রিয়াদ্বাত-মাশাক্কাত:
সুলত্বানুল হিন্দ, কুতুবুল মাশায়িখ, মুজাদ্দিদে যামান, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি সমস্ত মৌলিক গুণের অধিকারী ছিলেন। বরং তিনি ছিলেন সকল গুণাবলীর আঁধার।
উনার প্রধান খলীফা, শাইখুল উলামা ওয়াল মাশায়িখ, সাইয়্যিদুনা হযরত বখতিয়ার কাকী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, সুলত্বানুল হিন্দ, কুতুবুল মাশায়িখ, মুজাদ্দিদে যামান, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার রিয়াদ্বত-মাশাক্কাতের প্রাথমিক অবস্থায় এমন দুঃসাধ্য তরিকায়-নফসের জিহাদ করেছিলেন বাকি অংশ পড়ুন...
রুহুল মায়ানী গ্রন্থকার বলেছেন, “ফক্বীহ ও ছূফী বা ইবাদতকারীদের কাছে পরামর্শ না নিয়ে ফাসিক-ফুজ্জার ও বেদ্বীন, বদদ্বীনদের কাছ থেকে পরামর্শ গ্রহণ করলে সুফলের চেয়ে কুফলই বেশী হতে পারে। ” পবিত্র হাদীছ শরীফে বর্ণিত আছে-
إِسْتَرْشِدُوا العَاقِلَ تَرْشُدُوْا وَلَا تَعْصُوْهُ فَتَنْدَمُوْا
অর্থ: “সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “জ্ঞানী ব্যক্তিদের থেকে পরামর্শ গ্রহণ করবে এবং উনাদের বিরুদ্ধাচরণ করবে না, অন্যথায় অনুতাপ করতে হবে। ” (তাফসীরে আদ্ দুররুল মানছু বাকি অংশ পড়ুন...
মশহূর একখানা ওয়াক্বিয়া রয়েছে যে, মানতিকের ইমাম হযরত ইমাম ফখরুদ্দীন রাযী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি মাদরাসায় লেখাপড়া শেষ করেছেন। তিনি কিতাবে পড়েছেন, ইলমে ফিক্বাহ ও ইলমে তাছাওউফ উভয় প্রকার ইলমই অর্জন করতে হবে। প্রত্যেকের জন্য সেটা ফরয। তিনি তো ইলমে ফিক্বাহ অর্জন করেছেন মাদরাসায় গিয়ে। কিন্তু তখন পর্যন্ত উনার ইলমে তাছাওউফ অর্জন করা হয়নি। তাই তিনি ইলমে তাছাওউফ অর্জন করার জন্য মহান আল্লাহ পাক উনার ওলী হযরত নজীবুদ্দীন কুবরা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার দরবার শরীফ-এ গেলেন। গিয়ে বললেন, হুযূর! আমি আপনার কাছে বাইয়াত হতে এসেছি। মহান আল্লাহ বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র ইলমে তাছাওউফ উনার আ’মালী বিষয়সমূহ হাছিল করা যেহেতু একজন কামিল শায়েখ বা মুর্শিদ ক্বিবলা উনার নিকট বাইয়াত হওয়ার সাথে সম্পর্কযুক্ত সেহেতু এখানে সংক্ষিপ্তভাবে কামিল শায়েখ বা মুর্শিদ ক্বিবলা উনার নিকট বাইয়াত হওয়ার আহকাম ও কামিল শায়েখ বা মুর্শিদ ক্বিবলা উনার পরিচয় বর্ণনা করা হলো।
স্মরণযোগ্য যে, অন্তর পরিশুদ্ধ করার জন্য প্রয়োজনীয় ইলমে তাছাওউফ অর্জন করতে হলে এবং দায়িমী বা সার্বক্ষণিকভাবে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার পবিত্র যিকিরে মশগুল থাকার জন্য বা হুযূরী ক্বলব অর্জন করতঃ বিলায়েতে আমুল খাছ হাছিল করতে হলে অবশ্ বাকি অংশ পড়ুন...
মুহলিকাত مهلكات ওই সকল বদ খাছলত বা কুস্বভাবকে বলে, যে সকল বদ খাছলত মানুষকে বা মানুষের অন্তরকে ধ্বংস বা হালাক করে দেয়। এ প্রসঙ্গে জনৈক বুযুর্গ কবি তিনি বলেন-
خواہی کہ شوی دل تو چوں ائنہ+ بد چیز بروں کن از درون سینہ.
অর্থ : তুমি যদি চাও, তোমার অন্তর আয়নার মতো পরিষ্কার হোক, তবে তুমি তোমার অন্তর থেকে বদ স্বভাবসমূহ বের করে দাও।
এ সকল বদ খাছলত হচ্ছে-
১। কিবর (অহঙ্কার) ২। হাসাদ (হিংসা) ৩। বোগয (শত্রুতা) ৪। গদ্বব (রাগ) ৫। গীবত (পরনিন্দা) ৬। হিরছ (লোভ) ৭। কিযব (মিথ্যা) ৮। বোখল (কৃপণতা) ৯। রিয়া (লোক দেখানো) ১০। গুরুর (ধোঁকাবাজী) ১১। কিনা (দুশমনী) ১২। ত্বমা (হালাল-হারাম না দেখ বাকি অংশ পড়ুন...
অধিক ইবাদত করেছো বলেও অহংকার করো না। কারণ, ইবলিস ৬ লক্ষ বছর ইবাদত-বন্দেগী করেছিলো। ভেবে দেখো তার কি পরিণতি হয়েছিল। অধিক ইলিম শিক্ষা করেছো বলেও অহংকার-গর্বে ফেটে পড়ো না। কেননা বালয়াম বিন বাউরা এতো ইলিম শিক্ষা করেছিলো যে, যুগশ্রেষ্ঠ ১০ হাজার আলিম তার কাছে তা’লীম নিতো। সেছিলো মুস্তাজাবুদ দাওয়াত। সে যা দোয়া করতো মহান আল্লাহ পাক তিনি তাই কবুল করতেন। ৩০০ বছর সাধনা করে ‘ইসমে আ’যম’ আয়ত্ব করেছিলো। অথচ তার নিন্দায় কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “সে কুকুরের ন্যায়। কুকুরের উপর বোঝা চাপিয়ে দিলে হাঁপাতে থাকে। আর না চাপাল বাকি অংশ পড়ুন...












