পবিত্র ইলমে তাছাওউফ উনার আ’মালী বিষয়সমূহ হাছিল করা যেহেতু একজন কামিল শায়েখ বা মুর্শিদ ক্বিবলা উনার নিকট বাইয়াত হওয়ার সাথে সম্পর্কযুক্ত সেহেতু এখানে সংক্ষিপ্তভাবে কামিল শায়েখ বা মুর্শিদ ক্বিবলা উনার নিকট বাইয়াত হওয়ার আহকাম ও কামিল শায়েখ বা মুর্শিদ ক্বিবলা উনার পরিচয় বর্ণনা করা হলো।
স্মরণযোগ্য যে, অন্তর পরিশুদ্ধ করার জন্য প্রয়োজনীয় ইলমে তাছাওউফ অর্জন করতে হলে এবং দায়িমী বা সার্বক্ষণিকভাবে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার পবিত্র যিকিরে মশগুল থাকার জন্য বা হুযূরী ক্বলব অর্জন করতঃ বিলায়েতে আমুল খাছ হাছিল করতে হলে অবশ্ বাকি অংশ পড়ুন...
মুহলিকাত مهلكات ওই সকল বদ খাছলত বা কুস্বভাবকে বলে, যে সকল বদ খাছলত মানুষকে বা মানুষের অন্তরকে ধ্বংস বা হালাক করে দেয়। এ প্রসঙ্গে জনৈক বুযুর্গ কবি তিনি বলেন-
خواہی کہ شوی دل تو چوں ائنہ+ بد چیز بروں کن از درون سینہ.
অর্থ : তুমি যদি চাও, তোমার অন্তর আয়নার মতো পরিষ্কার হোক, তবে তুমি তোমার অন্তর থেকে বদ স্বভাবসমূহ বের করে দাও।
এ সকল বদ খাছলত হচ্ছে-
১। কিবর (অহঙ্কার) ২। হাসাদ (হিংসা) ৩। বোগয (শত্রুতা) ৪। গদ্বব (রাগ) ৫। গীবত (পরনিন্দা) ৬। হিরছ (লোভ) ৭। কিযব (মিথ্যা) ৮। বোখল (কৃপণতা) ৯। রিয়া (লোক দেখানো) ১০। গুরুর (ধোঁকাবাজী) ১১। কিনা (দুশমনী) ১২। ত্বমা (হালাল-হারাম না দেখ বাকি অংশ পড়ুন...
অধিক ইবাদত করেছো বলেও অহংকার করো না। কারণ, ইবলিস ৬ লক্ষ বছর ইবাদত-বন্দেগী করেছিলো। ভেবে দেখো তার কি পরিণতি হয়েছিল। অধিক ইলিম শিক্ষা করেছো বলেও অহংকার-গর্বে ফেটে পড়ো না। কেননা বালয়াম বিন বাউরা এতো ইলিম শিক্ষা করেছিলো যে, যুগশ্রেষ্ঠ ১০ হাজার আলিম তার কাছে তা’লীম নিতো। সেছিলো মুস্তাজাবুদ দাওয়াত। সে যা দোয়া করতো মহান আল্লাহ পাক তিনি তাই কবুল করতেন। ৩০০ বছর সাধনা করে ‘ইসমে আ’যম’ আয়ত্ব করেছিলো। অথচ তার নিন্দায় কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “সে কুকুরের ন্যায়। কুকুরের উপর বোঝা চাপিয়ে দিলে হাঁপাতে থাকে। আর না চাপাল বাকি অংশ পড়ুন...
ছাহিবাতু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, হাবীবাতুল্লাহ, ছাহিবায়ে নেয়ামত, রহমাতুল্লিল আলামীন, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “তাদের কাছে যে কিতাব আছে তার সত্যায়ণকারী স্বরূপ আমি আপনার প্রতি কিতাব নাযিল করেছি হিফাযতকারীরূপে। অতঃপর আপনি তাদের মাঝে মহান আল্লাহ পাক উনার কিতাব অনুসারে ফায়ছালা করুন। আপনার কাছে হক্ব আসার পর তাদের বাকি অংশ পড়ুন...












