয়ে আসা আদবের খিলাফ। উনার নিকট এসে কিছুদিন থাকার ইচ্ছা হলে পূর্বেই চিঠি-পত্রাদি বা অন্য কোনো মারফত অনুমতি নিয়ে আসা দরকার। চিঠি-পত্রাদি সরাসরি মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার নিকট না লিখে দরবার শরীফ উনার অন্য কারো নিকট লেখাই অধিক শিষ্টতা বা আদব।
১৭। শায়েখ বা মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার সাথে কখনোই তর্ক-বিতর্ক করবেনা। উনার উপর নিজ ইচ্ছা চাপানোর চেষ্টা করবেনা বরং উনার ইচ্ছানুসারে কাজ করবে। উনার নিকট এমনভাবে থাকবে, যেমন গোসলদানক বাকি অংশ পড়ুন...
ছোহবত ইখতিয়ার প্রসঙ্গে নির্দেশ মুবারক:
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَاصْبِرْ نَفْسَكَ مَعَ الَّذِينَ يَدْعُونَ رَبَّهُم بِالْغَدَاةِ وَالْعَشِيِّ يُرِيدُونَ وَجْهَهُ ۖ وَلَا تَعْدُ عَيْنَاكَ عَنْهُمْ تُرِيدُ زِينَةَ الْحَيَاةِ الدُّنْيَا ۖ وَلَا تُطِعْ مَنْ أَغْفَلْنَا قَلْبَهُ عَن ذِكْرِنَا وَاتَّبَعَ هَوَاهُ وَكَانَ أَمْرُهُ فُرُطًا
অর্থ: “ওই সমস্ত লোকদের ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করো, ফরয করে নাও, যারা সকাল-সন্ধ্যা অর্থাৎ দায়িমীভাবে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি মুবারক উনার জন্য যিকির-ফিকির করে থাকেন। দুনিয়ার চাকচিক্য দেখে বা দুনিয়ার মোহে মোহগ্রস্ত হয়ে উনাদের থেকে তোমাদে বাকি অংশ পড়ুন...
وَاصْبِرْ نَفْسَكَ مَعَ الَّذِينَ يَدْعُونَ رَبَّهُم بِالْغَدَاةِ وَالْعَشِيِّ يُرِيدُونَ وَجْهَهُ ۖ وَلَا تَعْدُ عَيْنَاكَ عَنْهُمْ تُرِيدُ زِينَةَ الْحَيَاةِ الدُّنْيَا ۖ
অর্থ: “ওই সমস্ত লোকদের ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করো, ফরয করে নাও, যারা সকাল-সন্ধ্যা অর্থাৎ দায়িমীভাবে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি মুবারক উনার জন্য যিকির-ফিকির করে থাকেন। দুনিয়ার চাকচিক্য দেখে বা দুনিয়ার মোহে মোহগ্রস্ত হয়ে উনাদের থেকে তোমাদের দৃষ্টি ফিরিয়ে নিয়ো না।” (পবিত্র সূরা কাহফ শরীফ- ২৮)
বাকি অংশ পড়ুন...
ছোহবত উনার পরিচয়:
اَلصُّحْبَة (ছোহবত) শব্দের শাব্দিক পরিচয়-
اَلصُّحْبَة (ছোহবত) শব্দটি মূলত আরবী কিন্তু তা ফার্সী ও উর্দূ ভাষাতেও ব্যবহার করা হয়।
যার অর্থ- সাহচর্য লাভ করা, সঙ্গ, সাথে থাকা, সান্নিধ্য লাভ করা, নৈকট্য লাভ করা ইত্যাদি। যেমন বলা হয়- الصُّحْبَةُ تَثْبُتُ بِطُرُقٍ অর্থাৎ সাহচর্য বা ছোহবত অনেক পদ্ধতিতে প্রতিষ্ঠিত হয়ে থাকে। সেটা দেখার মাধ্যমে হতে পরে আবার কথা শ্রবণের মাধ্যমেও হতে পারে কিংবা সাথে থাকার মাধ্যমে হতে পারে অথবা স্পর্শ লাভের মাধ্যমেও হতে পারে। কাজেই ছোহবত শব্দটি বহুল অর্থে ব্যবহৃত।
اَلصُّحْبَة (ছোহবত) শব্দের পারিভাষিক পরিচয়-
ছ বাকি অংশ পড়ুন...












