(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
অতঃপর মুনাফিক সরদার উবাই বিন সুলূলের কাছ থেকে উঠে জুদী ইবনে আখতাব চলে গেলো তার ভাই হুয়াইয়ের কাছে। হুয়াই জিজ্ঞেস করলো, সংবাদ কি? জুদী বলল, খুবই খারাপ। আমি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমত মুবারকে যখন তোমাদের কথা পেশ করলাম, তখন তিনি ও উনার হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা তাকবীর ধ্বনি উচ্চারণ করলেন। তারপর তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, এখন আমরা ইহুদীদের বিরুদ্ধে জিহাদে যাবো। এরপর আমি মুনাফিক সরদার উবাই বিন সুলূলের কাছে গেলাম। দেখলাম, তারা তেমন বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
কাট্টা মুনাফিক উবাই বিন সুলূল সে আরো মিথ্যা কথা বললো, হে ইহুদীরা! আমার সাথে আমার গোত্রের ও অন্যান্য আরব গোত্রের দু’হাজার লোক রয়েছে। আমরা সকলেই তোমাদেরকে সাহায্য করতে তোমাদের দুর্র্গে উপস্থিত হবো। হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা আসার আগেই আমরা যথাসময়ই চলে আসবো। আমরা সকলে তোমাদের আগে মৃত্যুবরণ করতে রাজী। বানী কুরাইজার লোকেরাও তোমাদের সাহায্যে এগিয়ে আসবে। সুতরাং তোমরা নিজেদেরকে সহায়হীন ভেবো না। তাছাড়া বানী গাতফানও তো তোমাদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ। তারাও তোমাদেরকে সাহায্য করবে। এরপর বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
ইহুদীরা বলল, কিন্তু আমরাতো তাওরাত শরীফ ও নবী সাইয়্যিদুনা হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার উপদেশ ত্যাগ করতে পারি না। কেনানা বলল, তাহলে গ্রহণ করো দ্বিতীয়টি। অবিলম্বে এই স্থান ছেড়ে অন্যত্র গমনের নির্দেশ দিল। এ নির্দেশও তোমাদের জন্য ফায়দা দিতে পারে। যদি তা তোমরা নির্বিবাদে পালন করো। তাহলে তিনি তোমাদের জীবন ও সম্পদ উনাদের জন্য হালাল সাব্যস্ত করবেন না। তোমরা সুযোগ মতো তোমাদের মাল-মাত্তা বিক্রয় করে দিতে পারবে। অথবা সঙ্গে করে নিয়ে যেতে পারবে। তারা বলল, হ্যাঁ, এ কথা অবশ্যই ঠিক। সালাম ইবনে মুশকাম বলল, হে কেনান বাকি অংশ পড়ুন...
মুসলমানদের চিরশত্রু ইহুদী, নাসারা, হিন্দু, বৌদ্ধসহ সমস্ত কাফির, বেদ্বীন, বদদ্বীনরা ছলে, বলে, কৌশলে মুসলমানদের জাহিরী-বাতিনী তথা সর্বোত ক্ষতি সাধনে তৎপর। যার বাস্তবতা দেখতে পাই আমাদের দেশেও। এদেশ থেকে ইসলামী অনুশাসন, তাহযীব-তামাদ্দুন উঠিয়ে দিয়ে মুসলমানদেরকে কোনঠাসা করার লক্ষ্যে এই কাফির গোষ্ঠী কখনো মিডিয়াকে, কখনো শাসক শ্রেণীকে এবং কখনো আদালতকে ব্যবহার করে তাদের স্বার্থ উদ্ধার করে যাচ্ছে। এমনকি শাসক শ্রেণী কোন বিষয়ে সম্মত না হলে, আনুগত্যতা না দেখালে তাদের পরিবর্তনেও সা¤্রাজ্যবাদীরা দেশের আদালতকে ব্যবহার করছে।
তাই, বর্ বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اذْكُرُوا نِعْمَتَ اللهِ عَلَيْكُمْ إِذْ هَمَّ قَوْمٌ أَن يَّبْسُطُوْا إِلَيْكُمْ أَيْدِيَهُمْ فَكَفَّ أَيْدِيَهُمْ عَنْكُمْ ۖ وَاتَّقُوا اللهَ ۚ وَعَلَى اللهِ فَلْيَتَوَكَّلِ الْمُؤْمِنُونَ.
অর্থ: “হে ঈমানদারগণ! আপনাদের প্রতি মহান আল্লাহ পাক উনার বেমেছাল নিয়ামত তথা অনুগ্রহ মুবারকের কথা স্মরণ করুন যখন এক সম্প্রদায় আপনাদের বিরুদ্ধে হস্ত উত্তোলন করতে চেয়েছিল, তখন মহান আল্লাহ পাক তিনি তাদের হাত সংযত করেছিলেন; সুতরাং তোমরা একমাত্র মহান আল্লাহ পাক উনাকেই ভয় করো। আ বাকি অংশ পড়ুন...
সন্ধিচুক্তি এবং সন্ধির শর্তসমূহ:
কুরাইশগণ পরিস্থিতির গুরুত্ব উপলব্ধি করলো এবং অনতিবিলম্বে হযরত সুহাইল বিন ‘আমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে সন্ধিচুক্তির ব্যাপারে আলাপ-আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের উদ্দেশ্যে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমত মুবারকে প্রেরণ করলো।
(হযরত সুহাইল বিন ‘আমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি তখনও পবিত্র দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করেননি, পবিত্র মক্কা শরীফ বিজয়ের পর উনি পবিত্র দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করেন।) উনাকে প্রেরণের সময় কুরাইশরা এ পরামর্শ দিল যে, সন্ধিচুক্তি বাকি অংশ পড়ুন...
মুসলমানদের চিরশত্রু ইহুদী, নাসারা, হিন্দু, বৌদ্ধসহ সমস্ত কাফির, বেদ্বীন, বদদ্বীনরা ছলে, বলে, কৌশলে মুসলমানদের জাহিরী-বাতিনী তথা সর্বোত ক্ষতি সাধনে তৎপর। যার বাস্তবতা দেখতে পাই আমাদের দেশেও। এদেশ থেকে ইসলামী অনুশাসন, তাহযীব-তামাদ্দুন উঠিয়ে দিয়ে মুসলমানদেরকে কোনঠাসা করার লক্ষ্যে এই কাফির গোষ্ঠী কখনো মিডিয়াকে, কখনো শাসক শ্রেণীকে এবং কখনো আদালতকে ব্যবহার করে তাদের স্বার্থ উদ্ধার করে যাচ্ছে। এমনকি শাসক শ্রেণী কোন বিষয়ে সম্মত না হলে, আনুগত্যতা না দেখালে তাদের পরিবর্তনেও সা¤্রাজ্যবাদীরা দেশের আদালতকে ব্যবহার করছে।
তাই, বর্ত বাকি অংশ পড়ুন...
সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার শাহাদাতের গুজব এবং বাইয়াতে রিদ্বওয়ান:
সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম তিনি উনার নিজ দায়িত্ব মুবারক সম্পূর্ণ করলেন কিন্তু কুরাইশগণ উনাকে তাদের জিম্মায় রাখলো। সম্ভবত উদ্ভূত পরিস্থিতির ব্যাপারে সঠিক কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে না পারার কারণেই এবং কিছুটা বিলম্বে হলেও সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার মাধ্যমে তারা তাদের সিদ্ধান্ত সঠিক রেখেছিল। যেহেতু ব্যাপারটি ছিল তাদের জন্য অত্যন্ত বিতর্কমূলক এবং এ ব্যাপারে তাদের আরও শলা-পরামর্শের প্রয়োজন ছিল সেহেতু বাকি অংশ পড়ুন...
(সম্মানিত বদর জিহাদ মূলত: খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার খাছ গায়েবী মদদের ঘটনা। যারা পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ অনুযায়ী চলেন, খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার উপর পূর্ণ তাওয়াক্কুল করেন, উনারাই গায়েবী মদদের অধিকারী হন। আর যারা সন্ত্রাসী হামলা চালায় ও সন্ত্রাসবাদ লালন করে তারা মুরতাদ ও জাহান্নামী। সন্ত্রাসীদের উপর খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার লা’নত। সন্ত্রাসী আর মুজাহিদ কখনও এক নয়। সন্ত্রাসী হামলা আর জিহাদ কখনও এক নয়।)
পূর্ব প্রকাশিতের পর
বদর জিহা বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
অতঃপর সম্মানিত উহুদ জিহাদে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা বেমেছালভাবে বিজয় লাভ করলেন আর কাফির মুশরিকরা চরমভাবে লাঞ্ছিত হয়ে জিহাদের ময়দান থেকে পালিয়ে গেল। বিপরীতে মুনাফিক সরদার উবাই বিন সুলূল ও তার অনুসারীদের এলোমেলো কথাবার্তায় ইহুদীদের অবস্থা পাল্টিয়ে গেল। ইহুদীরা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে কষ্ট দেয়ার লক্ষ্যে মুনাফিকদের সাথে মিলিত হলো এবং তারা প্রকাশ্যে শত্রুতা শুরু করলো। নাউযুবিল্লাহ! মূলত এই ইহুদীরাই সর্বপ্রথম ভঙ্গ করেছিল বাকি অংশ পড়ুন...
সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনাকে প্রেরণ:
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি চিন্তা করলেন যে, এ সময় কুরাইশদের নিকট এমন একজন দূত প্রেরণ করা প্রয়োজন যিনি বর্তমান সফরের উদ্দেশ্য এবং লক্ষ্য সম্পর্কে জোরালোভাবে বক্তব্য উপস্থাপন করতে সক্ষম হবেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনাকে আহবান জানিয়ে কুরাইশগণের নিকট গমনের নির্দেশ দিলেন এবং বললেন, ‘আপনি গিয়ে তাদেরকে বলে দিন যে, যুদ্ধ করার জন্য আমর বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
هُوَ الَّذِي أَخْرَجَ الَّذِينَ كَفَرُوا مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ مِن دِيَارِهِمْ لِأَوَّلِ الْحَشْرِ ۚ مَا ظَنَنتُمْ أَن يَخْرُجُوا ۖ وَظَنُّوا أَنَّهُم مَّانِعَتُهُمْ حُصُونُهُم مِّنَ اللَّـهِ فَأَتَاهُمُ اللهُ مِنْ حَيْثُ لَمْ يَحْتَسِبُوا ۖ وَقَذَفَ فِي قُلُوبِهِمُ الرُّعْبَ ۚ يُخْرِبُونَ بُيُوتَهُم بِأَيْدِيهِمْ وَأَيْدِي الْمُؤْمِنِينَ فَاعْتَبِرُوا يَا أُولِي الْأَبْصَارِ. وَلَوْلَا أَن كَتَبَ اللهُ عَلَيْهِمُ الْجَلَاءَ لَعَذَّبَهُمْ فِي الدُّنْيَا ۖ وَلَهُمْ فِي الْآخِرَةِ عَذَابُ النَّارِ .ذَٰلِكَ بِأَنَّهُمْ شَاقُّوا اللهَ وَرَسُولَهُ ۖ وَمَن يُشَاقِّ اللَّـهَ فَإِنَّ اللهَ شَد বাকি অংশ পড়ুন...












