আল ইহসান ডেস্ক:
বহির্বিশ্বে জামাতের দুটি ঘাঁটি হচ্ছে যুক্তরাজ্য (ব্রিটেন) এবং সউদী আরব। খুনি আল-বাদরদের মধ্যে যারা ১৬ ডিসেম্বরের আগে পরে পালাতে সক্ষম হয়েছিল তারা এই যুক্তরাজ্যের ইস্ট লন্ডন মসজিদ, বার্মিংহাম সিটি মসজিদ, ম্যানচেস্টার মসজিদসহ বিভিন্ন মসজিদে ইমামের চাকরি পর্যন্ত নিয়ে, বিশেষতঃ সিলেট জেলার খুনি আল-বাদররা জামাতী সংগঠন ‘দাওয়াতুল ইসলামের’ মাধ্যমে তাদের অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। এই দু’জায়গায় অবস্থানরত আল-বাদর খুনিদের পরিচয় দেয়ার জন্য দু’টি দৃষ্টান্ত দেয়া হবে।
বুদ্ধিজীবী হত্যা পরিকল্পনার অপারেশন ইনচার্জ চৌধুরী বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
গ্রেফতাররের পর ঘাতক আব্দুল খালেক মজুমদার স্বাক্ষরকৃত ও পেশকৃত এক বিবৃতিতে বুদ্ধিজীবী হত্যাকা-ের সাথে জড়িত আরো ৯ জনের নাম পাওয়া গিয়েছিল; কিন্তু এদের অনেকেই সুপরিচিত হওয়ায় সংবাদপত্রগুলো সঙ্গতকারণেই’ এদের নাম প্রকাশে বিরত থাকে।
এছাড়া ঘাতক আব্দুল খালেকের নিকট থেকে উদ্ধারকৃত বিভিন্ন কাগজপত্রে দেখা যায় যে, তার সাথে এবং জামাতের অন্যান্য নেতার সাথে টেলিফোনে বেশ কিছু সংখ্যক অফিসারের ঘনিষ্ঠতা ছিল।
আত্মগোপন অবস্থা থেকে ধরা পড়া এবং জেলে অবস্থান সম্পর্কে খালেক মজুমদার লিখেছে- ‘খ্যাতনামা না হলেও এবার আমার অখ্যাত ও ক বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
ছাত্রশিবিরের প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রত্যেক ইউনিটের প্রায় প্রত্যেক নেতা একাত্তরের খুনি আল-বাদর। এই খুনিরাই বুদ্ধিজীবীদের হত্যাকারী। এদের নৃশংসতার পরিচয় কিছু কিছু ইতোমধ্যেই দেয়া হয়েছে; তবু আরো সুনির্দিষ্টভাবে বলার জন্য এখানে ছাত্রশিবিরের ১৯৮০-৮১ সালের সাধারণ সম্পাদক এনামূল হক মঞ্জু কিভাবে ১৯৭১ সালে বাঙালি নির্যাতনের কাজে নেতৃত্ব দিয়েছে তার সামান্য বর্ণনা দেয়া যেতে পারে।
এনামুল হক মঞ্জু ১৯৭১ সালে ছিল চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ ছাত্রসংঘ সভাপতি এবং আল-বাদর প্লাটুন কমান্ডার। চট্টগ্রাম শহরের টেলিগ্রাফ হিল বোটের বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
ছাত্রশিবিরের প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রত্যেক ইউনিটের প্রায় প্রত্যেক নেতা একাত্তরের খুনি আল-বাদর। এই খুনিরাই বুদ্ধিজীবীদের হত্যাকারী। এদের নৃশংসতার পরিচয় কিছু কিছু ইতোমধ্যেই দেয়া হয়েছে; তবু আরো সুনির্দিষ্টভাবে বলার জন্য এখানে ছাত্রশিবিরের ১৯৮০-৮১ সালের সাধারণ সম্পাদক এনামূল হক মঞ্জু কিভাবে ১৯৭১ সালে বাঙালি নির্যাতনের কাজে নেতৃত্ব দিয়েছে তার সামান্য বর্ণনা দেয়া যেতে পারে।
এনামুল হক মঞ্জু ১৯৭১ সালে ছিল চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ ছাত্রসংঘ সভাপতি এবং আল-বাদর প্লাটুন কমান্ডার। চট্টগ্রাম শহরের টেলিগ্রাফ হিল বোটের বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
৭ নভেম্বর তারিখেই প্রাদেশিক ছাত্রসংঘ প্রধান আলী আহসান মুজাহিদ সংঘের প্রাদেশিক পরিষদের নাম ঘোষণা করে। এরা হলোÑ শামসুল হক (ঢাকা শহর), আব্দুল হাই ফারুকী (রাজশাহী জেলা), সরদার আব্দুস সালাম (ঢাকা জেলা), মোস্তফা শওকত ইমরান (ঢাকা শহর), মতিউর রহমান খান (খুলনা), মীর কাশেম আলী (চট্টগ্রাম), আব্দুল জাহের মুহাম্মদ আবু নাসের (চট্টগ্রাম), আশরাফ হোসেন (মোমেনশাহী)। দু’জন মনোনীত সদস্য ছিল একে মুহাম্মদ আলী (ঢাকা শহর) এবং মাজহারুল ইসলাম (রাজশাহী জেলা)।
বিভিন্ন জেলা সদরে নিযুক্তিপ্রাপ্ত এই নেতারা স্ব স্ব জেলার আল-বাদর বাহিনীর প্রধান। বিভিন বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
নভেম্বরের প্রথম থেকেই আল-বাদর নেতারা প্রকাশ্যে বুদ্ধিজীবীদের হুঁশিয়ারি দিতে থাকে। ৭ নভেম্বর সারাদেশে মহাঘটা করে পালন করা হয় ‘বদর দিবস।’ এই উপলক্ষে ধর্মব্যবসায়ী জামাত এবং ছাত্রসংঘ ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করে। নাখালপাড়া আদর্শ শিক্ষায়তনে তেজগাঁও থানা জামাতের প্রধান মাহবুবুর রহমান গুরহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় জামাতের সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল খালেক বক্তব্য পেশ করে। (দৈনিক সংগ্রাম, ৮/১১/৭১ খৃ.)।
মাহফুজুল হক নামে জনৈক আল-বাদর কমান্ডার-
৭ নভেম্বর ১৯৭১ খৃ, ‘বদর দিবস’ উপলক্ষে ধর্মব্যবসায়ী ঘাতক জামাতের বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নড়াইল সদর উপজেলার তুলারামপুর গ্রামের মৃত মালানা আব্দুর রহমানের দু’পুত্র ও চার কন্যার মধ্যে সোলায়মান ছিলো সবার বড়। সোলায়মানের পিতা আব্দুর রহমান কলকাতা একটি মাদরাসায় পড়াশোনার পর সেখানে একটি মাদরাসায় চাকরি করতো সোলায়মানকে সেখানেই ভর্তি করে। সেখান থেকে টাইটেল পাশের পর সোলায়মান দেশে ফিরে মাগুরা সদর উপজেলার বেরোইল হাইস্কুলে নবম শ্রেণীতে ভর্তি হয়। ওই স্কুল থেকে মাধ্যমিক পাশের পর নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক করে। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয় থেকে ইসলামের ইতিহাসে স্নøাতকোত্ত বাকি অংশ পড়ুন...
আাল ইহসান ডেস্ক:
মুক্তিযোদ্ধা ও প্রবীণ ব্যক্তিদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, নড়াইলে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে পাক বাহিনীর দোসর রাজাকার বাহিনীর নির্মম হত্যাকা-, ধর্ষণ ও লুটতরাজের সঙ্গে যে নামটি মিশে আছে তা হলো রাজাকার মালানা সোলায়মানের নাম। যার নির্দেশে তিন জল্লাদ জবাই করে হত্যা করেছে কয়েক হাজার মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মুক্তিকামী মানুষকে। এসব ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কাল্পনিক অভিযোগ এনে মালানা সোলায়মান রেজিস্টারে যাদের নামের পাশে লালকালি দিয়ে “রিলিজ ফর ইভার” লিখে দিতো তাদের ইসকট পার্টি ও জল্লাদরা গভীর রাতে নড়াইল শহরের লঞ্চঘাটে বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
নড়াইলের কুখ্যাত রাজাকার, আল-বাদর, আল-শামস, তৎকালীন মহকুমা পিস কমিটির চেয়ারম্যান, ধর্মব্যবসায়ী জামাতে মওদুদীর সাবেক নেতা মালানা সোলায়মানের নাম মনে পড়লে এখনো মুক্তিযোদ্ধা ও প্রবীণ ব্যক্তিদের গা শিউরে উঠে। আর এই হিংস্র হায়েনার একান্ত সহযোগী ছিল ডাক্তার আবুল। এদের নির্দেশে ১৯৭১ সালে নড়াইলে জল্লাদ ওমর, মোমরেজ ও ফারুক এই তিন জন প্রায় আড়াই হাজার স্বাধীনতাকামী দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষকে ধরে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে কাল্পনিক অভিযোগ এনে বর্তমান জজ কোর্টের পাশে বটগাছের নিচেই তৎকালীন লঞ্চঘাটের প্লাটুনের উ বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
নড়াইলের কুখ্যাত রাজাকার, আল-বাদর, আল-শামস, তৎকালীন মহকুমা পিস কমিটির চেয়ারম্যান, ধর্মব্যবসায়ী জামাতে মওদুদীর সাবেক নেতা মালানা সোলায়মানের নাম মনে পড়লে এখনো মুক্তিযোদ্ধা ও প্রবীণ ব্যক্তিদের গা শিউরে উঠে। আর এই হিংস্র হায়েনার একান্ত সহযোগী ছিল ডাক্তার আবুল। এদের নির্দেশে ১৯৭১ সালে নড়াইলে জল্লাদ ওমর, মোমরেজ ও ফারুক এই তিন জন প্রায় আড়াই হাজার স্বাধীনতাকামী দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষকে ধরে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে কাল্পনিক অভিযোগ এনে বর্তমান জজ কোর্টের পাশে বটগাছের নিচেই তৎকালীন লঞ্চঘাটের প্লাটুনের উ বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
মনসুর খালেদের ‘আল-বাদর’ গ্রন্থে বর্ণিত আল-বাদরদের বিভিন্ন অপারেশনের বিবরণ থেকে একটি তালিকা প্রণয়ন করা যায় এভাবেÑ
ঢাকা শহর: আসাদুজ্জামান- কমান্ডার, সদস্য- নূর মল্লিক, মোহাম্মদ আলী, আবু নসর ফারুকী, ইকরামুল হক, ফেদাউল ইসলাল, রেজাউল ইসলাম, এফ এম কামাল, মুস্তাফা শওকত ইমরান, হুসাইন খান, মুহম্মদ মাসুম।
চট্টগ্রাম: কমান্ডার- আবদুল জাহের আবু নাসের ও আবু জাফর; কমান্ডার- মুহাম্মদ নাঈমুর রহমান, ইফতেখারুল ইসলাম, সলিমুল্লাহ, আবু জাফর; কমান্ডার- এনামুল হক সন্তু; সদস্য- সৈয়দ আকরাম হোসাইন, আবু ওসমান, শাহ জামান, আবদুর রহমান, মীর হাসান, ম বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
বিভিন্ন সংগ্রহশালা থেকে উদ্ধৃত তৎকালীন আল-বাদর হাইকমান্ডের একটি তালিকা এখানে তা দেয়া হলো:
মওদুদীবাদী ছাত্রসংঘের কেন্দ্রীয় কমিটি (আল-বাদর হাইকমান্ড)Ñ
১। আশরাফ হোসাইন (আল-বাদর বাহিনীর প্রতিষ্ঠাতা এবং ময়মনসিংহ জেলা প্রধান), ঢাকায় ব্যবসা করে।
২। শামসুল হক (ঢাকা শহর প্রধান), কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য- জামাতে ইসলামী।
৩। মুস্তাফা শওকত ইমরান (ঢাকা শহর আল-বাদর বাহিনীর অন্যতম নেতা), স্বাধীনতার পর পরই নিখোঁজ হয়।
৪। আশরাফুজ্জামান খান (ঢাকা শহর আল-বাদর বাহিনীর হাইকমান্ড সদস্য এবং বুদ্ধিজীবী হত্যাকা-ের ‘চিফ এক্সিকিউটর বাকি অংশ পড়ুন...












